1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে নারী নির্যাতন

২ জানুয়ারি ২০১৮

বাংলাদেশে নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ প্রয়াত সুফিয়া কামালের সঙ্গে আশির দশক থেকে কাজ করছেন আয়েশা খানম৷ বর্তমানে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি৷

ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও নারী অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করা আয়েশা খানমের কাছে ২০১৮ সালের প্রত্যাশা জানতে চাওয়া হয়েছিল৷ নারীদের জন্য কেমন সমাজ, পরিবেশ চান তিনি?

উত্তরে বেশ কয়েকটি বিষয়ের কথা বলেন৷ এর মধ্যে নারীর প্রতি সহিংসতা দমনে ‘জিরো টলারেন্স' নীতি গ্রহণ একটি৷ ‘‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেমন জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে, আমিও তেমনি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন আয়েশা খানম৷

২০১৮ সালের শেষে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে৷ সেখানে এক-তৃতীয়াংশ নারী সাংসদ নির্বাচনের দাবিও জানান তিনি৷ ‘‘সংসদে এখনও এক-তৃতীয়াংশ নারী সাংসদ নাই, নারী এখনও রাজনৈতিক শক্তি হয়ে উঠে নাই৷ স্থানীয় পর্যায়ে অবশ্য নারীরা আছেন, তবে তাঁদের অনেক সমস্যা আছে, প্রশিক্ষণের অভাব আছে,'' বলেন এই নারী নেত্রী৷

‘শুধু নারী নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ছে না, সেই সঙ্গে বাড়ছে পাশবিকতা, নির্যাতনের ভয়াবহতা এবং মনুষত্বহীনতাও’

This browser does not support the audio element.

বাংলাদেশে ২০১৭ সালে ২০১৬ সালের তুলনায় ধর্ষণসহ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে বলে নভেম্বরে জানিয়েছিল বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ৷ সংস্থার সভাপতি আয়েশা খানম এবার বললেন, শুধু নারী নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ছে না, সেই সঙ্গে বাড়ছে পাশবিকতা, নির্যাতনের ভয়াবহতা এবং মনুষত্বহীনতাও৷

নারী নির্যাতন বন্ধে অনেকগুলো ভালো আইন থাকলেও সেগুলোর প্রচার ঠিকমত হচ্ছে না বলে মনে করেন তিনি৷ তাছাড়া আইন প্রয়োগেও নানা সমস্যা থাকার কথা জানালেন আয়েশা খানম৷ তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অপরাধীদের শাস্তি দিতে দেরি হচ্ছে৷ এছাড়া প্রভাবশালীরা আইন প্রয়োগের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকেন৷ এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করেছেন আয়েশা খানম৷ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ে পাঠদান, জেন্ডার সংবেদনশীল প্রশাসন, নীতিনির্ধারক, নাগরিক – এ সবেরও দাবি জানান তিনি৷

ব্রিটিশদের তৈরি সাক্ষ্য আইন ধর্ষিতার জন্য অবমাননাকর মন্তব্য করে সেটি সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছেন এই নারী নেত্রী৷

ঐ আইনে ধর্ষণে অভিযুক্ত ব্যক্তি বা ধর্ষককেধর্ষিত নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ দেওয়া হয়েছে৷ আইনের ১৫৫ (৪) ধারায় বলা আছে: ‘‘কোনো ব্যক্তিকে যখন ধর্ষণ বা বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করা হয়, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা৷'' গত নভেম্বরে ঢাকায় এক প্রতিবাদ সমাবেশে আয়েশা খানম বলেছিলেন, ‘‘ধর্ষিতা নয়, ধর্ষণকারীকেই প্রমাণ করতে হবে, সে ধর্ষণ করেনি৷'' এছাড়া ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে কিনা, বর্তমানে তা যে উপায়ে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, তাতেও পরিবর্তন চান এই নারী নেত্রী৷

আয়েশা খানম বলেন, বাংলাদেশে এখন অনেক মেয়ে বাইরে কাজ করছে৷ মেয়েরা পাহাড়ের চূড়ায় উঠছে, শান্তিমিশনে যাচ্ছে, প্যারাসুট জাম্পিং করছে, কঙ্গোতে দু'জন নারী বিমানচালক হিসেবে গিয়েছে – এমন অনেক সফলতা আছে মেয়েদের৷ কিন্তু তারপরও নিরাপত্তা মেয়েদের জন্য একটি বড় সমস্যা, বলেন তিনি৷

সোনার বাংলা গড়তে হলে বিবেকসম্পন্ন মানুষ তৈরি করা দরকার এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেই দিকেই অগ্রসর হবে বলে প্রত্যাশা আয়েশা খানমের৷

সাক্ষাৎকারটি কেমন লাগলো? এ বিষয়ে আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