আবার অপরহণ৷ আবার দিল্লি৷ স্কুল বাস থেকে এক শিশুকে অপহরণ করল দুষ্কৃতীরা৷ প্রজাতন্ত্র দিবসের একদিন আগে এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে দিল্লি জুড়ে৷
বিজ্ঞাপন
একেবারে হিন্দি ফিল্মের মতো৷ দুই বাইক আরোহী ড্রাইভারকে গুলি করে স্কুল বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে গেল প্রথম শ্রেণির এক শিশুকে৷ দিনে দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির রাজপথে৷ পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি৷ খোঁজ পাওয়া যায়নি শিশুটিরও৷
শুক্রবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস৷ যার জেরে ইতিমধ্যেই কার্যত নাকাবন্দি করে ফেলা হয়েছে রাজধানীর সমস্ত রাস্তা৷ রাস্তায় নামানো হয়েছে প্যারামিলিটারি ফোর্স৷ মূলত দু'টি কারণে নিরাপত্তার চাদর এবার অন্যবারের চেয়ে বেশি৷ প্রজাতন্ত্র দিবসের উদযাপনে কেন্দ্রীয় সরকার এশিয়ান সামিটের ১০টি দেশকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছে৷ এতগুলি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আসবেন বলে অতিরিক্ত নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে৷ পাশাপাশি বৃহস্পতিবার মুক্তি পাচ্ছে ‘পদ্মাবত'৷ ছবিটি নিয়ে উত্তর ভারত জুড়ে তোলপার চলছে৷ তাই ছবিটির মুক্তি ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে দিকেও নজর রাখা হয়েছে৷ প্রশ্ন উঠছে, নিরাপত্তার এত ঢক্কানিনাদের পরেও কীভাবে দিনেদুপুরে স্কুল বাস থেকে একটি শিশুকে কিডন্যাপ করা সম্ভব হলো?
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসটিতে ২০জন ছাত্র ছিল৷ যে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে, তার বোনও ছিল সেখানে৷ স্কুল থেকে ফেরার পথে বাসটিকে মাঝ রাস্তায় দাঁড় করায় দুই বাইক আরোহী৷ চালকের সঙ্গে খানিক বচসা হওয়ার পর তাঁকে গুলি করা হয়৷ এরপর বাসে উঠে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়৷ শিশুটিকে নিয়ে বাইকটি চলে যায় উত্তরপ্রদেশের দিকে৷
প্রতিবাদী ছাত্রী গুরমেহর কৌরের পাশে সব শ্রেণির মানুষ
ধর্ষণের হুমকি, ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে সম্মানহানীর পরও ভারতীয় জনতা পার্টির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদকে পরোয়া করেননি শহিদ সৈনিকের কন্যা৷ যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির জন্য লড়েছেন, লড়ছেন তিনি৷ তবে এ লড়াই তাঁর একার নয়৷
ইনি নিজে মুক্তমনা৷ আলোচনা, সমালোচনা পছন্দ করেন৷ পশ্চিমবঙ্গে শাসক দল তৃণমূলের ওপরের সারির নেতা৷ রাজ্যসভায় দলের সাংসদের নেতৃত্ব দেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি শুধু গুরমেহরকে নয়, প্রতিবাদী সমস্ত মানু্ষের কণ্ঠরোধ করতে বদ্ধপরিকর৷ নির্লজ্জভাবে কেন্দ্রের সরকার এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে মদত দিচ্ছে৷ তবে তৃণমূল গুরমেহরের মতো মেয়ের পাশে আছে৷ ওঁকে বলতে চাই, ভয় পেয়ো না৷ লড়াই জারি রাখো৷ দিল্লিতে ফিরে এসো তুমি৷’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
নাদিমূল হক, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ
এই সাংসদ মনে করেন, ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার ফলেই দিল্লি ছেড়ে পাঞ্জাবে নিজের বাড়িতে ফিরে গেছেন গুরমেহর৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘শিক্ষাঙ্গনে নোংরা রাজনীতি ঢুকিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির ষড়যন্ত্র করছে ভারতীয় জনতা পার্টি৷ গুরমেহর তার শিকার হয়েছেন৷ এখন ভারত সরকারের উচিত গুরমেহরের ভয় দূর করে তাঁকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে দিল্লিতে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়া৷’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
