টোকিওর কাছে ১৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার এলাকায় পিজন কর্পোরেশনের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে কাজে মগ্ন ১০০ জন গবেষক৷ শিশুদের দুধের বোতলের চুচুক বা নিপলকে কীভাবে স্তনবৃন্তের নিখুঁত আকৃতি দেয়া যায়, সেটাই তাঁদের গবেষণার বিষয়৷
বিজ্ঞাপন
জাপানি প্রতিষ্ঠান ‘পিজন' কর্পোরেশন শিশুদের ব্যবহার্য বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করছে গত ৬০ বছর ধরে৷ প্রতি বছর তারা প্রায় ১০ কোটি নিপল তৈরি করছে৷ জাপানের মোট চাহিদার ৮০ শতাংশই জোগাচ্ছে এ প্রতিষ্ঠান৷
জাপানে জন্মহার ক্রমাগত কমতে থাকায় সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বাইরে ব্যবসা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে পিজন৷ চলতি বছর তাদের যে আয় হবে তার অর্ধেক জাপানের বাইরে থেকেই আসবে বলে কর্তৃপক্ষের ধারণা৷ পরিকল্পনা মাফিক সব কিছু হলে ২০২০ সাল নাগাদ পুরো বিশ্বের নিপলের চাহিদার ৫০ শতাংশ পিজনের কারখানা থেকেই মেটানো হবে৷
সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই আরো উন্নত, আরো নিখুঁত নিপল তৈরির ‘সাধনা' করে যাচ্ছেন পিজনের সুকুবামারিয়া প্ল্যান্টের কর্মীরা৷ গবেষকরা সেখানে শব্দ তরঙ্গ দিয়ে মাতৃদুগ্ধ পানরত শিশুদের মুখের নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করছেন৷ তাঁরা বুঝতে চাইছেন, কেমন নিপল তৈরি করলে বাচ্চারা দুধ খাওয়ার সময় মায়ের বুকের সঙ্গে পার্থক্য বুঝতে পারবে না৷
আগে এ কাজের জন্য বোতলের নীচে বসানো ক্যামেরা ব্যবহার করা হলেও এখন শব্দ তরঙ্গ দিয়েই পর্যবেক্ষণের কাজটি তাঁরা করতে পারছেন৷ এটাও পিজনের গবেষণার একটি সাফল্য৷
‘শিশু কাঁদলে, তাকে কোলে তুলে নিন’
বাচ্চা কাঁদলে কোলে তুলে নেয়াটাই স্বাভাবিক, বিশেষ করে উপ-মহাদেশের বাবা-মা এবং পরিবারের মানুষদের কাছে৷ এ নিয়ে তাঁদের মনে কোনো প্রশ্ন নেই৷ কিন্তু জার্মানিতে? চলুন বিস্তারিত জানা যাক এই ছবিঘর থেকে৷
ছবি: Fotolia/st-fotograf
শিশুরা কাঁদে কেন?
যে কোনো শিশুই চিৎকার করে কেঁদে তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার খবর জানিয়ে দেয়৷ তারপরও কারণে-অকারণেই ওরা কাঁদে৷ এই সুন্দর ভুবনের সাথে মানিয়ে নিতে ওদের যেমন কিছুটা সময় লাগে, তেমনই নতুন মা-বাবারও লাগে খানিকটা সময় সব কিছু গুছিয়ে নিতে৷ যা খুবই স্বাভাবিক৷
ছবি: Fotolia/S.Kobold
আমার কান্না কেউ কি শুনছে না?
