বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ছে আরো ৪১টি৷ এতে কি মামলার জট কমবে? ট্রাইব্যুনালে বছরে নিষ্পত্তি হচ্ছে মাত্র ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ মামলা৷ আর সাজা পাচ্ছে হাজারে মাত্র সাড়ে চারজন আসামি৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে ৪৬ জেলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা এখন ৫৪টি৷ প্রতিটি জেলায় একটি করে ট্রাইব্যুনাল থাকার কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি৷ আর এই ৫৪টি ট্রাইব্যুনাল এখন মামলা জটের কবলে৷ এইসব ট্রাইব্যুনালে এক লাখ ৪১ হাজার ১৮৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে৷ আর যে ১৮ জেলায় এখনো ট্রাইব্যুনাল নেই সেসব জেলায় এই আইনে দায়ের করা বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৯৫টি৷ এই জেলাগুলোতে জেলা জজ অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলার বিচার করেন৷ ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সারাদেশে প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার মামলা ঝুলে আছে৷ গড়ে একটি আদালতে এখন ১০ হাজারেরও বেশি মামলা রয়েছে৷
যেসব দেশে যৌতুক আইনত নিষিদ্ধ, তবে...
বিশ্বের অনেক দেশে যৌতুক দেয়া বা নেয়া আইনত নিষিদ্ধ৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও এই চর্চা অব্যাহত রয়েছে৷ চলুন এরকম কয়েকটি দেশের কথা জেনে নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Vennemann
বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ১৯৮০ সাল থেকে যৌতুক দেয়া বা নেয়া নিষিদ্ধ৷ তবে মাঝেমাঝেই দেশটিতে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর উপর নির্মম নির্যাতন বা যৌতুক চাওয়ায় স্বামীর কারাবাসের খবর শোনা যায়৷ কখনো কখনো স্বামীর পরিবারের যৌতুকের চাহিদা মেটাতে না পেরে নারীদের আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটে৷
ছবি: picture-alliance/ANN/courtesy of Maheen Khan
ভারত
ভারতে ১৯৬১ সালে যৌতুক প্রথা নিষিদ্ধ করা হয়৷ কিন্তু তারপরেও যৌতুক প্রথা অব্যাহত রয়েছে৷ বিয়ের সময় হিন্দু নারীদের পরিবারের তরফ থেকে অনেক উপহার দেয়া হয় নবদম্পতিকে৷ এই চর্চা হিন্দু সমাজে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত রয়েছে৷ দেশটিতে প্রতি ঘণ্টায় একজন নারী যৌতুক সংক্রান্ত কারণে মৃত্যুবরণ করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/D. Solanki
পাকিস্তান
যৌতুক অবৈধ করতে পাঁচটি আলাদা আলাদা আইন করেছে করেছে পাকিস্তান৷ প্রথম আইনটি করা হয়েছিল ১৯৬৪ সালে, আর সর্বশেষটি ২০০৮ সালে৷ তা সত্ত্বেও যৌতুক প্রথা থামানো যায়নি৷ যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর গায়ে এসিড নিক্ষেপের ঘটনাও দেশটিতে বিরল নয়৷
ছবি: picture-alliance/AA/M. Bilal
নেপাল
নেপালে যৌতুক নিষিদ্ধ হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি৷ সামাজিক প্রথা এবং চর্চা অ্যাক্টের আওতায় ২০০৯ সালে যৌতুক নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশটিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/N. Shrestha
কেনিয়া
