বাংলাদেশে মুক্তচিন্তার মানুষ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, লেখক, প্রকাশক, ব্লগার এবং ভিন্ন ধর্মের মানুষ হত্যার ঘটনায় দেশের মানুষ উদ্বিগ্ন, উৎকণ্ঠিত৷ অথচ পুলিশ এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে নাগরিকদেরই নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলতে বলছে৷
বিজ্ঞাপন
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরগুলোতে নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরার বিক্রি বেড়েছে৷ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান তো বটেই, যাদের একটু সামর্থ্য আছে তারাই তাদের নিরাপত্তা নানাভাবে বাড়াতে চান৷ এরসঙ্গে নিরপত্তা সরঞ্জাম যেমন আর্চওয়ে, সিকিউরিটি ডিভাইস-এর বিক্রিও বাড়ছে৷ সেই সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সিকিউরিটি কোম্পানিগুলোর সিকিউরিটি সার্ভিসের চাহিদাও৷
ঢাকার অনেক এলাকাতেই এখন নিজস্ব নিরপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে৷ যেমন নাখালপড়ার একটি এলাকার সড়কের দুই প্রবেশপথে স্থানীয়রাই চেকপোস্ট বসিয়েছে৷ রাত ১০টার পর শুধুমাত্র ঐ এলাকার বাসিন্দারা ছাড়া কেউ ঢুকতে পারেন না সেখানে৷ এ রকম ব্যবস্থা আছে উত্তরা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডিসহ আরো বেশ কয়েকটি জায়গায়৷
এছাড়া ঢাকায় এখন দেহরক্ষী বা গানম্যানও পাওয়া যায়৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতে করে কি নিরাপত্তা বাড়ছে? নগরবাসী বা দেশের মানুষ কি নিরাপদ বোধ করছেন? তাদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে আস্থার ভাব আছে কি?
নাখালপাড়ারই আব্দুল হানিফ পাটোয়ারী জানান, ‘‘না, এ সবের পরও আমি নিরাপদ বোধ করছি না৷ আমি নিরাপদ থাকার চেষ্টা করছি৷ কিন্তু ভরসা পাচ্ছি না৷ পুলিশের ওপর ভরসা নেই বলেই তো নিজেরা এলাকায় নিরাপত্তা টিম বসিয়েছি৷ কিন্তু তারা কতটুকু পারবে, রাষ্ট্র-সরকার বা পুলিশ যদি নিরাপত্তা না দেয়?''
এলিনা খান
ঢাকার কলাবাগানে গে ম্যাগাজিন রূপবান-এর সম্পাদক জুলহাস মান্নানসহ দু'জন নিহত হওয়ার পর, বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান শহীদুল হক বলেন, ‘‘নাগরিকদের নিজেদেরও নিরপত্তা বলয় গড়ে তুলতে হবে৷ পুলিশ তৃণমূলে নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে না৷''
মহানগর পুলিশ প্রধান আছাদুজ্জামান মিয়া আক্ষেপ করে জানান, ‘‘জুলহাসের এক ঘাতককে পুলিশ জাপটে ধরেছিল৷ কিন্তু এলাকার মানুষ সহায়তা করেনি বলে তাকে শেষ পর্যন্ত আটকে রাখা যায়নি৷''
কলাবাগানে ঘটনাস্থলের পাশেই একটি দোকানের মালিক আব্দুর রহিম৷ তিনি এর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘‘আমি পুলিশের ওপর আস্থাশীল নই৷ সহায়তা করতে গেলে হয়ত আমাকেই পরে থানায় ধরে নিয়ে যাবে৷ আবার আমি সাক্ষী দিতে গেলে আমাকে কোনো নিরাপত্তা দেবে না৷ তাহলে কীভাবে সহায়তা করবো?''
ঐ এলাকার অপর এক বাসিন্দা আব্দুস সোবহানের কথায়, ‘‘জুলহাস মান্নানদের বাসা তো সুরক্ষিত৷ ভালো গেট, গেটে দারোয়ান, কেয়ারটেকার, সিসি ক্যামেরা সবই তো ছিল৷ কিন্তু দুর্বৃত্তরা দারেয়ানকেও কুপিয়েছে৷ জুলহাসের হত্যা তো ঠেকানো গেল না৷ এখন আমাদের সবাইকে কি বন্দুক আর বডিগার্ড নিয়ে থাকতে হবে!''