মধুমিতা চক্রবর্তী, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী
কলকাতায় থাকেন৷ কাজের প্রয়োজনে দু-তিন মাস অন্তর দিল্লিতে আসেন৷ একটি বেসরকারি স্বেচ্চাসেবী সংস্থার সুপারভাইজার পদে চাকরি করেন৷ দপ্তরের কাজে দিল্লিতে এসে গুরমেহরের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন৷ জানালেন, ‘‘গুরমেহর শুধু প্রতিবাদী একজন ছাত্রী নন, উনি শান্তিপ্রিয়, যুদ্ধবিরোধী সাহসী মেয়ে৷ বর্তমান সমাজে এমন মেয়ের খুব প্রয়োজন৷ হিংসা আর হানাহানির যুগে ঘরে ঘরে গুরমেহর দরকার৷ তাই একবার ওঁর সঙ্গে সক্ষাত করবো৷’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
অর্চণ সেনগুপ্ত, গুজরাটের একটি পাবলিসার্স কোম্পানির দিল্লির দায়িত্ব প্রাপ্ত মার্কেটিং ম্যানেজার
কলকাতার বাসিন্দা অর্চণ দিল্লিতে রয়েছেন ২০ বছর ধরে৷ ছাত্র আন্দোলন ও গণ আন্দোলন থেকে বাঁচার রসদ খুঁজে পান তিনি৷ ওঁর কথায়, ‘‘রামজস কলেজের ঘটনা আর পাঁচজন মানুষকে নাড়া না দিলেও অন্য একটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী গুরমেহরের মনে দাগ কেটেছে৷ গুরমেহর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জানেন৷ সমাজ ও দেশ বদলের স্বপ্ন দেখেন৷ কিন্তু যখন তাঁকেই ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়া হয়, তখন আমারো প্রতিবাদে সামিল হতে ইচ্ছে হয়৷’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
শ্রাবণী মান্না, স্কুলছাত্রী
শ্রাবণী বাবা-মা আর ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন৷ টিভিতে, সংবাদপত্রে গুরমেহরকে দেখেছেন৷ মত প্রকাশের স্বাধীনতায় অন্য কারও হস্তক্ষেপকে অন্যায় মনে করেন৷ জানালেন, ‘‘গুরমেহর যদি আমার দিদি হতো, খুব ভালো হতো৷ অনেক কিছু শিখতে পারতাম৷ তবে তিনি যেখানেই থাকুক আমি তাঁকে নিজের দিদির মতো মনে করবো৷ ওঁর পাশে আছি, থাকবো৷ চাইলে ওঁর লড়াইয়ে অংশ নেবো৷’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
জগদীশ সিং কুমাওয়াত, ডাক্তারির স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্র
মাস ছ’য়েক আগে রাজস্থান থেকে দিল্লি আসা জগদীশ দেখা করতে চান লেডি শ্রীরাম কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী গুরমেহরের সঙ্গে৷ ওঁর কথায়, ‘‘অন্যায়ের প্রতিবাদে একটি ছাত্রী নিজের ফেসবুক ও টুইটারে একাধিক ছবি পোস্ট করে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনকে তোয়াক্কা না করার কথা ঘোষণা করছে৷ এটা ভারতের মতো দেশে খুব একটা দেখা যায় না৷ এই সাহস দেখানোয় তাঁকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার খবর শোনা থেকে গুরমেহরের সঙ্গে দেখা করতে চাইছি৷’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
অনুপ রায়, দিল্লিতে কর্মরত পেশাদার বিজ্ঞাপন কর্মী
এক দশকের বেশি সময় ধরে দিল্লিতে থাকেন অনুপ৷ বিজ্ঞাপনের প্রয়োজনে সরকারি দপ্তরে যাতায়াত আছে৷ তিনি বললেন, ‘‘বেশ কিছুদিন ধরে এই ছাত্রীটির খবর পড়তে পড়তে ওঁর প্রতি সমবেদনা জন্মেছে৷ যাঁর বাবা দুই দেশের যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন, তিনি নিজে যুদ্ধের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন৷ এখন যাঁরা ক্ষুদ্র রাজনীতির কারণে ওঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের জন্য করুণা হচ্ছে৷ গুরমেহরের পাশে আমাদের মতো কোটি কোটি মানুষ আছে৷’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
