জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিল জার্মানি৷ এপ্রিল মাসের জন্য দায়িত্ব পাওয়া জার্মানি এই সময়ে বিশ্বব্যাপী চলমান অস্থিরতা নিরসন ও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে দেশটির সরকার৷
বিজ্ঞাপন
সভাপতিত্বের মেয়াদকালে জার্মানি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে চলা সংঘাত নিরসনে দৃঢ় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস৷ সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি, সভাপতিত্বের মেয়াদকালে জার্মানি বিশ্ব্যাপী চলমান সংঘাত নিরসনে নিজের অবস্থান আরো দৃঢ় করার চেষ্টা চালাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
কেন জার্মানি পর্যটকদের পছন্দ?
ভ্রমণের জন্য স্পেনের পর ইউরোপীয়ানদের সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য জার্মানি৷ ব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি নিয়ে এক ভিন্ন পরিবেশে সময় কাটানোর জন্যই ছুটে যাওয়া জার্মানিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Hörhager
বার্লিন এখনো ‘সেক্সি’
চোখ ধাঁধানোতে এখনো পারদর্শী বার্লিন৷ ২০১৮ সালে এক কোটি ৩৫ লাখ লোক ভ্রমণ করেছেন এ শহর৷ যদিও এখন শহর কর্তৃপক্ষ পার্টির চেয়ে সাংস্কৃতিক পর্যটনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন, বার্লিনে গেলে মিলবে দু’টোই৷ দিনে শহরঘুরে ইতিহাস চষে বেড়ান আর রাতে ঐতিহ্যবাহী সব ক্লাব ও ডিস্কোতে মজা করুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Carstensen
চটকদার ড্রেসডেন
স্যাক্সনি রাজ্যে সবসময়ই ইউরোপ ও তার বাইরের পর্যটকদের আনাগোনা৷ ২০১৮ সালে ব্র্যুলের টেরেস থেকে শুরু করে সুইঙ্গার প্যালেস ও পুনর্নির্মিত ফ্রাউয়েন কির্শে পর্যন্ত বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে৷ লাইপসিশের সংগীতময় ইতিহাস কিংবা এয়ার্সগেবির্গে পর্বত, স্যাক্সনি রাজ্য আগের চেয়ে ১০ ভাগ বেশি পর্যটক টেনেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Steinberg
মিউনিখের অক্টোবরফেস্ট
বিয়ার মানেই তো বাভেরিয়া রাজ্য৷ মিউনিখের অক্টোবরফেস্টে ২০১৮ সালে ৬৩ লাখ পর্যটক এসেছেন৷ বিদেশি পর্যটকদের পছন্দের জায়গা বাভেরিয়া৷ সমৃদ্ধ থিয়েটার, মিউজিয়াম ও অপেরা হাউসের জন্য জার্মানির শিল্প ও সংস্কৃতির শহর হিসেবে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস মিউনিখকে সবচেয়ে এগিয়ে রেখেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Hörhager
মেকলেনবুর্গ-পশ্চিম পোমেরানিয়া
বাল্টিক সাগরের বিচগুলোর পাশে মনোরম এমন রিসোর্ট, কিংবা নৈসর্গিক হানসিটিক শহরগুলো দিন দিন পর্যটকদের মনোযোগ আকর্ষণ করছে৷ ২০১৮ সালে এসব অঞ্চলে পর্যটকদের রাত্রিযাপন বেড়ে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/Arco Images
বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ
দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানিতে পর্যটকরা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি বার রাত্রিযাপন করেছেন৷ এরমধ্যে ব্ল্যাক ফরেস্ট সবচেয়ে এগিয়ে৷
ছবি: picture-alliance/W. Rothermel
রাজকীয় দুর্গ ও প্রাসাদ
