1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীর কাঁধেই চাপে ঘরের কাজ

সুলাইমান নিলয়
২৩ জুলাই ২০২১

ঘরের রান্না, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ধোয়া-মোছা, শিশু ও বৃদ্ধদের যত্নের মত কাজ এখনো শেষ পর্যন্ত চাপে নারীর কাঁধেই। পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভালোবাসায় তারা এখনো সে সব কাজ করে যান হাসিমুখে। কখনও আবার প্রত্যাশার চাপেও করতে হয়।

Bangladesh | Eid Food
ছবি: Nurunnahar Sattar/DW

উৎসব আনন্দের দিনে সবার ছুটি মিললেও তাদের যেন সেই ফুরসতও নেই। বরং অন্যদের উৎসবকে আনন্দময় করতে সেখানে তাদেরকে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হয় গৃহকর্মে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত-গৃহিনী-কর্মজীবী সব নারীর ক্ষেত্রেই দেখা গেছে এমন চিত্র।

বেসরকারি সংস্থা অ্যাকশন এইডের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘরের কাজে বাংলাদেশের নারীরা গড়ে ছয় ঘণ্টার বেশি প্রতিদিন কাজ করেন। অন্যদিকে পুরুষেরা এই কাজে সময় দেন এক ঘণ্টার বেশি। অতিরিক্ত এই সময় দিতে গিয়ে নারীদের ঘুম এবং ব্যক্তিগত সময় কমে যাচ্ছে। কমছে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের অংশগ্রহণ। এমনকি অনেকে যথাযথভাবে নজর দিতে পারেন না নিজের স্বাস্থ্যের দিকেও।

মানিকগঞ্জের ঘিওর সরকারি কলেজের প্রভাষক নওরিন রহমানের মতে, এটা একটা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির সংকটও।

তিনি বলেন, প্রথম দিকে ছোট বাচ্চাকে গৃহপরিচারিকার কাছে রেখেই আমি কাজে যেতাম। পরে ডে কেয়ারে রেখে যেতাম। করোনা ভাইরাস আসার পর সবকিছু যখন অনলাইনে চলে গেছে তখন সেটা বাচ্চার জন্য ভালোই হয়েছে। আমি বাসায় থাকতে পারছি।

"গত বছর লকডাউন শুরুর পর যখন বাসায় গৃহপরিচারিকা ছিল না। তখন কিন্তু আমি বেশ সাহায্যই (স্বামীর কাছ থেকে) পেয়েছি।”

তিনি বলেন, সংসারের কাজে নারীকে এখন যে দায়িত্ব পালন করতে হয়, সেটাতে পরিবর্তন আনতে হলে কেবল ব্যক্তিগত পর্যায়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনলেই হবে না। বরং এটা সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিরও ব্যাপার।

"অনেক সময় নারীরা কাজ শেষ হওয়ার পর ঘর দেখতে হবে বলে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে পারেন। কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে এটা হয় না। কারণ ঘরের এই কাজকে তাদের কাজ মনে করা হয় না।”

উচ্চশিক্ষিত নারীদেরকেও ঘরের ভেতরে পরিবারের সব কাজে থাকতে হয়; যদিও তারা বাইরে যাচ্ছে, উপার্জন করছে, তারপরও

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড নার্সিং এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক তাছলিমা বেগম জানান,চাকরির পাশাপাশি তিনি সংসারের ঘর-বাহিরের সব কাজ সামলেছেন একা হাতেই। যখন স্বামী ছিল তখনও। যখন সিঙ্গেল মাদার হিসেবে সংসার সামলেছেন, তখনও।

তিনি বলেন, এখনকার মত ৯-৫টা ডিউটি নয়, যখন শিফটিং ডিউটি করতাম, তখনো বাচ্চাদের পছন্দের খাবার রান্না করে আলাদা আলাদা বাটিতে রেখে দিতাম। যাতে তারা প্রতিবার নিয়ে নিয়ে খেতে পারে। শ্বশুরকেও হাত খরচ-সংসার খরচ দিয়েছি।

সব কাজ ভেবে পরিকল্পনা মত করতাম, বলেন তিনি।

সংসার নিয়ে নারীর ধকল

সন্তান আর ঘরের কাজ সামলাতে গার্মেন্টস কর্মী চায়না খাতুনকে পোহাতে হয়েছে দীর্ঘ সংগ্রামের কঠিন ধকল।

রপ্তানিমুখী খাতের এই কর্মী বলেন, সন্তান গর্ভে আসা থেকে শুরু করে জন্মের পর পর্যন্ত তিনি শারিরীক অসুস্থতায় ভুগেছেন। কর্মস্থল থেকে তিনি সেই ছুটি পাননি। তার চাকরিটি চলে যায়।

চায়না খাতুন

This browser does not support the audio element.

