ফলাফল যা অনুমেয় ছিল তা-ই হয়েছে৷ অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৪-০ ব্যবধানে৷ পার্থের চেয়ে এক গোল কম খেয়েছে বাংলাদেশ৷ সবচেয়ে বড় কথা, শেষ ৪৯ মিনিটে অস্ট্রেলিয়াকে কোনো গোল করতে দেয়নি স্বাগতিকরা৷
বিজ্ঞাপন
তবে এই ম্যাচের ফল নিয়ে কারোরই কোনো দ্বিমত ছিল না৷ ম্যাচটি শুরু থেকেই আলোচিত ছিল নিরাপত্তাজনিত কারণে৷ হ্যাঁ বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে শংকিত হয়ে এর আগে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে তাদের ক্রিকেট দলকে পাঠায়নি৷ ফুটবল দলকে পাঠানো নিয়েও হয়ে গেছে অনেক আলোচনা৷ ফিফা পর্যন্ত গড়িয়েছিল ব্যাপারটি৷ অবশেষে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে যেতে রাজি হলেও খেলার আগেরদিন প্র্যাকটিস করেছে সিঙ্গাপুরে৷ আর মঙ্গলবারের ম্যাচ খেলতে তারা ঢাকায় পৌঁছেছে আগেরদিন, অর্থাৎ সোমবার রাতে!
নিরাপত্তা নিয়ে অস্ট্রেলীয়দের এই চিন্তার প্রকাশ দেখা গেছে সকারুজদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ম্যাচ প্রিভিউ রিপোর্টেও৷ সেখানে বাংলাদেশ থেকে জয় নিয়ে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যের আগেও উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশে নিরাপদে যাওয়া ও নিরাপদে ফিরে আসার বিষয়টিকে!
অবশ্য ঢাকায় পৌঁছে অস্ট্রেলিয়া দলের সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়রা নিরাপত্তা নয়, শুধু ম্যাচ নিয়েই ভাবছেন বলে জানিয়েছিলেন৷
বাংলাদেশ দলের ইটালীয় কোচ ফাবিও লোপেজ বলেছিলেন, ‘‘আমি জিততে চাই৷ তবে ওরা খুবই শক্তিশালী দল৷'' আর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম ও সহ-অধিনায়ক জামাল ভূইয়া এই ম্যাচে ড্রয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামার কথা জানিয়েছিলেন৷
প্রথম লেগের ম্যাচে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ৷ সবশেষ কয়েকদিন আগে তাজিকিস্তানের মাঠেও একই ব্যবধানে ধরাশায়ী হয় বাংলাদেশ৷
এদিকে, ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ম্যাচের আগে বাংলাদেশ দলের জন্য অনুপ্রেরণা পাঠিয়েছিলেন৷
‘চ্যানেল নাইন' খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করে৷
খেলাধুলার বড় আসরের বড় রেকর্ড
ক্রিকেট বিশ্বকাপে এখন সবার ওপরে তাঁর নাম৷ ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলে বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় ইনিংসের রেকর্ড গড়েছেন ক্রিস গেইল৷ আসুন জেনে নিই ক্রিকেট বিশ্বকাপসহ খেলাধুলার অঙ্গনের সবচেয়ে বড় আসরগুলোর বড় কিছু রেকর্ডের খবর৷
ছবি: Saeed Khan/AFP/Getty Images
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বড় ইনিংস
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড গড়েছেন ক্রিস গেইল৷ জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে ২১৫ রানের ইনিংস খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক অধিনায়ক৷ বিশ্বকাপ ইতিহাসেই এটি প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি৷ আগের সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কার্স্টেনের, ১৯৯৬ বিশ্বকাপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অপরাজিত ১৮৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
টেন্ডুলকার-দ্রাবিড় এখন পেছনে
এবার জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপে যে কোনো জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডেরও অংশীদার হয়েছেন গেইল৷ মার্লন স্যামুয়েলসকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৭২ রান তুলেছেন তিনি৷ এটি শুধু বিশ্বকাপ নয়, ওয়ানডেরও সর্বোচ্চ রানের জুটি৷ ওয়ানডেতে সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ডটি এতদিন ছিল ভারতের শচীন টেন্ডুলকার এবং রাহুল দ্রাবিড়ের দখলে৷ ১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৩১ রান তুলেছিলেন তাঁরা৷
ছবি: Prakash Singh/AFP/Getty Images
বিশ্বকাপে বেশি গোল
বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডটি জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোজের দখলে৷ ২০০২ থেকে ২০১৫-র আসর পর্যন্ত মোট ১৬টি গোল করেছেন তিনি৷ তাঁর আগে ১৫ গোল নিয়ে সবার ওপরে ছিলেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার রোনালডো৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অলিম্পিকের দ্রুততম মানব
খেলার খবর রাখেন এমন সকলেই হয়ত তাঁর নাম জানেন৷ ইউসেইন বোল্ট৷ জ্যামাইকান স্প্রিন্টার৷ ট্র্যাকে হেসে-খেলে ছোটেন চিতার গতিতে৷ অলিম্পিকে প্রথম আবির্ভাবেই তাক লাগিয়েছিলেন রেকর্ড গড়ে৷ ২০০৮ অলিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট শেষ করেছিলেন ৯ দশমিক ৬৯ সেকেন্ডে৷ এখনো সেটা পুরুষদের অলিম্পিক রেকর্ড৷ তবে পরের বছর বার্লিনে ৯ দশমিক ৫৮ সেকেন্ডে ১০০ মিটার দৌড়ে বিশ্বরেকর্ডটা নতুন করে গড়েছেন বোল্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অনন্যা ‘ফ্লো-জো’
১৯৮৮-তে ঝড় তুলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ জয়নার৷ গ্ল্যামার এবং ফ্যাশন সচেতনতার জন্য নজর কাড়া এই কৃষ্ণাঙ্গিনীকে ভক্তরা ভালোবেসে ডাকতেন ‘ফ্লো-জো’৷ সিউলে মেয়েদের ১০০ ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন বড় নখ নিয়ে ট্র্যাকে নামা স্প্রিন্টার৷ ১০০ মিটারের ১০ দশমিক ৬২ সেকেন্ডের টাইমিং এখনও অলিম্পিক রেকর্ড৷ ১০ দশমিক ৪৯ সেকেন্ডের বিশ্বরেকর্ডটিও তাঁর গড়া৷ (ওপরে প্রতীকী ছবি)
ছবি: Getty Images
টেনিসে ফেদারার এবং মার্গারেট কোর্ট
টেনিসে রজার ফেদারার এখন জীবন্ত কিংবদন্তি৷ অনেক রেকর্ডই সুইজারল্যান্ডের এই তারকার দখলে৷ পুরুষদের গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ১৭টি শিরোপার রেকর্ডটি তার মধ্যে অন্যতম৷ মেয়েদের টেনিসে সবচেয়ে বেশি ২৪টি গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা মার্গারেট কোর্ট৷ ২২টি শিরোপা নিয়ে তাঁর ঠিক পরেই আছেন জার্মানির স্টেফি গ্রাফ৷