যে কোনো ধরনের যৌতুক দেয়া বা নেয়া কেনিয়াতে নিষিদ্ধ হয়েছে ২০১২ সালে৷ দেশটিতে পুরুষদের যৌতুক দিতে হয়৷ আর সেই যৌতুক কী হবে তা নির্ধারণে রীতিমত দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ আলোচনাও হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/epa/D. Kurokawa
গ্রিস
যৌতুক প্রথা গ্রিসে নিষিদ্ধ করা হয় ১৯৮৩ সালে৷ ইউরোপের দেশটির পাহাড়ি অঞ্চলে অতীতে যৌতুক দেয়া ছাড়া মেয়েদের বিয়ে দেয়া একরকম অসম্ভব ব্যাপার ছিল৷ তবে এখন পরিস্থিতি অনেক বদলেছে৷
পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইনের আওতায় চলতি বছরের মে মাসে অস্ট্রেলিয়ায় যৌতুক বাতিল করা হয়েছে৷ ২০১৪ সালে সেদেশে বসবাসরত এক ভারতীয় নারী যৌতুক দিতে না পারায় নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন৷ সেই ঘটনার পর দেশটিতে অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে যাতে যৌতুকের দেয়া বা নেয়া চলতে না পারে সেদিকে কড়া নজর দেয়া হয়৷
ছবি: Rido - Fotolia.com
7 ছবি1 | 7
দেশের রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাগুরা, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, নড়াইল, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, পিরোজপুর, ঝালকাঠি ও ভোলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নেই৷ জেলা জজই এসব জেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন৷
নারী ও শিশু নির্যাতনমূলক অপরাধ দমনের লক্ষ্যে ২০০০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনটি প্রণয়ন করা হয়৷ ২০০৩ সালে এই আইন আরো সংশোধন করে যুগপোযোগী করা হয়৷ এই আইনের অধীনে দায়ের করা মামলাগুলোর বিচারের জন্য প্রতিটি জেলা সদরে একটি করে ট্রাইব্যুনাল গঠনের কথা বলা হয়েছে আইনের ২৬(১) ধারায়৷ প্রয়োজনে একাধিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করার কথা বলা হয়েছে৷
আইনের বিধান অনুযায়ী এসব মামলার বিচার ১৮০ দিনের (ছয় মাস) শেষ করার কথা৷ আর তদন্ত শেষ করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে৷ ওই সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি না হলে ট্রাইব্যুনালকে কারণ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ৩০ দিনের প্রতিবেদন দাখিল করে একটি অনুলিপি সরকাকে পাঠানোর কথা৷ তদন্তের ক্ষেত্রেও একই ধরনের বিধান আছে৷
ট্রাইব্যুনাল সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বছরে নিষ্পত্তি হচ্ছে মাত্র ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ মামলা৷ আর সাজা পাচ্ছে হাজারে সাড়ে মাত্র ৪ জন আসামি৷ উপযুক্ত সাক্ষী, চার্জশিট জটিলতা এবং প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে৷
‘তদন্ত ঠিকমত না হলে আদালতে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন’
অন্যদিকে এসব ট্রাইব্যুনালের বিচারকরা গতবছর দেয়া এক প্রতিবেদনে মিথ্যা মামলার সংকটের কথা বলেন৷ তাদের দাবি, অন্যকোনো বিরোধকে কেন্দ্র করে যৌতুক, ধর্ষণ ও যৌন পীড়নের অভিযোগে মামলা হচ্ছে, যার সংখ্যা কম নয়৷
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আলি আসগর স্বপন ডয়চে ভেলেকে বলেন,‘‘শুধু ট্রাইব্যুনালের স্বল্পতা নয় আরো অনেক কারণে মামলা জমে যাচ্ছে৷ পুলিশকে ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা বলা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তা হয় না৷ কারণ দেখিয়ে আরো ৩০ দিন মানে মোট ১২০ দিন সময় নেয়ার সুযোগ আছে৷ তাই মামলার বিচার কাজ শুরু করতেই দেরি হয়৷ বিচার শুরু হওয়ার পর ছয় মাসে বিচার কাজ শেষ হওয়ার কথা, কিন্তু তাও হয় না৷''