মাঝে মাঝে শিশুরা চিৎকার করে ওঠে, বিশেষ করে কাছাকাছি অনেকক্ষণ কোনো শব্দ শুনতে না পেলে৷ অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই হয়ত তখন কাঁদে তারা৷ মজার ব্যাপার, ঐ মুহূর্তে কেউ কাছে গিয়ে কথা বললে বা কোলে তুলে নিলে সাথে সাথেই শিশুদের কান্না থেমে যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাঙালি বাবা-মায়ের সন্তান
দেশে সন্তান জন্মের পর থেকেই সে বাচ্চা কোলে কোলে থাকে৷ বাচ্চা কাঁদুক আর না কাঁদুক৷ নতুন মা সারাক্ষণই তাঁর শিশুটিকে নিয়ে ব্যস্ত আর সেই শিশু সর্বক্ষণই পেয়ে থাকে মায়ের শরীরের উষ্ণতা৷ শিশুকে কোলে নেওয়ার জন্য বাবা-মা ছাড়াও আত্মীয়স্বজন থাকেন৷ এছাড়া, বাচ্চাকে শুধু দেখাশোনা করার জন্য আলাদা লোকও অনেক সময় রাখা হয়৷
ছবি: picture-alliance/Joker
জার্মান শিশু
জার্মানিতে কোনো শিশু কাঁদলেই চট করে কোলো তুলে নেওয়া হতো না কয়েক বছর আগ পর্যন্তও৷ শিশু কাঁদলে ওকে শুইয়ে রাখা হতো৷ এক সময় সেই ছোট্ট শিশু কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পরতো৷ কারণ, মা সারাক্ষণ বাচ্চাকে কোলো নিলে বাড়ির অন্য কাজ কে করবে? রাতে প্রতিদিন ঘড়ি ধরে একই সময়ে বাচ্চাকে বিছানায় শুইয়ে দেওয়া হতো ঘর অন্ধকার করে৷ বলা বাহুল্য জার্মানিতে গ্রীষ্মকালে প্রায় ১১টা পর্যন্ত বাইরে সূর্যের আলো থাকে৷
ছবি: Getty Images/Afp/Timothy Clary
সময় পাল্টেছে, বদলেছে চিন্তাধারা
একদিকে যেমন জার্মানির মতো উন্নত দেশগুলিতে প্রযুক্তি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশেরও কিছু বিষয় গ্রহণ করতে শুরু করেছে তারা৷ শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. গেন কামেদা বলেন, পশ্চিমের সংস্কৃতিটা এমন যে শিশুরা মায়ের শরীরের উষ্ণতা কম পায়, কারণ এ দেশে বাচ্চারা বিছানায় বেশি সময় থাকে আর এটাই হয়ত শিশুদের রাতে কান্নাকটি করার বড় কারণ৷
ছবি: Yuri Arcurs/Fotolia
নতুন বাবা-মা
নতুন মা-বাবার নানা প্রশ্ন, শিশুটির কান্নার কারণ তাঁরা বুঝতে পারেন না৷ ক্ষুধা, শরীর খারাপ, ক্লান্ত নাকি আদর, কি চায় বেবিটি? আসলে শরীরের উষ্ণতা পেলে শিশুরা সব কিছুই ভুলে যায়, যদি না বড় কোনো শারীরিক কষ্ট থেকে থাকে, বলেন ডা. কামেদা৷ তাঁর পরামর্শ, পিতা-মাতা হলে অনেককিছুই বাদ দিতে হয়, তাই বাইরে গেলে শিশুকে কোলে করে সঙ্গে নেবার চেষ্টা করবেন – যাতে শিশুটি শরীরের উষ্ণতা পায়৷
ছবি: Fotolia/detailblick
ডাক্তারের পরামর্শ
নতুন বাবা-মায়ের জন্য ডাক্তার কামেদার আরো পরামর্শ, শিশুর কাছাকাছি থাকুন, শিশুকে সময় দিন, কোলে তুলে নিন৷ অল্প কিছুদিন পরেই দেখবেন, শিশু শুধু কাঁদেই না, বরং খুব শীঘ্রই তারা হাসতে শিখবে, হাসাবে মা-বাবাকেও৷
ছবি: Fotolia/st-fotograf
7 ছবি1 | 7
ইয়ুচি নাকাতার সাধনা
কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ইয়ুচি নাকাতা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে যখন এই সাধনা শুরু করেন, তখন এত উন্নত প্রযুক্তি ছিল না৷ শিশুদের চাহিদা আর স্তনবৃন্তের গঠন বুঝতে টানা ছয় বছর তিনি চষে বেড়িয়েছেন পুরো জাপান৷ অন্তত এক হাজার মায়ের বুক থেকে তিনি দুধ পান করেছেন, এ জন্য কখনো কখনো টাকাও দিয়েছেন৷
