তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদীর অভিযোগ, তিনি ‘মোদী সরকার’-এর উন্নয়নের কাজ থামিয়ে দিতে ‘স্পিডব্রেকার’-এর ভূমিকা পালন করছেন৷ শুধু তাই নয়, ওড়িশায় বর্তমানে ‘ফণী’ ঝড়ের কারণে যে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে, সেই বিষয়ে কথা বলার জন্য মোদী ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও মমতা ফোন ধরেননি৷ এমনটাই দাবি নরেন্দ্র মোদীর৷

তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের আমডাঙায় প্রচার করতে গিয়ে এমন কথা বলেছেন সোমবার৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘‘আচ্ছে দিনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন চা-ওয়ালা, পাঁচ বছর ধরে বিদেশ ঘুরে এখন চৌকিদার হয়েছেন৷’’

ভারতীয় জনতা পার্টির অন্যতম জনপ্রিয় নেত্রী প্রাক্তন অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানি৷ আমেঠি কেন্দ্রে স্মৃতির বিরুদ্ধে লড়ছেন রাহুল গান্ধী৷ রাহুলের প্রচারে তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর অংশগ্রহণের বিষয়ে স্মৃতিকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তুলে আনেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী, বিতর্কিত ব্যবসায়ী রবার্ট ভাদ্রা’র নাম, যাঁর সাথে জড়িয়ে আছে একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ৷

বিস্ফোরক মন্তব্যের লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও৷ হরিয়ানায় একটি জনসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী বিষয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘৫৬ ইঞ্চি ছাতিওয়ালা বক্সারের হাতে মার খেয়েছিলেন মোদীজির গুরু৷’’ হরিয়ানার গ্রাম ভিওয়ানি, যেখানে সভাটি হচ্ছিল, ভারতের একাধিক অলিম্পিক-পদকজয়ীদের বাস সেখানে৷ ফলে, এই অঞ্চলে বক্সিং-এর রূপকের সাহায্যে রাজনৈতিক মন্তব্য আসলেই উত্তেজক৷

যে কোনো প্রশ্নের উত্তরে প্রায়ই এই বাক্যের সাহায্য নেন বিজেপির নেতা-নেত্রী ও কর্মীরা৷ সম্প্রতি চণ্ডীগড়ের বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী কিরণ খের-এর কাছে গত পাঁচ বছরে সাংসদ হিসাবে তাঁর কাজের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়৷ তখন তাঁর স্বামী, অভিনেতা অনুপম খেরও সঙ্গে ছিলেন৷ সাংবাদিকের প্রশ্নে কিরণকে জবাব দেবার সুযোগ না দিয়েই অনুপম উত্তর দেন ‘ভারত মাতা কি জয়’৷

পশ্চিমবঙ্গের ঘাটাল কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ৷ দলের প্রচার করতে গিয়ে বিজেপি সমর্থকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে– এ অভিযোগ শুনে তৃণমূলের সমর্থকদের এমন হুমকি দেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশ থেকে লোক ঢুকিয়ে মারার হুমকি দিতেও শোনা যায় তাঁকে৷ এমন মন্তব্যের জেরে ভারতীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করার কথা ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেস৷

একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডানহাত’ ছিলেন মুকুল রায়৷ সেই মুকুল এখন বিজেপি নেতা৷ কয়েকদিন আগে এক জনসভায় দলছুট এই নেতাদের ‘গাদ্দার’ বলেন মমতা৷ জবাবে মুকুল বলেন, ‘‘মমতা হলেন দেশের সবচেয়ে বড় গাদ্দার৷ ২৫ বছর কংগ্রেসে ছিলেন মমতা৷ তিনটি মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন কংগ্রেসের হাত ধরে৷ পরে এনডিএ-র সঙ্গে জোট বেঁধেও মন্ত্রী হন তিনি৷’’ মমতাকে মুকুলের পরামর্শ, ‘‘অন্যদের দিকে আঙুল তোলার আগে নিজের দিকে তাকান৷’’