কাছাকাছি সময়ে তার দুই সন্তানের জন্মের পরে নতুন গার্মেন্টস কারখানায় কাজে যোগ দিয়ে তিনি জানতে পারেন, ওই কারখানায় শিশুদের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার থাকলেও সেখানে তিনি তার সন্তানদের রাখতে পারবেন না। কারণ হিসাবে বলা হয়, এই সন্তানদের জন্মের সময় তিনি সেই গার্মেন্টস কারখানার কর্মী ছিলেন না।

এরপর বাধ্য হয়ে তিনি গ্রামের বাড়ি থেকে তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে আসেন ঢাকায়। প্রতিদিন ভোরে উঠে রান্নাবান্না সেরে সবাইকে খাইয়ে সকাল ৮টায় তিনি তার কর্মস্থলে হাজির হতেন। কোন কোন দিন ওভারটাইম করতে করতে রাত বারোটা বেজে যেত। এর আগে চাইলেও দুগ্ধপোষ্য দুই শিশুর কাছে তিনি ফিরতে পারতেন না।

যত রাতেই তিনি ফিরেন না কেন, এসে আবার রান্না করতে হতো। ফলে তিনি অনেক সময় ঠিকঠাক ঘুমেরও সময় পেতেন না বা পান না।

কয়েক বছর পর এক পর্যায়ে চায়না খাতুনের মা অসুস্থ হয়ে গ্রামে ফিরে যান। এরপর থেকে তিনি তার এই বাচ্চাদের ঘরে রেখেই কাজে যান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কী করবো? আমারতো এই সামর্থ্য আল্লাহ দেয় নাই যে, চাকরি না করে বাসায় থাকব।

প্রায় পাঁচ দশক যিনি সামলাচ্ছেন যৌথ পরিবার

ঢাকার নবাবগঞ্জের মেয়ে আয়েশা পারভীনের বিয়ে হয় ১৯৭৩ সালে ১৭ বছর বয়সে। শ্বশুর বাড়িতে এসে তিনি পান যৌথ পরিবার। পুরোনো ঢাকার এই ব্যবসায়ী পরিবারে ঘরের কাজ মানেই ছিল বিশাল হুলস্থুল কারবার। প্রতিদিন ৩০-৪০ জনের রান্না হতো এখানে।

ঘরে ছিল ছোট ছোট দেবর ননদ। তাদের খাওয়া-দাওয়া, লেখাপড়া, স্কুলে পাঠানো; শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত, স্বামী, সংসার নিয়ে এক ভীষণ ব্যস্ত জীবনে প্রবেশ করেন তিনি। রান্নাবান্না থেকে সব কাজের জন্যই সাহায্যকারী ছিল। কিন্তু তিনিই ছিলেন এ সবের কেন্দ্রে। অথচ বাপের বাড়িতে তিনি কেবল লেখাপড়া নিয়েই থেকেছেন।

আয়েশা পারভীন

This browser does not support the audio element.

বিশাল এই পরিবারে এত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি কারো ছোটখাটো প্রয়োজনও ভুলতেন না। ঈদ-চাঁদ-উৎসবে তার এই ব্যস্ততা বাড়তো আরো অনেকগুণ। আগের দিন গভীর রাত পর্যন্ত জেগে এগিয়ে রাখতেন রান্নাবান্নার নানা কাজ। মাংসসহ কয়েক রকমের রান্নাও রাতেই সেরে রাখতেন। সকালে উঠে আবারো লেগে যেতেন রান্নায়। নাস্তার পর পরিবারের সদস্যরা যেত ঈদের নামাজে। এরপর রান্নাবান্না অতিথি আপ্যায়নে কেটে যেত তার সারাদিন। কোরবানির ঈদে মাংস কাটাকাটি, বিলিবণ্টন, সংরক্ষণের মতো কাজ যুক্ত হতো তালিকায়।

এমনই ব্যস্ততায় তার কেটেছে গত প্রায় পাঁচ দশক। একই রুটিন, ছকে বাঁধা একই জীবন। কিন্তু তিনি সব করেছেন হাসিমুখে।

তার কোলজুড়ে একে একে চার সন্তান আসে। দীর্ঘ এই জীবনে বড় করেছেন তাদেরও। সবাই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। কন্যাদের একজন একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেন। আরেকজন দ্বিতীয় মাস্টার্স করতে কিছুদিনের মধ্যেই উড়াল দেবে জার্মানির উদ্দেশ্যে।

