ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিবছর একটি শহরকে ‘ইউরোপিয়ান ক্যাপিটাল অফ কালচার’-এর মর্যাদা দেয়৷ নানা প্রকল্পের মাধ্যমে সেই শহর নিজস্ব সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে৷ ২০২০ সালে ক্রোয়েশিয়ার রিয়েকা সেই সুযোগ পাচ্ছে৷
বিজ্ঞাপন
দেখলে মনে ভয় জাগে বৈকি৷ আর সেটাই তো উদ্দেশ্য৷ স্ভোনজারি বা বেল ভাইব্রেটার শীতকালে সব অশুভ শক্তি তাড়িয়ে দেয়৷ ইউরোপের দশটি দেশের মানুষ রিয়েকার কাছে চাভলে এলাকার কার্নিভালে অংশ নিতে এসেছেন৷
চারিদিকে প্রাণীর মাথার খুলি, আসল চামড়া ও লোম প্রাচীন যুগের পরিবেশ সৃষ্টি করছে৷ ঘণ্টাবাদক হিসেবে ইভো কোভাচ জানিয়ে দেন, ‘‘আমরা নিজেরাই সব কস্টিউম তৈরি করি – এমনকি ঘণ্টাও৷ শুধু পশুর চামড়া কিনতে হয়৷ তারপর আঠা দিয়ে শিরস্ত্রাণে লাগানো হয়৷’’
ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানী রিয়েকা
03:53
২০২০ সালে ইউরোপের সাংস্কৃতিক রাজধানীর মর্যাদা পেয়েছে রিয়েকা৷ এককালের গুরুত্বপূর্ণ এই বন্দর ও শিল্পকেন্দ্র সংস্কৃতির মাধ্যমে নতুন এক পরিচয় তুলে ধরতে চায়৷ শহরের কেন্দ্রস্থলেই বন্দর অবস্থিত৷ হাব্সবুর্গ সাম্রাজ্যের জাঁকজমকপূর্ণ ভবনগুলিও সেখানেই দেখা যায়৷ তার ঠিক পেছনে সমাজতন্ত্রের আমলের একঘেয়ে বহুতল ভবনগুলি এখনো দেখা যায়৷ ক্রোয়েশিয়ার এই শহরের মেজাজ বন্দর এলাকায় সবচেয়ে বেশি টের পাওয়া যায়৷ শহরের গাইড তানিয়া স্মোইয়ে বলেন, ‘‘আমার এই দৃশ্য দারুণ লাগে৷ সমুদ্রও ভালো লাগে৷ শহরের প্রতীক হিসেবে ক্রেনগুলিও পছন্দ করি৷ বিখ্যাত এই বন্দর চিরকাল নতুনকে স্বাগত জানিয়েছে৷ সে কারণে সংস্কৃতিও সমৃদ্ধ হয়েছে৷ ইউরোপীয় সংস্কৃতিও সেই ভূমিকাই নিচ্ছে৷’’
তানিয়া আসলে পেশায় অভিনেতা৷ ‘রিয়েকা ২০২০’ উপলক্ষ্যে তিনি শহরে বিকল্প ধারার নানা ট্যুর পরিচালনা করছেন৷ সবার আগে শহরের পুরানো অংশে ঢুঁ মারতে হয়৷ এককালে সেখানে রোমানদের ডেরা ছিল৷ আসলে রোমান সাম্রাজ্যের সৈন্যরা সেখানে থাকতো৷ অনেক যুগ কেটে গেলেও দূরবিনের সাহায্যে কার্যত অতীত কালে উঁকি মারা যায়৷ তানিয়া বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে আমাদের জন্য এই সুযোগ খুলে দেওয়া হয়েছে৷ তারপর থেকে সেখানে কিছু সংগীতের অনুষ্ঠান ও নাটক আয়োজিত হয়েছে৷ আমিও এখানে ‘ডন কিখোতে' নাটকে অভিনয় করেছি৷’’
পূর্ব ইউরোপের আকর্ষণীয় শহর
পুরানো শহর, দারুণ সুন্দর পর্বতমালা, অপূর্ব সমুদ্র সৈকত আর ঘুরতেও লাগে কম পয়সা৷ তাই পূর্ব ইউরোপের এই দারুণ সুন্দর স্থানগুলো ঘুরে আসতে পারেন৷ উপভোগ করতে পারেন অপূর্ব বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য৷ দেখুন ছবিঘরে৷
ছবি: Imago/Blickwinkel
প্রাগ, চেক রিপাবলিক
ভ্লাতাভা নদীর উপর ‘স্বর্ণ শহর’ বলে পরিচিত প্রাগ পূর্ব ইউরোপ ভ্রমণের শীর্ষে থাকবে৷ প্রতি বছর এখানে ৪০ লাখ পর্যটক আসেন৷ এখানকার অনিন্দ্য সুন্দর চার্চ, ওল্ড টাউন হলের গ্লোকেন স্পিল শোনেন, চেক বিয়ারের স্বাদ নেন এবং চার্লস ব্রিজ থেকে প্রাগ ক্যাসেল পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান৷
