নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প সফরে মুসলিম ও ইহুদি নেতারা
২০ জানুয়ারি ২০২০
বিশ্বের সর্ববৃহৎ নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প পোল্যান্ডের আউশভিৎস৷ ক্যাম্পটি মুক্ত হওয়ার ৭৫ বছরে সফরে যাচ্ছেন মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগের মহাসচিব শেখ মোহাম্মদ আল ইসা৷ সঙ্গে থাকছেন অ্যামেরিকান ইহুদি কমিটির পরিচালক ডেভিড হ্যারিস৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইহুদিবিদ্বেষের হুমকি মোকাবিলা করছে৷ এমন এক পরিস্থিতিতে এই সফরকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে৷ সফরটি বিশ্বজুড়ে আন্তধর্ম যোগাযোগ এবং সহনশীলতা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন অনেকে৷
সাবেক এই ক্যাম্পে আরব বিশ্ব থেকে খুব বেশি মানুষ আসেন না৷ আউশভিৎসের পরিচালক পিওত্র চিভিনস্কি জানান ২০১৯ সালে ২৩ লাখ মানুষ এই স্মৃতি দেখতে এসেছেন৷ কিন্তু টিকেট বিক্রির তথ্য থেকে দেখা যায়, কেবল ৩২০০ পর্যটক এসেছেন আরব দেশগুলো থেকে৷ অবশ্য এসব পর্যটকের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত নয় কর্তৃপক্ষ৷ তবে চিভিনস্কি জানান ফ্রান্স, নরওয়ে, জার্মানি এবং অন্যান্য দেশ থেকে বেশ কিছু মুসলিম এই সংরক্ষিত ক্যাম্পটি দেখতে আসেন৷
বৃহস্পতিবার আউশভিৎস সফরে আসবেন শেখ মোহাম্মদ আল-ইসা৷ তিনিই হবেন ক্যাম্পটিসফর করা সবচেয়ে বড় কোনো মুসলিম ব্যক্তিত্ব৷ তার মুসলিম ওয়ার্ন্ড লিগ বিশ্বের ১০০ কোটিরও বেশি মুসলিমকে প্রতিনিধিত্ব করে৷ ৫০ বছর বয়সি সৌদি আরবের সাবেক এই বিচার মন্ত্রী সঙ্গে থাকবেন হলোকাস্ট থেকে বেঁচে যাওয়া পরিবারের সন্তান ৭০ বছর বয়সি ডেভিড হ্যারিস৷ হ্যারিস অ্যামেরিকান ইহুদি কমিটির পরিচালক৷
হিটলারের বিরোধিতা করা নায়কেরা
১৯৩৩ সালে জার্মানির ক্ষমতায় আসেন আডল্ফ হিটলার৷ তাঁর কার্যক্রমের বিরোধিতা করে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন, অনেককে দেশও ত্যাগ করতে হয়েছে৷ কেউ কেউ হিটলারকে হত্যার চেষ্টাও করেছেন৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
হত্যা চেষ্টা
হিটলারকে হত্যা করতে ১৯৪৪ সালের ২০ জুলাই তাঁর ‘ওল্ফস লেয়ার’ সদরদপ্তরে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল৷ কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগে বৈঠক করে ফেলায় বোমা ফাটলেও বেঁচে গিয়েছিলেন হিটলার৷ তবে চারজন নিহত হয়েছিলেন৷ হামলার সঙ্গে কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন৷ পরবর্তীতে চাঁদের ফাঁসি দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
নেপথ্যে যিনি ছিলেন
ওল্ফস লেয়ারে হিটলারকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের একজন ছিলেন ক্লাউস গ্রাফ শেঙ্ক ফন স্টাফেনব্যার্গ৷ ১৯৪২ সালে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন জার্মানির পক্ষে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জেতা সম্ভব নয়৷ তাই জার্মানিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে তিনি হিটলার সরকারকে উৎখাত করতে চেয়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
দ্য ক্রাইসাউয়ার সার্কেল