জার্মানি দুর্গ ও প্রাসাদের দেশ৷ হাজার হাজার এমন অবকাঠামো এখানে৷ সঠিক সংখ্যা জার্মানরাও জানেন না৷ বাভেরিয়ার নয়শোয়ানস্টাইন এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত৷ ভেতরে সংস্কার কাজ চলছে৷ তারপরও ২০১৮ সালে ১৫ লাখ দর্শনার্থী এসেছেন এখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/K. J. Hildenbrand
ওয়াইন পর্যটন
ওয়াইনের ভূগর্ভস্থ ভাণ্ডার প্রদর্শন, কিংবা ভিন্টার বা ওয়াইন প্রস্তুতকারীদের সঙ্গে হেঁটে হেঁটে ওয়াইন তৈরির পুরো প্রক্রিয়া দেখা অথবা ওয়াইন চেখে দেখা – এ সবই ওয়াইন পর্যটনের মধ্যে পড়ে৷ এমন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হবে রাইনহেসেন, ফ্রাংকোনিয়া কিংবা মোজেল অঞ্চলে গেলে৷ নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওয়াইন চেখে দেখতে অনেক পর্যটক আসেন জার্মানিতে৷ প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন ইউরো তারা বছরে খরচ করেন এর পেছনে৷
ছবি: DW/C. Schuh
নৌ-ভ্রমণ
অনেক পরিবেশবাদীর আপত্তি সত্ত্বেও জার্মানিতে নৌ-ভ্রমণ বাড়ছে৷ শুধু ডানিয়ুব বা রাইন নদীতেই নয়, ড্রেসডেন ও হামবুর্গ শহরের মাঝে এলবে নদীতেও পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/imagebroker/A. Vitting
রোম্যান্টিক রোটেনবুর্গ
এখন তো সারাবিশ্বেই ক্রিস্টমাস মার্কেট দেখা যায়৷ কিন্তু জার্মানিতে একটাই মার্কেট আছে, যেটা খোলা থাকে বছরের ৩৬৫ দিন৷ সেটি হলো রোটেনবুর্গ শহরের !‘ক্যাথে ভোলফার্ট ক্রিস্টমাস ভিলেজ’৷ শহরটির মধ্যযুগীয় ধাঁচ পর্যটকদের আকর্ষণ করে, বিশেষ করে মার্কিন ও এশিয়ান পর্যটকদের৷ বছরে ২০ লাখ পর্যটক আসেন এখানে৷
ছবি: picture-alliance/imagebroker/W. Dieterich
২০১৯-এ কী হবে?
২০১৯ সালে জার্মানির বিখ্যাত স্থাপত্যকলা ও নকশা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাউহাউসের শতবর্ষ পূর্তি৷ এ উপলক্ষ্যে শুধু বার্লিনে নয়, ভাইমার ও ডেসাউতে (ছবিতে দেখা যাচ্ছে) প্রদর্শনী আয়োজিত হতে যাচ্ছে৷ প্রদর্শনী শুরু হলে ২০১৯ সালে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক জার্মানিতে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ছবি: Stiftung Bauhaus Dessau/Y. Tenschert
10 ছবি1 | 10
এদিকে গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের এক আলোচনাসভায় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত মানবতার সুরক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করা৷ নিরাপত্তা পরিষদের এ ভূমিকা সংঘাত নিরসনে সরাসরি ভূমিকা না রাখতে পারলেও পরিষদের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নিপীড়িত মানুষের কষ্ট লাঘবে সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷
আগামী দুই বছর মেয়াদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্যের দায়িত্ব পালন করছে ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র জার্মানি৷ এরই অংশ হিসেবে এপ্রিল মাসে পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে দেশটি৷ তবে এ সময়টিতে বন্ধু রাষ্ট্র ফ্রান্সের সাথে ‘দ্বৈত সভাপতিত্বের' ঘোষণা দেয় জার্মানি৷
কেমন হবে দ্বৈত সভাপতিত্ব?