কেন হয় না? জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘‘মামলাটা প্রথম বাদী যত উৎসাহের সঙ্গে শুরু করেন অনেক সময়ই সেই উৎসাহ আর শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেন না৷ সাক্ষী হাজির হন না৷ পলাতক থাকেন অনেক আসামি৷ তাদের গ্রেপ্তারের বিষয় থাকে৷ মালামাল ক্রোকের বিষয় থাকে৷ আবার আদালতের বাইরে কেউ কেউ মামলা আপোস করে থাকেন৷ এর ফলে মামলায় সাজার হারও কম হয়৷ আর মামলার তদন্ত একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ তদন্তে অনেক ত্রুটি থাকে৷ তদন্ত ঠিকমত না হলে আদালতে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন৷''
‘শুধু ট্রাইব্যুনাল থাকলেই হবে না, বিচারকও থাকতে হবে’
এই আইনে যেসব অপরাধের বিচার হয় তারমধ্যে রয়েছে যৌতুক, এসিড নিক্ষেপ, নারী বা শিশু পাচার, নারী ও শিশু অপহরণ, ধর্ষণ, ধর্ষণজনিত মৃত্যু, নারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনা, যৌন নিপীড়ন, ভিক্ষাবৃত্তি ইত্যাদির উদ্দেশ্যে শিশুর অঙ্গহানী প্রভৃতি৷
জাতীয় মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী ও মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রতি জেলায় অন্ততঃ ৬-৭টি ট্রাইব্যুনাল প্রয়োজন৷ আর শুধু ট্রাইব্যুনাল থাকলেই হবে না, বিচারকও থাকতে হবে৷ অনেক জায়গায় ট্রাইব্যুনাল থাকলেও বিচারক থাকে না৷ আর মামলার তদন্ত ও সময়সীমা মানতে হবে৷ এটা কার্যত মানা হচ্ছে না৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘ট্রাইব্যুনাল কোন ধরণের মামলা যাবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে৷ ফলে অনেক সময়ই না বুঝে অনেকে দীর্ঘ সময় পর এই আদালতে আসেন৷ আবার কেউ ভুল মামলা নিয়েও এই আদালতে আসেন৷ আবার কেউ কেউ প্রতিপক্ষকে হয়রানি করতে কেউ কেউ অন্য অপরাধের ঘটনায় এই ধারায় মামলা করেন৷ ফলে মামলা জট লেগে যায়৷''
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সপ্তাহে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির করতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনবিষয়ক আরো ৪১টি ট্রাইব্যুনাল গঠনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ ট্রাইব্যুনালের জন্য বিচারকসহ ২৪৬টি পদ এবং গাড়িসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদিরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷
আইনমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজ শেষ হলে এ সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি করবে আইন মন্ত্রণালয়৷ ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী গত বছরের ২৪ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এসব ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রস্তাব অনুমোদন করে৷
আজব কয়েকটি মামলার কথা
জার্মানিতে কর্মক্ষেত্রে কাজের সময় কেউ দুর্ঘটনার শিকার হলে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে৷ এজন্য আছে ‘সোশ্যাল সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনাল’৷ এই আদালতের বিচারকরা প্রায়ই কিছু অদ্ভুত মামলার মুখোমুখি হন৷
ছবি: picture alliance/PIXSELL/F. Brala
ফটোকপি তো আর মানুষকে তৃষ্ণার্ত করে না!
