‘নারী মুক্তিযোদ্ধা : একাত্তরের নারীরা'
২০ সেপ্টেম্বর ২০১১![](https://static.dw.com/image/15086734_800.webp)
১৯৭১ সালে এবং পরবর্তী প্রায় দুই দশকে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা নারীর পরিচয় তেমন করে আলোচিত হয়নি৷ যুদ্ধের সময় যে নারীরা ধর্ষিত হয়েছেন, যে সমস্ত স্বামীহারা বিধবা নারীর পুনর্বাসনের প্রযোজন হয়েছে, তাদের সমস্যাই বড় করে দেখা হয়েছে৷ এই পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধ-পরবর্তীকালে একাত্তরের নারী নির্যাতনকে বীরত্বের মহিমা দিয়ে ঢেকে দিতে চেয়েছিল রাষ্ট্র৷ নির্যাতিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা' আখ্যা দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু, সেই অত্যাচারও যে এক ধরনের যুদ্ধ ছিল৷ তাঁদের শরীরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধটাকে স্বীকার করতে সময় লেগেছিল রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সবারই৷
মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীরা শত্রুদের বিষয়ে, খানসেনা, রাজাকারদের অবস্থান ইত্যাদি বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের খবর দিতেন৷ তাই দেশ স্বাধীন হয়েছে শুধু পুরুষ মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে নয়, নারীর সক্রিয় ভূমিকাও ছিল এতে৷ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধাদের লুকিয়ে রাখা, অস্ত্র এগিয়ে দেওয়া, যাঁরা মা-বোনদের ফেলে রেখে মুক্তিযুদ্ধে গেছেন তাঁদের সবকিছু সামলে রাখা — এসবই করেছেন নারীরা৷ মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সব ধর্মের নারীই গেরিলা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন৷ কেবল বাঙালি নয়, সর্বাত্মকভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন আদিবাসী নারীরাও৷ তাই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নারীর অংশগ্রহণ ছিল বহুমাত্রিক৷ আর এ বিষয়টিই উঠে এসেছে চলতি ‘নারী মুক্তিযোদ্ধা : একাত্তরের নারীরা' নামক একটি ছবি প্রদর্শনীতে৷ যেখানে নারী দেদীপ্যমান হয়ে উঠেছেন প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক