মুসলমান, ইহুদি, খ্রিষ্টান: ধর্মের প্রতি আনুগত্যের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের নারীরাই মাথা ঢেকে রাখেন৷ বার্লিনের ইহুদি জাদুঘরে এক প্রদর্শনীতে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, মাথা ঢেকে রাখার ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি অনুপ্রাণিত করে তাঁদের?
বিজ্ঞাপন
মেয়েদের মাথা ঢাকা
খ্রিষ্টধর্ম, ইহুদি বা ইসলাম ধর্ম, সব ধর্মেই নারীদের মাথা ঢাকার প্রথা আছে – কোথাও বেশি, কোথাও কম৷ কিন্তু এই সব প্রথার মধ্যে সাদৃশ্যটা কোথায়? মাথা ঢাকার ব্যাপারে মহিলারাই বা কী ভাবেন?
ছবি: Jüdisches Museum Berlin/Yves Sucksdorff
হিজাব
যে সব মুসলিম মহিলারা মাথা ঢাকেন, তাঁরা সবাই যে শুধু ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলেন, এমন নয় – বলে ভিয়েনা নিবাসী তুর্কি শিল্পী নিলবর গ্যুরেজ-এর অভিমত৷ তাঁর একটি ভিডিও পার্ফর্মেন্সের নাম ‘সোয়ুনমা/আনড্রেসিং’ (২০০৬) – যার চারটি ছবি এখানে দেখতে পাচ্ছেন৷ ভিডিওতে শিল্পী একটির পর একটি ‘পর্দা’ সরাচ্ছেন ও সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের মহিলাদের নাম করছেন৷
ছবি: Nilbar Güres
পরচুলা
‘কভার্ড’ (আবৃত) শীর্ষক এই আত্মপ্রতিকৃতিতে আনা শ্টেনশ্লেগার দু’টি পরচুলা পরে রয়েছেন৷ ছবিটি তোলা হয় ২০০৯ সালে৷ আনা নিজে ধর্মনিষ্ঠ ইহুদি৷ সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত ইহুদি মহিলারা তাঁদের চুল ঢাকতেন একটি ‘টিকেল’ বা মাথা ঢাকার কাপড় দিয়ে৷ পরচুলাও তো মাথা ঢাকে – এই হলো আনার আত্মপ্রতিকৃতির বক্তব্য৷
ছবি: Anna Shteynshleyger
ধর্ম এক, কিন্তু মাথা ঢাকার পন্থা নানা
হিজাব, নিকাব, আল-আমিরা, শায়লা, এশার্প – মুসলিম মহিলাদের মাথা বা চুল ঢাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিধান আছে৷ দেশ হিসেবেও ‘পর্দা’ আলাদা হতে পারে, যেমন ইরানের মহিলাদের ‘চাদর’ বা ইন্দোনেশিয়ার মহিলাদের ‘কেরুডুং’ ও ‘টুডুং’৷ ছবিতে যে প্রদর্শনীটি দেখা যাচ্ছে, সেখানে এই বৈচিত্র্যই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে৷
ছবি: Jüdisches Museum Berlin/Yves Sucksdorff
গির্জায় মাথা ঢাকা
বার্লিনের একটি রুশ সনাতনপন্থি গির্জার এই দৃশ্যটি তুলেছেন আলোকচিত্রী মারিয়া মিহাইলোভা৷ ‘মাস’ বা প্রার্থনাসভার জন্য চুল ঢাকার প্রথা খ্রিষ্টধর্মের অপেক্ষাকৃত ছোট সম্প্রদায়গুলির মধ্যে আজও বজায় থাকলেও, ক্যাথলিক বা প্রটেস্টান্ট গির্জাগুলিতে তা আর প্রায় দেখা যায় না৷
ছবি: Marija Mihailova
চুল দিয়ে লজ্জা ঢাকা?
আরব দেশগুলিতে লম্বা কালো চুল নারীর সৌন্দর্যের একটি অপরিহার্য উপাদান বলে গণ্য হয়৷ ইরানি শিল্পী মন্দানা মোঘাদ্দাম তাঁর ‘প্রথম চেলগিস’ শীর্ষক ২০০২ সালের ‘মূর্তি’-টিকে শুধুমাত্র চুল দিয়ে সাজিয়েছেন – কিন্তু এমনভাবে যে, মেয়েটিকে দেখবার উপায় নেই৷ এর পিছনে রয়েছে এক অপহৃত কিশোরী সম্পর্কে একটি ইরানি রূপকথা: রূপকথার কিশোরীর নাকি ৪০টি বিনুনি ছিল৷
ছবি: Mandana Moghaddam
শুধু স্বামীর জন্য চুল?
