নিউইয়র্কের রচেস্টারসিটির একটি পার্কে এই ঘটনা ঘটেছে। বন্দুকধারীর পরিচয় এখনো জানায়নি পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
রোববার বিকেল ৬টা ২০ নাগাদ নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে ফোন যায়। বলা হয়, রচেস্টারের একটি পার্কে বহু মানুষ একটি জমায়েতে যোগ দিয়েছেন। সেখানেই আচমকা গুলি চলতে শুরু করেছে। সকলে পালাচ্ছেন। অনেকরই বুলেট লেগেছে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ।
নিউইয়র্কের গির্জায় হামলা, বন্দুকধারীর মৃত্যু
হামলার উদ্দেশ্য বোঝা যায়নি৷ দু’ হাতে দুটো আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ধরা হামলাকারীর গুলি কারো গায়ে লাগেনি৷ পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তার৷
ছবি: Jeenah Moon/REUTERS
‘আমাকে হত্যা করো’
নিউইয়র্কে তখন বিকেল চারটা৷ ক্যাথেড্রাল অব সেইন্ট জন দ্য ডিভাইনের সিঁড়িতে ক্রিসমাস কনসার্ট সবে শেষ হয়েছে৷ শিল্পী, শ্রোতারা ঘরে ফিরছেন৷ হঠাৎ কালো জ্যাকেট পরা এক ব্যক্তির চিৎকার, ‘‘আমাকে হত্যা করো৷’’ কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোঁড়েন তিনি৷ তবে গুলি কারো গায়ে লাগেনি৷
ছবি: Jeenah Moon/REUTERS
পুলিশের দ্রুত ব্যবস্থা
রোববারের এ ঘটনার সময় গোয়েন্দা বিভাগের এক সার্জেন্ট এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন সেখানে৷ হামলাকারীকে লক্ষ্য করে ১৫ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন তারা৷ ওপরের ছবিতে হামলাকারীকে ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷
ছবি: Jeenah Moon/REUTERS
হামলাকারীর মৃত্যু
‘‘আমাকে হত্যা করো’’ বলে গুলি চালালেও হামলাকারী কাউকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন, নাকি ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছিলেন, তা বোঝা যায়নি৷ ওপরের ছবিতে গুলিবিদ্ধ হামলাকারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য৷ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন৷
ছবি: Jeenah Moon/REUTERS
নাম অপ্রকাশিত
হামলাকারীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি৷ তবে বার্তাসংস্থা এপি’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই ব্যক্তি অতীতে অনেকবার সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িয়েছেন৷ তার সঙ্গে থাকা ব্যাগে গ্যাসোলিনের কন্টেইনার, দড়ি, ছুরি আর বাইবেল পাওয়া গেছে৷ ছবিতে প্রাণ বাঁচাতে ছুটছে মানুষ৷
ছবি: Jeenah Moon/REUTERS
আতঙ্ক
হামলাকারীর দিকে গুলি ছুঁড়ছেন এক পুলিশ কর্মকর্ত৷ দূরে দাঁড়িয়ে গির্জার পরিস্থিতি দেখছেন দু’জন আতঙ্কিত মানুষ৷
ছবি: Jeenah Moon/REUTERS
5 ছবি1 | 5
ঘটনায় ২০ বছরের এক যুবকের মৃত্য়ু হয়েছে। আরেকজনের অবস্থা গুরুতর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি পাঁচজনের আঘাত তত বেশি নয়। তাদেরও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বন্দুকধারীর পরিচয় এখনো জানায়নি পুলিশ। ঘটনাস্থলে একাধিক অঞ্চলের পুলিশ উপস্থিত হয়েছে। গোটা এলাকা তারা ঘিরে দিয়েছে। বন্দুকধারীকে আদৌ গ্রেপ্তার করা গেছে কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়।
ঘটনার পর নাগরিক সমাজের একটি অংশ ফের বন্দুকের লাইসেন্স অবাধে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। জো বাইডেনের সরকার বন্দুক আইন নিয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা বলেছিল। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা সেভাবে কার্যকর হয়নি। আর তার মধ্যেই একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে অ্যামেরিকায়।