তিনি বলেন, আমরা এখনো তার যৌথ পরিবার। যৌথ পরিবারের কথা শুনে অনেকে অবাক হয়ে যায়। এই পরিবারে আছে তার দুই দেবর এবং দেবরদের স্ত্রী পুত্র-সন্তান।

তিনি বলেন,যৌথ পরিবারে ঝগড়াঝাটি সাধারণত জাদের মধ্যে হয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে এগুলো নাই। আমরা তিন জা বোনের মত থাকি। বোনের চেয়েও বেশি। বোনদেরও এত মিল থাকে না। এ কারণেই যৌথ পরিবারে থাকা সম্ভব হয়েছে।

তার প্রত্যাশা, তার দেবরের ছেলেরা বিয়ে করে বউ নিয়ে আসলেও টিকে থাকবে এই যৌথ পরিবার।

তার মতে, ছেলের বউদেরকে আদর করা হলে, তাদের প্রয়োজন-অপ্রয়োজন দেখলে তারাও যৌথ পরিবারেই থাকতে চাইবে।

ব্যবসায়ী মা যেভাবে সামলান সংসার

নাসিমা আক্তার নিশা ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যুগ্ম সম্পাদক। যুক্ত আছেন নিজের ও পরিবারের নানা ব্যবসার সঙ্গে। তবে তিনি তুমুল পরিচিত উইমেন এন্ড ই-কমার্স ফোরামের কারণে। ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্ল্যাটফর্ম থেকে নারী উদ্যোক্তাদের নানা প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের সাথে যুক্ত করে দেয়ার জন্য কাজ করছেন তিনি। এই প্ল্যাটফর্মে এখন যুক্ত আছেন চার লাখের বেশি উদ্যোক্তা।

নিজের ব্যবসা, পরিবারের ব্যবসা, ভলেন্টারি কাজ, সংগঠন-এত কিছুর পর কীভাবে সংসার সামলান তিনি,এমন প্রশ্ন অনেকরই। তবে ঠিকই সব সামলে নিচ্ছেন নাসিমা।

তিনি বলেন, আমি ছেলের সাথে একটা রুটিন করে ফেলেছি। সেটা অনুসারে চলে কাজ। ছেলে যখন অনলাইন ক্লাস করে, তখন গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজ করে ফেলি। তা ছাড়া যেসব কাজ মোবাইলে করি, তখন ছেলেকেও সময় দিতে পারি।

নাসিমা আক্তার নিশা

This browser does not support the audio element.

তার মতে, ব্যবসা করে সংসার সামলানো, চাকরি করে সংসার সামলানোর চেয়েও কঠিন। কারণ একজন উদ্যোক্তাদের নানা কিছু দেখতে হয়। নিজের দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা, কৌশল পরিবর্তন, ক্রেতার সাথে যোগাযোগ, পণ্যের ডেলিভারির পাশাপাশি পরিবারেও তাকে একেবারে প্রপার সময় দিতে হচ্ছে।ফলে উদ্যোক্তাদের অনেক কাজ একই সাথে করতে হয়, যাকে মাল্টিটাস্কিং বলে।

"চাকরিজীবীরা কাজ শেষ করে একটা সময় বাসায় ফিরে আসেন। উদ্যোক্তাদেরকে বাসায় থেকেও সারাক্ষণ কাজ করতে হয়। এটা চ্যালেঞ্জিংতো অবশ্যই। কিন্তু আল্লাহর রহমতে পারছেও মানুষ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন গৃহিণীকে যা করতে হয়, একজন উদ্যোক্তা নারীকে সংসারের সেই সব কাজ শেষ করে উদ্যোক্তা হতে হয়। সকালে উঠে নাস্তা বানাতে হয়, বাচ্চাকে স্কুলে দিতে হয়। কোভিডের সময়ে বাচ্চা অনলাইনে স্কুল করে, তাই একটা কাজ তার কমেছে। কিন্তু বাকী কোন কাজ কমেনি। তাকে পড়াতে হয়, ফ্যামিলির জন্য দুপুরে রান্নাবান্না করতে হয়। বাসাবাড়ি পরিষ্কার করা, নিজের কাস্টমারদের সাথে টানা কনভারসেশনে থাকা, নিজের প্রোডাক্টের ফটোগ্রাফি করা, বিকেলে পরিবারকে সময় দেয়া, রাতে বাচ্চাকে পড়াশোনা করানো-আমার দেখা মতে এমন কোন উদ্যোক্তা নাই, যে পরিবারকে সময় না দিয়ে কাজ করছে।

