1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে ফিরতে চান অনুপ চেটিয়া

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা২৩ আগস্ট ২০১৪

বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন অফিসের কনসুলার জে.পি সিং৷ তাঁর কাছে ভারতে ফিরে যাওয়ার কথা জনিয়েছেন চেটিয়া৷

Indien Bangladesh Grenze mit Soldaten und Stacheldraht
ছবি: AP

অনুপ চেটিয়াকে এখন ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে৷ বৃহস্পতিবার কাশিমপুর কারাগারে অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে দেখা করেন জে.পি সিং৷ গাজীপুরের সাংবাদিক অপূর্ব রায় ডয়চে ভেলেকে জানান, জে.পি সিংয়ের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশন অফিসের দোভাষী দীপক দেবনাথও ছিলেন৷ কারা-সুপার মো. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা৷

জেলার জান্নাতুল ফরহাদ জানান, ‘‘প্রায় এক ঘণ্টা অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন৷ এ সময় কনসুলার অনুপ চেটিয়ার দেশে ফেরার কোনো আগ্রহ আছে কিনা – তা জানতে চান৷ জবাবে অনুপ চেটিয়া দেশে ফেরার সম্মতি প্রকাশ করেন৷''

এর আগে গত বছরের মে মাসে তাঁর দুই সহযোগীকে নিয়ে ভারতে ফিরতে রাজশাহী কারাগারের কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া৷ তারপরই তাঁকে রাজশাহী কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়৷

১৯৯৭ সালের ২১শে ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে অনুপ চেটিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান এবং বিদেশি মুদ্রা ও একটি স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে মোট তিনটি মামলা হয়৷ তিনটি মামলায় তাঁকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ ২০০৭ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি তাঁর সাজার মেয়াদ শেষ হলেও, এখনো তিনি কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে আছেন৷
বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ২০০৩ সালের ২৩শে আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া৷ এ কারণে তাঁকে হস্তান্তরে আইনি জটিলতা ও দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি না থাকার কথাও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়৷ তবে এখন আর এ ধরণের আইনি জটিলতা নেই৷

অনুপ চেটিয়া গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনে তাঁর সঙ্গে আটক তাঁর দুই সহচর লক্ষ্মী প্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে নিয়ে নিজ দেশে ফিরতে চাওয়ার কথা বলেন৷

জানা গেছে, কাশিমপুর কারাগারের ছয় তলাবিশিষ্ট শৈবাল ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুটি পাশাপাশি ভিআইপি সেলে অবস্থান করছেন অনুপ চেটিয়া ও লক্ষ্মী প্রসাদ গোস্বামী৷ ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের সেল পাশাপাশি দুই কক্ষ হলেও, ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেটিয়া ও গোস্বামী এক সঙ্গেই দিন কাটান৷ তাঁদের কয়েদির পোশাকও পরতে হয় না৷ দু'জন নানাভাবে সময় কাটান, কখনও গল্প করেন, কখনও তাস খেলেন৷ আর মাঝেমধ্যে একমাত্র চ্যানেল বিটিভি দেখেন৷ কারণ কারাগারে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ নাই৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