এবারের নারী দিবসে বাংলাদেশের নারীদের প্রাপ্তি অনেক৷ সামাজিকভাবে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সমাজের বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন নারীরা৷ কখনো আবার যোগ্যতার বলে পুরুষদের নেতৃত্বও দিচ্ছেন নারী৷
শৃঙ্খল মুক্তির ইতিহাস বাংলার নারীদের একদিনের নয়৷ দীর্ঘ পথ চলার পর নারী পেয়েছে সঠিক সত্যের আলোকধারা৷ এই পথ সৃষ্টির কারিগড় নারীরা৷ তবে পুরুষদেরও সহযোগিতা রয়েছে৷ অবরোধবাসিনী বেগম রোকেয়া যে আলোর মশাল জ্বালিয়েছিলেন, সেই মশাল এগিয়ে নিয়ে গেছেন লীলা নাগ, প্রীতিলতা, ইলা মিত্র'সহ অনেকে৷
দক্ষিণ এশিয়ায় সবার ওপরে বাংলাদেশ
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘বিশ্ব লিঙ্গবৈষম্য সূচক’ বলছে, নারী-পুরুষের ব্যবধান কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ৷
ছবি: AP
লিঙ্গ সমতা মাপা
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, ডাব্লিউইএফ ২০০৬ সাল থেকে প্রতিবছর ‘বিশ্ব লিঙ্গবৈষম্য সূচক’ প্রকাশ করে আসছে৷ মূলত চারটি বিষয় – অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ ও সুযোগ, শিক্ষায় অর্জন, স্বাস্থ্য এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন – বিবেচনা করে এ সূচক প্রকাশ করা হয়৷ ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে সবশেষ সূচকটি প্রকাশ করা হয়েছে৷ প্রতিবেদনটি পড়তে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: picture-alliance/D. Reinhardt
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম
সবশেষ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৫টি দেশের মধ্যে ৬৮ নম্বরে৷ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের অবস্থান এরও পরে৷ ভারত ১০৮-এ আর পাকিস্তানের অবস্থান ১৪৪ নম্বরে৷ আরও জানতে উপরে ‘+’ চিহ্নে ক্লিক করুন৷
ছবি: DW/M. Mamun
শীর্ষে স্বাস্থ্য খাত
যে চারটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সূচক প্রকাশ করা হয় তার মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি অর্জন করেছে৷ ২০১৪ সালের প্রতিবেদনে এই খাতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২২তম৷ ২০১৫ সালে সেটা ২৭ ধাপ এগিয়ে ৯৫তম অবস্থানে উঠে এসেছে৷
ছবি: D.net/Amirul Rajiv
শিক্ষা
২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে শিক্ষা খাতের ব়্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে ১০৯ নম্বরে আছে বাংলাদেশ৷ সবচেয়ে বেশি সাফল্য দেখা গেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে৷ এ বিষয়ে বাংলাদেশের ব়্যাংকিং এক৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১৯ নম্বরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন
এক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে দুই ধাপ এগিয়েছে৷ ফলে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান আট৷ সংসদে নারী সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৭৬৷ আর মন্ত্রিসভায় নারী সদস্য সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশ আছে ১২৬ নম্বরে৷
ছবি: DW/S. Kumar Day
যেখানে পিছিয়েছে
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গতবারের চেয়ে দুই ধাপ পিছিয়ে ১৩০তম অবস্থানে এসেছে৷ শ্রমখাতে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ বিবেচনায় বাংলাদেশে অবস্থান ৯৭, আর একই কাজে নারী-পুরুষের বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রে অবস্থান ১২৬ নম্বরে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Zaman
সমতা আসতে লাগবে ১১৮ বছর!
