1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী নির্যাতন বর্জন দিবস

গ্রেহেম লুকাস/এসি২৫ নভেম্বর ২০১৪

২৫শে নভেম্বর হলো জাতিসংঘের নির্বাচিত আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন বর্জন দিবস৷ মহাসচিব বান কি-মুন এ দিন বিশ্বের সব মানুষের প্রতি এই অভিযানে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন৷ এ নিয়েই গ্রেহেম লুকাসের সংবাদভাষ্য৷

Symbolbild Menschenhandel Zwangsprostitution
ছবি: Fotolia/Yuri Arcurs

সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ বহুদিন ধরে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলেছে৷ এই প্ল্যাটফর্মগুলির কল্যাণে আমরা নানা ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনার সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পাই৷ তবে সে সব ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হওয়া এক কথা – আর সে'বিষয়ে কিছু একটা করা আরেক কথা৷

নারী নির্যাতন কদর্য থেকে কদর্যতর রূপ নিতে পারে৷ ভারতে ঘটছে একের পর এক ধর্ষণ, এমনকি গণধর্ষণের ঘটনা৷ ধর্ষণের সঙ্গে খুনের ঘটনারও কোনো কমতি নেই৷ আইনের কড়াকড়ি বাড়িয়েও যে সে'দেশে নারীদের প্রতি মনোভাব বদলাচ্ছে, তার কোনো লক্ষণ নেই৷ অথচ ভারত একটি উত্থানশীল দেশ, উঠতি পরাশক্তি৷ অতি সম্প্রতি ভারতের একটি গ্রামে এক মহিলাকে অর্ধোলঙ্গ অবস্থায় গাধায় চড়িয়ে ঘোরানো হয়েছে৷

শুধু ভারতেই তো নয়, বিশ্বের বহু দেশে নারীরা নিয়মিতভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন৷ নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম গোষ্ঠীর জঙ্গি ইসলামপন্থিরা একটি মেয়েদের স্কুলের শত শত ছাত্রীকে অপহরণ করে তাদের আজও ধরে রেখেছে৷ কখনো শোনা যাচ্ছে, অপহৃত মেয়েদের নাকি বোকো হারাম জঙ্গিদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে; কখনো বোকো হারাম হুমকি দিচ্ছে, সেই মেয়েদের নাকি খোলা বাজারে ‘বেচে' দেওয়া হবে৷ সিরিয়া এবং ইরাকে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর জঙ্গিরা খ্রিষ্টান মেয়েদের সঙ্গে প্রায় একই রকম আচরণ করছে৷

আফ্রিকাতে প্রায় তিন কোটি মেয়ে এফজিএম বা ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশনের শিকার হবার আশঙ্কায় রয়েছে; যাদের বস্তুত যৌনাঙ্গ ছেদ করা হয়েছে, এমন মহিলাদের সংখ্যা নাকি ১৩ কোটি৷ অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের বিবাহ বিশ্বের বহু দেশে একটা প্রচলিত প্রথা, যার ফলে তাদের শিক্ষাদীক্ষা, কাজের সুযোগ, সবই অকালে সন্তানের মা হয়ে বিসর্জন দিতে হয়৷ অপরদিকে যে সব পুরুষ সন্তানেরা মায়ের এই দৈন্যদশা দেখছে, তারাই বা মহিলাদের সম্মান করতে শিখবে কোথা থেকে?

মহিলাদের অসম্মান, নারী নির্যাতন, এ সব তো আর প্রাচ্য কি প্রতীচ্য, উত্তর কি দক্ষিণ গোলার্ধের ব্যাপার নয়৷ নারী নির্যাতন বস্তুত সারা বিশ্বেই ঘটে চলেছে৷ মাত্র কয়েকদিন আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইপ এর্দোয়ান বলেছেন যে, মহিলাদের সমানাধিকার নাকি একটা প্রকৃতি-বিরুদ্ধ ব্যাপার! মহিলাদের স্থান নাকি হেঁসেলে! ওদিকে সৌদি আরবে মহিলাদের গাড়ি চালাতে দেওয়া হয় না৷ তবে যে পরিসংখ্যানটি শুনলে মনে হবে, এ সব চুলচেরা বিচার মাথায় থাক, সে'টি হল: বিশ্বের মহিলা ও কিশোরীদের ৩৫ শতাংশ নাকি তাঁদের জীবনে কখনো না কখনো কোনো ধরনের শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হবেন৷ কোনো কোনো দেশে নাকি সেই অনুপাত ৭০ শতাংশেও পৌঁছায়, বলছে জাতিসংঘ৷

ডয়চে ভেলের গ্রেহেম লুকাসছবি: DW/Matthias Müller

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের অভিযান সাধারণ নারী-পুরুষদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে এই সংগ্রামকে তাদের গ্রাম কিংবা সম্প্রদায় পর্যায়ে টেনে নিয়ে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে নতুন সচেতনতা সৃষ্টি করার৷ সেক্ষেত্রে দু'টি তথ্য মনে রাখা দরকার: প্রথমত, যে সব সমাজে নারী-পুরুষের সমানাধিকার আছে, সে সব সমাজ সুখি৷ দ্বিতীয়ত, পুরুষরা নারীবাদী না হলে সেই পরিবর্তন আসা সম্ভব নয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