বাংলার মেয়ে৷ একুশের ভোটের প্রচারে সবচেয়ে চর্চিত স্লোগান এটাই! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট ময়দানে নেমেছেন 'ঘরের মেয়ে’ পরিচিতিকে সামনে রেখে৷ আবার নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে তার সরকার বিরোধীদের নিশানায়৷
বিজ্ঞাপন
নারীর ভোট নজরে
রাজ্যের শাসক দলের হোর্ডিং-ব্যানারে শহর ছয়লাপ— ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’৷ আর শুধু দেওয়ালে কেন? বাংলার মেয়েদের জায়গা হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী তালিকাতেও৷ ২০১৬ সালে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় মহিলা নাম ছিল ৪৫টি৷ এ বার একুশের কঠিন লড়াইয়ে তৃণমূলের মহিলা প্রার্থী বেড়ে হয়েছে ৫০৷
এই নির্বাচনে মমতার তুরুপের তাস হতে পারে মহিলা ভোট৷ কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ইত্যাদি প্রকল্প মহিলা মহলে মমতাকে জনপ্রিয় করেছে বলে দাবি তৃণমূলের৷ পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলা নির্যাতনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিপক্ষকে বিপাকে ফেলা শাসক দলের অন্যতম কৌশল৷ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ব্যানারে কলকাতার রাজপথে মিছিল হয়েছে৷ মমতার সঙ্গে ভিড় জমিয়ে নারী সুরক্ষার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানের মতো নেত্রীরা৷ নারী ভোটের কথা মাথায় রেখে রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদে তারা সামিল হয়েছেন৷
ভোট জেতার পর মহিলাদের দিকে ঘুরেও তাকানো হয় না: বৈশালী ডালমিয়া
বিজেপির নিশানা
মহিলাদের নিয়ে মমতার রাস্তায় নামাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি৷ তৃণমূলের বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সবটাই ভোটের গিমিক৷ ভোট জেতার পর মহিলাদের দিকে ঘুরেও তাকানো হয় না৷ এক-দু জন ছাড়া মহিলাদের বড় দায়িত্ব বা পদ দেওয়া হয় না৷’’
সারা বছরই যে কাজটা করা হয়, সেটা ভোটের কথা ভেবে হয় না: তৃণমূল নেতা নির্বেদ রায়
হাতিয়ার নিমতা
কলকাতার কাছে নিমতায় আক্রান্ত ৮৫ বছরের বৃদ্ধা শুভা মজুমদারকে নিয়ে বিজেপি নিশানা করেছে রাজ্যের শাসক দলকে৷ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিজেপি নেতা গোপাল মজুমদারের বাড়িতে তিন তৃণমূল কর্মী চড়াও হয় বলে অভিযোগ৷ প্রহৃত হন বৃদ্ধাও৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত সোশ্যাল মিডিয়ায় নির্যাতিতা বৃদ্ধার ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘তিনি কি বাংলার মা নন?’ বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্য, ‘‘বাংলার মেয়ে হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালেই বাংলার নারীরা আজ সবথেকে বেশি অসুরক্ষিত৷’’ এমনকি ব্রিগেডেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই ঘটনার উল্লেখ করেছেন৷
পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে লড়ছেন মমতা
আগামী ২৭ মার্চ থেকে আট পর্বের বিধানসভা নির্বাচন পশ্চিমবঙ্গে। কেমনভাবে লড়ছেন গত দশ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ছবি: Prabhakarmani Tewari/DW
মমতাই প্রথম