জার্মানি ও ফ্রান্স উভয়ই বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে৷ তবে জার্মানির এ সদস্যপদের মেয়াদ দু'বছরের জন্য অর্থাৎ অস্থায়ী সদস্যের ভূমিকায় আছে দেশটি৷ এদিকে ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য৷
বার্লিনের রাইশটাগ ভবন
অসাধারণ স্থাপত্যশৈলীর কারণে বার্লিনের রাইশটাগ ভবনের খ্যাতি গোটা বিশ্বজুড়ে৷ নাৎসি যুগের অগ্নিকাণ্ড কিংবা দুই জার্মানির একত্রীকরণ, এই ভবন দেশটির আলোকিত আর অন্ধকার অনেক ইতিহাসেরই সাক্ষী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Spata
রাইশটাগের চত্বর
অবসর সময় কাটানো, প্রতিবাদ কিংবা প্রতীকী ভাষার ব্যবহারের জন্য রাইশটাগের খোলা চত্বর নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের একটি প্রিয় জায়গা৷ বার্লিনের প্রাণকেন্দ্রে এই ভবনের অবস্থান৷ ১৯৯৯ সাল থেকে জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগের অধিবেশন বসে এখানে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Brakemeier
কাচের গম্বুজ
বিখ্যাত স্থাপত্যবিদ স্যার নরমান ফস্টারের তৈরি রাইশটাগের গম্বুজ পর্যটকদের অন্যতম গন্তব্য৷ এর উচ্চতা ৪০ মিটার বা ১৩০ ফুট৷ যখন সংসদের অধিবেশন চলে তখন জনগণ প্রতীকী অর্থে ঐ গম্বুজ দিয়ে নীচে সংসদ সদস্যদের উপর নজর রাখতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Kalker
দৃষ্টিনন্দন সংসদ ভবন
স্প্রে নদীর তীরে এই ভবন গড়ে উঠে ১৮৯৪ সালে৷ স্থাপত্যশিল্পী পাউল ভালট জার্মানির প্রথম এই সংসদ ভবনের নকশা করেন৷ সে সময় কিন্তু জার্মানি রাজতন্ত্রের অধীনে ছিল৷ রাজা শাসন করতেন আর তার অধীনস্থরা সংসদে বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কে অংশ নিতেন৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
ব্যালকনি থেকে গণতন্ত্রের উত্থান
মূল ভবনের বাম পাশের দ্বিতীয় জানালার ব্যালকনি থেকেই জার্মান গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়৷ রাজতন্ত্রের অবসানের পর ১৯১৮ সালের ৯ নভেম্বর সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতা ফিলিপ শাইডেমান এখান থেকেই প্রজাতন্ত্রের ঘোষণা দেন৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/M. Weber
রাইশটাগে অগ্নিকাণ্ড
১৯৩৩ সালের ফেব্রুয়ারির ২৭-২৮ তারিখে রাইশটাগ ভবন আগুনে পুড়ে যায়৷ আডলফ হিটলার এই ভবনে আগুন দেয়ার ব্যবস্থা করে নাৎসি একনায়কতন্ত্রের সন্ত্রাস ও সহিংস অধ্যায়ের সূচনা করেন৷ এরপর রাইশটাগ ভবন পরিত্যাক্ত ছিল৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে কিছু অংশ একটি দাতব্য হাসপাতালের মাতৃত্বকালীন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিসৌধ
রাইশটাগের মূল ভবন থেকে কিছুটা দূরে কালো লোহার তৈরি এই কাঠামো হত্যার শিকার ইহুদিদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত৷ ডিটার আপ্পেলটের তৈরি এই ভাস্কর্যে ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে হত্যার শিকার সংসদ সদস্যদের নাম ও মৃত্যুর তারিখ খোদাই রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/imageBROKER/H. Hattendorf
রুশদের আঁকা গ্রাফিতি
রাইশটাগ কেবল নাৎসি উত্থান নয়, পতনেরও প্রতীক৷ ১৯৪৫ সালের ২ মে রাইশটাগ দখলে নেয়া সোভিয়েত সৈনিকদের স্বাক্ষর আর বার্তা এখনও অক্ষত রয়েছে ভবনটির দেয়ালে৷ বিজয়ের চিহ্ন হিসেবে তারা রাইশটাগের ছাদে লাল পতাকা উত্তোলন করে৷ যার মধ্য দিয়ে বার্লিনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. Kalker
‘বিশ্ববাসী এই শহরের দিকে তাকাও’
রাইশটাগ ভবনের ধ্বংসাবশেষের সামনে দাঁড়িয়ে বার্লিনের মেয়র এয়ার্নস্ট রয়টার তাঁর এই ভাষণ দেন৷ ১৯৪৮ সালে রয়টার পশ্চিম জার্মানিকে সোভিয়েতদের হাতে ছেড়ে না দেয়ার আহ্বান জানান৷ এ বিষয়ে তিনি মিত্র শক্তি যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন আর ফ্রান্সকেও প্রভাবিত করতে সক্ষম হন৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