ইদিশ ভাষায় ‘টিকেল’ হলো ধর্মনিষ্ঠ ইহুদি মহিলাদের মস্তকের পরিধান৷ ২০০১ সালে তোলা এই আলোকচিত্রে লিওরা লাওর জেরুসালেমের উগ্র সনাতনপন্থি মেয়া শেয়ারিম এলাকার মহিলাদের দেখিয়েছেন৷ প্রথা অনুযায়ী বিবাহের পর শুধুমাত্র মহিলার স্বামীই তাঁর চুল দেখতে পাবেন৷ কাজেই বিয়ের পর মহিলারা কাপড়, নানা ধরনের টুপি বা পরচুলা দিয়ে মাথা ঢাকেন৷
ছবি: Leora Laor
মাথা ঢাকা, চুল ঢাকা?
নিউ ইয়র্কের কোনি আইল্যান্ডের সৈকতের একটি দৃশ্য৷ ছবিটি তোলেন ফেডেরিকা ভালাব্রেগা, ২০১১ সালে৷ ছবিতে যে ইহুদি মহিলাদের দেখা যাচ্ছে, তারা সবাই মাথা ঢেকে রেখেছেন, যদিও তার তলা থেকে মাথার চুল বেরিয়ে রয়েছে৷ এভাবেই মাথা ঢাকার প্রথার নানান ব্যাখ্যা ও নানা সংস্করণ চালু আছে...৷
ছবি: Federica Valabrega
‘বুর্কিনি’
বোরকা আর বিকিনি, এই দু’টি শব্দ মিলিয়ে যে বস্তুটির সৃষ্টি, তা যে বিতর্ক সৃষ্টি করবে, তা তো জানাই৷ মুসলিম মহিলাদের সমুদ্রস্নানের জন্য সৃষ্ট এই পরিধেয়টি আবার পশ্চিমের অনেক নারীবাদীর কাছে অগ্রহণযোগ্য৷
ছবি: Jüdisches Museum Berlin/Yves Sucksdorff
8 ছবি1 | 8
গ্রেস কেলি ৬০ বছর আগে মাথায় স্কার্ফ পরা শুরু করেছিলেন, এটা তাঁর সাজসজ্জার অংশ৷ আজ বিভিন্ন ধর্মের নারীরা তাঁদের বিশ্বাসের কারণে মাথার চুল কাপড়ে ঢেকে রাখেন৷ বহু বছর ধরেই এই প্রথা চলে আসছে৷ বহু সংস্কৃতিতে নারীদের মাথার চুল দেখানোতে বিধি-নিষেধ রয়েছে৷ তবে যখন সামাজিক রীতিনীতি এবং ধর্মীয় ভাবধারা একসাথে হয়, তখন কিছুক্ষেত্রে দ্বন্দ্ব ও সংঘাতেরও জন্ম দেয়৷ এক্ষেত্রে একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে৷ এই যেমন, ফ্রান্সের সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরেন অনেকেই৷ সে সময় তাঁদের মধ্যে যদি কোনো মুসলিম নারী বুর্কিনি পরে উপস্থিত হন, তখন অন্যান্যরা অস্বস্তি বোধ করেন, এমনকি ক্ষুব্ধও কেউ কেউ ক্ষুব্ধও হন৷ একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ ধর্মকে কতখানি সহ্য করে? করতে পারে? ‘শ্যারশে লা ফাম' শীর্ষক প্রদর্শনীর বিষয় ঠিক এটাই৷ বার্লিনের ইহুদি জাদুঘরে এই প্রদর্শনী চলবে ২রা জুলাই পর্যন্ত৷ উদ্বোধনীর দিন জাদুঘরের কিউরেটর বা তত্ত্বাবধায়ক মিরিয়াম গোল্ডমান-এর সঙ্গে কথা বলেছে ডয়চে ভেলে৷ মূল প্রসঙ্গ ছিল – নারীরা কেন তাঁদের চুল ঢেকে রাখেন?
ডয়চে ভেলে: ‘শ্যারশে লা ফাম' বা ‘লুক ফর দ্য উইমেন' প্রদর্শনীরটির আক্ষরিক অর্থ ‘নারীদের খুঁজুন'৷ অর্থাৎ খঁজে নিন তাঁদের অস্তিত্ব৷ আমাদের কি আসলেই নারীদের চেহারার দিকে দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন?
মিরিয়াম গোল্ডমান: মুসলিম নারীদের হিজাব করা সম্পর্কে আমার মতামত হলো – এটা নারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ আর পুরুষরাই এটা করেছে, করছে৷ কেননা ধর্মীয় যে বিধি-বিধান সেটাও তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পুরুষদেরই লেখা৷ এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা নারীদের একটা সুযোগ করে দিতে চাই, যাতে তাঁরা মনের কথা খুলে বলতে পারেন৷ আমরা তাঁদের মাথা ঢাকার থাবিষয়টি নিজেদের মতো করে ভাবি৷ কিন্তু আসলে যাঁরা এটা করছেন, তাঁরা কী ভাবছেন সেটাই দেখার বিষয়৷
এই প্রদর্শনীতে খ্রিষ্টান, ইহুদি, ইসলাম – সব ধর্মের নারীদের দেখানো হয়েছে, যাঁরা মাথা ঢেকে রাখেন৷ এঁদের মধ্যে কি কোনো যোগসূত্র রয়েছে?
শালীনতা প্রতিটি ধর্মেই আছে৷ এর মধ্যে চুল এমন একটা বিষয়, যেটাকে অনেক ধর্মে একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে৷ সেক্ষেত্রে নারীদের চুল শুধুমাত্র স্বামী বা পরিবারের মানুষ দেখতে পারবে৷ যে বিষয়টি আমাকে বিস্মিত করে তা হচ্ছে, যে নারীরা হিজাব করেন, তাঁরা কি সত্যিই এ কথা বিশ্বাস করেন যে চুল দেখানোর মধ্যে পাপ আছে? গোড়া ইহুদি নারীরাও বর্তমানে অভিনব পদ্ধতিতে মাথা ঢাকেন৷ এ সবের বিরুদ্ধে কখনো কখনো প্রতিবাদ হয়েছে, আন্দোলন হয়েছে, তার কিছু এই প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হয়েছে৷
আপনারা কি চাচ্ছেন যে দর্শনার্থীরা এ সব ছবি দেখে এবং বিষয়গুলো জেনে প্রশ্ন করুক? আর সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য কি কোনো ব্যবস্থা রেখেছেন আপনারা?
না, নারীকে কেন্দ্র করে সামাজিক রীতিনীতি নিয়ে সাম্প্রতিককালে যেসব বিতর্ক রয়েছে, এই প্রদর্শনীতে সেগুলো উঠে এসেছে৷ এই যেমন ফ্রান্সে বুর্কিনি নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গ৷ খ্রিষ্টধর্মের ক্ষেত্রে যেমন বলা হয় যে, এটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়৷ এখানে প্রদর্শনের কিছু নেই৷ কিন্তু ইহুদি বা ইসলামে বিষয়টি ভিন্ন: ধর্মীয় প্রথা এবং সামাজিক রীতিনীতি ওতোপ্রতোভাবে জড়িত সেখানে৷
ইহুদি নারীদের তুলনায় মুসলিম নারীদের মাথার স্কার্ফ কি বেশি নজর কাড়ে?
হ্যাঁ, ঠিক তাই৷ আমার মনে হয়, ইহুদি নারীদের সঙ্গে অতীতে খুব খারাপ আচরণ করা হয়েছে৷ তাঁদের মূল্যবোধে আঘাত করা হয়েছে৷ ইহুদিদের মধ্যে এই প্রচলনটা এসেছে, কারণ সংখ্যালঘু গোষ্ঠী হিসেবে তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হয়েছিল৷ ইতিহাস থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁরা ঠিক করেছেন যে এভাবে তাঁরা নিজের দেশ ও জাতির প্রতি কীভাবে সম্মান দেখাবে৷ কিন্তু মুসলিম নারীরা কোনো সংহতি দেখানোর জন্য বা রাজনৈতিক কোনো কারণে এটা ব্যবহার করেন না৷
নারীদের মাথা ঢেকে রাখার বিষয়ে আপনার মতামত কী?
