1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্যাতনের নতুন রূপ

৭ জুন ২০১২

মুঠোফোনে মেয়েদের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার ঘটনা বাংলাদেশে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে৷ তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নারী নির্যাতনের যে নতুন কৌশল তৈরি হয়েছে তাকে কীভাবে মোকাবিলা করা যেতে পারে?

Potsdam (Brandenburg): Das gestellte Foto vom 18.03.2004 zeigt einen jungen Mann, der mit einem Foto-Handy durch eine Büro-Gardine fotografiert. Große deutsche Firmen wie zum Beispiel Volkswagen haben auf ihrem Werksgelände ein generelles Verbot für Foto-Handys erlassen, um einer Werksspionage vorzubeugen. Die Foto-Handys der neuesten Generation erreichen inzwischen Auflösungen von bis zu vier Millionen Pixeln.
ছবি: picture-alliance/dpa

বাগেরহাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী সাবিয়া সুলতানা সাথী৷ গত মার্চ মাসে জোড় করে তার কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয় সাথীর সহপাঠীরা৷ ছবি ও ভিডিও প্রকাশের পর অপমান ও মানসিক যাতনা থেকে মুক্তি পেতেই সে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ৷

সাথী শুধু একা নয়৷ ইন্টারনেটে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার শিকার হয়েছেন – স্কুল ছাত্রী থেকে খেটে খাওয়া সাধারণ নারী, কর্মজীবী নারী থেকে শুরু করে গৃহবধু এবং খ্যাতিমান টিভি তারকা৷

কখনো জোর-জবরদস্তি করে ধারণ করা হয়েছে অশ্লীল ছবি৷ আবার কখনো সুসম্পর্ক থাকার সময় আপোশে যে সব ছবি ধারণ করা হয়েছে, পরবর্তীতে সেগুলোকেই ‘ব্ল্যাকমেল' করার হাতিয়ার হিসেবে ছেড়ে দেয়া হয়েছে ইন্টারনেটে৷

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলী জানান, ‘‘বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে না দিলে আপত্তিকর ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে নিজের স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেল করেছে স্বামী৷ এই নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে৷'' আর সেই মামলা লড়ছেন সালমা আলী নিজেই৷

মোবাইল ফোনে থাকা ক্যামেরা বা অন্যান্য তথ্য-প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নারীকে নির্যাতনের যে সব অভিনব ঘটনা ঘটছে তার শাস্তি বিধানে তেমন কোনো আইন এত দিন ছিল না বাংলাদেশে৷ তবে, এ বছরই ফেব্রুয়ারি মাসে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন- ২০১২ পাশ করেছে সরকার৷ এতে কিছু শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে৷ ফলে, আইনটিকে স্বাগত জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট সালমা৷

অপরাধের মাত্রাভেদে সর্বোচ্চ দশ বছর কারাদণ্ডসহ অপরাধীদের জন্য বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা আছে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন - ২০১২তে৷ এ আইনের অধীনে সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য এবং অজামিনযোগ্য অপরাধ হিসেবে অভিযোগ ছাড়াই রাষ্ট্র তথা আদালত আমলে নিতে পারবে বলে বিধান রয়েছে৷

তবে, ‘‘শুধু আইন করলেই হবে না৷ এটি মানুষকে জানাতে হবে৷ সচেতনতা তৈরি করতে হবে৷ নইলে ফল হবে না'' বলেই মনে করেন তিনি৷

সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি এই আইনের আওতায় এনে কিছু অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির গুরুত্বও তুলে ধরেন তিনি৷ তিনি বলেন, ‘‘যদি কয়েকজনকে খুব কঠিন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি খুব দ্রুত কার্যকর করা যায় তাহলে এ ধরণের অপরাধীর করার আগে অপরাধীরা শাস্তির ভয় পাবে৷''

আ্যাডভোকেট সালমা আলীর মতে, অপমানের বোঝা টানতে না পেরে বাগেরহাটের যে কিশোরী চিরতরে পালিয়ে গেছে, জীবনকে থেকে তাকে আর ফিরিয়ে আনা যাবে না৷ তবে, তাকে যারা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন৷ পাশাপাশি, আর কোনো সাথীকে যেনো অপমানিত হতে না হয়, সেই পরিবেশও তৈরি করতে হবে৷ আর তাঁর মতে, এ জন্য জোর ভূমিকা পালন করতে হবে রাষ্ট্রকেই৷

প্রতিবেদন: আফরোজা সোমা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