নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হামলায় নিহতদের শেষকৃত্য শুরু হয়েছে৷ বুধবার ছয়জনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে৷ বাকিদেরও চলতি সপ্তাহের ভেতরই দাফন সম্পন্ন করার কথা রয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
সিরিয়ার ভয়াবহ যুদ্ধের স্মৃতি পেছনে ফেলে এক বাবা তাঁর সন্তানকে নিয়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন শান্তির এক দেশে৷ শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয়ার এক বছরের মাথায় ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ' সেই ভূমিতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তাঁরা৷ ৪৪ বছরের সেই খালিদ মোস্তফা আর ১৫ বছরের হামজা মোস্তফাকে দাফনের মধ্য দিয়েই শুরু হল ক্রাইস্টচার্চে নিহতদের শেষকৃত্য৷
বুধবার সকালে স্বজনরা খাটে করে একে একে মোট ছয়জনের লাশ নিয়ে আসেন ক্রাইস্টচার্চের মেমোরিয়াল পার্কের কবরস্থানে৷ নামাজে জানাযা শেষে তাঁদের নামানো হয় কবরে৷ ‘‘মরদেহ যখন নীচে নামানো হচ্ছিল, সেই মুহূর্তটি ছিল আমার জন্য ভীষণ আবেগের৷'' অকল্যান্ড থেকে শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসে বলছিলেন গুলশাদ আলী৷ তাঁর মতো নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন প্রান্তের মুসলমান নারী-পুরুষেরা এসেছেন নিহতদের চিরবিদায় জানাতে৷ বুধবার মোট ছয়জনের মরদেহ কবর দেয়ার মধ্য দিয়েই ক্রাইস্টচার্চ হামলায় নিহতদের শেষকৃত্যের প্রথম পর্ব সমাপ্ত হয়৷ এই ঘটনায় পাকিস্তান, ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, সোমালিয়া ও আফগানিস্তানের অর্ধশত নাগরিক নিহত হয়েছেন৷ যার মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠ তিন বছরের এক সোমালি শিশুও ছিল৷
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুইটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ৫০ জন৷ স্থানীয় মুসলমানরা এই ঘটনায় যাতে আতঙ্কিত না হন সেজন্য তাদের দিকে সহানুভূতির হাত বাড়িয়েছেন অন্য ধর্মাবলম্বীরা৷
ছবি: Reuters/J. Silva
মসজিদে হামলা
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরে জুম্মার নামাজের সময় মসজিদে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় ডানপন্থি এক জঙ্গি৷ এতে ৫০ জন নিহত হন৷ আহত হয়েছেন আরো অনেকে৷ হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বের বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে আসতে থাকে সমবেদনার বার্তা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Matrixpictures
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশিরাও...
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঁচ জন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে৷ মোট দশ জন বাংলাদেশি এই হামলায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা৷ যার মধ্যে কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন৷ উপরের ছবিতে এক বাংলাদেশি নারীকে দেখা যাচ্ছে, শুক্রবারের পর থেকে তিনি তার স্বামীর সন্ধানে রয়েছেন৷
ছবি: Reuters/J. Silva
মানবিক ভূমিকায় নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
হামলার খবর প্রকাশিত হবার পর থেকে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন৷ তিনি ক্রাইস্টচার্চের একটি মসজিদে নিহতদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন, আক্রান্তদের পরিবারের সাথে সময় কাটান৷ তাদের আস্বস্ত করতে তিনি বলেন, ‘‘নিউজিল্যান্ড আসলে এমন নয়৷ আমার কাজ এখন আপনাদের ভালোবাসা, নিরাপত্তা আর সহযোগিতা দেওয়া, যাতে নির্দ্বিধায় আপনারা নিজেদের সংস্কৃতি আর ধর্মকে ধরে রাখতে পারেন৷’’