"কোন কোন পরিবার এমনও আছে যে,পরিবারকে ঠিকভাবে সময় না দিলে উদ্যোগটাই শেষ হয়ে যাবার উপক্রম হয়। অনেকেই বলে, তুমি আগে পরিবারকে সময় দিবা, এরপর তোমার উদ্যোগে কাজ করবা।”

পরিবারের এই কাজগুলো এখনো নিজেকে করতে হয় বলে জানালেন নিশা।

তিনি বলেন, আমার স্বামী যখন জীবিত ছিল, তখন বলেছিল, ‘ছেলের স্কুলের দায়িত্ব কিন্তু তোমার'। আমি কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন করেছিও। আমি তাকে স্কুলে নিয়ে যেতাম, নিয়ে আসতাম। ফুটবল খেলতে নিয়ে যেতাম। একইসাথে আমি কাজও করতাম। এখনো সব ব্যস্ততার মাঝে আমি চেষ্টা করি, ওকে প্রপার ফ্যামিলি টাইম দিতে। কারণ আমিই ওর বাবা, আমিও ওর মা।

ঈদ কীভাবে কেটেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার শ্বশুর হাসপাতালে ভর্তি। সকালে হাসপাতালে নাস্তা পাঠানোর পর নিজেরা নাস্তা করেছি। কারোরই মন ভালো ছিল না। পরে আমি আমার ছেলের জন্য অনেক কিছু রান্না করেছি। অনলাইনে না থেকে পুরো সময়টা ওর সাথে কাটানোর চেষ্টা করেছি।

"যেহেতু পরিবারের অনেকগুলো দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওর বাবার চলে যাওয়া, ওর ফুফুর চলে যাওয়া, দাদা হাসপাতালে। তাই চেষ্টা করেছি, আমার ছেলেকে এবং তার কাজিনদেরকে সময় দিতে। সন্ধ্যার পর অতিথিরা এসেছে,তাদের আপ্যায়ন আর রাতে মুভি দেখে আমরা ঈদের দিন পার করেছি।”

ফারাহ কবির

This browser does not support the audio element.

 ‘নারীর কাজের স্বীকৃতি, মূল্যায়ন ও পুনর্বণ্টন প্রয়োজন'

অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির বলেন, সংসারে নারী ও মেয়ে শিশু নানা ধরনের কাজ করে। পরিবার, সমাজ, এমনকি দেশের জন্যও তাদের অবদান আছে। সংসারে একজন নারী যে কাজগুলো করে, সেগুলোর স্বীকৃতি, বণ্টন নেই। যে কাজগুলো তারা করে, সেগুলো যদি মূল্য দিয়ে নিতে হয়, তাহলে এটা অনেক দাম হতো।

"একজন নারী রান্নাবান্না করে, পানি জোগাড় করে, ছেলেমেয়েদের দেখাশোনা, খাওয়া-দাওয়া করানো, গোসল করানো, পড়ানো, অসুস্থ ও মুরুব্বিদের দেখাশোনা ইত্যাদি।”

"এর বাইরে বাংলাদেশে সে কিন্তু হাঁস-মুরগি পালে, গরুকে খাওয়ায় এমনকি কৃষি কাজেও অংশ নেয়। এগুলো যদি বাদও দেই, এর বাইরে যা কিছু করে, সবকিছুই কিন্তু আনপেইড কেয়ারওয়ার্ক। নারীদের এই কাজগুলোকে স্বীকৃতি দিতে হবে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মা তার সন্তানকে ভালোবাসলে তার জন্য টাকা দিতে হবে, এটা আমরা বলছি না। কিন্তু তিনি যে কাজগুলো করেন, সেটা লোক দিয়ে করালে যে টাকা দিতে হতো, সেই স্বীকৃতি দিতে হবে। এটা জিডিপিতে আনতে হবে। জিডিপির হিসাবে রাখতে হবে।

"আর আমার স্ত্রী কিছু করে না, এটা বলা যাবে না। এই কাজ যারা করে, তাদেরকে মূল্য দিতে হবে। আসলে স্ত্রী পরিবারকে ধরে রাখে, পরিবারকে সুস্থ রাখা থেকে শুরু করে, খাওয়া-দাওয়া সবকিছু সে দেখাশোনা করে।”

নারীর কাজের স্বীকৃতি, মূল্যায়ন ও পুনর্বণ্টন প্রয়োজন বলে আমরা মনে করছি, বলেন ফারাহ কবির।

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