1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মধ্যপ্রাচ্য সংকট

২১ ডিসেম্বর ২০১২

নতুন করে বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়ে ইসরায়েল চাপের মুখে৷ জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের দেশগুলো বলেছে এ পদক্ষেপ শান্তি স্থাপনের পথে অন্তরায়৷ জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কিছু দেশও সতর্ক করে দিয়েছে ইসরায়েলকে৷

ছবি: dapd

ইসরায়েল মনে করে, শান্তি স্থাপনের জন্য ফিলিস্তিনের উচিত নিঃশর্ত আলোচনায় বসা৷ কিন্তু অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে বসতি স্থাপনের অনুমোদন দেয়ার পর সেটা কীভাবে সম্ভব তা দেশটি বলেনি৷ এদিকে ইসরায়েলের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রও পড়েছে অস্বস্তিতে৷ সরাসরি কোনো বিবৃতি না দিলেও বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দূত সুজান রাইস নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে, ইসরায়েলের এ তৎপরতাকে ‘উস্কানিমূলক' বলে অভিহিত করেছেন৷

নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেন, ‘‘পশ্চিম তীর ও জেরুজালেমের আশপাশে বসতি নির্মাণ নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন৷ এটা কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে বড় হুমকি৷'' এ সময় এভাবে নতুন বসতি নির্মাণ করে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতকে ঝুঁকির মধ্যে না ফেলার আহ্বানও জানান তিনি৷ খুব বেশি দেরি হওয়ার আগে ইসরায়েলকে শান্তি আলোচনা শুরু করতেও বলেছেন বান কি-মুন৷

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বাকি সব সদস্য দেশই ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে নতুন করে বসতি স্থাপনের অনুমোদন দেয়ায় সরাসরি উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে৷ ইসরায়েলের বসতি নির্মাণ পরিকল্পনার বিরোধিতা করে এ পরিকল্পনা থেকে দেশটিকে সরে আসতে বলেছে তারা৷ জাতিসংঘে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও পর্তুগালের দূতরাও এক বিবৃতিতে একই আহ্বান জানিয়েছে৷ বিবৃতিতে বলা হয়, তাঁরা ইসরায়েলের নতুন করে বসতি স্থাপনের উদ্যোগের বিরুদ্ধে এবং তাঁরা মনে করেন, এর ফলে ইসরায়েল শান্তি প্রক্রিয়াকে কঠিন করার পথে এগোচ্ছে৷ তবে ইসরায়েল জানিয়েছে বসতি সম্প্রসারণে এগিয়ে যাবে তারা৷ জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত রন প্রসর বলেন, এ বসতি স্থাপন অনেক আগেই হবার কথা৷ তিনি দাবি করেন, বসতি স্থাপন শান্তি স্থাপনের পথে কোনো বাধা নয়, বাধা হলো আলোচনা থেকে দূরে থাকা আর নিঃশর্ত আলোচনায় এসে ফিলিস্তিনই পারে সে বাধা দূর করতে৷

জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের দেশগুলো বলেছে ইসরায়েলের পদক্ষেপ শান্তি স্থাপনের পথে অন্তরায়ছবি: picture alliance / landov

ওদিকে রাশিয়া বলেছে, পরিস্থিতির অবনতি রোধ করতে ইসরায়েলের উচিত বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা করে দেখা৷ জাতিসংঘে সে দেশের দূত ভিতালি চারকিন সংকট নিরসনের উপায় সন্ধানের জন্য জরুরি বৈঠক আয়োজনেরও অনুরোধ জানান৷ জাতিসংঘে জোট নিরপেক্ষ রাষ্ট্র আজারবাইজান, কলম্বিয়া, ভারত, গুয়াতেমালা, মরক্কো, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা আর টোগোও আলাদা এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের নতুন করে বসতি স্থাপনের উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে৷ চীন জানিয়েছে তারাও ইসরায়েলের এ উদ্যোগের বিরুদ্ধে৷ সবার বিরোধীতার পরও  ইসরায়েলের একই কথা – বসতি স্থাপন চলবে৷  

বুধবারও পূর্ব জেরুজালেমে নতুন বসতি গড়ে সেখানে ২ হাজার ৬১০টি ঘর তৈরির পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল৷ এছাড়া পশ্চিম তীরেও নতুন করে এক হাজার ঘর নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি৷

পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা ও পূর্ব জেরুজালেম নিয়ে বিরোধ অনেক পুরোনো৷ ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর, গাজা ও পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল৷ তখন থেকে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইহুদি বসতি গড়ে তুলছে ইসরায়েল৷ এখন সেখানে প্রায় পাঁচ লাখ ইহুদির বাস৷

এসিবি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