ডাব্লিউইএফ বলছে, বেতনের পাওয়ার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা পুরোপুরি আসবে ২১৩৩ সালে, অর্থাৎ ১১৮ বছর পর৷ অবশ্য ২০১৪ সালের প্রতিবেদনে সংস্থাটি আরও আগেই এই সমতা আসতে পারে বলে জানিয়েছিল৷ কিন্তু গত এক বছরে পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় সমতা আসার সময়সীমাও বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
7 ছবি1 | 7
বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভূথ্যান এবং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ৷ নারীর অগ্রযাত্রার একেকটি ধাপ৷ রাজনৈতিক লড়াইয়ে যেমন ছিল নারীর অংশগ্রহণ৷ আবার সাংস্কৃতিক লড়াইয়ে এ দেশের নারীরা খুলে দিয়েছে আলোর উৎস-দ্বার৷ এভারেস্ট্রের চূড়ায় বাংলাদেশের নারীরা এঁকেছেন বিজয়গাথা৷ খেলার মাঠেও নারীদের অগ্রযাত্রা সমতার সমাজ নির্মাণের পথকে সুগম করছে৷
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নারীর অগ্রযাত্রায় রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতাও অন্যতম সহায়ক হিসেবে নারীর ক্ষমতায়নে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে৷ নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ নির্মাণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বেশ কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে৷ এগুলো আন্তর্জাতিকভাবেও প্রশংসিত হচ্ছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার নারী৷ এটি বিশ্বের বিরল ঘটনা এবং নারী অগ্রযাত্রার অন্যতম প্রেরণা৷
রাজনৈতিক বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশে এখন পুরুষের পাশাপাশি নারীর অংশগ্রহণ বেশ ইতিবাচক৷ দেশে ১২ হাজার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি রয়েছেন৷ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরেও পুরুষের সঙ্গে নিজের যোগ্যতা বলেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারী৷ দেশের পাঁচটি জেলায় রয়েছেন নারী জেলা প্রশাষক৷ দু'টি জেলার পুলিশ সুপার নারী৷ এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং বুয়েট-এ উপাচার্য হিসেবে নারীর অগ্রযাত্রা দেশের সামাজিক উন্নয়নের সূচককে তরান্বিত করেছে৷
২০১৪ সালে ডাব্লিউইএফ-এর লিঙ্গ বৈষম্য সূচকের বার্ষিক প্রতিবেদনে ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশে অবস্থান ৬৮তম৷ এই অর্জনে ভারত, পাকিস্তান, জাপানকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ৷ দেশের পোশাক শিল্পেই কাজ করছে প্রায় ৩০ লাখ নারী৷ অনেক দেশের মোট জনসংখ্যাও এর চাইতে কম৷ পুলিশ বাহিনীতে প্রায় সাত হাজার নারী পুরুষের সঙ্গে সমানযোগ্যতায় কাজ করছে৷ এ সবই বাংলাদেশের নারী উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সমীকরণ৷ সামাজিকভাবে বাংলাদেশে এখন নারীদের একটা সম্মানজনক অবস্থান তৈরি হয়েছে৷
বিশ্বের যত নারী প্রেসিডেন্ট এবং নারীর ক্ষমতায়ন
নারীর ক্ষমতায়নের পথে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিল নেপাল৷ এই প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেলো দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি৷ বিদ্যা ভান্ডারি’র রাষ্ট্রপতি হওয়াকে উপলক্ষ্য করে সারা বিশ্বে নারীর ক্ষমতায়নের খণ্ডচিত্রটাও একটু দেখে নেয়া যাক৷
ছবি: Getty Images/AFP/O. Andersen
বিশ্বের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট আর্জেন্টিনার ইসাবেল পেরন৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট হুয়ান পেরনের তৃতীয় স্ত্রী ইসাবেল প্রথমে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান৷ পরে ১৯৭৪ সালের ১লা জুলাই থেকে ১৯৭৬ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টও ছিলেন৷ বিশ্বের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার শ্রীমাভো বন্দরনায়েকে৷ তিন দফা (১৯৬০-৬৫, ১৯৭০-৭৭, ১৯৯৪-২০০০) দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ ওপরে তাঁরই ছবি৷
ছবি: picture alliance/Sven Simon
হিমালয় কন্যা বিদ্যা ভান্ডারি
অবশেষে প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেলো নেপাল৷ সাংসদ এবং ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (সিপিএন-ইউএমএল) -এর ভাইস চেয়ারপারসন বিদ্যা ভাণ্ডারিকে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত করেছে সে দেশের সংসদ৷ নেপালের রাষ্ট্রপতি এখন রাম বরণ যাদব৷ ২৪০ বছর রাজতন্ত্রের অধীনে থাকা দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি তিনি৷ তাঁর কাছ থেকেই দেশের প্রথম নারী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ৫৪ বছর বয়সি বিদ্যা ভান্ডারি৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Mathema
