1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরাপত্তা, দারিদ্র্যের কারণে বেড়েই চলেছে বাল্যবিবাহ

৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

বাংলাদেশে ১৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের বিয়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে৷ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে৷

২০১৫ সালে মানিকগঞ্জে একটি বিয়ের আসরে ১৫ বছরের কনের সাথে বর
বাল্যবিয়ের হারে এশিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান সব দেশের উপরেছবি: Getty Images/A. Joyce

সামাজিক নিরাপত্তা, দারিদ্র্য ও সচেতনার অভাবে বাল্যবিয়ে কমানো যাচ্ছে না৷ বরং প্রতিবছরই বাড়ছে৷ সরকারি নানা পদক্ষেপ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্যোগও কাজে আসছে না৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আর্থিক সংকটের কারণে মূলত নিম্নবিত্ত মানুষ কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন৷

‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২২' শিরোনামের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গত বুধবার প্রকাশ করেছে বিবিএস৷ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালে ১৫ বছরের বেশি কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের ঘটনা বেড়ে ৪০ দশমিক ৮৫ শতাংশে পৌঁছেছে৷ আগের বছর যা ছিল ৩২ দশমিক ৩৬ শতাংশ৷ অন্যদিকে, ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের ঘটনা আগের বছরের চেয়ে ২০২২ সালে প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে৷ এ ধরনের বিয়ের ঘটনা বেড়ে হয়েছে ছয় ৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ, যা আগের বছর ছিল চার দশমিক ৭২ শতাংশ৷

সামাজিক নিরাপত্তার অভাব বাল্যবিয়ের অন্যতম কারণ: আলমগীর হোসেন

This browser does not support the audio element.

বিবিএসের এসডিজি প্রকল্পের পরিচালক আলমগীর হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘যে লক্ষ্যে জরিপ, সে সংক্রান্ত তথ্যই সাধারণত আমরা সংগ্রহ করে থাকি৷ তাই জরিপ থেকে বাল্যবিয়ের কারণ খোঁজা হয়নি৷ তবে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে আমরা যেসব কারণ জানতে পেরেছি তার মধ্যে অন্যতম হলো, বাবা-মায়ের চোখে সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, দারিদ্র্য ও সচেতনতার অভাব৷ বয়স লুকিয়ে আদালতের মাধ্যমে বিয়ের ঘটনাও বাড়ছে৷ বিয়ে অনুষ্ঠানের ব্যয় এবং ঝামেলা এড়াতে বাবা-মা এতে সহযোগিতা করছেন৷ তবে আমাদের কাছে মেয়েদের বয়সের তথ্য থাকায় আমরা বিষয়টি শনাক্ত করতে পেরেছি৷ এ ছাড়া করোনা অতিমারির অভিঘাতও বাল্যবিয়ের কারণ হতে পারে৷ ওই সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল৷ ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা ছিল বাবা-মায়ের মধ্যে৷”

গত ডিসেম্বরে ‘কনে হওয়ার জন্যই জন্ম' এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্র্যাকের সোশ্যাল এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড লিগ্যাল প্রোটেকশন (সেলপ) কর্মসূচি৷ বাল্যবিবাহের প্রবণতা ও কারণ জানতে ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি ২৭টি জেলায় এই জরিপ চালিয়েছে৷ জরিপের তথ্য বলছে, এসব জেলায় ৪৪ দশমিক সাত শতাংশ মেয়ে ১৮ বছরের আগেই বাল্যবিবাহের শিকার হয়৷

৬০ শতাংশেরও বেশি পরিবারে বাল্যবিয়ে

ব্র্যাকের গবেষণায় দেখা যায়, বাল্যবিয়ের শিকার মেয়েদের ছয় দশমিক নয় শতাংশের বয়স ১৫ বছরের নিচে৷ এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পিরোজপুর, সেখানে বাল্যবিয়ের হার ৭২ দশমিক ছয় শতাংশ৷ এই হার সবচেয়ে কম নেত্রকোনায় ২৪ দশমিক এক শতাংশ৷ শীর্ষে থাকা অন্য জেলাগুলোর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়ের হার ৬৫ দশমিক দুই শতাংশ, নওগাঁয় ৬৫ দশমিক দুই শতাংশ, ঠাকুরগাঁওয়ে ৬২ দশমিক পাঁচ শতাংশ এবং জয়পুরহাটে ৬১ দশমিক চার শতাংশ৷ এছাড়া যোগ্যপাত্র পাওয়ার কারণে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন ৪৪ শতাংশ অভিভাবক৷

কারণগুলোর মধ্যে ১৮ শতাংশ দারিদ্র্য, ১০ শতাংশ বরপক্ষ যৌতুক কম বা না চাওয়া, সাত শতাংশ সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, মেয়ে পড়ালেখায় ভালো না হওয়াকে ৬ শতাংশ এবং অন্যান্য কারণের কথা বলেছেন আরও ১৫ শতাংশ অভিভাবক৷

