1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিউজিল্যান্ডে ধর্মঘটে ৫০ হাজার শিক্ষক

২৯ মে ২০১৯

বেতন বৃদ্ধি ও কাজের সময় কমিয়ে আনাসহ বিভিন্ন দাবিতে দেশব্যাপী ধর্মঘট পালন করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা৷ এই ধর্মঘটকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধর্মঘট বলছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম৷

Neuseeland Lehrer-Streik
ছবি: Getty Images/P. Walter

বাজেট প্রস্তাব পেশের আগের দিন বুধবার প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক এই ধর্মঘটে অংশ নেন৷ তবে এবারের বাজেটকে ‘কল্যাণকর বাজেট' হিসাবে প্রচার চালিয়ে আসছে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্দার্নের মধ্য-বামপন্থি সরকার৷

নিউজিল্যান্ডে সরকার ও শিক্ষকইউনিয়নগুলোর সঙ্গে দাবি আদায় নিয়ে এমন অচলাবস্থা দীর্ঘদিনের৷ শিক্ষকরা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে এলেও সরকার এটাতে সায় দিতে রাজি নয়৷ সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, বর্তমান হারেই চার বছরের মধ্যে শিক্ষকদের বেতনে ৭০৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়বে৷

‘‘গত এক দশকে ক্রমাগত অর্থের ঘাটতির কারণে শিক্ষকরা কম বেতন পাচ্ছেন এবং তাঁদেরকে বেশি সময় কাজ করতে হচ্ছে৷ এ কারণে অতীতের যে-কোনো সময়ের তুলনায় বেশি সংখ্যায় চাকরি ছাড়ছেন শিক্ষকরা,'' বলা হয়েছে আন্দোলনকারীদের এক বিবৃতিতে৷

সামাজিক সেবাখাত এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে সরকার যে নানাবিধ সমস্যা মোকাবেলা করছে, শিক্ষকদের এই ধর্মঘট সেটিকে সামনে নিয়ে এসেছে৷ বেতন বৃদ্ধিতে ধীরগতির বিপরীতে ব্যয় বাড়ায় কষ্টের সম্মুখীন হওয়ার কথা বলছেন আন্দোলনকারীরা৷

বাজেট ‘হ্যাকড'

বাজেট ঘোষণার দু'দিন আগেই এর কিছু অংশ প্রকাশ করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দল৷ আর এভাবে বাজেট প্রকাশ হওয়াকে ‘প্রক্রিয়াগত ও ক্রমাগত' সাইবার অ্যাটাক হিসাবে অভিহিত করেছে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট৷

দেশটির অর্থমন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল ম্যাখলউফ বুধবার বলেছেন, ৪৮ ঘণ্টায় সরকারের সিস্টেমে দুই হাজার আক্রমণ করেছে হ্যাকাররা৷ এর মাধ্যমে তারা বাজেটের কিছু অংশ পেয়ে গেছে৷

‘‘কেউ একজন ভেতরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়েছে এবং কিছু তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে৷ তবে পুরো বাজেট নিতে পারেনি,'' রেডিও নিউজিল্যান্ডকে বলেছেন তিনি৷

সাইবার অ্যাটাকের ঘটনা তদন্ত করার কথা জানিয়েছে পুলিশ৷

এদিকে কোনো ধরনের ‘বেআইনি কাজের' সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে নিউজিল্যান্ডের বিরোধী দল ‘ন্যাশনাল পার্টি'৷

‘‘ন্যাশনাল পার্টি যা করছে, তা যথাযথভাবে করছে৷ আমরা কোনো কিছু বেআইনিভাবে করিনি৷ আমাদের হাতে যেসব তথ্য আছে, সেগুলো পেতে কোনো হ্যাকিংয়ের ঘটনাও ঘটেনি,'' বলেছেন বিরোধী দলীয় নেতা সিমন ব্রিজস৷

এমবি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