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার আগে নারীকে প্রেসিডেন্ট করেছে ভারত৷ ২০০৭ সালে সে দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হন প্রতিভা পাতিল৷ ভারতের দ্বাদশ প্রেসিডেন্ট প্রতিভা ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন৷ তাঁর কাছ থেকেই দায়িত্ব নিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি৷ ছবিতে প্রতিভা পাতিলের কাছ থেকে প্রণব মুখার্জির দায়িত্ব নেয়ার মুহূর্ত৷
ছবি: Reuters
১৪টি দেশে নারী প্রেসিডেন্ট
এ মুহূর্তে ১৪ দেশের প্রেসিডেন্ট নারী৷ আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, চিলি, ক্রোয়েশিয়া, কসোভো, লাইবেরিয়া, লিথুয়ানিয়া, মাল্টা, মরিশাস, স্যান মারিনো, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে বুধবার যোগ হলো নেপাল৷ ওপরের ছবিতে মরিশাসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আমিনা ফিরদাউস গারিব ফাকিম৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাংলাদেশ এখনো অপেক্ষায়
প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিচারপতিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ পদেই নারী পেয়েছে বাংলাদেশ৷ তবে এ পর্যন্ত ২০ জন রাষ্ট্রপতি পেলেও এ দায়িত্বে এখনো কোনো নারীকে দেখা যায়নি৷
ছবি: DW/M. Mamun
অনন্য সুইডেন ও ফিনল্যান্ড
নারীর ক্ষমতায়নে অনন্য এক নজির রেখেছে সুইডেন৷ ১৯৯৯ সালে সে দেশের মন্ত্রীপরিষদে পুরুষের চেয়ে নারী সদস্যই ছিল বেশি৷ ১১ জন নারীর বিপরীতে পুরুষ ছিলেন ৯ জন৷ এমনটি আগে কোনো দেশেই দেখা যায়নি৷ পরে ফিনল্যান্ডের মন্ত্রীপরিষদেও নারীর আধিক্য দেখা গেছে৷ ২০০৭ সালে ফিনল্যান্ডের মন্ত্রীপরষদের শতকরা ৬০ ভাগ সদস্যই ছিলেন নারী৷ ছবিতে সুইডেন ও ডেনমার্কের দুই নারী নেত্রী৷
ছবি: AP
যারা অনেক পিছিয়ে
বিশ্বের সব দেশ নারীর ক্ষমতায়নে কম-বেশি উদ্যোগী হলেও ব্রুনাই এ ক্ষেত্রে অনেক বেশি পিছিয়ে৷ মুসলিমপ্রধান দেশটিতে নারীকে এখনো উপমন্ত্রীর চেয়ে বড় দায়িত্ব দেয়া হয়নি৷ তবে এ মুহূর্তে অ্যাঙ্গোলা, ভুটান, কোমোরো আইল্যান্ড, কুক আইল্যান্ড, লেবানন, মঁসেরাত এবং সলোমন আইল্যান্ডই সবচেয়ে বেশি নারীবিমুখ৷ এই দেশগুলোর মন্ত্রীপরিষদ, এমনকি সংসদেও এই মুহূর্তে কোনো নারী নেই৷ছবিতে ব্রুনাইয়ের কয়েকজন নারী৷
ছবি: AP
মালালা ও তাঁর প্রজন্ম
সাম্প্রতিক সময়ে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ অনেক দেশেই মাথা চাড়া দিয়েছে৷ তবে শান্তির পথে, মানবতার পথে অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নারীর দৃপ্ত পদচারণাও দেখা যাচ্ছে৷ গত বছর (২০১৪) সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল জয় করেছেন মালালা ইউসুফজাই৷ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন রাজ্য তাঁর জন্মস্থান৷ সেখানে হত্যার উদ্দেশ্যে তালেবান তাঁর ওপর হামলাও চালিয়েছিল৷ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসে মালালা এখন প্রজন্মের মুক্তচিন্তার মুক্তির প্রতীক৷
ছবি: Getty Images/AFP/O. Andersen
8 ছবি1 | 8
তবে এটাও লক্ষ্যণীয় যে এই দেশেরই কিছু কুসংস্কারাছন্ন মানুষ এখনো নারীকে ভোগ্য পণ্য মনে করে৷ তারা নানাভাবে নারীর অগ্রযাত্রায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷ বিশ্বায়নের পুঁজিবাদী চর্চা নারীকে পণ্যে রূপান্তরের চেষ্টা করছে৷ তবে সেই বাধাকে জয় করছে নারীরা৷ কুসংস্কারের জাল ছিন্ন করে মানবিক সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশের নারীরা৷ নিজেদের অধিকার নিয়ে রাজপথে নামছে৷ সব প্রতিকূলতাকে জয় করে নারী এগিয়ে যাচ্ছে আপন ছন্দে৷ নিজের যোগ্যতায় বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের সঙ্গে নির্মাণ করছে সমতার সমাজ৷ সমতার সমাজ আমাদের নিয়ে যাচ্ছে শক্তিশালী মানবিক পৃথিবী নির্মাণের দিকে৷ আগামীর সুন্দর পৃথিবী নির্মাণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নারীরা কাজ করছে সমানতালে৷ নারীর এই অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকুক৷ জয় হোক মানুষের৷ সুন্দর হোক পৃথিবী৷
বন্ধু, আপনি কি লেখিকার সঙ্গে একমত? জানান নীচের ঘরে৷