করোনা সময় ভারতের অর্থনীতি থেকে স্বাস্থ্যপরিষেবা-- সব বিষয়ের হাঁড়ির হাল স্পষ্ট করে দিয়েছে৷ ভবিষ্যৎ বিশেষ আলোকিত নয়৷
বিজ্ঞাপন
২১ দিন সময় চেয়েছিলেন৷ মাঝে কেটে গিয়েছে নয় মাস৷ নরেন্দ্র মোদীর ভারতে করোনা বৃত্তান্ত দিনে দিনে ফুলে ফেঁপে উঠেছে৷ আপাতত সকলেই তাকিয়ে আছেন টিকার দিকে৷ যদিও সেই টিকা কাহিনি কতটা সুখের হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে৷
মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে ভারতে করোনার তেজ ততটা বাড়েনি৷ দৈনিক সংক্রমণ হাজারেও পৌঁছায়নি৷ কিন্তু ইউরোপে তখন ভয়াবহ পরিস্থিতি৷ দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাই কয়েক হাজার৷ অ্যামেরিকাতেও করোনা থাবা বসিয়েছে তত দিনে৷ বিভিন্ন দেশ ইউরোপ এবং অ্যামেরিকার সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ করতে শুরু করেছে৷ দুর্জনরা বলে, ট্রাম্পের ভারত সফরের জন্য অপেক্ষা করছিল সরকার৷ সফর কেটে গেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী 'জনতার কার্ফিউ' ঘোষণা করেন৷ প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, একদিন সকলে বাড়িতে বসে থাকলে করোনার চেন ভাঙা সম্ভব৷
জনতার কার্ফিউ সফল হয়েছিল৷ তবে এক দিনে করোনার সংক্রমণে বিশেষ পরিবর্তন হয়নি৷ এর কয়েকদিনের মধ্যেই মোদী ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন৷ ওই ২১ দিনে করোনার চেন ভাঙবে এবং সকলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ ২১ দিনে করোনার চেন ভাঙেনি৷ লকডাউনও ২১ দিনে ওঠেনি৷ প্রায় দেড় মাস কমপ্লিট লকডাউনে ভারতের রাস্তায় রাস্তায় ইতিহাস তৈরি হয়েছে৷
রাজপথ দেখেছে ভুখা মিছিল৷ হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক হাজার হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটে ফেরার চেষ্টা করেছেন৷ গরমে, অনাহারে রাস্তাতেই মৃত্যু হয়েছে অনেকের৷ এখনো পর্যন্ত যার কোনো পরিসংখ্যান সরকার তৈরি করে উঠতে পারেনি৷ সংসদে কোনো তথ্য দিতে পারেনি৷ প্রথম দিকে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে সরকার সে ভাবে চিন্তাও করেনি৷ কিন্তু মৃত্যুমিছিল শুরু হওয়ার পরে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের খানিকটা টনক নড়ে৷ ঠিক হয়, পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ট্রেন চালানো হবে৷ সেই ট্রেন থেকেও নামতে থাকে শ্রমিকদের লাশ৷ দেশভাগের পর ভারতের রাস্তা দিনের পর দিন ধরে এত মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেনি৷
একদিকে যখন পরিযায়ী শ্রমিকদের হাহাকার চলছে, ঠিক তখনই মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত চাকরি হারাতে শুরু করে৷ মাত্র কয়েক মাসে ১২ কোটি মানুষ কাজ হারান৷ তারও বেশি মানুষের বেতন কমে যায়৷ ভারতের অর্থনীতি লকগেটের সামনে এসে দাঁড়ায়৷ সরকারি হিসেবে ২০২০ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে প্রায় ২৪ শতাংশ জিডিপি নেমে যায়৷ করোনার সময়ে গোটা বিশ্বের কোনো দেশে এই পরিমাণ জিডিপির পতন হয়নি৷ লকডাউনের পর অর্থনীতির সামান্য উন্নতি হয়েছে৷ কিন্তু অর্থনীতির পতনের ট্রেন্ড কমেনি৷ তৃতীয় কোয়ার্টারে ভারতীয় অর্থনীতির আরো সাত শতাংশ পতন হয়েছে৷