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই ২৯১টি কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন। পাহাড়ের তিনটি আসন ছেড়ে দিয়েছেন শরিক গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে। বিজেপি ও বাম জোট প্রথম দুই দফার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে তিনি বাকিদের থেকে এগিয়ে রইলেন।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
বাদ ৬৪ জন বিধায়ক
এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। গতবারের ৬৪ জন বিধায়ককে এবার আর প্রার্থী করেননি তৃণমূল-সুপ্রিমো। তাদের কেউ বিজেপি-তে গেছেন। অন্যরা জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। সবমিলিয়ে গতবারের তুলনায় শতাধিক প্রার্থী বদল করেছেন মমতা। নেতাদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ থাকলে তাকে আর প্রার্থী করা হয়নি। ৮০ বছরের বেশি বয়সীরা বাদ পড়েছেন। তাই অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ভোটে লড়ছেন না। উপরের ছবিটি বাজেট পেশ করার সময় অমিত মিত্রর।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
নতুন কেন্দ্রে মমতা
মুখ্যমন্ত্রী নিজে লড়ছেন নতুন কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। তার আগের কেন্দ্র ভবানীপুরে নয়। বিজেপি-তে যোগ দেয়া তার একদা লেফটন্যান্ট শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জ ভোঁতা করে দিতে তিনি এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১০ মার্চ তিনি মনোনয়নপত্র পেশ করবেন। নন্দীগ্রামে ইতিমধ্যে বড়সড় জনসভা করেছেন মমতা।
ছবি: DW
কম মুসলিম প্রার্থী
গতবারের তুলনায় এবার তৃণমূলে মুসলিম প্রার্থীদের সংখ্যা কম। তৃণমূল এবার ৪৭ জন মুসলিম প্রার্থী দিয়েছে। গতবার দিয়েছিল ৫৭ জন। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, হিন্দুরা ক্ষুব্ধ বুঝে মুসলিম প্রার্থী কমিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পশ্চিমবঙ্গে ৩০ শতাংশ মুসলিম ভোট আছে।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
প্রচার মমতাময়
তৃণমূলের প্রচার মমতাময়। মুখ্যমন্ত্রী সবকটি কেন্দ্রে প্রচারে যাবেন। জনসভা করবেন। পদযাত্রাও। ইতিমধ্যে কলকাতা ও শিলিগুড়িতে পদযাত্রা করে ফলেছেন। তাই নন্দীগ্রামে তিনি বেশি সময় দিতে পারবেন না, তা আগেই জানিয়ে এসেছেন। সেখানে তার ভোটের দায়িত্বে পূর্ণেন্দু বসু।
ছবি: DW/Sirsho Bandopadhyay
আক্রমণাত্মক প্রচার
বিজেপি-র প্রধান দুই নেতা নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ যে অভিযোগ করবেন, তার জবাব দেয়ার কৌশল নিয়েছেন মমতা ও তার ভোট-কৌশলী প্রশান্ত কিশোর। বিজেপি এবার প্রচারে অভিষেককে টার্গেট করেছে। মমতা তার জবাব দিয়েছেন। পাল্টা টেনে এনেছেন অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীকেও আক্রমণ করেছেন।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
প্রচারের ভাষা
আক্রমণ করতে গিয়ে অনেক সময়ই ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ থাকছে না তৃণমূল নেতাদের। মোদী-শাহকে হোঁদলকুতকুত ও কিম্ভূতকিমাকার বলেছেন তৃণমূল নেত্রী। এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তিও উঠেছে।
ছবি: Getty Images/AFP/D. Sarkar
আমল দিচ্ছে না তৃণমূল