আশাদুল আলি, বেসরকারি সংস্থার কর্মী
দিল্লির গৌতমনগরে একটি বেসরকারি কোম্পানির ঠিকা কর্মী তিনি৷ কিন্তু সব খবর রাখা চাই৷ তিনি জানান, ‘‘রামজস কলেজে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওমর খালিদের সভার আয়োজন ও এবিভিপি সমর্থকদের তা ভেস্তে দেওয়ার খবর জানি৷ পরে ঘটনার প্রতিবাদ করায় ফেসবুকে গুরমেহরকে খুন ও ধর্ষণের হুমকির কথা শুনেছি৷ কিন্তু এ বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসন কী করছে তা জানি না৷ গুরমেহরের ক্ষতি করার চেষ্টা হলে আম জনতা ক্ষেপে যাবে৷’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
গৌতম রায়, সেলসম্যান
বাড়ি বাড়ি ঘুরে জিনিস বিক্রি করে বেড়ান গৌতম৷ প্রতিদিন হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয়৷ উনি বললেন, ‘‘রাজনীতিতে যেমন হয়, ভারতে এখন ছাত্র রাজীতিতেও তেমটা শুরু হয়েছে৷ মতের মিল না থাকলে ‘খুন করে দাও’৷ এ সব চলতে পারে না৷ প্রতিবাদীর পাশে দাঁড়িয়ে আরও বড় প্রতিবাদ সংগঠিত করতে হবে আমাদের৷’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
রূপা ঘোষ, পরিচারিকা
সেই ৩০ বছর আগে স্বামীর হাত ধরে দিল্লি আসা রূপা এখন ‘রূপা মাসি’৷ ৪-৫টা বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে সংসার চালান তিনি৷ বাড়িতে টিভি না থাকলেও ছেলের কাছে গুরমেহরের কথা শুনেছেন৷ রূপা জানান, ‘‘গুরমেহরের বাবা লড়াইয়ের ময়দানে প্রাণ হারিয়েছেন৷ কিন্তু তাতে আম জনতার কি স্বার্থ রক্ষা হয়? যে মেয়েটা মাত্র দু’বছর বয়সে বাবাকে হারিয়েছিল, সেই এখন যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে৷ এর থেকে ভালো আর কিই-বা হতে পারে?’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
আলাগীর সর্দার, গাড়ি চালক
আলাগীর স্কুলে যাননি৷ স্কুল দেখেছেন দূর থেকে৷ গুরমেহরের নামও শোনেননি৷ তবে প্রতিবেদকের কাছে গুরমেহরের কথা শুনে বেশ ক্ষু্ব্ধ হন তিনি৷ বলেন, ‘‘ও তো আমার বোনের মতো তাহলে৷ বাড়িতে আমার বোন যে কোনো অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করে৷ গুরমেহরকে আমার বোনের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেবো৷’’
ছবি: DW/R. Chakraborty
11 ছবি1 | 11
ঘটনার পরেই শিশুটির পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ জানানো হয়৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্তে একটি স্পেশাল টিম তৈরি করা হয়েছে৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত তদন্তের কোনো অগ্রগতি হয়নি৷ মুক্তিপণ চেয়ে শিশুটির পরিবারের কাছেও কোনো ফোন আসেনি৷ পুলিশের ধারণা, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা পরিবারটির পরিচিত৷ শিশুটির দৈনিক রুটিন তাদের জানা৷ সে কারণেই মাঝপথে স্কুল বাস থেকে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়৷
গত কয়েকবছরে একের পর এক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে দিল্লিতে৷ ২০১৭ সালে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, গত এক বছরে ৬,৯৮২জন অপহৃত হয়েছে৷ যার ৪০ শতাংশই শিশু, যাদের বয়স ৬ থেকে ১২ বছরের মধ্যে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছিল, কোনো রাজধানী শহরের পক্ষে বিষয়টি নিন্দার এবং আশঙ্কার৷ আশঙ্কা যে কাটেনি এদিনের ঘটনাতেই তা স্পষ্ট৷
