নিখোঁজদের মধ্যে অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্কদের সংখ্যা ‘ভীতিজনক', বলেছেন জার্মান রেডক্রসের প্রেসিডেন্ট৷ তবে নিখোঁজ অভিবাসীদের অনেকে জার্মানি যাওয়ার পথে প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারে, বলে রেডক্রসের ধারণা৷
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার জার্মান রেডক্রস (ডিআরকে) জানায় যে, ২০১৭ সালে তাদের কাছে নিখোঁজ অভিবাসীদের খোঁজে ২,৭০০টি তল্লাশি এসেছে – নিখোঁজ ব্যক্তিরা জার্মানিতে এসেছেন কিনা, সে বিষয়ে তাদের আত্মীয়স্বজন খোঁজখবর চেয়েছেন৷ যাদের খোঁজখবর চাওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে ১,০০০ জন অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক৷ লক্ষণীয় যে, ২০১৭ সালে জার্মানিতে অনেক কম অভিবাসী আসা সত্ত্বেও এই সংখ্যা এত বেশি, বলে ডিআরকে মন্তব্য করেছে৷
ইউরোপে নিখোঁজ
- ২০১৬ সালে ডিআরকে-র কাছে নিখোঁজ অভিবাসীদের সম্পর্কে প্রায় ২,৮০০ তল্লাশি আসে;
- ২০১৫ সালের উদ্বাস্তু সংকটের সময় ইউরোপে প্রায় ১,০০০ অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী নিখোঁজ হয়, বলে ইউরোপোল জানিয়েছে;
- ইউরোপগামী অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ৭৫ শতাংশ দাস শ্রম, যৌন অপব্যবহার, শিশু বিবাহ বা অন্য কোনো ধরনের শোষণের শিকার হয়, বলে জাতিসংঘের বিবৃতিতে প্রকাশ৷
উন্নত জীবনের সন্ধানে মৃত্যুর পথে
00:52
ভাগ্য অজ্ঞাত
জার্মান রেডক্রসের প্রেসিডেন্ট গ্যার্ডা হাসেলফেল্ড বলেছেন:
- ‘‘সবচেয়ে ভীতিকর হলো সেই সব অভিভাবকহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক উদ্বাস্তুদের সংখ্যা, যারা তাদের নিজের পরিবারকে খুঁজছে, অথবা তাদের পরিবার ঐ সব শিশু-কিশোরের খোঁজ করছে;''
- ‘‘একজন আত্মীয় বেঁচে আছে কিনা, অথবা তার ভাগ্যে কী ঘটেছে, সেটা না জানার চেয়ে একটি পরিবারের পক্ষে বড় শাস্তি আর কিছু হতে পারে না;''
- ‘‘যেহেতু অভিবাসনের বিভিন্ন যাত্রাপথে মৃতদের শনাক্ত করা সবসময় সম্ভব হয় না, (নিখোঁজদের) অনেকের ভাগ্য সম্ভবত অজ্ঞাতই থেকে যাবে৷''
নিখোঁজ হবার কারণ কী?
- একজন অভিবাসীর নিখোঁজ হওয়ার পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে – মৃত্যু, অপহরণ বা দাস হিসেবে বিক্রয়ও তার মধ্যে পড়ে৷ কিন্তু কখনো-সখনো একজন অভিবাসী একাধিক দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে, যার ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ঠিক কোথায় আছে, তা জানা বা বলা সমস্যাকর হয়ে ওঠে৷
ইউরোপে শরণার্থী সংকট কীভাবে শুরু হয়েছিল?
মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় সহিংসতা বৃদ্ধি থেকে ইউরোপের অসংলগ্ন শরণার্থী নীতি অবধি ইউরোপে শরণার্থী সংকটে কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যুদ্ধ এবং দারিদ্র্যতা থেকে পালানো
২০১৪ সালের শেষের দিকে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চতুর্থ বছরে পা দেয়ার প্রাক্কালে এবং দেশটির উত্তরাঞ্চলে তথাকথিত ‘ইসলামিট স্টেট’-এর বিস্তার ঘটার পর সিরীয়দের দেশত্যাগের হার আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যায়৷ একইসময়ে সহিংসতা এবং দারিদ্র্যতা থেকে বাঁচতে ইরাক, আফগানিস্তান, ইরিত্রিয়া, সোমালিয়া, নিগার এবং কসভোর অনেক মানুষ ইউরোপমুখী হন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সীমান্তের ওপারে আশ্রয় খোঁজা
সিরীয় শরণার্থীদের অধিকাংশই ২০১১ সাল থেকে সে দেশের সীমান্ত সংলগ্ন তুরস্ক, লেবানন এবং জর্ডানে আশ্রয় নিতে শুরু করেন৷ কিন্তু ২০১৫ সাল নাগাদ সেসব দেশের শরণার্থী শিবিরগুলো পূর্ণ হয়ে যায় এবং সেখানকার বাসিন্দারা সন্তানদের শিক্ষা দিতে না পারায় এবং কাজ না পাওয়ায় এক পর্যায়ে আরো দূরে কোথাও যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পায়ে হেঁটে লম্বা পথ পাড়ি
২০১৫ সালে ১৫ লাখের মতো শরণার্থী ‘বলকান রুট’ ধরে পায়ে হেঁটে গ্রিস থেকে পশ্চিম ইউরোপে চলে আসেন৷ সেসময় ইউরোপের শেঙেন চুক্তি, যার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত অধিকাংশ দেশের মধ্যে ভিসা ছাড়াই চলাচাল সম্ভব, নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ কেননা শরণার্থীরা গ্রিস থেকে ধীরে ধীরে ইউরোপের অপেক্ষাকৃত ধনী রাষ্ট্রগুলোর দিকে আগাতে থাকেন৷
ছবি: Getty Images/M. Cardy
সমুদ্র পাড়ির উন্মত্ত চেষ্টা
সেসময় হাজার হাজার শরণার্থী ‘ওভারক্রাউডেড’ নৌকায় করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে শুরু করেন৷ লিবিয়া থেকে ইটালি অভিমুখী বিপজ্জনক সেই যাত্রায় অংশ নিতে গিয়ে ২০১৫ সালের এপ্রিল মাসে সাগরে ডুবে যায় অন্তত আটশ’ মানুষ৷ আর বছর শেষে ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় চার হাজার৷
ছবি: Reuters/D. Zammit Lupi
সীমান্তে চাপ
ইউরোপের বহির্সীমান্তে শরণার্থীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় কয়েকটি রাষ্ট্র চাপে পড়ে যায়৷ হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া, ম্যাসিডোনিয়া এবং অস্ট্রিয়া এক পর্যায়ে সীমান্তে বেড়া দিয়ে দেয়৷ শুধু তাই নয়, সেসময় শরণার্থী আইন কঠোর করা হয় এবং শেঙেনভুক্ত কয়েকটি দেশ সাময়িকভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে৷
ছবি: picture-alliance/epa/B. Mohai
বন্ধ দরজা খুলে দেয়া
জার্মান চ্যান্সেল আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সমালোচকরা মনে করেন, তাঁর ‘ওপেন-ডোর’ শরণার্থী নীতির কারণে বিপজ্জনক পথ পেরিয়ে অনেক শরণার্থীই ইউরোপে আসতে উৎসাহ পেয়েছেন৷ এক পর্যায়ে অবশ্য অস্ট্রিয়ার সঙ্গে সীমান্ত পথ নিয়ন্ত্রণ শুরু করে জার্মানিও৷
ছবি: Reuters/F. Bensch
তুরস্কের সঙ্গে চুক্তি
২০১৬ সালের শুরুতে ইইউ এবং তুরস্কের মধ্যে একটি চুক্তি হয়৷ এই চুক্তির আওতায় গ্রিসে আসা শরণার্থীদের আবারো তুরস্কে ফিরিয়ে নেয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়৷ তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই চুক্তির বিরোধিতা করে৷ নভেম্বর মাসে অবশ্য তুরস্কের ইইউ-তে প্রবেশের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা স্থগিত ঘোষণার পর, সেই চুক্তি আবারো নড়বড়ে হয়ে গেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Altan
পরিস্থিতি বদলের কোনো লক্ষণ নেই
ইউরোপজুড়ে অভিবাসীবিরোধী মানসিকতা বাড়তে থাকলেও সরকারগুলো সম্মিলিতভাবে শরণার্থী সংকট মোকাবিলার কোনো সঠিক পন্থা এখনো খুঁজে পাননি৷ কোটা করে শরণার্থীদের ইইউ-ভুক্ত বিভিন্ন রাষ্ট্রে ছড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে৷ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে চলমান সহিংসতার ইতি ঘটার কোনো লক্ষণও নেই৷ ওদিকে, সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে শরণার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Mitrolidis
8 ছবি1 | 8
নিখোঁজ অপ্রাপ্তবয়স্কদের ভাগ্যে কী ঘটতে পারে?
