1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অলিম্পিক গেমস

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৩

অর্থনৈতিক সংকট-পীড়িত স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ নয়; দুই মহাদেশের মাঝখানে অবস্থিত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তুরস্কের কিংবদন্তির শহর ইস্তানবুল নয়৷ দ্বিতীয়বারের জন্য অলিম্পিক্স আয়োজনের সুযোগ পেল টোকিও, ফুকুশিমার বিপদ সত্ত্বেও৷

ছবি: Getty Images

আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেস-এ আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ভোটে, ৬০ বনাম ৩৬ ভোটে ইস্তানবুল-কে হারায় টোকিও, মাদ্রিদ প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ার পরে৷ অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা যদি মাদ্রিদের বাদ পড়ার কারণ হয়ে থাকে, তাহলে আঞ্চলিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিশ্চয় ইস্তানবুলের বাদ পড়ার একটা কারণ৷ দৃশ্যত আইওসি এবার রক্ষণশীল ও নিরাপদ একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

অবশ্য অলিম্পিক প্রচারণা অভিয়ানের একেবারে শেষদিকে এসে জাপানের ভরাডুবি ঘটতে পারত: ফুকুশিমার কারণে৷ সুনামি-বিধ্বস্ত পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি টোকিও থেকে মাত্র দু'শো কিলোমিটার দূরে৷ সেখানে তেজস্ক্রিয়তা সংক্রমিত পানির ফলে বিশেষ সুরক্ষা ছাড়া চার ঘণ্টার মধ্যে মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে, এ ধরনের খবর আইওসি অবধিও পৌঁছেছিল৷

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে কমিটির ভোটের আগে টোকিও-র চূড়ান্ত উপস্থাপনায় দু'টি প্রতিশ্রুতি দেন: প্রথমত, ফুকুশিমা টোকিও-র পক্ষে বিপদ হয়ে উঠবে না; দ্বিতীয়ত, টোকিও গেমস-কে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছেন৷ ইতিপূর্বেই জাপান সরকার ফুকুশিমায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যকলাপের দায়িত্ব নিজের হাতে নেন৷

৬০ বনাম ৩৬ ভোটে ইস্তানবুল-কে হারায় টোকিওছবি: Yoshikazu Tsuno/AFP/GettyImages

২০১৬ সালের অলিম্পিক্স আয়োজনের জন্যও টোকিও প্রার্থী ছিল, কিন্তু সেবার টোকিও-র মানুষজনের উৎসাহের কিছু কমতি দেখা যায়, যা আইওসি-র নজর এড়ায়নি৷ এবার টোকিও-র ৭০ শতাংশ বাসিন্দা অলিম্পিক্স আয়োজন সমর্থন করেন৷ তার একটা কারণ আবার – ঘুরেফিরে – জাপানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি: বিগত বেশ কয়েক বছরের স্ট্যাগনেশন বা নিশ্চলতা৷ সেখানে ‘আবেনমিক্স', অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-র ইকনমিক্স একটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাময়ের প্রক্রিয়া চালু করতে চাইছে, যাতে ২০২০-এর অলিম্পিক্স সাহায্য করবে বৈকি৷

স্পোর্টসের নজর এশিয়ার দিকে

টোকিও যে ২০২০ সালের অলিম্পিক্স পেল, সেটা মূলত বিশ্বায়িত দুনিয়ায় খেলাধুলার ‘পাওয়ার বেস' এশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে বলে৷ আগে স্পোর্টসের বড় বড় ইভেন্টগুলো ইউরোপ আর উত্তর অ্যামেরিকার মধ্যেই ভাগাভাগি করে নেওয়া হতো৷ আজ খেলাধুলার আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো ক্রমেই আরো বেশি করে এশিয়ার দিকে ঝুঁকছে৷

খেলাধুলার প্রশাসক-সংগঠকদের কাছে এশিয়ার আকর্ষণ সহজবোধ্য৷ বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেকেরই বাস এশিয়ায়৷ এছাড়া বিশ্বের যে ক'টি অর্থনীতি সবচেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে, তাদেরও অধিকাংশ এশিয়ায়৷ ২০২০ সালের আগেই একাধিক আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ‘ইভেন্ট' এশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে৷ ২০১৮-র শীতকালীন অলিম্পিক্স এবং ২০১৯ সালের বিশ্ব সুইমিং চ্যাম্পিয়নশিপস অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কোরিয়ায়৷ পরবর্তী, অর্থাৎ ২০১৫ সালের বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপস অনুষ্ঠিত হবে বেইজিং-এ৷

অলিম্পিক গেমসের পদকছবি: picture-alliance/dpa

যিনি সবচেয়ে খুশি

টোকিও অলিম্পিক্স পাওয়ায় সবচেয়ে খুশি যে অ্যাথলিট, তিনি হলেন জাপানের ট্রিপল গোল্ড মেডালিস্ট সাওরি ইয়োশিদা৷ ইনি ৫৫ কিলো বিভাগের মহিলা কুস্তিগির৷ মহিলাদের রেসলিং অলিম্পিক্সে ঢোকে ২০০৪ সালে৷ সেযাবৎ তিনবার সোনা জিতেছেন ইয়োশিদা৷ এছাড়া পর পর দশবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাবটিও জিতেছেন৷

জুডোর মতো রেসলিং থেকেও জাপান নিয়মিত সোনা জিতে থাকে৷ তাই গত ফেব্রুয়ারি মাসে আইওসি যখন রেসলিং-কে ২০২০ সালের অলিম্পিক্স থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযানে সবচেয়ে সক্রিয় দেশগুলির মধ্যে ছিল জাপান৷ সপ্তাহান্তে আইওসি-র ভোটে বেসবল/সফ্টবল ও স্কোয়াশ'কে হারিয়ে রেসলিং আবার তার জায়গা ফিরে পায়৷

নিজের প্রায় হৃত স্পোর্ট, তায় আবার স্বদেশে: ইয়োশিদা যে এবার ২০২০-এ চতুর্থবারের মতো সোনা জেতার স্বপ্ন দেখবেন, সেটা স্বাভাবিক৷ তখন তাঁর বয়স হবে ৩৭ বছর৷

এসি / এসবি (এপি, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