এটা আসলে লিঙ্গ বৈষম্য৷ এটার সঙ্গে শক্তি এবং যৌনতা জড়িয়ে রয়েছে৷ প্রশ্ন হলো – পুরুষ নারীর মাথার চুলকে কীভাবে দেখে? তাঁরা নারীর কেশকে যৌনআবেদনময় হিসেবে মনে করে৷ তাই তাঁরাই ঠিক করে দিয়েছে যে, নারীদের এটা লুকিয়ে রাখতে হবে৷ কেননা এটা দেখে তাঁদের উত্তেজনা হয়৷
হিজাব, বোরকা বা নিকাবের মতো নারীদের জন্য বিভিন্ন ইসলামি পোশাক নিয়ে ইউরোপে এখন তুমুল বিতর্ক চলছে৷ কোনো কোনো দেশ এ সব পোশাক নিষিদ্ধের পক্ষে৷ মুসলমান নারীদের শরীর ঢাকার পোশাকগুলি কী কী – চলুন জেনে নেই৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
হিজাব
দেশ এবং সংস্কৃতিভেদে অনেক মুসলমান নারী হিজাব পরিধান করেন৷ মূলত মাথা, চুল এবং গলা এবং ঘাড়ের খোলা অংশ ঢাকা হয় এই পোশাক দিয়ে৷ বিভিন্ন ডিজাইনের এবং রঙের হিজাব পাওয়া যায় যেগুলো পরলে চেহারা পুরোটাই দেখা যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/Seyllou
নিকাব
নিকাব পরলে নারীর পুরো শরীর ঢেকে যায়, শুধু চোখ দু’টো খোলা থাকে৷ সাধারণত পুরোপুরি রক্ষণশীল মুসলমান নারীরা নিকাব পরেন৷ নিকাব মূলত কালো রঙের হলেও অন্যান্য রঙের নিকাবও ইদানীং দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Roessler
দোপাট্টা
দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় দোপাট্টা বা ওড়না৷ নিকাব বা বোরকার মতো না হলেও এই পোশাকেও নারীর শরীর অনেকটা ঢাকা থাকে৷ তবে চুলের কিছুটা, চেহারা এবং গলা দেখা যায়৷ দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যান্য ধর্মের মেয়েরাও দোপাট্টা পরেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/S.Jaiswal
আল-আমিরা
মূলত দুই টুকরো কাপড় দিয়ে আল-আমিরা তৈরি করা হয়৷ একটি টুকরো দিয়ে চুল পুরোপুরি ঢেকে দেয়া হয় আর অন্য টুকরোটা হিজাবের মতো জড়িয়ে দেয়া হয়৷ কম বয়সি মুসলিম নারীদের মধ্যে এই আল-আমিরা বেশ জনপ্রিয়৷
শায়লা
শায়লা হচ্ছে লম্বা, চারকোনা এক ধরনের স্কার্ফ, যা গল্ফ অঞ্চলের মুসলিম নারীদের মধ্যে জনপ্রিয়৷ এটি সাধারণত কালো রঙের হয় এবং কাঁধের কাছে পিন দিয়ে আটকাতে হয় এটিকে৷ তবে হিজাবের মতো সবকিছু ঢেকে রাখে না শায়লা৷
ছবি: Getty Images/AFP/A.Rochman
এশার্প
অনেকটা হিজাবের মতো হলেই এসার্প তৈরি হয় সিল্ক দিয়ে এবং বেশ উজ্জ্বল রঙের হয়৷ মূলত তুরস্কের মুসলিম নারীরা এটা পরিধান করেন৷ এটি বিভিন্ন রং এবং ডিজাইনে পাওয়া যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Altan
কেরুডুং আর টুডুং
ইন্দোনেশিয়ার আধুনিক মেয়েরা আজকাল যে হিজাব ব্যবহার করছে, তার নাম কেরুডুং৷ আর প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়ায় নারীদের মধ্যে জনপ্রিয় টুডুং৷ এই দু’টি অনেকটা চাদরের মতো হলেও, একটি অংশে সুন্দর প্যার্টার্ন থাকে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকে বিভিন্ন রঙের শেডও৷ হিজাবের মতো টুডুং বা কেরুডুং-ও চুল, গলা এবং কাঁধ পুরোপুরি ঢেকে ফেলে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S.Khan
চাদর
ইরানের মেয়েদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় চাদর৷ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সাধারণত সে দেশের নারীরা চাদর পরে নেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Mehri
বোরকা
মুসলিম নারীরা সারা চেহারা এবং সারা শরীর পুরোপুরি ঢেকে ফেলে বোরকা পরিধান করেন৷ ক্ষেত্রবিশেষে বোরকার চোখের অংশে জাল দেয়া থাকে, যাতে তারা দেখতে পারেন৷ কালো ছাড়াও বিভিন্ন রংঙের বোরকা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Arshad Arbab
জিলবুবস
সারা শরীর ঢেকে রেখেও নারীর স্তন এবং পশ্চাতদেশের আকার ফুটিয়ে তোলা যায় এই পোশাকে৷ এ জন্যই একে জিলবুবস বলা হয়৷ ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পোশাকের ব্যবহার দেখা যায়৷ তবে এই পোশাক নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷ দ্রষ্টব্য: মুসলিম নারীদের পোশাক সংক্রান্ত বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ছবিঘরটি তৈরি করা হয়েছে৷