অনেকে প্রার্থী হতে পারেননি। অনেকে বাদ পড়েছেন। তা নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ তুঙ্গে। আরাবুল ইসলাম, সোনালি গুহরা প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন। তবে এই ক্ষোভ আমল দিতে চাইছেন না মমতা। তিনি এখন নেমে পড়েছেন ভোটের ময়দানে। শুধু একটা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আবার জিতলে তিনি বিধান পরিষদ বানাবেন। বেশ কিছু নেতাকে বিধান পরিষদের সদস্য করা হবে।
ছবি: Getty Images/D. Sarkar
পিকে-র কৌশল
তৃণমূলের ভোট কৌশল তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে প্রশান্ত কিশোর বা পিকে-র। তিনি একদিকে সামাজিক মাধ্যমে তৃণমূলকে খুবই সক্রিয় করেছেন। অন্যদিকে কীভাবে বিজেপি-র প্রচারের জবাব দিতে হবে, তার পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রার্থীদের বিষয়ে একের পর এক সমীক্ষা করেছেন। দুর্নীতি ও অন্য অভিযোগ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ কমানোর জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।
ছবি: Hindustan Times/Imago Images
কঠিন লড়াই
এবার কঠিন লড়াইয়ের মুখে মমতা। তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে বিজেপি। ফলে পশ্চিমবঙ্গের এবারের ভোট খুবই চিত্তাকর্ষক হবে। মমতার সামনেও লড়াই রীতিমতো কঠিন।
ছবি: DW/S. Bandopadhyay
10 ছবি1 | 10
বামেরা পিছিয়ে নেই
বাম শিবিরে বরাবর গুরুত্ব পান মহিলারা৷ ক্ষমতায় এলে মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘নেবারহুড কমিটি’ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বামফ্রন্ট৷ ব্রিগেডের মঞ্চেও দেখা গিয়েছে ঐশী-দীপ্সিতাদের৷ ভাষণে তাক লাগিয়েছেন দেবলীনা হেমব্রমও৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামে প্রার্থী সিপিএমের মীনাক্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন দেবলীনা, মধুজারা৷
মহিলা ভোটব্যাঙ্ক
মহিলা ভোটের দিকে নজর সব পক্ষের৷ বাংলার ভোটারদের প্রায় অর্ধেক মহিলা৷ পুরুষ ভোটার ৩ কোটি ৭৩ লাখ, মহিলা ভোটার প্রায় ৩ কোটি ৫৯ লক্ষ৷ ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে এই মহিলাদের ৮১.৭ শতাংশই ভোট দিয়েছেন৷ সুতরাং এই ভোট নিয়ে কাড়াকাড়ি দেখা যাচ্ছে৷
মহিলাদের একটি পৃথক ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে প্রথম দেখেছিলেন বিহারের নেতা নীতীশ কুমার৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়ে ও মদ নিষিদ্ধ করে তিনি মহিলা ভোটারদের বড় অংশের সমর্থন পেয়েছিলেন৷ এই দৃষ্টান্ত দেখেই কি তৃণমূল সুপ্রিমো সেই পথেই হাঁটছেন? তৃণমূল নেতা নির্বেদ রায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সারা বছরই যে কাজটা করা হয়, সেটা ভোটের কথা ভেবে হয় না৷ তাছাড়া মহিলারাও তো ভোটার৷ শুধু পুরুষদের জন্য কাজ করলে তা ভোটের নয়, আর মহিলাদের কাজ করলে তা ভোটের জন্য?’’ যদিও বৈশালীর বক্তব্য, ‘‘অনেক প্রকল্প আছে৷ একটাও বাস্তবায়িত হয় না৷ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ঋণের সুবিধা পান না৷ নারীর ক্ষমতায়ন বলে কিছুই নেই৷’’
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির প্রচার-কৌশল
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গেছে। সব দলের প্রচার তুঙ্গে। কেমনভাবে চলছে ও চলবে বিজেপি-র প্রচার?
