1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারী-পুরুষের আলাদা শিক্ষাব্যবস্থা চান এরদোয়ান

৮ জুলাই ২০১৯

জাপানের আদলে তুরস্কেও নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এরদোয়ান৷ তবে তাঁর এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা হয়েছেন সেদেশের অনেক অধিকারকর্মী৷

Japan Nishinomiya | Recep Tayyip Erdogan und Ehefrau Emine Erdogan zusammen mit Studentgen der Mukogawa Frauenuniversität
ছবি: picture-alliance/AA/M. Cetinmuhurdar

জাপানে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে গিয়ে নারী-পুরুষের পৃথক শিক্ষা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেন এরদোয়ান৷ জাপানে ৮০ টি নারী বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়' হিসাবে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট জানান, তুরস্কেও তিনি এটি চালু করতে চান৷

সম্মেলন থেকে ফিরে আঙ্কারায় ফিরে জাপানি মডেলে নারী-পুরুষের পৃথক শিক্ষার কথা বলেন এরদোয়ান৷ তিনি বলেন, তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পৃথক শিক্ষার মধ্যে ভালো কিছু দেখছেন তিনি৷ তুরস্কের উচ্চ শিক্ষা কাউন্সিল-(ওয়াইওকে) কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলার কথাও জানান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান৷

শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে তাঁর এমন ইচ্ছার তীব্র সমালোচনা করেছেন নারী অধিকার কর্মী ও নারীবাদীরা৷ তারা বলছেন, জাপানের আদলে সবদেশে এটা করে ফেলা কোনোভাবে উপযুক্ত নয়৷ কারণ নারী অধিকার বিবেচনায় বৈশ্বিকভাবে অনেক পিছিয়ে জাপান৷

২০১৮ সালে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ)-এর এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, জেন্ডার সমতার ক্ষেত্রে ১৪৯ দেশের মধ্যে ১১০তম স্থান জাপানের৷ যদিও তুরক্ত জাপান থেকে ২০ ধাপ পেছনে ছিল৷

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও নারী অধিকার বিশেষজ্ঞ ফাতমাগুল বার্কতাই বলেন, ১৯শতকে শিক্ষায় নারীদের এগিয়ে আনার জন্য জাপানে পৃথক শিক্ষাব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল৷ কারণ এমন এগিয়ে আনা জাপানে দীর্ঘদিনের অঙ্গীকার ছিল৷ কিন্তু এখন তো নারী-পুরুষকে আলাদা করাকে বৈষম্য হিসাবেই বিবেচনা করা হয়৷

এই ধরনের উদ্ভট সিদ্ধান্ত না নিয়ে তুরস্কের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নতিতে নজর দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ফাতমাগুল বার্কতাই বলেন, ‘‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা মৌলিকভাবে ভেঙে পড়া৷ এ কারণে আমাদের শিক্ষার উন্নতি দরকার৷ এমতাবস্থায় নারী-পুরুষের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা বলা নিতান্তই বোকামি৷''

পৃথক শিক্ষাব্যবস্থা করলে ছাত্রীরা ভালো ফলাফল করবে বলে মত দিয়ে থাকেন এরদোয়ান এবং তাঁর দল একেপি নেতারা৷ তবে এক্ষেত্রে ভিন্নমত দেন ফাতমাগুল বার্কতাই৷

‘‘মাধ্যমিক পর্যায়ে ছাত্রীদের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখবেন, তারা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো করছে- যদিও তারা ছাত্রদের সঙ্গেই পড়ছে,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি৷

এরদোয়ানের পৃথক শিক্ষা-পদ্ধতি পরিকল্পনাকে ‘অলীক কল্পনা' হিসাবে অভিহিত করেন নারীবাদী শিক্ষাবিদ আকসু বোরা৷ ‘‘একবিংশ শতকে এসে কোনো নারী, এমনকি রক্ষণশীল নারীরাও এমন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইবে না,'' ডয়চে ভেলেকে বলেন তিনি৷

কামাল আতাতুর্কের হাত ধরে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি নিয়ে ১৯২৩ সালে বর্তমান তুরস্ক প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷ সে কারণে দেশটিতে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই৷

১৯৭৩ সালে পাস করা তুরস্কের জাতীয় শিক্ষা আইনেও বলা আছে, ‘‘নারী-পুরুষের একীভূত শিক্ষাপদ্ধতিই উত্তম৷'' সাংবিধানিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ দেশটিতে সাম্প্রতিক সময়ে নানা রকম ধর্মীয় পদক্ষেপ নিয়ে চলছে এরদোয়ান সরকার৷

বুরচু কারাকাস/এমবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