জার্মান রাজনীতিতে মৌলিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ‘ক্রাইসাউয়ার সার্কেল’ গঠন করা হয়েছিল৷ হেলমুট জেমস গ্রাফ ফন মল্টকে এবং পেটার গ্রাফ ইয়র্ক ফন ভার্টেনবুর্গ (ছবি) এই আন্দোলনের পেছনের মূল মানুষ ছিলেন৷ ‘ক্রাইসাউয়ার সার্কেল’-এর কয়েক কর্মীও ১৯৪৪ সালের ২০ জুলাই হিটলার হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ তাঁদেরও পরে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
ভাই-বোন
হান্স ও সোফি শোল - এই দুই ভাই-বোনের নেতৃত্বে ১৯৪২ সালে মিউনিখের একদল শিক্ষার্থী হিটলার সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন৷ ‘হোয়াইট রোজ’ নামে গড়ে তোলা তাঁদের গ্রুপ নাৎসি আমলের অপরাধের সমালোচনা করে হাজার হাজার লিফলেট বিতরণ করেছিল৷ ১৯৪৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই দুই ভাই-বোনকে গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কাঠমিস্ত্রি গেওর্গ এলসার
১৯৩৯ সালে মিউনিখে এক জায়গায় হিটলারের বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল৷ সেখানে একটি বোমা রেখেছিলেন এলসার৷ তবে যখন বোমাটি ফেটেছিল ততখনে বক্তব্য শেষ করে ঐ জায়গা থেকে চলে গিয়েছিলেন হিটলার৷ তবে বোমা বিস্ফোরণে সাতজন প্রাণ হারিয়েছিলেন, আহত হয়েছিলেন ৬০ জন৷ এলসারকে সেদিনই গ্রেপ্তার করে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ ১৯৪৫ সালে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Images
শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতিবাদ
হিটলার ১৯৩৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর অনেক শিল্পী ও বুদ্ধিজীবী তার প্রতিবাদ করেছেন৷ পরবর্তীতে তাঁদের অনেককে ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে৷ ছবিতে বার্লিনের ক্যাবারে গোষ্ঠী ‘কাটাকম্বে’র সদস্যদের দেখতে পাচ্ছেন৷ তারাও হিটলার প্রশাসনের বিরোধিতা করেছিলেন৷ ফলে ১৯৩৫ সালে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয় এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ভ্যার্নার ফিঙ্ককে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance / akg-images/J. Schmidt
তরুণদের প্রতিবাদ
হিটলার আমলে জার্মান তরুণ-তরুণীদের একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্রের জীবন যাপন রীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন৷ তাঁরা সুয়িং ড্যান্স ও সংগীতের ভক্ত ছিলেন৷ এই তরুণরা ‘ডি সুয়িং ইয়োগেন্ড’ বা সুয়িং ইয়থ নামে একটি গ্রুপ গড়ে তুলেছিলেন৷ তারাও বিভিন্ন সময় নাৎসি আমলের বিরোধিতা করেছেন৷ ফলে তাঁদের অনেককে গ্রেপ্তার করে তরুণদের জন্য গড়ে তোলা কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছিল৷
ছবি: Getty Images/Hulton/Keystone
রেড অর্কেস্ট্রা গ্রুপ
নাৎসি শাসকদের অপরাধের তালিকা তৈরি করতে ইহুদিদের সহায়তা করত ‘রটে কাপেলে’ গ্রুপ৷ এসব তারা লিফলেট আকারে বিতরণও করতো৷ এ কারণে ১৯৪২ সালে এই গ্রুপের ১২০-এর বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ এর মধ্যে পঞ্চাশের বেশি ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
8 ছবি1 | 8