বাংলাদেশে আবারো মুক্তমনাদের হত্যা শুরু
গতবছর চার ব্লগার এবং একজন সেক্যুলার প্রকাশককে হত্যার পর কিছু দিন বিরতি ছিল৷ কিন্তু চলতি বছর আবারো শুরু হয়েছে মুক্তমনাদের উপর আঘাত৷ চলতি মাসেই তাতে নিহত চারজন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Ramany
নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যাকাণ্ড
গত ৮ এপ্রিল ঢাকায় খুন হন সিলেট গণজাগরণ মঞ্চের সক্রিয় সদস্য নাজিমুদ্দিন সামাদ৷ গতবছর ব্লগারদের যেভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে ঠিক সেভাবেই সামাদকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যাওয়া হয়৷ উগ্র ইসলামপন্থি গোষ্ঠী ‘আনসার আল ইসলাম’৷
ছবি: Facebook/Nazimuddin Samad
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক খুন
গত ২৩ এপ্রিল রাজশাহীতে খুন হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী৷ বাড়ি থেকে মাত্র কয়েকগজ দূরে বাসস্টান্ডে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায় দুই দুর্বৃত্ত৷ তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইএস এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷
ছবি: DW/A. Islam
রূপবানের সম্পাদক খুন
বাংলাদেশে সমকামীদের একমাত্র পত্রিকা রূপবানের সম্পাদক জুলহাস মান্নানকে হত্যা করা হয় তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের মধ্যে প্রবেশ করে৷ কমপক্ষে ছয় দুর্বৃত্ত কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মী পরিচয় দিয়ে তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে৷ আর তারপর হত্যাকাণ্ড ঘটায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Ramany
সমকামী অ্যাক্টিভিস্ট মাহবুব তনয় খুন
সমকামী অ্যাক্টিভিস্ট এবং মঞ্চকর্মী মাহবুব তনয় ছিলেন মান্নানের বন্ধু৷ তাঁকেও ঐ একইসময়ে হত্যা করা হয়৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসার আল-ইসলাম’ দু’টি হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে জানিয়েছে, বাংলাদেশে সমকামিতার প্রসারে ভূমিকা রাখায় তাঁদের খুন করা হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S.Ramany
4 ছবি1 | 4
মানবাধিকার নেত্রী অ্যাডভোকেট এলিনা খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নিরাপত্তা কোনো বিচ্ছিন্ন ব্যাপার নয়৷ একটি দেশের নাগরিকরা আলাদা-আলাদাভাবে নিরাপদ থাকতে পারেন না৷ এটা একটা সামগ্রিক ব্যবস্থা৷ নিজস্ব বা ব্যক্তিগত পর্যায়ের নিরপত্তা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার৷ সেই বোধ থেকেই তো মানুষ ঘরে তালা মারে বা বাসায় সিকিউরিটি গার্ড রাখে৷ কিন্তু এ দিয়ে তো আর তার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না৷ সেটা রাষ্ট্রকেই নিশ্চিত করতে হয়৷ তার উপায় হলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা এবং আন্তরিকতা ও আইনের শাসন৷ যদি এটা নিশ্চিত হয় যে কেউ অপরাধ করলে ধরা পড়বে এবং বিচারে তাকে শাস্তি পেতে হবে, তাহলে অপরাধ কমে যাবে৷ এটা নিশ্চিত না হওয়ার কারণেই অপরাধীরা এতটা বেপরোয়া৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘সরকার বা রষ্ট্র যদি নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ এবং আস্থার ভাব গড়ে তুলতে পারে, তাহলে বাকিটা নাগরিকরাই করতে পারে৷ কিন্তু প্রথম কাজটিই তো হচ্ছে না৷''
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও অপরাধ বিজ্ঞানের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘গত ১৪ মাসে ৩৫টি টার্গেট কিলিং-এর ঘটনা ঘটেছে বাংলাদেশে৷ এটা তো নাগরিকরা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়ে থামাতে পারবে না, সম্ভবও নয়৷ এটা ঠেকানো বা অপরাধীদের আটক করে আইনের হাতে তুলে দেয়া তো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ৷ তারা সেই কাজ করতে পারেনি, পারছে না৷ ফলে নাগরিকদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বোধের সৃষ্টি হচ্ছে৷ আর দায় এড়াতে পুলিশ এখন নানা ধরনের কথা বলছে৷''
বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার শিকার যারা
চলতি বছর ইসলামপন্থিরা একের পর এক হামলা চালিয়ে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে৷ এতে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন৷ চলুন জানা যাক ২০১৫ সালের কবে, কারা হামলার শিকার হয়েছেন...৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্লগার খুন
একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে খুন হন ব্লগার এবং লেখক অভিজিৎ রায়৷ কমপক্ষে দুই দুর্বৃত্ত তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ এসময় তাঁর স্ত্রী বন্যা আহমেদও গুরুতর আহত হন৷ বাংলাদেশি মার্কিন এই দুই নাগরিককে হত্যার দায় স্বীকার করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’৷ পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
