1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজের চাকরি বাঁচাতে লড়ছেন ইউনূস

২ মার্চ ২০১১

নোবেল জয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস এখন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান হিসেবে নিজের অবস্থান রক্ষায় লড়ছেন৷ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ইউনূস অবসরের বয়সসীমা অতিক্রম করেছেন এবং তাঁকে বিদায় নিতে হবে৷

২০০৭ সালের মে মাসে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে ইউনূস (ফাইল ফটো)ছবি: AP

বাংলাদেশ ব্যাংক ইউনূস প্রসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে৷ এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরিয়ে দেওয়া উচিত৷ অথচ এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ইউনূস নিজেই৷ ২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার জয় করেন এই অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ ব্যাংক৷

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই চিঠির আগেই অবশ্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ সোমবার এই নিয়ে মুহিতের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জেমস মরিয়াটি৷ বৈঠক প্রসঙ্গে মুহিত বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ‘‘তারা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) আমাদেরকে জানিয়েছে যে, তিনি অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি এবং তারা চাইছে তাঁর সঙ্গে যেন সম্মানজনক আচরণ করা হয়৷ আমরা তাদেরকে বলেছি, ইউনূস বাংলাদেশের গর্ব৷''

অর্থমন্ত্রী জানান, সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে একটি মতামত পেয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউনূস অবৈধভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী হিসেবে অবস্থান করছেন৷

২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল জয় করেন প্রফেসর ইউনূস এবং গ্রামীণ ব্যাংকছবি: AP

ইউনূসের সমর্থকরা মনে করছেন, ইউনূসের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত চলছে৷ এর কারণ হচ্ছে, ২০০৭ সালে তিনি শেখ হাসিনাকে উপেক্ষা করে রাজনীতিতে জড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন৷ পরে অবশ্য তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন৷ গত ডিসেম্বরে শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন, ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংককে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করছেন এবং এই গোষ্ঠী গরিবের রক্ত চুষে খাচ্ছে৷

বর্তমানে বেশ বিপাকেই আছেন ক্ষুদ্রঋণের পুরোধা প্রফেসর ইউনূস৷ গত মাসে বিভিন্ন অভিযোগে একাধিকবার আদালতে হাজির হতে হয় তাঁকে৷ এসব অভিযোগ মূলত গ্রামীণ ব্যাংক কেন্দ্রিক৷ সরকারও গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷

উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় অর্থমন্ত্রী ছিলেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত৷ প্রফেসর ইউনূস তাঁর একটি বইতে উল্লেখ করেছেন, সেসময় অর্থমন্ত্রী গ্রামীণ ব্যাংকের সরকারি অনুমোদনের বিষয়ে ব্যাপক সহায়তা করেছিলেন৷ বর্তমানে এই ব্যাংক নিয়ে ইউনূস এবং মুহিতের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ প্রকট আকার ধারণ করেছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