ছবি: picture-alliance/ZB
রিগা, লাটভিয়া
‘বাল্টিক সাগরের মুক্তো’ বলা হয় রিগাকে৷ লাটভিয়ার এই রাজধানী বাল্টিক সাগরের তীরে অবস্থিত৷ জার্মান ব্যবসায়ীরা ১২ শতাব্দিতে এই শহর আবিষ্কার করেন৷ পুরানো শহরের কেন্দ্রে তারা অনেক চার্চ ও ভবন নির্মাণ করেন৷ নতুন শহরটিও সুন্দর, যেখানে ৮০০’র বেশি ভবন নেই৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ক্রাকাও, পোল্যান্ড
‘নাইট লাইফ’ বা রাত্রিকালীন জীবন ভালোবাসলে আপনি চলে যেতে পারেন পোল্যান্ডের ক্রাকাওতে৷ ঐতিহাসিক বাজার, যেখানে রেস্তোরাঁ আর জ্যাজ বার রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Skorupski
হাই টাটরাস, পোল্যান্ড আর স্লোভাকিয়া
ক্রাকাও থেকে এক ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে গেলে আল্পসের সবচেয়ে ছোট্ট রেঞ্জে পৌঁছে যাওয়া যায়, যা ঠেকেছে স্লোভাকিয়ায়৷ হাইকিংয়ের জন্য খুবই ভালো একটি স্থান৷ স্লোভাকিয়ার এই লেকের সৌন্দর্য্য আপনাকে মোহিত করবে৷
ছবি: picture-alliance /Arco Images/T. See
বুখারেস্ট, রোমানিয়া
রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে সম্প্রতি পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে৷ এই শহরকে বলা হয় ‘পূর্ব ইউরোপের প্যারিস’৷ এখানে এখনও কম্যুনিস্ট শাসনামলের সময়ের ছোঁয়া রয়েছে৷ এজন্য পর্যটকদের কাছে এটির আকর্ষণ আরো বেশি৷ পুরোনো শহরের রেস্তোরাঁ আর বারগুলোতে অবশ্যই যাওয়া উচিত৷
ছবি: picture-alliance/ dpa/J. Kalaene
দানিয়ুব ডেল্টা, রোমানিয়া
কৃষ্ণ সাগরে পড়ার আগে ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই নদী ১০টি দেশ ভ্রমণ করে এসেছে৷ দানিয়ুব ডেল্টা ইউরোপের অন্যতম বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ এলাকা৷ এখানে বহু প্রজাতির প্রাণি ও গাছপালা রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Bäsem
ভার্না, বুলগেরিয়া
রাতে ভীষণ গরম, তাই চাই বরফ শীতল পানীয়৷ এখানে থাকার খরচ হাতের নাগালে৷ বুলগেরিয়ার কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতটি তাই পর্যটকদের পছন্দের জায়গা৷ দিনের বেলায় সূর্যস্নান আর রাতের বেলায় পার্টি, পুরো ইউরোপের তরুণদের কাছে তাই অন্যতম গন্তব্য এই স্থান৷
ছবি: alltours flugreisen gmbh
বেলগ্রেড, সার্বিয়া
যারা পার্টি পছন্দ করেন, তাদের আর একটি প্রিয় গন্তব্য বেলগ্রেডের ভাসমান নাইটক্লাবগুলো, যা দানিয়ুব এর উপরে অবস্থিত৷ তবে যাদের সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ আছে, সার্বিয়ার রাজধানী তাদেরও আকর্ষণ করবে৷ এ শহরে আছে সন্ত সাভা’র ক্যাথেড্রাল৷ ১৯৩৫ সালে এর নির্মাণ শুরু হয়৷
ছবি: D. Bosnic
কোতোর, মন্টেনেগ্রো
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় ঠাঁই হয়েছে এই শহরের৷ নীল আদ্রিয়াটিক সাগরের তীরে এর অবস্থান৷
