1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীর পক্ষে ‘রংবাজি'

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৩ এপ্রিল ২০১৬

নারীবান্ধব অনলাইন কমিউনিটি ‘মেয়ে'৷ তাদের এক উদ্যোগের নাম ‘রংবাজি'৷ তবে এটি প্রচলিত অর্থে রংবাজি নয়, নয় মাস্তানি৷ এটা হলো সমাজের চোখকে পাল্টে দেয়ার এক উদ্যোগ৷ আর সেই উদ্যোগের বাহন ঢাকার ঐহিত্যবাহী রিকশা ও রিকশার পেইন্টিং৷

Bangladesch Pressebilder Meya online netwark
ছবি: Meya online netwark

শিরোনাম – ‘রংবাজি: রিকশা রাঙাই প্রাণের কথায়'৷ আর এই প্রাণের কথা হলো নারী নির্যাতন প্রতিরোধ৷ সেই কথাগুলোই বলা হয়েছে রিকশা পেইন্টিং-এর মাধ্যমে৷ নানা ভাষায়, নানা কৌশলে৷

‘লজ্জা ধর্ষকের, ধর্ষিতের নয়', ‘নারীর অপমান জাতির অসম্মান', ‘জোর করে ভালোবাসা যায় না', ‘মেয়েরা মানুষ, মাল নয়', ‘অন্যায়ের প্রতিবাদে নারী-পুরুষ সবাই সাথে', ‘নজর সামলে রাখুন', ‘ঘরের কাজ ফেলনা নয়, বাইরের কাজ খেলনা নয়' – এ রকম ভাষায় রিকশা পেইন্টিং-এর মাধ্যমেই নারী নির্যাতন, নারীর প্রতি সহিংসতা বা নারী অবমাননার বিরুদ্ধে জনমত গড়ার উদ্যোগ নিয়েছে ‘মেয়ে'৷ তারা ১লা এপ্রিল ঢাকাস্থ এশিয়াটিক সোসাইটির সামনে কয়েকটি রিকশায় ‘রংবাজির' কাজ শুরু করেন৷

তৃষিয়া নাশতারান

This browser does not support the audio element.

বাংলাদেশ, বিশেষ করে ঢাকায় রিকশা একটি ঐতিহ্যবাহী যান৷ ১৯৪০ সাল থেকে রিকশা চলছে এই শহরে৷ সময় পাল্টেছে, কিন্তু রিকশা আছে এখনো৷ এই সব রিকশার পেছনে স্থানীয় শিল্পিদের আঁকা ছবি, ‘ফ্যান্টাসি' সারা বিশ্বে পরিচিত৷ তাই নারীর প্রতি অপরাধ প্রতিরোধে বা নারীর প্রতি সহনশীল হতে ‘মেয়ে' নামের অনলাইন নেটওয়ার্কটি বেছে নিয়েছে এই রিকশা-চিত্রকেই৷

প্রশ্ন হলো, কেন তারা রিকশা পেইন্টিংকে বেছে নিলেন? জবাবে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা এবং সমন্বয়কারী তৃষিয়া নাশতারান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমরা ব্যতিক্রমী কিছু করতে চেয়েছিলাম৷ আর রিকশা পেইন্টিং আমাদের ঐতিহ্য৷ এর একটি ব্যাপক সামাজিক প্রভাব আছে৷ যাত্রীরা যখন রিকশায় চড়েন, জ্যামে বসে থাকেন, এই রিকশা পেইন্টিং গভীর মনোযোগের সঙ্গে দেখেন তারা৷ আমরা সেটাই কাজে লাগাতে চেয়েছি৷ আমরা চেয়েছি এই চিত্রগুলোর মাধ্যমেই মানুষ সচেতন হোক৷ নারীর অধিকার রক্ষায় উদ্বুদ্ধ হোক৷''

‘মেয়ে' অনলাইন নেটওয়ার্ক এ পর্যন্ত চারটি রিকশাতে ছবি এঁকেছে৷ সংগঠনটির সদস্যরা নিজেরাই রং-তুলি হাতে নিয়ে কাজটি করেছেন৷ তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল রিকশা পেইন্টিং-এর মাধ্যমে নারী নির্যাতনবিরোধী এই প্রচারণায় সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করা৷ সেই আগ্রহ ইতিমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে৷ অনলাইন নেটওয়ার্কে তাদের কাজের ছবি রীতিমত ‘ভাইরাল' হয়ে গেছে৷ তাই এখন অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন এই কাজ করতে৷

ছবি: Meya online netwark

নাশতারান জানান, ‘‘আমরা এখন এটাকে আরো বিস্তৃত আকারে করতে চাই৷ শুধু রিকশা নয়, অন্যান্য যানবাহনের মাধ্যমেও আমরা একইভাবে প্রচার চালাতে চাই৷''

‘মেয়ে' অনলাইন নেটওয়ার্কের ‘কোর' গ্রুপের সদস্য মোট ২০ জন৷ তারা অনলাইনেই মূলত আলোচনা করেন৷ তাদের পেজের ‘ফলোয়ার' কয়েক হাজার৷ তবে এবার তারা ‘অফলাইন' প্রজেক্টেও যাবেন৷

এই গ্রপের সদস্যরা সবাই নারী৷ এরা এই সামাজিক উদ্যোগগুলো নিচ্ছেন স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে, অর্থাৎ বিনা পারিশ্রমিকে৷

নাশতারানের ভাষায়, ‘‘আমরা প্রধানত চিন্তাগুলো ছড়িয়ে দিতে চাই, যাতে সবাই কাজ করতে পারেন৷ সমাজের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারেন৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