1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ

৫ আগস্ট ২০১৩

আল-কায়েদার হুমকির মুখে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার ১৯টি দূতাবাস ১০ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র৷ মিশর নিয়েও ভাবতে হচ্ছে ওবামা সরকারকে৷ অন্যদিকে নতুন করে সৃষ্টি হওয়া অচলাবস্থা নিরসনেও উদ্যোগী হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷

U.S. President Barack Obama speaks about the Trayvon Martin case in the press briefing room at the White House in Washington, July 19, 2013. REUTERS/Larry Downing (UNITED STATES - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

মিশরে মোহাম্মদ মুরসির মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তাদের বিরোধী দলগুলোর মধ্যে কারো কাছেই যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল নয়৷ মুরসি ক্ষমতায় থাকার সময় তাঁকে সব উপায়ে সমর্থন জানানোয় বিরোধীরা এবং অবশেষে ৩ জুলাই সামরিক হস্তক্ষেপে মুরসি সরে যেতে বাধ্য হওয়ার সময় নীরব ভূমিকা পালন করায় মুসলিম ব্রাদারহুডও দেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী মনে করে৷ তাই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছে দু'পক্ষেরই৷ তবে এ মুহূর্তে ক্ষোভটা ব্রাদারহুডেরই বেশি৷ মুরসিকে ফেরানোর জোরদার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তারা৷ তবে সংকট নিরসনের তেমন কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না৷

এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর কূটনীতিকরা গিয়েছেন মিশরে৷ সোমবার তাঁদের একটি দল আল-আকরাব কারাগারে গিয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের উপনেতা খাইরাত আল-শাতেরের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে বার্তাসংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে৷ আল-শাতেরের বিরুদ্ধে মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতায় থাকার সময় বিরোধীদের ওপর সহিংস হামলা পরিচালনায় ভূমিকা রাখার অভিযোগ রয়েছে৷ তাঁর মামলার শুনানি শুরু হবে আগামী ২৫ আগস্ট৷

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অনুরোধে দু'জন মার্কিন সিনেটরও গিয়েছেন মিশরে৷ সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এবং জন ম্যাককেইনের সোমবারই সংকট নিরসনের জন্য অন্তর্বতীকালীন সরকার এবং বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার কথা৷ মিশরে যাবার আগে সিএনএন-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে লিন্ডসে গ্রাহাম বলেছেন, ‘‘সামরিক বাহিনী দেশ চালাতে থাকবে এটা হয় না৷'' এ সময় তিনি অবশ্য এটাও বলতে ভোলেননি যে, মুরসির অপসারণ নিয়ে ক'দিন আগে জন কেরি যা বলেছেন তাতে তাঁরও সমর্থন রয়েছে৷ শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরি বলেছেন, মিশরের লক্ষ লক্ষ মানুষ আহ্বান জানিয়েছিল বলেই ৩ জুলাই সরকার পরিবর্তনে সেনাবাহিনী ভূমিকা রেখেছে৷ সামরিক বাহিনীর এ হস্তক্ষেপকে তিনি ‘অভ্যুত্থান'-ও বলেননি৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি,রয়টার্স, এপি, ডিপিএ )

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