1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তদন্তকারীদের তদন্তের হাতিয়ার চাই

ব্যার্ন্ড রিগার্ট/এসি১৯ জানুয়ারি ২০১৫

বেলজিয়াম সন্ত্রাস রোধ করেছে, ফ্রান্সে যা সম্ভব হয়নি৷ কিন্তু বিপদটা বাস্তব, তাই তদন্তকারীদের প্রয়োজন সঠিক হাতিয়ারের৷ ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার গুরুত্ব এখন কম, তা যতোই দুঃখজনক হোক না কেন, বলেছেন ব্যার্ন্ড রিগার্ট৷

Belgien Anti-Terror-Einsatz 15.01.2015
ছবি: Reuters

ভের্ভিয়ের এবং ব্রাসেলসে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে বেলজিয়ামের পুলিশ একটি সন্ত্রাসবাদী সেল-এর পরিকল্পিত আক্রমণ রোধ করতে পেরেছে৷ বেলজিয়াম একটু ঢিলেঢালা দেশ, তার প্রশাসনিক কাঠামো এতোই দুরূহ যে, একটু-আধটু বিশৃঙ্খলা কারো গায়ে লাগে না৷ কিন্তু বাস্তবিক বিপদ দেখা দিলে সে দেশেও পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ ঠিকই তাদের কর্তব্য করে: দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়৷

অথচ পরিস্থিতি চিরকাল এ রকম ছিল না৷ গত মে মাসে ব্রাসেলসের ইহুদি সংগ্রহশালায় প্রাণঘাতী আক্রমণের পর বেলজিয়ামের পুলিশ ও গোয়েন্দাদের চোখ খুলেছে৷ নতুন আদর্শ হল প্রতিরোধমূলক হস্তক্ষেপ৷ গত সেপ্টেম্বর মাসেই বেলজিয়ামের পুলিশ ব্রাসেলসে ইইউ কমিশনের উপর একটি পরিকল্পিত আক্রমণ ঠিক সময়ে আবিষ্কার ও নিষ্ফল করতে সমর্থ হয়৷

ড্রেসডেনে ১২ই জানুয়ারির শেষ পেগিডা ব়্যালিছবি: Getty Images/S. Gallup

নজরদারির প্রয়োজন

বেলজিয়ান পুলিশ কীভাবে সম্ভাব্য আততায়ীদের খোঁজ পেয়েছে, তদন্তের খাতিরে স্বভাবতই সেটা জানানো হয়নি৷ তবে সন্ত্রাসীরা পরস্পরের সঙ্গে সেলফোনে যে কথাবার্তা বলেছে, তার উপর আড়ি পাতা একটা ভূমিকা রেখেছে বৈকি৷ সন্ত্রাসীরা স্মার্টফোন মারফৎ এবং ইন্টারনেটে কোড-এর মাধ্যমে যোগাযোগ রাখলে, পুলিশকে উন্নততর আড়ি পাতার প্রযুক্তি এবং ডি-কোড করার প্রযুক্তি নিয়ে মাঠে নামতে হবে৷ আগে অপরাধ প্রতিরোধ, পরে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা নিয়ে চিন্তাভাবনা৷

স্বদেশে প্রত্যাবর্তনকারী জিহাদিরা একটি বাস্তবিক বিপদ, সে বিপদ অতি নিকটের এবং তার ফলশ্রুতি ভয়ঙ্কর হতে পারে – প্যারিসের হত্যাকাণ্ডে যা দেখা গেছে৷ সেই কারণেই আজ নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষকে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও সরঞ্জাম দিতে কারোর আপত্তি থাকার কথা নয়৷ বিমানযাত্রী সংক্রান্ত তথ্যও সেই পর্যায়ে পড়ে, যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নে আজও সেই তথ্য কেন্দ্রীয়ভাবে সংগ্রহ বা বিশ্লেষণ করা হয় না৷

ব্যার্ন্ড রিগার্টছবি: DW

সুযোগের সদ্ব্যবহার

সম্ভাব্য সন্ত্রাসীরা যে এই সব পদক্ষেপের ফলে বিদেশযাত্রা পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে, এমন নয়৷ তবে ইউরোপের তরুণরা যাতে জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে যেতে না পারে, তার কিছুটা ব্যবস্থা হবে বৈকি৷ এছাড়া ফ্রান্স, জার্মানি ও অপরাপর দেশের নিরাপত্তা বিভাগে আরো বেশি কর্মী নিয়োগের প্রয়োজন, যাতে বিপজ্জনক এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের উপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখা যায়৷ কারাগারে ইসলামপন্থিদের আলাদা রাখার আরো ভালো ব্যবস্থা চাই, যাতে তারা অন্যান্যদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ না করতে পারে৷

এক্ষেত্রে মার্কিন এনএসএ বা জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা সম্পর্কেও কিছু বলা দরকার৷ তাদের বহু সমালোচিত অতি-নজরদারির কারণেই হয়তো মার্কিনিরা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী মহল সম্পর্কে নানা গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর রাখে, যা ইউরোপীয় গুপ্তচর বিভাগগুলিরও কাজে আসে৷ জার্মান গুপ্তচর বিভাগের এক কর্মী নাকি একবার বলেছিলেন: ‘মার্কিনিরা ছাড়া আমরা মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে কালা এবং কানা৷' তথ্য সুরক্ষা এবং ব্যক্তিগত জীবনের অধিকার গুরুত্বপূর্ণ বৈকি৷ কিন্তু সকলকে সন্ত্রাস থেকে বাঁচানোর জন্য সেই অধিকার কিছুটা সীমিত করতে হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