1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লুট করা ছবি

১০ নভেম্বর ২০১৩

ষোড়শ শতাব্দী থেকে আধুনিক যুগ অবধি ইউরোপীয় চিত্রকলার নামি-দামি শিল্পীদের প্রায় ১,৪০০ অমূল্য ছবি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যাবৎ লুকনো ছিল জার্মানির মিউনিখ শহরের একটি ফ্ল্যাটবাড়ির এক সাধারণ ফ্ল্যাটে৷

A painting by German artist Max Liebermann 'Zwei Reiter am Strande' ("Two Horsemen at the Beach") is beamed to a wall November 5, 2013, at an Augsburg courtroom during a news conference of state prosecutor Reinhard Nemetz and expert art historian Meike Hoffmann from the Berlin Free University. A Jewish group accused Germany on Monday of moral complicity in concealment of stolen paintings after it emerged authorities failed for two years to report discovery of a trove of modern art seized by the Nazis, including works by Picasso and Matisse. Customs officials' chance discovery of 1,500 artworks in a Munich flat owned by Cornelius Gurlitt, the reclusive elderly son of war-time art dealer Hildebrand Gurlitt, who was authorized by Hitler’s propagandist minister Joseph Goebbels to sell art the Nazis stole, was revealed in a report by news magazine Focus over the weekend. The art works missing for more than 70 years could be worth well over one billion euros. REUTERS/Michael Dalder (GERMANY - Tags: ENTERTAINMENT CRIME LAW POLITICS SOCIETY)
ছবি: Reuters/Michael Dalder

মঙ্গলবার খবরটা বেরলেও, কর দপ্তরের নাকি গতবছর থেকেই ব্যাপারটা জানা ছিল৷ কর ফাঁকি দেওয়ার ব্যাপারে ঐ ফ্ল্যাটে হানা দেওয়ার সময় তারা আবিষ্কার করেন যে, সেখানে কানালেত্তো, কুর্বে, পিকাসো, তুলুজ-লত্রেক, অঁরি মাতিস, অটো ডিক্সের মতো শিল্পীদের ছবির ছড়াছড়ি৷ কিন্তু যেহেতু কর ফাঁকি দেওয়ার মামলা, সেহেতু কর বিভাগকে পুরো ঘটনাটা এ যাবৎ গোপন রাখতে হয়েছে৷

শুধু তাই নয়, জার্মান কর্তৃপক্ষ এখনও উদ্ধারকৃত শিল্পকর্মগুলির পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে রাজি নন৷ এই ছবিগুলি যদি সত্যিই নাৎসি আমলের জবরদখল বা চোরাই সম্পত্তি হয়, তাহলে সেগুলি তাদের আসল মালিক কিংবা উত্তরাধিকারীদের ফেরত দিতে বহু নৈতিক ও আইনগত বাধা পার হতে হবে৷ সেটা কর্তৃপক্ষেরও খুব ভালো করেই জানা৷ তাই তারা চটজলদি কিছু করতে চাইছেন না৷

জার্মান কর্তৃপক্ষ এখনও উদ্ধারকৃত শিল্পকর্মগুলির পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করতে রাজি ননছবি: Reuters/Michael Dalder

একশো কোটি ইউরোর শিল্পকর্ম

যার ফ্ল্যাটে এই গুপ্তধন রাখা ছিল, তাঁর নাম কর্নেলিয়াস গুরলিট৷ বয়স ৭০ থেকে ৮০-র মধ্যে৷ বাবা হিল্ডেব্রান্ড গুরলিট ছিলেন আর্ট ডিলার৷ ১৯২০ সাল থেকেই তিনি শিল্পকর্ম সংগ্রহ করতে শুরু করেন, বিশেষ করে বিংশ শতাব্দীর সূচনার মডার্ন আর্ট, যা নাৎসিরা পরে অ-জার্মান এবং ‘‘অধঃপতিত'' বলে ঘোষণা করে ও সব সংগ্রহশালা থেকে সরিয়ে ফেলে৷

নাৎসিদের প্রোপাগান্ডা মন্ত্রী ইওসেফ গোয়েবেল্স বিদেশে সেই সব ‘‘অধঃপতিত'' শিল্পকর্ম বেচে নাৎসি রাষ্ট্রের জন্য অর্থ সংগ্রহ করার কাজে গুরলিটকে নিযুক্ত করেন৷ গুরলিট নিজের জন্যও কিছু ছবি কেনেন, এছাড়া যে সব ইহুদি আর্ট ডিলাররা তাদের সংগ্রহ বেচতে বাধ্য হচ্ছিলেন, তাদের কাছ থেকেও ছবি কেনেন৷ অপর এক সূত্রে প্রকাশ যে, গুরলিট প্যারিসে নাৎসিদের চোরাই শিল্পকর্মের মূল ভাঁড়ারে গিয়ে সেখান থেকেও ছবি কিনেছিলেন৷

গুপ্তধন

যুদ্ধের পর গুরলিট পশ্চিম জার্মানিতে পালান এবং দাবি করেন যে, ড্রেসডেনের উপর মিত্রশক্তিদের বোমা হামলায় তাঁর সব ছবি ও কাগজপত্র বিনষ্ট হয়েছে৷ অথচ সেই ছবির সংগ্রহ তিনি যক্ষের মতো সামলে রেখেছিলেন৷ পরে তাঁর ছেলে কর্নেলিয়াস মাঝেমধ্যে কিছু ছবি বেচে নিজের কাজ চালাতেন৷ এভাবেই কর্নেলিয়াস গুরলিট জুরিখ থেকে মিউনিখ যাওয়ার পথে বহু নগদ টাকা নিয়ে যাবার সময় পুলিশের নজরে পড়েন৷ তার পরেই কর্মকর্তারা গুরলিটের ফ্ল্যাটের উপর হানা দেন এবং এই হারিয়ে যাওয়া ছবির রত্নভাণ্ডার আবিষ্কার করেন৷

ছবিগুলো আপাতত কোনো অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছেছবি: Reuters/Michael Dalder

ছবিগুলো আপাতত কোনো অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়েছে৷ সেগুলো নাকি কিছুটা ময়লা হয়ে গেলেও, বেশ ভালো অবস্থাতেই ছিল৷ ছবিগুলোর মধ্যে অটো ডিক্স এবং মার্ক শাগালের দু'টি এ যাবৎ অপরিচিত ছবিও আছে৷ বাঁধানো ও না বাঁধানো ছবি ছাড়া বেশ কিছু পেন্সিল ড্রয়িং ও প্যাস্টেল ছবি পাওয়া গিয়েছে৷ এর মধ্যে বহু ছবির মালিক নাৎসি নিপীড়নে নিহত কিংবা পলাতক ইহুদি বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে৷ কাজেই এই সব ছবি ন্যায্য মালিকদের ফেরৎ দেবার আগে বহু গবেষণার প্রয়োজন পড়বে৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