ছবি: Reuters/New Zealand Prime Minister's Office
‘মুসলমান ভাইদের পাশে’ পোপ
রোববারের প্রার্থনাসভায় নিউজিল্যান্ডের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের আত্মার প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন পোপ ফ্রান্সিস৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি নতুন করে নিহতদের জন্য সবাইকে প্রার্থনা করতে আহবান জানাচ্ছি৷ আমরা মুসলমান ভাইয়েদের পাশে আছি এবং হিংসা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে শান্তির বার্তা দিচ্ছি৷’’
ছবি: Imago/Zuma
‘পাহারায়’ অন্যান্য ধর্মের মানুষ
নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় খ্রিস্টান ও অন্য ধর্মাবলম্বীরা আক্রান্তদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন৷ মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের জন্য অনেকেই হালাল খাবার জোগাড় করে দিচ্ছেন৷ ভুক্তভোগীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন অনেকে৷ কেউ কেউ বলছেন যে, মুসলিমরা প্রার্থনা করার সময় প্রয়োজন হলে মসজিদের বাইরে থেকে তারা পাহারা দেবেন৷
ছবি: Reuters/J. Silva
পাশে দাঁড়িয়েছে ইহুদিরাও
তাহির নওয়াজ, নিউজিল্যান্ডের আন্তর্জাতিক মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার ধর্মের মানুষ ছাড়াও অসংখ্য খ্রিষ্টান ও ইহুদি আমাকে সমবেদনা ও সাহায্যের বার্তা পাঠাচ্ছেন৷ অন্য ধর্মের বেশ কয়েকজন নেতাও আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন৷’’ ওপরের ছবিতে এক ইহুদি নারীকে দেখা যাচ্ছে, যিনি তাঁর মুসলমান ভাইদের পাশে থাকার কথা বলছেন৷
ছবি: Reuters/R. U. Abbasi
আদিবাসীদের সমবেদনা
নিউজিল্যান্ডের অন্যতম আদিবাসী গোষ্ঠী মাওরি৷ শুক্রবারের হামলার পর, দেশের বিভিন্ন জায়গায় মৃতদের উদ্দেশ্যে শোক জানান তারাও৷ শুধু তাই নয়, আক্রান্তদের পাশে থাকার বহিপ্রকাশ হিসেবে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী ‘হাকা’ নাচও পরিবেশন করেন তারা, যা মাওরি সংস্কৃতির অংশ৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Getty Images/H. Peters
ছোট থেকে বড়- সবার চোখে জল
ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর থেকে নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় নিহতদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছেন সাধারণ মানুষ৷ মসজিদের সামনে জড়ো হয়ে ফুল দিয়ে বা মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা৷ বয়স, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকের মুখে ছিল শোকের ছায়া৷
ছবি: Reuters/E. Su
8 ছবি1 | 8
প্রধানমন্ত্রীর আবেদন
এদিকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এই গণহত্যার ঘটনার পর দ্বিতীয়বারের মতো ক্রাইস্টচার্চ পরিদর্শনে আসেন৷ এ সময় তিনি বলেন, ‘‘একটি পরিবার নিরাপত্তার জন্য এই দেশে এসেছে এবং তাদের এখানে নিরাপদেই থাকা উচিৎ৷'' আগামী শুক্রবার দেশটিতে মুসলমানদের জন্য প্রার্থনার আহ্বান জানান তিনি৷ এই আয়োজন জাতীয়ভাবে সম্প্রচার করা হবে৷ নিহতদের স্মরণে পালন করা হবে দুই মিনিটের নীরবতা৷ তিনি বলেন, ‘‘আগামী শুক্রবার যখন মুসলমান সম্প্রদায় মসজিদে ফিরবে তখন তাদেরকে সমর্থন জানাতে হবে৷''