অর্থনীতির এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্যই সরকার লকডাউন তুলতে বাধ্য হয়৷ যখন তোলা হয়, ভারতে তখন দৈনিক করোনা সংক্রমণের পরিমাণ বিশ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ যত দিন গিয়েছে, সংক্রমণ বাড়তে বাড়তে দৈনিক প্রায় এক লাখে গিয়ে পৌঁছেছে৷ গোটা ভারত জুড়ে কার্যত এক প্যানডেমোনিয়াম তৈরি হয়৷ বোঝা যায়, দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বেহাল দশা৷
সরকারি হাসপাতালে জায়গা নেই৷ বেসরকারি হাসপাতালে পকেট ফাঁকা করে দেয়৷ সঙ্গে রয়েছে অশুভচক্র৷ দিল্লির মতো রাজধানী শহরেও দালালচক্র কার্যত ওপেন সিক্রেট হয়ে গিয়েছে৷ লাখ লাখ টাকা ডিপোজিট না করলে হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না, এই অভিযোগও উঠেছে৷ বিভিন্ন কোভিড সেন্টারের বেহাল দশা সামনে এসেছে৷ সেখানে ধর্ষণ পর্যন্ত হয়েছে৷ দিল্লির সরকারি হাসপাতালের দশা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ধমক খেতে হয়েছে সরকারকে৷ সরকার বিশেষ কোনো ব্যবস্থা নিয়ে উঠতে পারেনি৷ আশ্বাস দিয়েছে দ্রুত টিকা সরবরাহের৷
এই মুহূর্তের যা পরিস্থিতি, তাতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই টিকা পাবে ভারত৷ কিন্তু কী ভাবে সেই টিকা দেওয়া হবে৷ কারা আগে পাবেন? টিকার দাম কে দেবে, কোন সংস্থার টিকা কোথায় যাবে-- কোনো বিষয়েই সরকার স্থির কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে উঠতে পারেনি৷ সব বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্য এক মত হয়নি৷ ফলে অচিরেই যে টিকা নিয়ে রাজনীতি বেশি হবে এবং কাজ কম হবে, এ বিষয়ে কারো মনে কোনো দ্বিধা নেই৷
এক কথায় ভারতের করোনা এক নতুন রাজনীতির জন্ম দিয়েছে৷ অদূর ভবিষ্যতে ইতিহাস যাকে করোনা রাজনীতি বলেই চিনবে৷
তবে প্রদীপের নীচে অন্ধকার থাকলে এক চিলতে আলোর সূত্রের প্রয়োজন হয়৷ করোনার সময় ভারতে প্রচুর সফল স্টার্টআপ তৈরি হয়েছে৷ বাড়িতে বসে অনেকেই সফল ব্যবসা শুরু করতে পেরেছেন৷ স্যানিটাইজার, মাস্ক তৈরি কার্যত কুটির শিল্পে পরিণত হয়েছে৷ স্টার্টআপ কোম্পানির সহায়তায় চাষী অনলাইনে জমির ফসল বিক্রি করেছেন৷ নিউ নর্মাল যুগে এ সব স্টার্টআপই ক্রমশ নর্মাল হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বহু বিশেষজ্ঞ৷ অবশ্য বাস্তব কোন পথে চলবে, সেই ভবিষ্যদ্বাণী সহজ নয়৷
২০২০ সালকে যেভাবে মনে রাখবে ভবিষ্যৎ
ক্যালেন্ডার বদলানো আর আট-দশটা বছরের মতো নয় ২০২০৷ শুধু নিকট ভবিষ্যৎ নয়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বারবার গল্প হয়ে ফিরবে সালটি৷ সেই গল্পের বিষয়বস্তুগুলো কী হতে পারে দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters/J. Malone
‘অজানা’ এক ভাইরাস এসেছিল
২০১৯ সালের শেষে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের মানুষেরা অজানা অসুখে ভুগতে শুরু করে৷ গণমাধ্যমে একটু-আধটু সেই খবর আসতে শুরু করলেও কে ভেবেছিল পরবর্তী এক বছর গোটা বিশ্বকে তা নাড়িয়ে দেবে! ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে উহানের স্বাস্থ্য কমিশন নিউমোনিয়া ছড়িয়ে পড়ার কথা জানায়৷ পাঁচ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সংক্রান্ত প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷
ছবি: Getty Images/AFP/STR
নাম সার্স-কোভ-টু
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নতুন এই করোনা ভাইরাসের নাম দেয় সার্স-কোভ-টু৷ আর এর থেকে সৃষ্ট রোগের নাম কোভিড-১৯৷ ১২ জানুয়ারি ভাইরাসটির জিন রহস্য প্রকাশ করে চীন৷ তখন পর্যন্ত সেটি কিন্তু চীনবন্দিই ছিল৷ একদিন পরই প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে থাইল্যান্ডে৷ এরপর আর আটকে রাখা যায়নি ক্ষুদে সেই দানবকে৷
ছবি: Reuters/NEXU Science Communication
নীরব ঘাতক
প্রথম ধরা পড়ার ৪৭ দিনের মাথায় চীনে ৬৬ হাজার মানুষকে ভাইরাস আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়৷ মারা যান ১৫০০ জন৷ শহর থেকে শহরে, দেশ থেকে দেশে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ছড়িয়ে পড়ে নভেল করোনা৷ সংক্রমণ বাড়তে থাকে লাফিয়ে লাফিয়ে৷ মৃত্যুর খাতায়ও দৈনিক যোগ হতে থাকে কয়েক হাজার সংখ্যা৷ স্মরণকালে এমন মহামারির মুখোমুখি হয়নি মানুষ৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Maohua
কাছে আসতে মানা
ঔষধ নেই, প্রতিষেধক নেই৷ কিভাবে রোখা যাবে এই ভাইরাসকে, সেটি বড় প্রশ্ন হয়ে উঠে৷ দেয়া হয় মানুষে-মানুষে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ৷ ব্যবধান রাখতে হবে দেড় থেকে দুই মিটার, যার নাম দেয়া হয় ‘সামাজিক দূরত্ব’৷ গোটা পৃথিবীর চেহারা আর যোগাযোগের ধরনটাই রাতারাতি বদলে যায় তাতে৷
ছবি: Reuters/A. Kelly
হ্যান্ডশেকে বাধা
সৌজন্য হিসেবে হ্যান্ডশেক বা হাত মেলানোর রীতিকে বিদায় জানায় মানুষ৷ তার বদলে সৌজন্য আর উষ্ণতা প্রকাশের অভিনব সব উপায়ও তারা বের করে৷ কেউ মুষ্টিবদ্ধ হাত মেলায়, কেউবা কনুই, আবার হাতের বদলে পায়ে-পায়ে স্পর্শেরও চল দেখা যায়৷ তবে দূরে দাঁড়িয়ে মৌখিকভাবে সৌজন্য প্রকাশই নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত হয়৷
ছবি: Reuters/FIDE/M. Emelianova
মাস্ক যখন পরিধেয়
মাস্ক পরলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যায় কিনা শুরুতে এ নিয়ে বিতর্ক উঠেছিল৷ কিন্তু একে একে সব দেশ জনপরিসরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সবার মাস্ক পরার পক্ষে মত দেয়৷ সংস্কৃতি ভেদে পোশাকে ভিন্নতা থাকলেও সারা বিশ্বেই মাস্ক হয়ে উঠে অপরিহার্য পরিধেয়৷
ছবি: Getty Images/NYFW - The Shows
যারা সুপারহিরো
করোনার বিরুদ্ধে এক অসম লড়াইয়ে নামতে হয় চিকিৎসকদের৷ দেশে দেশে নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাবের মধ্যেই অচেনা শত্রুর বিরুদ্ধে কঠিন এক যুদ্ধের মুখোমুখি হন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ অন্যকে বাঁচানোর সেই চ্যালেঞ্জে অনেকেই জীবন দেন৷ লকডাউনে তাদের প্রতি নানা উপায়ে ধন্যবাদ আর ভালোবাসা জানাতে ভোলে না বিভিন্ন দেশের কৃতজ্ঞ মানুষেরা৷
ছবি: Reuters/S. Vera
বিচ্ছিন্ন পৃথিবী
এত কিছুর পরও ঠেকানো যায়নি সংক্রমণ, থামছিল না মৃত্যুর মিছিলও৷ লাগাম ধরতে দেশে দেশে চলে লকডাউন৷ সীমান্তে আরোপ করা হয় কড়াকড়ি৷ বন্ধ হয়ে যায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অর্থনৈতিক আর বিনোদনমূলক সব কর্মকাণ্ড৷ ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর পুঁজিবাজারগুলোর লেনদেনে লাগে সবচেয়ে বড় ধাক্কা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/T. Camus