দুবছর আগে আল-ইসা ওয়াশিংটনের ইউনাইটেড স্টেটস হলোকাস্ট মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে একটি চিঠি লেখেন৷ চিঠিতে হলোকাস্টের শিকার মানুষদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন তিনি এবং উল্লেখ করেন এই ঘটনা ‘মানবতার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে'৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘সত্যিকার ইসলাম এমন অপরাধের বিপক্ষে' এবং ‘হলোকাস্ট বা এর প্রভাব অস্বীকার করাকে আমরা ইতিহাস বিকৃতি বলে মনে করি এবং যেসব নিরপরাধ আত্মা এর শিকার হয়েছে তাদের প্রতি অপমান বলে মনে করি'৷
২০১৮ সালের মে মাসে জাদুঘরটি সফরের পর আল-ইসা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে একটি উপ-সম্পাদকীয় লেখেন৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি নিজের চোখে ভিডিও, ছবি, প্ল্যাকার্ড, সাক্ষাৎকার ও স্মারক দেখেছি, এর সবই হলোকাস্টের সাক্ষ্য প্রমাণ বহন করে৷ হলোকাস্টের বিশালতা বুঝতে কারো জাদুঘরে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না৷ কিন্তু জাদুঘরটিতে যারা যাননি তাদের পক্ষে এটি ঘটেনি, এমন কথা বলা অসম্ভব৷''
লেখাটিতে তিনি ‘সকল মুসলিমকে হলোকাস্টের ইতিহাস জানা, স্মৃতিস্মারক এবং জাদুঘরগুলো ভ্রমণ করার' আহ্বান জানান৷
সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিমস ইন জার্মানি সংগঠনের চেয়ারম্যান আইমান মাজিয়েক বেশ কয়েকবার মুসলিম ও ইহুদি ধর্মাবলম্বী তরুণদের সঙ্গে নিয়ে আউশভিৎস ঘুরে এসেছেন৷ আল-ইসার নেয়া উদ্যোগ রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি৷
মাজিয়েক মনে করেন, এই সফর এবং আল-ইসার উদ্যোগ অনেক মুসলিম দেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে৷ তিনি মনে করেন, আউশভিৎস শিক্ষা দেয় যাতে এমন কিছু ‘আর কখনও' ঘটতে দেয়া না হয়, এবং সেটি বিশ্বজুড়ে মুসলিমদেরও মনে রাখতে হবে৷
হিটলার কে ছিলেন?
‘হিটলার কে ছিলেন’ প্রশ্নটি হ্যারমান প্যোল্কিং-এর বহুল পঠিত বইয়ের বিষয়৷ হিটলারের নিজের এবং তার সম্পর্কে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন উদ্বৃতিও উঠে এসেছে এই তথ্যচিত্রে৷ সেগুলোরই কয়েকটি থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/AP
শিশু অ্যাডলফ হিটলার (১৮৯০)
‘‘পরিবারের অন্য সবার চেয়ে সে ব্যতিক্রম ছিল৷’’ – মা ক্লারা হিটলারকে উদ্বৃত করে অ্যাডলফ হিটলার সম্পর্কে এ কথা জানিয়েছিলেন তার ছোটবেলার বন্ধু অগুস্ট ক্যুবিসেক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
লিন্সে ক্লাসের ছবি, ১৯০০/০১
‘‘সে নিঃসন্দেহে মেধাবী ছিল, ভারসাম্যহীনও ছিল, তবে সহিংস ছিল না৷ অবশ্য অবাধ্য হিসেবে বিবেচিত ছিল৷ আর সে কঠোর পরিশ্রমীও ছিল না’’ – বলেছেন হিটলারের ফরাসি শিক্ষক ড. এডওয়ার্ড হুয়েমার৷ (ছবিতে একেবারে উপরের সারির ডানদিকের কোণায় হিটলারকে দেখা যাচ্ছে৷)
ছবি: picture-alliance/akg-images
অ্যাডলফ হিটলারের নিজের পোট্রেট
‘‘আত্মীয়স্বজনরা তাকে এমন ফালতু মনে করতো, যে কিনা সব ধরনের কঠিন কাজ থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতো,’’ অ্যাডলফ হিটলারের ছোটবেলার বন্ধু অগুস্ট কুবিসেক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে কর্পোরাল হিটলার
‘‘ইহুদিদের প্রতি হিটলারের তীব্র ঘৃণা কেন ছিল তার কারণ আমি কখনো প্রকাশ করিনি৷ বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা হয়ত এতে সামান্য অবদান রেখেছিল,’’ লিস্ট রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট ফ্রিৎস ভিডারমান৷
