নারীর জন্য কোটা – সময়ের ব্যাপার!
২৭ নভেম্বর ২০১৪এটা সময়ের ব্যাপার! শুধুমাত্র কোম্পানির পরিচালকমণ্ডলীর সদস্য হওয়ার কারণে জার্মানিতে পুরুষদের আর কোনো বিষয়ের পুরো দায় নিতে বাধ্য করা যাবে না৷ ব্যাংক যখন পুরো বিশ্বকে সংকটে ফেলে দেয়, বড় বড় কোম্পানি যখন সমস্যা পড়ে এবং মানুষ যখন চাকরি হারায়, তখন শুধু পুরুষদের এসবের জন্য দায়ী করা আর সমর্থনযোগ্য নয়৷ নারীদেরও কিছুটা দায় নেয়ার সময় এসেছে৷
মাঝারি যোগ্যতার বদলে মাঝারি যোগ্যতা
ধীরে হলেও কোম্পানিগুলো নারীর সমতা বিধানের পথে প্রথম বাধা পেরিয়েছে৷ নতুন কোটা – আইনে পরিণত হলে – প্রায় ১০০ কোম্পানিকে ২০১৬ থেকে ২৩৩ জন নারী খুঁজতে বাধ্য করবে৷ জার্মানির জনসংখ্যা প্রায় আট কোটি, যার অর্ধেক নারী৷ ফলে ঐ সংখ্যক নারী খুঁজে পাওয়া উচিত৷ যদি যোগ্যতার প্রশ্ন উঠে তাহলে বর্তমানে যাঁরা পরিচালক পদে আছেন তাঁদের জীবনবৃত্তান্তের দিকে তাকান৷ ততক্ষণ পর্যন্ত সমতা আসবেনা যতক্ষণ না পরিচালক পদে থাকা মাঝারি যোগ্যতার পুরুষ সদস্যদের জায়গায় একই যোগ্যতাসম্পন্ন নারীদের স্থান দেয়া হচ্ছে৷
সংস্কৃতি যেভাবে বদলায়
জার্মানির মহাজোট সরকার কোটার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা এত বড় জনসংখ্যার ছোট্ট একটা অংশকে প্রভাবিত করবে৷ তবে এই অংশটা এলিট শ্রেণির এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের অনেক প্রভাব রয়েছে৷ মানুষ সাধারণত তাঁদেরই সাহায্য করে, যাঁদেরকে তাঁরা সমগোত্রীয় মনে করে৷ পুরুষরা এটা সবসময় করে এসেছে৷ নারীরা যেহেতু পুরুষদের চেয়ে উন্নত শ্রেণির নয়, তাই নারীরাও একই কাজ করবে, অর্থাৎ তাঁরা অন্য নারীদের সাহায্য করবে৷ এভাবে কোম্পানিগুলোর ৩০ ভাগ পদে নারীদের অবস্থান হবে৷ তখন আর কোটা ব্যবস্থা রাখার প্রয়োজন হবে না৷ জার্মানির পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী মানুয়েলা স্ভেজিশ মনে করেন, এই আইন একটা সাংস্কৃতিক পরিবর্তন আনবে৷ দেশের সব স্তরে আশাবাদী নারী প্রয়োজন৷