1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাসার সঙ্গে রাশিয়ার নতুন চুক্তি

২ মে ২০১৩

মার্কিন সংসদ মহাকাশ অভিযানের জন্য যথেষ্ট অর্থ মঞ্জুর না করায় রাশিয়ার উপর নির্ভরতা আরও বেড়ে যাচ্ছে৷ ২০১৬ সালের পরও আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মার্কিন মহাকাশচারী পাঠাবে রসকসমস৷ নাসার পক্ষে অবশ্য এটা মেনে নেওয়া বেশ কঠিন৷

Redaktionshinweis: Bild nur zur redaktionellen Berichterstattung und bei Nennung "NASA"! +++ Das von der US-Luft- und Raumfahrtbehoerde NASA veroeffentlichte Handout zeigt die Internationale Raumstation ISS mit einem angekoppelten Space Shuttle (Foto vom 24.05.11). (zu dapd-Text) Foto: NASA/dapd
ছবি: NASA/dapd

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারী ও রসদ পাঠানোর ব্যয় ভবিষ্যতে বেড়ে যাচ্ছে৷ ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে প্রতি মহাকাশচারীর জন্য ৭ কোটি ৭০ হাজার ডলার গুনতে হবে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা-কে৷ এই মর্মে তারা রুশ মহাকাশ সংস্থা রসকসমস-এর সঙ্গে ৪২ কোটি ৪০ লক্ষ ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ প্রশিক্ষণ, উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি, মূল অভিযান, অভিযান শেষে পৃথিবীতে ফেরা এবং প্রয়োজনে উদ্ধারকার্য – প্রতিটি ধাপই চুক্তির আওতায় আছে৷

২০১৫ সাল পর্যন্ত নাসা ও রসকসমস-এর মধ্যে যে চুক্তি কার্যকর রয়েছে, তাতে আইএসএস-এ মহাকাশচারী পাঠানোর খরচ ছিল ৬ কোটি ২৭ লক্ষ ডলার৷ এই মুহূর্তে রাশিয়ার সোইয়ুজ মহাকাশযান ছাড়া আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে মানুষের যাতায়াত প্রায় অসম্ভব বলা চলে৷ মার্কিন বেসরকারি কিছু সংস্থা আইএসএস-এ রসদ পাঠানোর উদ্যোগ শুরু করেছে বটে, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে মহাকাশচারী পাঠানোর কোনো পথ অ্যামেরিকার সামনে খোলা নেই৷

রাশিয়ার সোইয়ুজ মহাকাশযান...ছবি: picture-alliance/dpa

নাসার পক্ষে তাদের বর্তমান দুর্বলতা মেনে নেওয়া বেশ কঠিন৷ নাসার প্রশাসক চার্লস বোল্ডেন সহযোগী হিসেবে রাশিয়ার প্রশংসা করেও বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলি মহাকাশে মানুষ পাঠাতে যে উদ্যোগ নিতে চায়, তার জন্য আরও অনেক অর্থের প্রয়োজন৷ অথচ মার্কিন সংসদের সদস্যরা সেই পরিমাণ অর্থ মঞ্জুর করতে প্রস্তুত নন৷ ২০১৫ সালের মধ্যেই অ্যামেরিকা আবার মহাকাশচারী পাঠানোর যে পরিকল্পনা নিয়েছিল, সেই স্বপ্ন এখন ভেঙে গেছে৷ ফলে ভবিষ্যতেও রাশিয়ার উপর নির্ভর করা ছাড়া কোনো উপায় থাকছে না৷ খোদ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মহাকাশ কর্মসূচির অর্থায়নের যে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন, সংসদ তা গ্রাহ্য করে নি৷ এই অবস্থায় বোল্ডেন মনে করেন, ২০১৭ সাল পর্যন্ত নাসাকে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে৷

যে দেশ প্রথম চাঁদে মানুষ পাঠিয়েছে ও সৌরজগতের সীমা পেরিয়ে মহাকাশ অভিযান চালিয়েছে, সেই দেশের আজ পৃথিবীর কক্ষপথে মহাকাশচারী পাঠানোর সামর্থ্য নেই, এমনটা মেনে নিতে পারছেন না নাসা-প্রধান বোল্ডেন সহ অনেকেই৷ মহাকাশ অভিযানে বেসরকারি উদ্যোগের পথ খুলে দিলেও রাষ্ট্রকে যে অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে, তাও সংগ্রহ করতে সমস্যা হচ্ছে৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