ছবি: imago/ITAR-TASS
কিয়েভ, ইউক্রেন
ইউরোপের এই শহরটি অবশ্যই দেখা উচিত, কিন্তু পর্যটকরা এই স্থানটি অনেকটা এড়িয়েই চলছেন৷ এর মূল কারণ অবশ্য রাশিয়ার আগ্রাসন এবং দুই দেশের মধ্যে চলা যুদ্ধ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/E. Lukatsky
10 ছবি1 | 10
এককালের সবচেয়ে বড় কাগজ কারখানার যাঁতাকাল এখন ফোয়ারার ভাস্কর্যে পরিণত হয়েছে৷ রিয়েকা শহরে পরিবর্তনই মূলমন্ত্র৷ শহরের সর্বত্র বিভিন্ন যুগের ইতিহাসের ছাপ ছড়িয়ে রয়েছে৷ তবে পায়ে হেঁটেই সবকিছু ঘুরে দেখা যায়৷
ডান দিকে পুলিশ থানা, বামে কারাগার আর মাঝে একটি গির্জা৷ সত্যি অদ্ভুত এক মেলবন্ধন৷ তানিয়া স্মোইয়ে জায়গাটির বিশেষত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘‘এই জায়গাটির সবচেয়ে সুন্দর দিক হলো, জেলের কয়দির স্ত্রীরা এখানে এসে যেন বাতাসেই স্বামীদের চিঠি লিখতো৷ নীচে থেকে উপরে সেই বার্তা পাঠানো হতো৷’’
রিয়েকা অনেকটা এই আর্ট ইনস্টলেশনের মতো৷ এর কিছু অংশ রঙিন, কিছু অংশে জং ধরে গেছে৷ এটি আসলে শহরের সবচেয়ে বিখ্যাত চিত্রশিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ৷ তানিয়া জানান, ‘‘তাঁর নাম ভোইয়ো রাদোইচিচ৷ তিনি এই ছবি সৃষ্টি করেছেন৷ তাঁর সৃষ্টিকর্ম সব সময়ে আমাদের মন খুশি করে দেয়৷ শিশুসুলভ বলে আমাদের ভালো লাগে৷ জাহাজ তাঁর বেশ পছন্দের মোটিফ৷ তাতে অনেক রং ব্যবহার করা হয়েছে৷ এ যেন রিয়েকার বৈচিত্র্যের প্রতীক৷’’
‘ইউরোপিয়ান ক্যাপিটাল অফ কালচার’ হিসেবে রিয়েকা এই বৈচিত্র্য ছড়িয়ে দিতে চায়৷ ঐতিহ্য থেকে শুরু করে আভঁগার্দ শিল্পের পাশাপাশি বিভিন্ন বিভিন্ন পাড়ায়ও কিছু প্রকল্প চালানো হচ্ছে৷ তবে সবার আগে ভালো করে কার্নিভাল উৎসব পালন করতে হবে৷
আন্দ্রেয়া কাসিস্কে/এসবি
ইউরোপের সাইকেল-বান্ধব শহর
পরিবেশ-বান্ধব, স্বাস্থ্যকর আর সাশ্রয়ী- সব দিক দিয়েই বাহন হিসাবে এগিয়ে বাইসাইকেল৷ সেই চিন্তা মাথায় রেখে নিজেদের এলাকাকে সাইকেল-বান্ধব করেছে ইউরোপের বিভিন্ন শহর৷ সাইকেল-বান্ধব এমন কয়েকটি শহর সম্পর্কে জেনে নিন ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
কোপেনহেগেন
ডেনমার্কের রাজধানী শহরে রয়েছে ৩৫০ কিলোমিটারের সাইকেল নেটওয়ার্ক৷ সাইকেলকে মাথায় রেখে গড়ে তোলা হয়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থাও ৷ সিগন্যালে সাইকেল নিয়ে অপেক্ষার জন্য আছে সুন্দর ব্যবস্থা৷ কোপেনহেগেনে ৬২ শতাংশ মানুষ সাইকেল চড়ে কাজে যান৷ সাইকেল-বান্ধব নগর গড়ার উদাহরণ হিসাবে ‘কোপেনহেগেনাইজ’ শব্দটি তাই জায়গা করে নিয়েছে ইংরেজি অভিধানে৷
সাইকেল-বান্ধব শহরগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে আছে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডাম৷ এখানকার সাইকেল-চালকেরা প্রতিদিন প্রায় দুই মিলিয়ন কিলোমিটার পথ চলেন৷ উটরেস্ট এলাকায় রয়েছে সবচেয়ে বড় সাইকেল পার্কিং, যেখানে সাড়ে ১২ হাজার সাইকেল রাখা যায়৷ ২০২০ সালের মধ্যে এটাকে ৩৩ হাজারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: picture-alliance/NurPhoto/N. Economou