হামলার শিকার দু'টি মসজিদের একটি আল-নূরকে শুক্রবারের জুম্মার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে৷ ৫০ জনের মধ্যে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে এসেই নিহত হয়েছেন ৪০ জন৷ মসজিদের কাছেই দেশটির মাওরি আদিবাসীরা সম্প্রীতির প্রকাশ হিসেবে তাদের ঐতিহ্যবাহী হাকা নৃত্য প্রদর্শন করে৷ আরেকটি দল সূর্যাস্তের সময় নিউজিল্যান্ডের জাতীয় সংগীত গাইতে থাকে৷
অস্ট্রেলিয়ার ইমামদের আহ্বান
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ইমাম কাউন্সিল শুক্রবারের জুম্মার নামাযের খুতবায় দেশটির ইমামদের প্রতি ক্রাইস্টচার্চ মসজিদের ঘটনায় নিহতদের স্মরণ করার আহ্বান জানিয়েছে৷ বলেছে, ‘‘বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে মুসলমান বা যে কোনো নীরিহ ব্যক্তি হামলার শিকার হলে সেটি সমস্ত মুসলমান এবং সমস্ত মানবজাতির উপরই হামলা৷ এটি শুধু মুসলমান বা নিউজিল্যান্ডের ট্রাজেডি নয়, এটি গোটা মানব সমাজ ও বিশ্বের জন্যই ট্রাজেডি৷ আমাদেরকে বিভক্ত করার জন্য এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়৷ যে পন্থায় বা যে আকারেই হোক না কেন আমরা এমন কর্মকাণ্ডকে প্রত্যাখ্যান করছি৷ তার বদলে আমরা একতাবদ্ধ ও শক্তিশালী থাকব৷''
বিশ্বজুড়ে নির্বিচার গুলিবর্ষণে যত হত্যা
মাঝে মাঝেই বিশ্বের নানা স্থানে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে মানুষ৷ সবশেষ তা ঘটেছে নিউজিল্যান্ডে৷ ২০০৭ সাল থেকে এমন ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/San Bernardino County Sheriff
১২ বছরে ৩০ হামলা
এক প্রতিবেদনে ২০০৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত নির্বিচার গুলিবর্ষণের ৩০টি বড় ঘটনা উল্লেখ করেছে রয়টার্স৷ এসব হামলায় বিশ্বজুড়ে ৮০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/San Bernardino County Sheriff
সবচেয়ে বেশি যুক্তরাষ্ট্রে
সবচেয়ে বেশি বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে৷ স্কুল, রেস্টুরেন্ট, চার্চ, এমনকি বাদ যায়নি ইমিগ্রেশন সেন্টারও৷ গত ১২ বছরে দেশটিতে ১৮ টি বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন মোট ৩৪৩ জন৷
ছবি: Getty Images/AFP/B. Smialowski
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলা
যুক্তরাষ্ট্রের বন্দুকধারীদের হামলার অন্যতম লক্ষ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ এর মধ্যে ২০০৭ সালে ভার্জিনিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটিতেই বন্দুকধারী সবচেয়ে বেশি ৩২ জনকে হত্যা করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Maury
নাইটক্লাব থেকে সংগীত উৎসব
১ অক্টোবর, ২০১৭৷ লাস ভেগাসে চলছিল সংগীত উৎসব৷ ৬৪ বছর বয়সি এক বন্দুকধারী পাশের হোটেলের ৩২ তলা থেকে শুরু করেন নির্বিচার গুলিবর্ষণ৷ ৫৮ জনের প্রাণ নিয়ে নিজেকেও হত্যা করেন এই প্রবীণ৷ এর আগে ১২ জুন, ২০১৬ সালে ফ্লোরিডার সমকামীদের একটি নাইটক্লাবে হামলার ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হয়৷
ছবি: Reuters/S. Nesius
বাদ যায়নি চার্চও
২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর রোববারের প্রার্থনা চলছিল তখন৷ বন্দুকধারী সেসময় টেক্সাসের ফাস্ট ব্যাপটিস্ট চার্চে হামলা চালায়৷ এতে ২৬ জন প্রাণ হারান৷ বন্দুকধারী ক্ষান্ত হন নিজেকে গুলি করে৷
১২৯ জনের মৃত্যু হয় ফ্রান্সে ১৪ নভেম্বর, ২০১৫ সালের হামলায়৷ একাধিক হামলাকারী গোটা প্যারিসজুড়ে সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালায়৷ তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট এর দায় স্বীকার করে৷
