1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিউইয়র্কে ট্রাম্প-রুহানি বৈঠক হবে!

২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ট্রাম্প-রুহানির মধ্যে বৈঠক হতে পারে৷ রুহানির সাথে আলোচনার পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর বক্তব্যে এমন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে৷

ছবি: Getty Images/AFP/N. Kamm//A. Kenare

জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে বিশ্ব নেতারা এখন নিউইয়র্কে৷ বলতে গেলে একই ছাদের নীচে অবস্থান করছেন দুই বৈরি দেশের রাষ্ট্রনেতা যুক্তরাষ্ট্রের ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ইরানের হাসান রুহানি৷ সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলাকে ঘিরে সম্প্রতি দুই দেশের সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটেছে৷

এই হামলার জন্য শুরু থেকেই তেহরানকে দায়ী করে আসছে ওয়াশিংটন৷ গতকাল যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছে জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনও৷ তবে এই সংকট কূটনৈতিকভাবেই সমাধানের পক্ষে তারা৷ এজন্য ট্রাম্প-রুহানির মধ্যে নিউইয়র্কে একটি বৈঠক আয়োজনের জন্যেও তারা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷

‘সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না’

মঙ্গলবার ট্রাম্পের সাথে আলোচনার পরপরই রুহানির সাথে বৈঠক করেছেন মাক্রোঁ৷ এর আগে সোমবারও দুই নেতা ৯০ মিনিটব্যাপী আলোচনা করেছেন৷ 

ব্রিটিশ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার এক সাক্ষাতে রুহানি এবং জনসনকে উদ্দেশ্য করে মাক্রোঁ বলেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, যদি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে বৈঠক ছাড়াই তিনি (রুহানি) এই দেশ ত্যাগ করেন, তাহলে সুযোগটি হাতছাড়া হয়ে হবে৷ কারণ, এরপর আর কয়েক মাসের মধ্যে তিনি এখানে ফিরবেন না এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও তেহরান যাবেন না৷ কাজেই তাদেরকে এখনই আলোচনায় বসতে হবে৷’’

তাঁর এই কথায় সায় দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন৷ তিনি এজন্য মাক্রোঁকে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ দেন৷

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলও দুই দেশের আলোচনার উপর জোর দিয়েছেন৷ তবে ট্রাম্প-রুহানি প্রথম দেখাতেই যাতে কোনো শর্ত দিয়ে না বসেন সেই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ রুহানির সাথে দিনের শেষ ভাগে ম্যার্কেলের একটি আলাদা বৈঠকেরও কথা রয়েছে৷

কী বলছেন ট্রাম্প রুহানি

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র দুই দেশের মূল সমস্যাটি এখন আটকে আছে ২০১৫ সালে করা পরমাণু চুক্তিকে ঘিরে৷ গত বছর ট্রাম্প সেই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন৷ ইরানকে নতুন একটি চুক্তির জন্য চাপ দেয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অবরোধও আরোপ করেছেন তিনি৷ তবে ইরান ২০১৫ সালের চুক্তি পরিবর্তনের সম্ভাবনা বরারবরই নাকচ করে দিয়ে আসছে৷

তবে এখন তার বক্তব্যে এই অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত মিলছে৷ মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে রুহানি বলেন, ছোটখাট পরিবর্তন, সংযোজন অথবা নতুন সংশোধনে তিনি রাজি আছেন৷

আলোচনায় বসার সম্ভাবনা আরো জোরদার হচ্ছে ট্রাম্পের বক্তব্য থেকেও৷ তিনি সৌদি আরবে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থেকে ইরানের উপর চাপ প্রয়োগের জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আহবান যেমন জানিয়েছেন, তেমনি আবার শান্তির পক্ষেও কথা বলেছেন৷ জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জড়ো হওয়া নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘যে-কেউ যুদ্ধ বাধাতে পারে, কিন্তু সাহসীরাই শুধু শান্তিকে বেছে নিতে পারে৷’’

এফএস/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি, এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