ব্যালকনি বা অনলাইন কনসার্ট
আশাহীন সময়েও মানুষ আনন্দে বাঁচার উপায় ঠিক খুঁজে নেয়৷ স্পেন, ইটালিসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ঘরবন্দি মানুষেরা ব্যালকনিতে কনসার্ট জমিয়ে ফেলে৷ অনলাইনে ডুব দেয়া মানুষকে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে নানাভাবে বিনোদিত করার চেষ্টা করেন তারকারাও৷
ছবি: AFP/P. Singh
প্রকৃতির ফুরসত
আধুনিক জীবনযাত্রার চাপে কোণঠাসা প্রকৃতি যেন এই দফা হাঁফ ছেড়ে বাঁচে৷ বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ যখন ঘরবন্দি, তখন নিজেকে নতুন করে ফিরে পাওয়ারই তো তার সময়৷ কোনো কোনো নির্জন মহানগরীর বুকে এমনকি বুনো প্রাণীরাও নেমে আসে৷ আর গবেষণায় দেখা যায়, ২০২০ সালে বিশ্বের কার্বন নিঃসরণ সাত ভাগ কমেছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে নতুন রেকর্ড৷
ছবি: picture-alliance/empics/P. Byrne
পড়তি ঢেউ
আক্রান্ত আর মৃত্যুর রেখাচিত্র জুন নাগাদ নামতে শুরু করে৷ ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেয় দেশগুলো৷ শুরু হয় ব্যবসা-বাণিজ্য, যাতায়াত৷ খুলে দেয়া হয় এয়ারপোর্ট৷ কিন্তু এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার পৌঁছে যায় মহামন্দার সময়ের পর সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক সাত ভাগে৷ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর দারিদ্র্য বিমোচনে বিগত দেড় দশকের অর্জন ম্লান হয়ে যেতে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/J. Merida
দর্শকবিহীন খেলা
আন্তর্জাতিক সিরিজ বা বিভিন্ন লিগের খেলা হবে, অথচ মাঠে দর্শক থাকবে না- অন্য সময় হলে এমন কথা বললে সেটি নির্ঘাত উদ্ভট শোনাতো৷ অথচ ২০২০ সালে ইউরোপীয় ফুটবল লিগ কিংবা আইপিএলসহ বিভিন্ন ক্রীড়া আসর অনুষ্ঠিত হয় স্টেডিয়ামে শূন্য বা সীমিত দর্শক উপস্থিতি নিয়ে৷
ছবি: Angel MartinezGES/picture alliance
দ্বিতীয় ঢেউ
শীতের মৌসুমে বিভিন্ন দেশে নভেম্বর থেকে নতুন করে বাড়তে শুরু করে করোনার প্রকোপ৷ এই ধাক্কায় আবার বিপর্যস্ত ইউরোপ৷ একে একে আবারো লকডাউনে ফিরে দেশগুলো৷ শুধু তাই নয় যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়, যেটি আগের চেয়েও দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ঘটায়৷এ কারণে নতুন করে ব্রিটেনের সঙ্গে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় বিভিন্ন দেশ৷
ছবি: Sebastian Kahnert/dpa/picture alliance
অসম্ভবকে সম্ভব
একটি ভ্যাকসিন উদ্ভাবন থেকে শুরু করে পরীক্ষা- সবগুলো ধাপ পেরিয়ে সরবরাহ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ বছর সময় লাগে৷ কিন্ত এক বছরের কম সময়ে একাধিক ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করেন বিজ্ঞানীরা৷ ডিসেম্বর থেকেই কয়েকটির প্রয়োগ শুরু হয় দেশে দেশে৷ করোনার অন্ধকার এক টানেলের যাত্রা দিয়ে ২০২০ সালের সূচনা হলেও, বিদায়টা হয় শেষ প্রান্তে টিকার আলোতে৷
এফএস/এসিবি