- ইউরোপ জুড়ে আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ সাবধান করে দিয়েছেন যে, যে সব অপ্রাপ্তবয়স্ক একা যাত্রা করছে, তাদের অপরাধী সংগঠনগুলির হাতে গিয়ে পড়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি৷ অনেক ক্ষেত্রে একা পলায়নপর অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌন অপব্যবহার ও বিনা পারিশ্রমিকে শ্রমদানে বাধ্য করা হয়েছে৷
ইউরোপে নিখোঁজ অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ছে কেন?
- ২০১৫ সালে লক্ষ লক্ষ অভিবাসী ইউরোপে এসে পৌঁছান; তাদের মধ্যে অনেকেই মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা বা এশিয়ায় যুদ্ধের হাত থেকে পালিয়েছিলেন৷ এই পরিমাণ মানুষ যখন এতো দূর থেকে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত পার হয়ে যাত্রা করছেন, তখন এমনিতেই অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কে তাদের সীমান্ত পার হয়ে দেশে ঢুকল বা বেরল, তার সঠিক হিসাব রাখতে পারেনি৷ অপরদিকে অপরাধী সংগঠনগুলি এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অভিবাসীদের যৌন ব্যবসায় বা দাস শ্রমিক হিসেবে নিযুক্ত করে৷
জার্মান রেডক্রসের পরবর্তী পদক্ষেপ?
- ডিআরকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ করার চেষ্টা করবে – এবং সফল না হলে, যে সব কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ও ডাটাবেস ব্যবহার করতে পারেন, তাদের কাছে এই সব তল্লাশি পাঠানো হবে৷ কোনো ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া গেলে, পরিবারের সঙ্গে তার পুনর্মিলনের কোনো বৈধ পন্থা আছে কিনা, তা বিবেচনা করে দেখা হতে পারে৷
এসি/জেডএইচ (ডিপিএ, কেএনএ)
শরণার্থী সংকটের কিছু আইকনিক ছবি
ইউরোপে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী প্রবেশের ছবি গোটা বিশ্বে ছড়িয়েছে এবং মানুষের মতামত সৃষ্টিতে প্রভাব বিস্তার করেছে৷ অভিবাসন এবং অভিবাসনের ফলে সৃষ্ট ভোগান্তির এত ছবি আগে দেখেনি বিশ্ব৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/E. Morenatti
লক্ষ্য: টিকে থাকা
অনিশ্চিত যাত্রার ধকল সামলাতে হয় শারীরিক এবং মানসিকভাবে৷ ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচতে হাজার হাজার সিরীয় নাগরিক তুরস্ক হয়ে গ্রিসে জড়ো হয়েছেন৷ সে দেশের তিনটি দ্বীপে এখনো দশ হাজারের মতো শরণার্থী বসবাস করছেন৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস অবধি ছয় হাজার নতুন শরণার্থী এসেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Messinis
পায়ে হেঁটে ইউরোপে
২০১৫ এবং ২০১৬ সালে এক মিলিয়নের বেশি মানুষ গ্রিস ও তুরস্ক থেকে পশ্চিম ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করেছে৷ ম্যাসিডোনিয়া, সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, অর্থাৎ বলকান রুট ব্যবহার করে তাদের এই যাত্রার অধিকাংশই ছিল পায়ে হেঁটে৷ অভিবাসীদের এই যাত্রা বন্ধ হয়ে যায়, যখন রুটটি আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় এবং কয়েকটি দেশ সীমান্তে বেড়া দিয়ে দেয়৷
ছবি: Getty Images/J. Mitchell
বৈশ্বিক আতঙ্ক
এই ছবিটি গোটা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে৷ তিন বছর বয়সি সিরীয় শিশু আয়লান কুর্দির মরদেহ তুরস্কে সমুদ্রতটে ভেসে ওঠে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে৷ ছবিটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং শরণার্থী সংকটের প্রতীকে পরিণত হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/DHA