ইয়ুচি নাকাতার নাতি, পিজনের সিঙ্গাপুর অফিসের বর্তমান এমডি ইউসুকে নাকাতা বলেন, ‘‘দুধ পান করার প্রস্তাব দিতে গিয়ে আমার দাদাকে চড়ও খেতে হয়েছে৷ আমাদের একটাই লক্ষ্য – বোতলের নিপলকে যতটা সম্ভব স্তনবৃন্তের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া৷''
বর্তমানে পিজনের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রে ২০০ মা তাঁদের বাচ্চাদের নিয়ে গবেষণায় অংশ নিচ্ছেন৷ এজন্য তাঁরা টাকাও পাচ্ছেন৷
ইউসুকে নাকাতা বলেন, ‘‘বোতল মুখে নেয়ার পর শিশুরা বলতে পারে না, কোথায় তাদের সমস্যা হচ্ছে৷ আমরা শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে তাদের মুখ ও জিভের নড়াচড়া থেকে সে বিষয়টিই বোঝার চেষ্টা করছি৷''
পিজনের মহা ব্যবস্থাপক সাতোরু সাইতো এ কোম্পানিতে কাজ করছেন ১৭ বছর ধরে৷ তিনি জানান, তাদের প্রথম নিপলটি তৈরি করা হয়েছিল রাবার দিয়ে৷ কিন্তু সেগুলো দ্রুত ফেটে যেত৷ এখন তারা তৈরি করছেন সিলিকনভিত্তিক নিপল, যা অনেক বেশি নরম ও স্থিতিস্থাপক৷
বিভিন্ন দেশের শিশুদের লেখা শেখার কৌশল
বিভিন্ন দেশে শিশুদের শেখার ধরণ ভিন্ন ভিন্ন৷ জার্মানিতে এই হেমন্তেই শিশুদের লেখা শেখার একটি নতুন নিয়ম চালু হয়েছে৷ কোন দেশের শিশুদের কীভাবে লেখায় হাতে-খড়ি হয়, চলুন সে বিষয়ে জানা যাক৷
ছবি: picture-alliance/dpa
চীন: যত তাড়াতাড়ি লেখা শেখা যায়, তত ভালো
চীনে তিন বছর বয়স হলে বাচ্চাদের কিন্ডারগার্টেনে পাঠানো হয় অক্ষরজ্ঞান শেখার জন্য৷ তবে শিশুরা ঠিকমতো লেখা শিখতে শুরু করে ছয় বছর বয়সে৷ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বাচ্চাদের দশ হাজার অক্ষর শিখে ফেলতে হয়, যা বেশ কঠিন৷ পরে যা শিখতে হয় তার তেমন কোনো নির্ধারিত নিয়ম নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জাপান: স্কুল ফাইনাল শেষ হওয়া পর্যন্ত
ক্লাস ওয়ান শেষ হওয়া মানেই কিন্তু লেখা শেখা শেষ নয় জাপানে৷ সেখানে ক্লাস নাইন পর্যন্ত সিলেবাসেই থাকে নির্ধারিত কিছু অক্ষর শেখার নিয়মকানুন৷ জাপানে লিখতে পারার জন্য একজনকে মোটামুটি ২১০০ অক্ষর জানতে হবে৷ জাপানে লেখা জানার জন্য নিয়মিত অনুশীলন করতে হয়, তা না হলে কোনো না কোনো অক্ষর খুব সহজেই ভুলে যেতে পারে যে কেউ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিশর: একটি ‘নতুন’ ভাষা
মিশরের বাচ্চাদের লেখা শেখার সাথে সাথে একটি নতুন ভাষাও শিখতে হয়৷ কারণ সেখানে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে৷ যার ফলে, সেখান থেকে শুদ্ধ আরবি ভাষাকে আলাদা করা বেশ অসুবিধা৷ এছাড়া, সেখানকার কোনো স্কুলে ক্লাসে প্রতি ৮০ জন করে ছাত্র থাকে৷ ফলত লেখাপড়ার মান নীচু হয়৷ এর জন্য অনেক ছাত্র কখনোই ঠিকমতো লিখতে বা পড়তে পারে না৷
ছবি: Fotolia/Ivan Montero
মরক্কো: শুধু আরবি ভাষা নয়