ছবি: picture-alliance/Zuma/D. Chatterjee
প্রচারের মুখ
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র প্রচারের মুখ হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখনো পর্যন্ত বিজেপি কোনো মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। মোদীকে সামনে রেখেই ভোটে লড়বে তারা। রাজ্যে জনসভা শুরু করে দিয়েছেন মোদী। পশ্চিমবঙ্গে আট পর্বের ভোটে বারবার তিনি আসবেন প্রচারে। তার ভরসাতেই ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। হলদিয়ার জনসভায় মোদীর ছবি।
ছবি: Dibyangshu Sarkar/AFP/Getty Images
মোদীর ব্রিগেড-পরীক্ষা
বাম ও কংগ্রেসের জনসভায় ব্রিগেড ছিল ভর্তি। বহুদিন বাদে বামেদের জনসভায় কাতারে কাতারে মানুষ এসে ব্রিগেড ভরিয়েছিলেন। এবার পরীক্ষা মোদীর। আগামী ৭ মার্চ ব্রিগেডে জনসভা করবেন মোদী। তার আগে নেতারা জেলায় চলে গেছেন। সেখান থেকে মানুষকে ব্রিগেডে আনবেন। মোদীর জনপ্রিয়তা ও দলীয় সংগঠনের দক্ষতায় ব্রিগেড ভরাতে চাইছে বিজেপি।
ছবি: DW/P. Tewari
বেশি সভা অমিত শাহের
এখনো পর্যন্ত ঠিক আছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি জনসভা করবেন অমিত শাহ। তিনি ইতিমধ্যেই ঘন ঘন পশ্চিমবঙ্গে আসছেন। কখনো বাউল, কখনো কৃষকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করছেন। কর্মীসভা করেছেন। জনসভা এবং রোড শো-ও। পশ্চিমবঙ্গে দলকে ক্ষমতায় আনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অমিত শাহ।
ছবি: Payel Samanta/DW
বারবার নাড্ডাও
বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডাও বারবার পশ্চিমবঙ্গে প্রচারে আসবেন। বিজেপি প্রচারকারীদের যে তালিকা তৈরি করেছে, তাতে নাড্ডা গুরুত্ব পাচ্ছেন।
ছবি: Prabhakarmani Tewari/DW
থাকছেন যোগী আদিত্যনাথ
যোগী আদিত্যনাথ প্রচার শুরু করে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চড়া সুরে হিন্দুত্বের প্রচারের জন্য সুবিদিত। কিছুদিন আগে বিহারে তিনি এই কাজটাই করেছিলেন। এবার পশ্চিমবঙ্গেও করবেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটেও বিজেপি-র চড়া সুরের প্রচার চলবে। মোদী এবং যোগী পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র বড় ভরসা।
ছবি: Altaf Qadri/AP Photo/picture alliance
স্মৃতি ইরানি, রাজনাথরা থাকছেন
বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে স্মৃতি ইরানি খুবই ভালো বাংলা বলতে পারেন। তাঁর মা বাঙালি। তিনি বংলায় থেকেছেন। খুবই ভাল বক্তা। তাই তাঁকে দিয়ে প্রচুর জনসভা করাবে বিজেপি। রাজনাথও প্রচার করবেন। বিহার এবং ওড়িশা থেকেও নেতাদের নিয়ে আসা হবে। ছবিতে কলকাতায় শোভাবাজার রাজবাড়িতে সিস্টার নিবেদিতা স্মারক বক্তৃতা দেয়ার আগে স্মৃতি ইরানি।
ছবি: picture-alliance/Pacific Press Agency/S. Paul
দিলীপ ঘোষ চষে বেড়াবেন
রাজ্য নেতাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি জনসভা, রোড শো, বাড়ি গিয়ে প্রচার করবেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সারা রাজ্য তিনি চষে বেড়াচ্ছেন এবং বেড়াবেন। তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে প্রচারে গুরুত্ব দেবে বিজেপি। তাঁকে দিয়ে প্রচুর জনসভা করানো হবে।
ছবি: Imago Images/Pacific Press Agency/S. Paul
সর্বাত্মক প্রচার
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র প্রচার হবে সর্বাত্মক। কেন্দ্রীয় নেতারা বড় জনসভা করবেন। সেই সঙ্গে হবে ছোট পথসভা এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার। সঙ্গে থাকবে সামাজিক মাধ্যমে আক্রমণাত্মক প্রচার। যার দায়িত্বে আছেন বিজেপি-র কেন্দ্রীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয়। প্রতিটি জেলায় ঘুরবে এলইডি প্রচারযান। এভাবেই প্রচারে কোনো ফাঁক রাখছে না বিজেপি।