বার্লিন দেয়ালের ছায়া
১৯৬১ সালে বার্লিন দেয়াল তোলার পর রাইশটাগের অবস্থান দাঁড়ায় পশ্চিম জার্মানির সীমানা ঘেঁষে৷ দক্ষিণে স্প্রে নদীর তীরে ছিল পূর্ব বার্লিনের সীমানা৷ নদী পার হয়ে মানুষ পশ্চিম থেকে পালিয়ে আসার চেষ্টা করত৷ ১৯৭০ এর দশকে নদী পাড়ি দিতে গিয়ে যারা মারা যান তাদের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় রাইশটাগের পাশের এসব ক্রস চিহ্ন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Kunigkeit
বার্লিন প্রাচীরের পতন ও পুনর্মিলনী
১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর বার্লিন দেয়াল খুলে দেয়ার পর সংসদ ভবনটি আবারও বার্লিনে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে৷ কয়েক মাস পর রাইশটাগ ঘেঁষে দাড়িয়ে থাকা দেয়ালটি ভেঙে ফেলা হয়৷ ১৯৯০ সালের অক্টোবরের ২ থেকে ৩ তারিখ লাখো মানুষ রাইশটাগ ভবনটির সামনে দাঁড়িয়ে জার্মান পুনর্মিলনীর সেই কাঙ্খিত মুহূর্তটি উদযাপন করেন৷
ছবি: picture-alliance/360-Berlin
মোড়কিত রাইশটাগ
১৯৯৫ সালের গ্রীষ্মে নব্বইজন আরোহী ১ লাখ বর্গমিটার রুপালী তেরপলে রাইশটাগকে ঢেকে দেয়৷ যা প্রত্যক্ষ করে ৫০ লাখ দর্শনার্থী৷ এটি ছিল ক্রিস্টো এবং জ্যা ক্লদ দম্পতি দর্শনীয় এক শিল্পকর্ম৷ এর পর থেকে রাইশটাগ সব অসম্ভবকেই সম্ভব করার এক নাম৷ গণতান্ত্রিক জার্মানির সংসদীয় কক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হওয়াটাও সেই সাক্ষ্যই দিচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Kumm
ভবিষ্যত নির্ধারণস্থল
চার বছরের দীর্ঘ সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে স্থাপত্যবিদ নরমান ফস্টার রাইসটাগ ভবনকে শুধু আধুনিক অভ্যন্তরীণ সজ্জাই নয় দৃষ্টিনন্দন একটি গম্বুজও উপহার দেন৷ ১৯৯৯ সাল থেকে এটি জার্মান সংসদীয় কক্ষের আনুষ্ঠানিক মর্যাদা পেয়ে আসছে৷ উপরের গ্যালারিতে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে এখানেই সংসদ সদস্যরা জার্মানির ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করেন এবং সিদ্ধান্ত নেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Jensen
12 ছবি1 | 12
পর পর দু'মাসের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পায় দেশ দুটি৷ সে হিসেবে, মার্চ মাসে পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে ফ্রান্স৷ আর এপ্রিল মাসের জন্য এ দায়িত্ব লাভ করেছে জার্মানি৷ তবে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অংশ হিসেবে যৌথভাবে জাতিসংঘে একে অপরের সাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে দেশ দুটি৷ দ্বৈত সভাপতিত্ব পরিচালনার বিষয়ে আখেন চুক্তি নামে এক সমঝোতায় পৌঁছে দু'দেশ৷ সে হিসেবে, মার্চ মাসের দায়িত্ব পালন শেষে ফ্রান্স জার্মানির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলেও পরিষদের সভাপতিত্বের মেয়াদকালে তেমন কোনো পরিবর্তন আনবে না জার্মানি৷
একই লক্ষ্য জার্মানি ও ফ্রান্সের
নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে অভিন্ন লক্ষ্যে কাজ করতে চায় দেশ দুটি৷ এর মধ্যে রয়েছে আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে সহযোগিতা করা৷ এ লক্ষ্যে আফ্রিকার দেশ মালি ও বুর্কিনা ফাসোতে জাতিসংঘের শান্তি সহযোগিতা চালিয়ে নিয়ে যেতে চায় তারা৷ পাশাপাশি, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ও কর্মীদের কার্যক্রম আরো সহজতর করার বিষয়েও একসাথে কাজ করতে চায় দেশ দুটি৷
এদিকে, বলকান অঞ্চলের অস্ত্র বাণিজ্য বিষয়ে আরো সতর্ক হতে চায় তারা৷ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এ অঞ্চলের অস্ত্র বাণিজ্যে লাগাম টানতে চায় তারা, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ হতে পারে বলে মনে করছে দেশ দু'টি৷
এছাড়া বিশ্বব্যাপী নারী উন্নয়ন, নারীদের রাজনীতিতে অধিক অংশগ্রহণসহ অন্যান্য সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ে একসাথে কাজ করতে চায় জার্মানি ও ফ্রান্স৷