আন্টভের্প
বেলজিয়ামের আন্টভের্প শহরের সাইকেল পার্কিং অগণিত আর সেগুলোর অবকাঠামো অভিভূত করে সবাইকে৷ সাইকেলের পথ বাড়ানোর পাশাপাশি কেবল সাইকেল আর পথচারীদের জন্য তিনটি সেতু তৈরি করছে কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images/P. Schickert
প্যারিস
কয়েক বছর ধরে সাইকেল নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে প্যারিসের নগর কর্তৃপক্ষ৷ শহরের নানা জায়গায় রয়েছে বাইসাইকেল স্টেশন৷ পর্যটকেরাও সাইকেল নিয়ে ঘুরতে পারেন পুরো শহর৷ অন্যদিকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সাইকেল ভাড়া নেওয়া সেখানে বেশ জনপ্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/robertharding/S. Dee
মালমো
সাইকেলের জন্য অবকাঠামো বাড়াতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে সুইডেনের মালমো শহর৷ এখানে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার সাইকেলের রাস্তা রয়েছে৷ মালমো আর কোপেনহেগেনের মধ্যে ফেরি পারাপার সেখানকার বাইসাইকেল পর্যটনকে বেশ জনপ্রিয়তা দিয়েছে৷ কোথাও কোথাও হোটেলের সামনেই মিলবে সাইকেল স্টেশন আর ওয়ার্কশপ৷
ছবি: Ohboy
ট্রন্ডহেইম
নরওয়ের শহর ট্রন্ডহেইম৷ পাহাড়ি এই নগরে চালু আছে ‘ট্রাম্পে’ নামে পৃথিবীর সর্বপ্রথম বাইসাইকেল উঠানামার ব্যবস্থা৷ প্রতি ঘন্টায় সেখানে ৩০০ সাইক্লিস্টকে ১৩০ মিটার উচ্চতায় আনা-নেওয়া করা হয়৷ পাহাড়ি পথেও সাইকেল নিয়ে চিন্তা নেই, এর চেয়ে স্বস্তির আর কি হতে পারে!
ছবি: public domain
ম্যুনস্টার
জার্মানির ওয়েস্টফালিয়ার ম্যুনস্টার এলাকায় মানুষের চেয়ে সাইকেলের সংখ্যা বেশি৷ সাইকেলের জন্য চওড়া রাস্তা, পর্যাপ্ত পার্কিং আর সমতল ভূমির কারণে সেখানে এই দ্বিচক্রযান এতো জনপ্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Thissen
বার্সেলোনা
২০০২ সালেও ভাড়ায় বাইসাইকেল পাওয়া যেত স্পেনের বার্সেলোনা শহরে৷ কেবল সাইকেলের জন্য রয়েছে ১৫৮ কিলোমিটার রাস্তা৷ অনেক জায়গায় গাড়ির গতি ঘন্টায় ৩০ কিলোমিটারে সীমাবদ্ধ রাখায় সাইক্লিস্টদের জন্য এলাকাটি বেশ নিরাপদ৷ পর্যটকেরা যাতে বাইসাইকেল নিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়াতে পারেন, আছে সেই ব্যবস্থাও৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/G. Guarino
বাসেল
সুইজারল্যান্ডের বাসেল অনেকটা সমতল এবং দর্শনীয় স্থানগুলোও কাছাকাছি৷ গ্রীষ্মে ‘স্লো আপ’ নামে গাড়িমুক্ত এলাকা ঘোষণা করা হয় সেটিকে৷ প্রচুর লোকের সমাগম হওয়ায় তখন ৩০ কিলোমিটার এলাকা নির্ধারিত রাখা হয় কেবল সাইক্লিস্টদের জন্য৷ একইসঙ্গে সাইক্লিস্টদের আনন্দ দিতে থাকে বহু আয়োজন৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/M. Dr. Schulte-Kellinghaus