1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাৎসি জমানার কালো অধ্যায় স্মরণ করছে জার্মানি

৯ নভেম্বর ২০১১

৯ই নভেম্বর শুধু বার্লিন প্রাচীর পতনের মতো যুগান্তকারী ঘটনা ঘটে নি, জার্মানির ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের এক লজ্জাজনক ঘটনারও সাক্ষী এই দিনটি৷ চলতি বছর দিনটি আরেকটি কারণে বাড়তি তাৎপর্য পেয়েছে৷

** ARCHIV ** Feuerwehrleute stehen am 9. November 1938 vor der brennenden Synagoge in der Fasanenstrasse in Berlin, die bei Ausschreitungen gegen Juden und juedische Einrichtungen angezuendet wurde. In Deutschland wird am 9. November der Reichspogromnacht gedacht. Geschaendet, in Flammen gesetzt, gesprengt: In der Nacht zum 10. November 1938 zerstoerten Nationalsozialisten die prachtvolle Hauptsynagoge in Mainz. In jenen Tagen wurden in ganz Deutschland bis zu 1.400 juedische Gotteshaeuser und Betstuben verwuestet, niedergebrannt und abgerissen, Opfer eines organisierten Antisemitismus und Menetekel der bevorstehenden "Endloesung". (AP Photo) ** zu unserem Korr ** ** FILE ** In this Nov. 9, 1938 file picture, firemen stand in front of the burning synagogue at Fasanenstrasse in Berlin, Germany, during the so-called Kristallnacht. (AP Photo)
১৯৩৮ সালের ৯ই নভেম্বর বার্লিনে এই সিনাগগে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিলছবি: AP
নাৎসি জমানায় জার্মানির আরেকটি সিনাগগের ধ্বংসাবশেষছবি: DW/Nelioubin

আচমকা দেশের কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে চিহ্নিত করে যদি একে একে তাদের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়, এমনকি নাগরিক হিসেবে তাদের পরিচয়ও অস্বীকার করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়, তখন সমাজের বাকি অংশের কী করা উচিত? নাৎসি জার্মানিতে ইহুদিদের উপর বেড়ে চলা নিপীড়নের বিরুদ্ধে বৃহত্তর সমাজ যথেষ্ট প্রতিরোধ দেখাতে পারে নি, যার ফলে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়৷ ১৯৩৩ সালের ১০ই মে বার্লিনে আজকের হুমবল্ট বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের সামনে বই পোড়ানোর মতো প্রতীকি ঘটনার মধ্য দিয়ে ইহুদি বিদ্বেষ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল৷ বার্লিন সহ ২১টি শহরে এভাবে জার্মানির ‘জাতিসত্ত্বার শুদ্ধিকরণ যজ্ঞ'-এর মধ্য দিয়ে নাৎসিদের আসল রূপ স্পষ্ট হয়ে যায়৷ চরম জাতীয়তাবাদী ও ফ্যাসিবাদী মতাদর্শই পরে ভয়ংকর আকার ধারণ করে৷

১৯৩৮ সালের ৯ই নভেম্বর রাতে গোটা দেশে ইহুদিদের মালিকানায় থাকা প্রায় ৭,৫০০ দোকান, দপ্তর ইত্যাদি সম্পত্তিও ধ্বংস করা হয়েছিল৷ বাদ যায় নি সিনাগগ বা ইহুদি উপাসনাস্থলও৷ প্রায় ১,২০০ সিনাগগে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তছনছ করা হয়েছি ইহুদি কবরস্থানও৷ নাৎসি প্রচারণা যন্ত্র এই তাণ্ডবলীলাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত রোষের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে তুলে ধরলেও এর পেছনে ছিল নাৎসি এসএস এবং এসএ বাহিনীর সুপরিকল্পিত সাংগঠনিক উদ্যোগ৷

স্পায়ার শহরে বুধবার নতুন এই সিনাগগের উদ্বোধন হচ্ছেছবি: picture-alliance/dpa

ঐতিহাসিকদের মতে, এসময়ে প্রায় ১,৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল৷ তারপর শুরু হয়ে গিয়েছিল কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে বড় আকারের নিধনযজ্ঞ৷ কারখানায় বড় আকারে উৎপাদনের মতো নিপুণভাবে চলতো মানুষকে গ্যাস চেম্বারে পুরে দেওয়ার প্রক্রিয়া৷

চলতি বছরেও গোটা দেশ জুড়ে স্মরণ করা হচ্ছে জার্মানির ইতিহাসের কালো অধ্যায়ের এই দিনটিকে৷ ভবিষ্যতের সমাজে কোনো অবস্থায়ই যাতে নাৎসিদের সর্বনাশা মতাদর্শ বা অন্য যে কোনো সংকীর্ণতার বহিঃপ্রকাশ না ঘটে, তার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে – এবিষয়ে স্পষ্ট ঐকমত্য রয়েছে৷ বুধবার সন্ধ্যায় স্পায়ার শহরে ধ্বংস হয়ে যাওয়া সিনাগগের জায়গায় নতুন সিনাগগের উদ্বোধন সেই সচেতনতা জিইয়ে রাখবে বলে আশা করছে জার্মান সমাজ৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