ব্র্যাকের গবেষণা থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশের ৬০ শতাংশেরও বেশি পরিবারে বাল্যবিবাহের চর্চা হচ্ছে৷ গত পাঁচ বছরে এসব পরিবারে যেসব মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা পুত্রবধূ হিসেবে যারা এসেছে তাদের বয়স বিয়ের সময় ১৮ বছরের কম ছিল৷ এছাড়া ৫৬ শতাংশ বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েদের মাধ্যমিক পাশ করার আগেই বিয়ে হয়ে গেছে বলে ব্র্যাকের এই গবেষণায় উঠে এসেছে৷

অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বাল্যবিয়ের আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে জলবায়ুর প্রভাব৷ অনেক এলাকার মানুষকে প্রতিনিয়তই বাড়িঘর ছাড়তে হচ্ছে৷ ফলে যে কোন বিপর্যয়ের আগে অভিভাবক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন৷ কারণ তাদেরই গন্তব্যের ঠিক নেই, মেয়ে সঙ্গে রাখাকে তারা বাড়তি ঝামেলা মনে করছেন৷ পাশাপাশি করোনা পরবর্তী সময়ে আর্থিক সমস্যাও একটা কারণ৷ সামাজিক নিরাপত্তার কারণে অনেক অভিভাবক মেয়েকে নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন৷ সবকিছু মিলিয়েই বাল্যবিয়ে কমানো যাচ্ছে না৷”

বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে দোলার যুদ্ধ

04:26

This browser does not support the video element.

বাল্যবিয়েতে এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে

বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি-২০২৩ প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাল্যবিবাহের হারের দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম এবং এশিয়ায় প্রথম৷ বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ (বিডিএইচএস) ২০২২ প্রতিবেদন অনুসারে, দেশে ১৮ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ে বা বাল্যবিবাহের হার ৫০ শতাংশ৷ জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার দ্বারপ্রান্তে চলে আসা মেয়েরা সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে রয়েছে৷ ১৬-১৭ বছর বয়সি মেয়েদের বিয়ের হার ৬৩ শতাংশের বেশি৷ স্কুল থেকে ঝরে পড়া মেয়েদের চেয়ে পড়াশোনায় থাকা অবস্থায় সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহ হয়েছে৷ এ হার ৫৬ শতাংশ৷ বাকি ৪৪ শতাংশ বাল্যবিবাহ হওয়া মেয়েদের কেউ ছয় মাস, কেউ এক থেকে সাত বছরের বেশি সময় স্কুলে পড়েছে, আবার কেউ কখনোই স্কুলে যায়নি৷

এত উদ্যোগের পরও কেন থামানো যাচ্ছে না বাল্যবিয়ে? জানতে চাইলে ফাউন্ডেশন ফর ল' এন্ড ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপার্সন সিনিয়র আইনজীবী ফৌজিয়া ফিরোজ ডয়চে ভেলেকে বলেন, "সামাজিক একটা চাপ তো থাকেই৷ আর এখন দেখছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ হয়ে যাচ্ছে৷ বাংলাদেশে এই ধরনের সংকট এখন অনেক বেড়ে গেছে৷ এখন তো সামাজিক দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব অনেক বেড়ে গেছে৷ একজন রাজনৈতিক কর্মী নিজেকে সবার উপরে মনে করে৷ ফলে সে যা খুশি তাই করতে পারে৷ আবার দেখেন ফ্রি এডুকেশনের কথা আমরা বলছি৷ আসলে কি ফ্রি? অনেক কিছুই কিনতে হচ্ছে৷ সরকারের দেওয়া বইও কোথাও কোথাও কিনতে হয়৷ এই খরচটা অনেক অভিভাবক সামলাতে পারছেন না৷ আবার মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতার কারণে অনেক ছেলে-মেয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ অনেক সময় বিয়ে ছাড়া সমাধান হয় না৷”

বাল্যবিয়ের কারণে অপরিণত বয়সে মা হওয়ায় মেয়েদের স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া ও কর্মজীবনে প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ছবি: Kazi Salahuddin/ZUMAPRESS/picture alliance

সবচেয়ে বেশি রাজশাহীতে

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী, নারীর বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮৷ এ বয়সের আগে বিয়ের ঘটনাকে মৌলিক মানবাধিকারের লঙ্ঘন বিবেচনা করা হয়৷ কারণ, বাল্যবিয়ের কারণে অপরিণত বয়সে অনেক মেয়ে মা হন৷ এতে তার যেমন স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়, তেমনি শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হওয়ার সুযোগও কমে যায়৷

স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্সকে বিবিএস-এর মৌলিক জরিপগুলোর অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ এতে জনমিতির ১৩৮টি সূচকের তথ্য-উপাত্ত রয়েছে৷ এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ২৭ সূচক এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার ১৭টি সূচকের তথ্য-উপাত্ত রয়েছে সেখানে৷ সারাদেশের ২ হাজার ১২টি নমুনা এলাকার প্রায় ১৩ লাখ মানুষের কাছ থেকে জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে৷

বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাল্যবিয়ের ঘটনার দিক থেকে সারাদেশের মধ্যে রাজশাহী বিভাগের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক৷ এ বিভাগে বাল্যবিয়ের ঘটনা সারাদেশের মোট বাল্যবিয়ের গড়ের দ্বিগুণ৷ ১৫ বছরের আগে বাল্যবিয়ের ঘটনা রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশ৷ দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা খুলনা বিভাগের এ হার ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ৷

বাল্যবিয়ের ঘটনা কমে আসার দিক থেকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে সিলেট বিভাগ৷ এ বিভাগে এ ধরনের ঘটনা এক দশমিক ০৪ শতাংশ৷ অন্যদিকে, ১৫ বছরের বেশি কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সসীমার বাল্যবিয়ের ঘটনাও রাজশাহী বিভাগেই বেশি৷ রাজশাহীতে এ বয়সসীমার মেয়েদের বিয়ের ঘটনা ৫২ দশমিক ২১ শতাংশ৷ এ হারের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বরিশাল৷ সেখানে এ বয়সি মেয়েদের বিয়ের হার ৪৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ৷ এ ক্ষেত্রেও সারাদেশের মধ্যে সিলেটের অবস্থান ভালো৷ সিলেটে এ ধরনের বিয়ের ঘটনা মাত্র ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ৷

‘আইন দিয়ে বন্ধ করা যাবে না’

অনেক সময় বিয়ে ছাড়া সমাধান হয় না: ফৌজিয়া ফিরোজ

This browser does not support the audio element.

বিবিএস বলছে, দেশের সম্পদশালী পরিবারের মধ্যেও বাল্যবিয়ের প্রবণতা বাড়ছে৷ এ শ্রেণির ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের গড় হার দুই দশমিক ৯০ শতাংশ৷ ১৫ বছরের বেশি ১৮ বছরের কম বয়সসীমার মেয়েদের বিয়ের হার ২৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ৷ তবে অতিদরিদ্র্য পরিবারে বাল্যবিয়ের ঘটনা তুলনায় বেশি৷ অতিদরিদ্র পরিবারে ১৫ বছরের কম বয়সী মেয়েদের বিয়ের গড় হার ৮ দশমিক ০১ শতাংশ৷ অন্যদিকে, ১৮ বছরের মধ্যে থাকা বয়সিদের অতিদরিদ্র পরিবারে এই হার ৪৯ দশমিক ৪২ শতাংশ৷

জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে এম নুরুন্নবী ডয়চে ভেলেকে বলেন, "বাল্যবিয়ে বাড়ার আকস্মিক এ প্রবণতা কোনোভাবেই কাম্য নয়৷ বাল্যবিয়ের ঘটনা আর্থসামাজিক অনেক সমস্যা তৈরি করে৷ এ ধরনের প্রবণতায় দেশ পিছিয়ে পড়ে৷ ১৮ বছর বয়সের আগে কোনো মেয়ের প্রজনন স্বাস্থ্য পরিপুষ্ট হয় না৷ এ কারণে আইন করে বিয়ের ন্যূনতম বয়সসীমা ১৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে৷ অপরিণত বয়সে বিয়ের পর একটি মেয়েকে সামাজিকভাবে অনেক পরিণত দায়িত্ব নিতে হয়৷ বিয়ের এক বছরের মাথায় সন্তান জন্ম দিয়ে তাকে প্রমাণ দিতে হয়, সে বন্ধ্যা নয়৷ এতে মেয়েটার জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে৷ মাতৃমৃত্যু এবং শিশুমৃত্যুর অন্যতম বড় কারণও বাল্যবিয়ে৷ সামাজিক নিরাপত্তার অভাবে বাল্যবিয়ের ঘটনা বাড়ছে৷ শুধু আইন দিয়ে এ ধরনের প্রবণতা রোধ করা যাবে না৷”

সারাইয়াহ: বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে লড়়াই করা এক ইন্দোনেশিয়ান নারীর গল্প

04:57

This browser does not support the video element.

মহিলা অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, "আমাদের এসডিজির প্রধান অন্তরায় বাল্যবিবাহ৷ বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য সরকার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে, যেন বাল্যবিবাহটা না হয়৷ যে ঘরে কিশোরী মেয়ে আছে, আমরা সেই কিশোরীর মাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি, তাকে চাল দেওয়া হয় এই শর্তে যে, তাদের খাদ্যের নিরাপত্তা আছে, মেয়েটারও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে৷ আমাদের কিশোর কিশোরী ক্লাব আছে, এছাড়া আরো নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে৷ তারপরও কিছুতেই কমানো যাচ্ছে না বাল্যবিয়ে৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