1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাজেহাল ক্যামেরন

২৯ জুন ২০১৬

ইউরোপে অবাধ অভবাসনই ব্রেক্সিটের জন্য দায়ী, ক্যামেরন শিবিরের এমন অভিযোগ নস্যাৎ করে তাঁর ইইউ-বিরোধী পপুলিস্ট, পরস্পর-বিরোধী অবস্থানকেই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন ইউরোপীয় কূটনীতিকরা৷

ডেভিড ক্যামেরন
ছবি: Reuters/P. Noble

বৃহস্পতিবারের গণভোটের পর এই প্রথম ইইউ শীর্ষ নেতাদের মুখোমুখি হলেন বিদায়ী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জেমস ক্যামেরন৷ তাঁরা ক্যামেরনকে এই গণভোটের ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিহ্বলতা দ্রুত কাটিয়ে তোলার ডাক দিলেন৷ জানিয়ে দিলেন, ব্রেক্সিট-এর সিদ্ধান্তের ফলে ব্রিটেন, ইউরোপ সহ গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা নিয়ে আর কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই৷

ব্রেক্সিট সত্ত্বেও ক্যামেরন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ তবে ইইউ নেতারা তাঁকে আবার স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যতে একক সাধারণ বাজারের সুবিধা পেতে হলে ব্রিটেনকে বিনা বাধায় ইইউ নাগরিকদের অভিবাসনের অধিকারও মেনে নিতে হবে৷ উল্লেখ্য, এ দিন ব্রিটেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইইউ ত্যাগ করার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে৷

এবারের সম্মেলনে ডেভিড ক্যামেরন-এর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ বিদায়ী দেশের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাকি নেতারা তাঁর সঙ্গে ভদ্রভাবেই কথা বলেছেন৷ ক্যামেরার সামনে ক্যামেরন সাবলীল হবার চেষ্টাও করেছেন৷ কিন্তু লোকচক্ষুর অন্তরালে পরিবেশ বেশ অস্বস্তিকর ছিল বলে অনেকে জানিয়েছেন৷

ইইউ অভিবাসন নীতিই যত নষ্টের গোড়া, যার ফলে ব্রিটেন ও ক্যামেরনকে বিদায় নিতে হলো – ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সহকারীদের এমন অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছেন উপস্থিত কূটনীতিকরা৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ ইইউ কূটনীতিক তাদের বলেন, ‘‘নিজেদের ভুলের জন্য অন্যদের দায়ী করা বন্ধ করুন৷'' তাঁর মতে, বছরের পর বছর ধরে ইইউ-বিরোধী বুলি আউড়িয়ে এবং অভিবাসন কমানোর ব্যর্থ অঙ্গীকার করে ক্যামেরন নিজেই নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন৷ তাছাড়া একদিকে সস্তায় পূর্ব ইউরোপীয় কর্মী-শ্রমিকদের উপস্থিতি চেয়ে অন্যদিকে অভিবাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কোনো অর্থ হয় না৷

ব্রিটেন-পরবর্তী ইউরোপীয় ইউনিয়নের রূপরেখা কেমন হবে, তার একটা আভাস এবারের শীর্ষ সম্মেলনেই দেখা গেল৷ এই প্রথম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে ছাড়াই বাকি ২৭টি দেশের শীর্ষ নেতারা মিলিত হলেন৷ সেই বৈঠককে অবশ্য আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি৷ এদিকে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন বুধবার ব্রাসেলসে ইইউ পার্লামেন্ট ও ইউরোপীয় কমিশনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন৷ ব্রেক্সিট সত্ত্বেও স্কটল্যান্ড ইইউ-তে থেকে যাবার চেষ্টা করছে৷ এক গণভোটের মাধ্যমে ব্রিটেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্টার্জন৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