বিশৃঙ্খলা এবং হতাশা
শেষ সময়ের ভিড়৷ ইউরোপে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শুনে ক্রোয়েশিয়াতে এভাবে ট্রেনে এবং বাসে উঠতে দেখা যায় অসংখ্য শরণার্থীকে৷ ২০১৫ সালের অক্টোবরে হাঙ্গেরি সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং শরণার্থীদের জন্য কন্টেইনার ক্যাম্প তৈরি করে৷
ছবি: Getty Images/J. J. Mitchell
বিবেকবর্জিত সাংবাদিকতা
হাঙ্গেরির এক সাংবাদিক এক শরণার্থীকে ল্যাং মেরে ফেলে দেয়ার ভিডিও নিয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ সার্বিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন হাঙ্গেরির একটি এলাকার সেই ঘটনায় আলোচিত সাংবাদিকের চাকুরি চলে যায়৷
ছবি: Reuters/M. Djurica
উন্মুক্ত সীমান্ত নয়
২০১৬ সালের মার্চে বলকান রুট আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়ার পর সীমান্তগুলোতে আরো আবেগপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়৷ হাজার হাজার শরণার্থী বিভিন্ন সীমান্তে আটকা পড়ে এবং তাদের সঙ্গে বর্বর আচরণের খবর পাওয়া যায় বিভিন্ন স্থান থেকে৷ অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে সীমান্ত পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে৷
ধুলা এবং রক্তে ঢাকা এক শিশু৷ পাঁচবছর বয়সি ওমরানের এই ছবিটি প্রকাশ হয় ২০১৬ সালে৷ আয়লান কুর্দির ছবির মতো এই ছবিটিও গোটা বিশ্বকে আরেকবার নাড়িয়ে দেয়৷ সিরীয়ায় গৃহযুদ্ধ কতটা বিভৎস পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে এবং সিরীয়রা কতটা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে, তার এক প্রতীক হয়ে ওঠে ছবিটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Aleppo Media Center
অজানা নতুন ঠিকানা
গ্রিক-ম্যাসিডোনিয়া সীমান্তের ইডোমিনিতে নিজের মেয়েকে কোলে নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় হাঁটছেন এক সিরীয় নাগরিক৷ ইউরোপে তাঁর পরিবার নিরাপদ থাকবে, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল তাঁর৷ ডাবলিন রেগুলেশন অনুযায়ী, একজন শরণার্থী প্রথম ইউরোপের যে দেশে প্রবেশ করেন, সে দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে হবে৷ ফলে যারা আরো ভেতরে প্রবেশ করেছিলেন, তাদের অনেককে ফেরত পাঠানো হয়েছে৷
ছবি: Reuters/Y. Behrakis
সহযোগিতার আশা
বিপুল সংখ্যক শরণার্থী প্রবেশের কারণে জার্মানি অভিবাসন নীতি আরো কড়া করে ফেললেও এখনো শরণার্থীদের প্রথম পছন্দ জার্মানি৷ ইউরোপের আর কোনো দেশ জার্মানির মতো এত বিপুল সংখ্যক শরণার্থী নেয়নি৷ ২০১৫ সালে সঙ্কট শুরুর পর থেকে দেশটি ১২ লক্ষ শরণার্থী নিয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Hoppe
ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরা
ইউরোপে শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যা চলতি বছর কমেছে, তবে থেমে যায়নি৷ বরং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ডুবে মরছে অনেকে৷ বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং সরকারের হিসেব অনুযায়ী, চলতি বছর এখন অবধি সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে মারা গেছে প্রায় দু’হাজার মানুষ৷ গতবছর এই সংখ্যা ছিল ৫ হাজার৷