ছবি: Getty Images
অ্যাডলফ হিটলার (১৯৩৩)
‘‘উচ্চশ্রেণির মানুষেরা হিটলারের কাছে ঘেঁষতে চেয়েছে৷ এ রকম পরিবর্তনশীল মানুষদের জন্য আমার দাদার এক জুতসই ফর্মুলা ছিল: আপনি তাদের চোখে থুতু ছিটাবেন আর তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে বৃষ্টি হচ্ছে কিনা’’, জার্মান ইহুদি সাংবাদিক বেলা ফ্রম৷ (জানুয়ারি ২৯, ১৯৩২)
ছবি: Ullstein
প্রেসিডেন্ট হিন্ডেনবুর্গের কাছ থেকে ক্ষমতা নিচ্ছেন চ্যান্সেলর হিটলার, ১৯৩৩
‘‘আমি ক্ষণিকের জন্যও ভুলিনি যে, নাৎসিরা শত্রু – আমার শত্রু এবং আমার প্রিয় সবার শত্রু৷ তবে আমি একটা ক্ষেত্রে ভুল করেছিলাম, তা হচ্ছে, তারা কতটা ভয়াবহ শত্রু হবে সেটা আন্দাজ করতে পারিনি৷’’ – সেবাস্তিয়ান হাফনার, সাংবাদিক৷
ছবি: ullstein bild
ব্যাইরুথে হিটলার (১৯৩৮)
‘‘আমি এটা নিঃসঙ্কোচে বলতে পারি যে, সান ফ্রান্সিসকো যাওয়ার আগে আমি হিটলারের যুদ্ধ চলাকালে অনারোগ্য রোগীদের ধ্বংস করে দেয়ার আকাঙ্খা সম্পর্কে জেনেছিলাম৷ তিনি বলেছিলেন তারা নাকি অপ্রয়োজনীয় ভক্ষক৷’’ – ফ্রিৎস ভিডারমান, ১৯৩৯ সালের ১৯ জানুয়ারি অবধি অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি পার্টির অ্যাডজুটেন্ট৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
ওবারসাল্সবার্গে হিটলার
‘‘আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে, ইংল্যান্ড বা ফ্রান্স একটি সাধারণ যুদ্ধে জড়াবে না৷’’ ১৯৩৯ সালের ১৩ আগস্ট ওবারসাল্ফবার্গে আর্মি জেনারেলদের বলেছিলেন হিটলার৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
আলবার্ট স্পিয়ার এবং অ্যাডলফ হিটলার, ১৯৩৮
‘‘যুদ্ধের পুরো সময়টাতে হিটলার কখনো বোমাবর্ষণের শিকার কোনো শহর দেখতে যাননি৷’’ আলবার্ট স্পেয়ার, রাইশ মিনিষ্টার অফ আর্মামেন্টস অ্যান্ড ওয়ার প্রোডাকশন৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
ভোল্ফ’স লেয়ারে গুপ্তহত্যা চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর হিটলার, ১৯৪৪
‘‘আমি সেখানে হিটলারকে দেখেছি, যিনি কিনা আমার বিক্ষিপ্ত অভিব্যক্তির দিকে প্রশ্নবোধক দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলেন৷ তিনি শান্তভাবে বলেছিলেন, ‘লিঙ্গে, কেউ একজন আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল৷’’’ – অ্যাডলফ হিটলারের খানসামা হাইন্স লিঙ্গে৷
ছবি: picture-alliance
অ্যাডলফ হিটলার এবং হ্যারমান গ্যোরিং, ১৯৪৪
‘‘আমি জানি, যুদ্ধে আমরা পরাজিত হয়েছি৷ তাদের শ্রেষ্ঠত্ব পরিষ্কার৷ আমি এখন আমার মাথায় গুলি করতে চাই৷ [কিন্তু] আমরা আত্মসমর্পন করি না৷ কখনো না৷ আমরা হারতে পারি৷ কিন্তু নিজেদের সঙ্গে একটা দুনিয়া নিয়ে যাবো৷’’ ১৯৪৪ সালের ডিসেম্বরের শেষে অ্যাডজুট্যান্ট নিকোলাউস ফন বেলো-কে বলেছিলেন হিটলার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Fine Art Images
সংবাদপত্রে হিটলারের মৃত্যু সংবাদ, ১৯৪৫
‘‘একজনের মনে হতে পারে, হিটলারের মৃত্যু এখন বরং অর্থহীন৷ তার আরো আগে মরা উচিত ছিল৷ আমি ভাবছি, কতজন মানুষ তিনি চড়চড় করে পুড়ছেন ভেবে নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছে৷’’ – স্কটিশ লেখক নাওমি মিচিসন৷