বেশি দিন আগের কথা নয়, যখন মরক্কোর স্কুলে বাচ্চারা শুধু আরবি ভাষা শিখতো৷ তবে ২০০৪ সাল থেকে এর পরিবর্তন হয়েছে৷ তখন থেকেই ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাদেরও হিব্রু ভাষার পাশাপাশি তামাসিখট ভাষাও শিখতে হয়৷ গ্রামাঞ্চলে অক্ষরজ্ঞান নেই এবং শুধু হিব্রু ভাষায় কথা বলে, এ রকম মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে৷ ২০১১ সাল থেকে তামাসিখট ভাষাকে সেখানকার স্বীকৃত ভাষা হিসেবে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
ছবি: picture alliance/Ronald Wittek
পোল্যান্ড: শূন্য থেকে শুরু
পোল্যান্ডে স্কুল শুরু হয় ক্লাস ওয়ান থেকে নয়, শূন্য থেকে৷ স্কুলে যাবার আগেই প্রতিটি শিশুর শূন্য ক্লাসে বা কিন্ডারগার্টেনে যাওয়া বাধ্যতামূলক এবং তখন খেলার ছলে বাচ্চাদের অক্ষরজ্ঞান দেওয়া হয়৷ অবশ্য ঠিকমতো লেখা শেখা শুরু হয় ক্লাস ওয়ান থেকেই৷ তবে কোনো কোনো অক্ষর খুব ভালো করে শিখতে বা মনে রাখতে হয়, কারণ সেগুলোর উচ্চারণ প্রায় একই রকম৷ এক্ষেত্রে বাংলার ‘ন’ এবং ‘ণ’ অক্ষরের সাথে তুলনা করা যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/PAP
সার্বিয়া: ভাষা এক, লেখা দু’রকম
সার্বীয় ভাষা সিরিলিক এবং ল্যাটিন অক্ষরে লেখা হয়, তাই বাচ্চাদের ছোটবেলা থেকেই একসাথে দু’রকম লেখা শিখতে হয়৷ ক্লাস ওয়ানে শিখতে হয় সিরিলিক অক্ষর, তারপর ল্যাটিন৷ কয়েক বছর পর ছাত্ররা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে তারা কোন ভাষাকে প্রাধান্য দিতে চায়৷
ছবি: DW/D. Gruhonjic
জার্মানি: শুনে শেখা
২০ বছর আগে থেকেই এই সিস্টেম বা মাধ্যমে বহু স্কুলে লেখা শেখানো হয়ে থাকে৷ শেখার সুবিধার জন্য বোর্ডে একটি জানালার ছবির পাশে শুধু ‘জ’ বা ঘড়ির পাশে ‘ঘ’ লেখা হয়৷ বাকিটা শিখতে হয় শুনে শুনে৷ সমালোচকদের অভিযোগ, এভাবে অনেক বাচ্চার পক্ষেই ঠিকমতো লেখা শেখা সম্ভব নয়৷ তবে এই নিয়মে পড়া শেখার ব্যাপারে কিন্তু তাড়াতাড়ি সাফল্য এসেছে৷
ছবি: Grundschule Harmonie
7 ছবি1 | 7
শান্তির পায়রা
৪২ বছর বয়সি ইউসুকে নাকাতা জানান, বিশ্বযুদ্ধের সেই দিনগুলোতে তাঁর দাদা কাজ করতেন মাঞ্চুরিয়ার এক আপেল খামারে৷ ১৯৪৭ সালে রুশ সেনারা তাঁকে ধরে সাইবেরিয়ায় চালান করে দেয়৷ বছরখানেক পর তিনি সেখান থেকে জাপানে ফেরেন এবং এক চীনা ব্যবসায়ীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে৷ আর তাঁর সঙ্গেই যৌথভাবে শুরু হয় ইয়ুচি নাকাতার দুধের বোতলের ব্যবসা৷
‘‘বিক্রি কমে যাওয়ায় সেই চীনা ভদ্রলোক ব্যবসা ছেড়ে দেন৷ তবে আমার দাদা ঠিকই লেগে ছিলেন৷ তখন জাপান যুদ্ধ পরবর্তী পুনর্গঠনে ব্যস্ত৷ দাদার বিশ্বাস ছিল, এই সময়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি নারী কাজ করতে বাধ্য হবে এবং তাঁদের সন্তানের জন্য দুধের বোতলের প্রয়োজন হবে৷''
ইয়ুচি নাকাতা এমন একটি ব্যবসা দাঁড় করাতে চেয়েছিলেন, যা যুদ্ধের অতীত পেছনে ফেলে শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে সহায়ক হবে৷ এ কারণে তিনি প্রতিষ্ঠানের নাম পিজন – অর্থাৎ শান্তির প্রতীক পায়রা৷
এখন পিজনের মোট আয়ের এক চতুর্থাংশ আসে নিপল বিক্রি করে৷ গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ৭৬ কোটি ডলারের ব্যবসা করেছে, কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৮ বিলিয়ন ডলার৷