ড্রেসডেনের সোশ্যাল সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনালের বিচারকের অন্যতম যুক্তি ছিল এটি৷ এই যুক্তি দিয়ে তিনি এক অফিস কর্মীর ক্ষতিপূরণের দাবি গ্রহণযোগ্য নয় বলে রায় দেন৷ ঐ কর্মী ফটোকপি করার সময় অ্যালকোহলমুক্ত বিয়ার পান করছিলেন৷ সে সময় বিয়ারের ফেনা হঠাৎ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তাড়াতাড়ি তা পান করতে গিয়ে দাঁত ভাঙেন তিনি৷ এরপর ক্ষতিপূরণ চাইলে বিচারক তাঁকে জানান, খাবার আর পানীয় কর্মক্ষেত্রের বিমার আওতায় পড়ে না৷
ছবি: Techniker Krankenkasse
আনন্দের জন্য আইসক্রিম, কাজের জন্য নয়
বার্লিনের এক ব্যক্তি কাজ শেষে পাতাল ট্রেনে করে বাড়ি ফেরার সময় আইসক্রিম খাচ্ছিলেন৷ পাতাল ট্রেনে ঢোকার সময় আইসক্রিমে কামড় দিলে হঠাৎ সেটি খাদ্যনালীতে আটকে গিয়ে ব্যথার উপদ্রব হয়৷ পরবর্তীতে জানা যায়, হার্ট অ্যাটাকের কারণে ঐ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল৷ বার্লিনের সোশ্যাল সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনাল জানায়, এটি কাজ সম্পর্কিত কোনো দুর্ঘটনা ছিল না৷ কারণ ঐ ব্যক্তি নিজের আনন্দের জন্য আইসক্রিম খাচ্ছিলেন, কাজের জন্য নয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Seidel
কাজের সময় যৌনমিলন নয়
সরকারি এক নারীকর্মী কাজের প্রয়োজনে এক জায়গায় সফরে গিয়েছিলেন৷ সেখানে গিয়ে যৌনকর্মে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঘরের বাতি ভেঙে গেলে তার টুকরায় আহত হন ঐ কর্মী৷ এ জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করলে আদালত সেটি প্রত্যাখ্যান করেন এই বলে যে, কাজের সময় কর্মীদের যৌনমিলন প্রত্যাশা করেন না কোনো চাকরিদাতা৷
ছবি: Colourbox
কাজের সময় লাফিয়ে পড়া নয়
২৭ বছরের এক ব্যক্তি পেশা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ গিয়েছিলেন৷ ট্রেনিংয়ের বিরতিতে তাঁর সহকর্মীরা মজা করার জন্য তাঁকে ভিজিয়ে দিতে চেয়েছিলেন৷ এই অবস্থা থেকে বাঁচতে বেচারা ঐ ব্যক্তি জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েন! এজন্য আবার ক্ষতিপূরণও চেয়ে বসেন তিনি৷ তবে আদালত তাঁকে জানিয়ে দেন যে, লাফিয়ে পড়াটা তাঁর কাজ সংশ্লিষ্ট ছিল না৷
ছবি: picture alliance/dpa
ঘুমিয়ে পড়া
পানশালায় কাজ করা এক ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন৷ ঘুমন্ত অবস্থায় পড়ে গিয়ে আহতও হন তিনি৷ এটাকে কি কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার সংজ্ঞায় ফেলা যায়? আদালত বলছে, না৷ কারণ, অতিরিক্ত কাজের জন্য তাঁর ঘুম পায়নি৷
ছবি: Imago/blickwinkel
রাতের বেলায় মদ্যপ হলে চলবে না
ক্ষতিপূরণ চাওয়া এক ব্যক্তি অফিসের প্রয়োজনে ইবিজা সফরে গিয়েছিলেন৷ সেখানকার এক পানশালায় গিয়ে ক্লায়েন্টের সঙ্গে মাঝরাতের বেশি সময় পর্যন্ত পানীয় পান করেছিলেন৷ এরপর মদ্যপ অবস্থায় পানশালা থেকে বের হয়ে আবার ঢুকতে গিয়ে একজনের সঙ্গে মারামারিতে লিপ্ত হয়ে আহত হন৷ এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল সিকিউরিটি ট্রাইব্যুনাল বলছে, অফিসের প্রয়োজনে ভ্রমণকারীরা বিমার আওতায় পড়লেও রাতের বেলায় মদ্যপ হওয়াদের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য নয়৷
ছবি: picture alliance/PIXSELL/F. Brala
6 ছবি1 | 6
এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