বস্তুত, গত বছরের অগস্টে দিল্লির রোহিনী অঞ্চল থেকে একটি শিশুর অপহরণের ঘটনাকে কেন্দ্র তোলপার হয়েছিল রাজধানী৷ অভিযোগ, বাড়ির সামনে থেকে দুই যুবক অপহরণ করেছিল ওই শিশুটিকে৷ থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে শিশুটির মাকে বলা হয়, তাঁর গাফিলতির জন্য শিশুটি হারিয়ে গেছে৷ প্রাথমিক ভাবে থানা অভিযোগ দায়েরও করতে চায়নি৷ পরবর্তীকালে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা যায় যে, দুই যুবক শিশুটিকে অপহরণ করেছে৷ অপহরণ নিয়ে দিল্লি পুলিশের গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে সে সময় বহু সমালোচনা হয়েছিল৷
বৃহস্পতিবারের ঘটনা প্রমাণ করল, দিল্লি পুলিশ এখনো বদলায়নি৷ স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, নিরাপত্তার চাদর কেবল ভিআইপি-দের জন্যই, সাধারণ মানুষ সেই তিমিরেই৷
সারা বিশ্বের গুম পরিস্থিতি
গুম নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের ‘দ্য ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্সড অর ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ বা ডাব্লিউজিইআইডি৷ তাদের সংগ্রহ করা তথ্য দিয়ে ছবিঘরটি তৈরি হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Cortez
তথ্য গ্রহণ ও প্রেরণ
বিভিন্ন দেশে গুম হওয়া ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজন কিংবা মানবাধিকার সংগঠনের কাছ থেকে পাওয়া গুম সংক্রান্ত তথ্য পরীক্ষা করে সেগুলো সংশ্লিষ্ট সরকারের কাছে পাঠিয়ে থাকে জাতিসংঘের সংস্থা ডাব্লিউজিইআইডি৷ এসব ঘটনা নিয়ে সরকারগুলোকে তদন্ত করারও অনুরোধ জানিয়ে থাকে তারা৷ একটি নির্দিষ্ট সময় পর সেসব ব্যাপারে হালনাগাদ তথ্য নিয়ে থাকে ডাব্লিউজিইআইডি৷
ছবি: Reuters/E. Garrido
বার্ষিক প্রতিবেদন
ডাব্লিউজিইআইডি-র কাছে ১৯৮০ সাল থেকে তথ্য আছে৷ প্রতিবছর হালনাগাদ তথ্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংস্থাটি৷ ২০১৬ সালের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, ১৯৮০ সাল থেকে গত বছরের ১৮ মে পর্যন্ত ১০৭টি দেশের সরকারের কাছে ৫৫,২৭৩টি গুম সংক্রান্ত বিষয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে৷ এখনও ৪৪ হাজার ১৫৯টি গুমের ঘটনা নিয়ে কাজ করছে তারা৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Vatsyayana
শীর্ষে ইরাক
জাতিসংঘের সংস্থাটি ইরাক সরকারের কাছে এখন পর্যন্ত মোট ১৬ হাজার ৫৬০টি গুম সম্পর্কে জানতে চেয়েছে৷ এর মধ্যে ১৯৮৮ সালেই মোট ১১ হাজার ৫৪৬টি গুমের তথ্য পেয়েছে ডাব্লিউজিইআইডি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/EFE/Str
এরপরে শ্রীলংকা
১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে যথাক্রমে ৪,৭০০ ও ৪,৬২৪ জনের ব্যাপারে শ্রীলংকার সরকারের কাছে তথ্য জানতে চায় ডাব্লিউজিইআইডি৷ সব মিলিয়ে সংস্থাটির কাছে সে দেশ থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৩৪৯টি গুমের খবর পৌঁছেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Gutierrez
অন্যান্য দেশ
সংখ্যার বিচারে ইরাক আর শ্রীলংকার পরের কয়েকটি দেশ হচ্ছে আর্জেন্টিনা (৩,৪৪৬), আলজেরিয়া (৩,১৬৮), গুয়াতেমালা (৩,১৫৪) ও পেরু (৩,০০৬)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/U. R. Basurto
বাংলাদেশ
২০০৯ সাল থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত ‘গুম’ হয়েছেন ৪৩২ জন৷ ফিরে আসা ব্যক্তিরা অপহরণকারীদের ব্যাপারে মুখ খোলেননি৷ অনেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে চিকিৎসাধীন৷
ছবি: Getty Images/AFP
6 ছবি1 | 6
এসজি/ডিজি (ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, রয়টার্স)