ছবি: picture-alliance/AP/C. Ena
হামলার শিকার বুরকিনা ফাসো
একাধিক বন্দুকধারী এই হামলাটি চালায় বুরকিনা ফাসোর একটি রেস্টুরেন্টে৷ ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারির ঘটনাটিতে ২৯ জন মারা যান৷
ছবি: Reuters/Reuters TV
টিউনিসিয়ায় দুই দফা
২৫ জুন ২০১৫ সালে ছাতায় লুকিয়ে বন্দুকসহ টিউনিসিয়ার একটি হোটেলে ঢুকে বিভিন্ন দেশের ৩৯ জনকে হত্যা করেন এক ব্যক্তি৷ একই বছরের মার্চে সামরিক বাহিনীর পোশাকে দেশটির জাতীয় জাদুঘরে প্রবেশ করে ২২ জনকে হত্যা করেন আরেক বন্দুকধারী৷ দুটি ঘটনারই দায় স্বীকার করে তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট৷
ছবি: Imago
কেনিয়ার শপিং মলে হামলা
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির একটি শপিং মলে ৬৭ জনকে হত্যা করে বন্দুকধারী৷ ২০১৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের এই ঘটনায় দেশটির প্রেসিডেন্টের স্বজনও মারা যান৷
ছবি: Reuters
নরওয়ের ইয়ুথ ক্যাম্পে হামলা
নরওয়ে৷ ২২ জুলাই, ২০১১ সাল৷ চলছিল দেশটির ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির ইয়ুথ সামার ক্যাম্প৷ পুলিশের পোশাক পরে বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে সেখানে ৬৯ জনকে হত্যা করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলা
জুম্মার নামাজ আদায়ের সময়ে দুটি মসজিদের মুসল্লিদের উপর গুলিবর্ষণে নিহত হন ৫০ জন, আহত ৪০ জন৷ গত ১৫ মার্চের এই ঘটনা নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ড৷
ছবি: Reuters/J. Silva
11 ছবি1 | 11
আন্তর্জাতিক তদন্ত
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এবং অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা ও ব্রিটেনের তদন্তকারীরা শুক্রবারের ঘটনায় অভিযুক্ত হামলাকারীর একটি প্রোফাইল তৈরি করছেন বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পুলিশ প্রধান৷ ‘‘আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি যে এটি আন্তর্জাতিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে'', গণমাধ্যমকে বলেন পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ৷ দু'টি মসজিদে হামলার পর অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয় নাগরিকের তৃতীয় একটি জায়গায় হামলার পরিকল্পনা ছিল বলেও জানান তিনি৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কারণে যা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন বুশ৷
এদিকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ২১ জনের মরদেহ সনাক্ত করা হয়েছে৷ দাফনের জন্য বুধবারের মধ্যে বাকিদের চিহ্নিত করার কাজও শেষ হবে বলেও জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে৷
এদিকে লাশ হস্তান্তরে দেরী হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতদের স্বজনেরা৷ এ ব্যাপারে বুশ বলেন, পুলিশকে বিচারের জন্য মৃত্যুর কারণ ও প্রমাণ সংগ্রহ করতে হচ্ছে৷ ‘‘হত্যার বিচারের জন্য মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে হবে৷ এটি একটি বিস্তৃত প্রক্রিয়া যা সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করার মাধ্যমেই সম্পন্ন করতে হবে৷‘‘
এই ঘটনায় আহত ২৯ জন এখনও হাসপাতালে রয়েছে, যার মধ্যে আটজনকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে৷