বাড়ির সামনে খুন
ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে হত্যা করা হয় ঢাকায়, গত ৩০ মার্চ৷ তিন দুর্বৃত্ত মাংস কাটার চাপাতি দিতে তাঁকে কোপায়৷ সেসেময় কয়েকজন হিজরে সন্দেহভাজন দুই খুনিকে ধরে ফেলে, তৃতীয়জন পালিয়ে যায়৷ আটকরা জানায়, তারা মাদ্রাসার ছাত্র ছিল এবং বাবুকে হত্যার নির্দেশ পেয়েছিল৷ কে বা কারা এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছে জানা যায়নি৷ বাবু ফেসবুকে ধর্মীয় উগ্রপন্থিদের বিরুদ্ধে লিখতেন৷
ছবি: Munir Uz Zaman/AFP/Getty Images
সিলেটে আক্রান্ত মুক্তমনা ব্লগার
শুধু ঢাকায় নয়, ঢাকার বাইরে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ গত ১২ মে সিলেটে নিজের বাসার কাছে খুন হন নাস্তিক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং ব্লগার অনন্ত বিজয় দাস৷ ভারত উপমহাদেশের আল-কায়েদা, যাদের সঙ্গে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’-এর সম্পর্ক আছে ধারণা করা হয়, এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷ দাস ডয়চে ভেলের দ্য বব্স জয়ী মুক্তমনা ব্লগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/EPA/Str
বাড়ির মধ্যে জবাই
ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায়কে, যিনি নিলয় নীল নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন, হত্যা করা হয় ঢাকায় তাঁর বাড়ির মধ্যে৷ একদল যুবক বাড়ি ভাড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে ৮ আগস্ট তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে৷ নিজের উপর হামলা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় পুলিশের সহায়তা চেয়েছিলেন নিলয়৷ কিন্তু পুলিশ তাঁকে সহায়তা করেনি৷ ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিম’ এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে, তবে তার সত্যতা যাচাই করা যায়নি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Uz Zaman
জগিংয়ের সময় গুলিতে খুন বিদেশি
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে জগিং করার সময় ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় খুন হন ইটালীয় এনজিও কর্মী সিজার তাবেলা৷ তাঁকে পেছন থেকে পরপর তিনবার গুলি করে দুর্বৃত্তরা৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে জিহাদিদের অনলাইন কর্মকাণ্ডের দিকে নজর রাখা একটি সংস্থা৷ তবে বাংলাদেশে সরকার এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে ‘এক বড় ভাইয়ের’ তাঁকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/ A.M. Ahad)
রংপুরে নিহত এক জাপানি
গত ৩ অক্টোবর রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক হোশি কুনিও৷ মুখোশধারী খুনিরা তাঁকে গুলি করার পর মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়৷ ইসলামিক স্টেট এই হত্যাকাণ্ডেরও দায় স্বীকার করেছে, তবে সরকার তা অস্বীকার করেছে৷ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন না যে তাঁর দেশে আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠীটির উপস্থিতি রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
হোসনি দালানে বিস্ফোরণ, নিহত ১
গত ২৪ অক্টোবর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী হোসনি দালানে শিয়া মুসলমানদের আশুরার প্রস্তুতির সময় বিস্ফোরণে এক কিশোর নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তি আহত হন৷ বাংলাদেশে এর আগে কখনো শিয়াদের উপর এরকম হামলায় হয়নি৷ এই হামলারও দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট, তবে সরকার সে দাবি নাকোচ করে দিয়ে হামলাকারীরা সম্ভবত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবি-র সদস্য৷ সন্দেহভাজনদের একজন ইতোমধ্যে ক্রসফায়ারে মারা গেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Zaman
ঢাকায় প্রকাশক খুন
গত ৩১ অক্টোবর ঢাকায় দু’টি স্থানে কাছাকাছি সময়ে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়৷ এতে খুন হন এক ‘সেক্যুলার’ প্রকাশক এবং গুরুতর আহত হন আরেক প্রকাশক ও দুই ব্লগার৷ নিহত প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপনের সঙ্গে ঢাকায় খুন হওয়া ব্লগার অভিজিৎ রায়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল৷ জঙ্গি গোষ্ঠী ‘আনসার-আল-ইসলাম’ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman
প্রার্থনারত শিয়াদের গুলি, নিহত ১
গত ২৭ নভেম্বর বাংলাদেশের বগুড়ায় অবস্থিত একটি শিয়া মসজিদের ভেতরে ঢুকে প্রার্থনারতদের উপর গুলি চালায় কমপক্ষে পাঁচ দুর্বৃত্ত৷ এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন নিহত হন এবং অপর তিন ব্যক্তি আহত হন৷ তথকথিত ইসলামিক স্টেট-এর সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততা দাবি করা স্থানীয় একটি গোষ্ঠী হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে৷