প্রত্যাশার ভিন্নতা আছে৷ কারুর চিন্তা রাজনৈতিক আবার কারুর চিন্তা অর্থনৈতিক৷ কারুর সামাজিক৷ কিন্তু সবচেয়ে বেশি প্রত্যাশা নিরাপত্তা, সুশাসন ও গণতন্ত্রের৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে নতুন বছরে একটি বা দু'টি চাওয়ার কথা জানতে চাওয়া হয়৷ আর এই প্রত্যাশা জানতে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষকে প্রশ্ন করা হয়৷ তাদের মধ্যে রাজনীতিবিদ আছেন, আছেন অর্থনীতিবিদ৷ আছেন সাধারণ মানুষ৷ সাধারণ মানুষের প্রধান চিন্তা টিকে থাকা নিয়ে৷ তারা ভাবছেন বাজারদর, নিরাপত্তাসহ ভালোভাবে বেঁচে থাকার কথা৷ কিন্তু প্রায় সবার কথায় উঠে এসেছে অস্বস্তি আর অনিশ্চয়তা৷
ঢাকার কলাবাগানের গৃহবধূ তাসমিয়া ইসলাম নতুন বছরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল দেখতে চান৷ তার কথা,‘‘এবছর পেঁয়াজের দাম নিয়ে যা ঘটেছে তাতে আতঙ্কিত হয়েছি৷ মনে হয়েছে বাজারের ওপর কারোর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই৷ সিন্ডিকেট করে যেকোনো শক্তিশালী গ্রুপ চাইলে যেন যা কিছু তাই করতে পারে৷ এটার অবসান চাই৷''
নিরাপত্তার বিষয়টিকে মানুষ এখন শুধু আক্ষরিক অর্থে নিরাপত্তা মনে করেন না৷ তারা এটাকে অনিশ্চয়তার দিক থেকে দেখেন৷ কাজের নিরাপত্তা, চলাফেরার নিরাপত্তা, ভালো থাকার নিশ্চয়তা এসব দিক তারা বিবেচনায় নেন৷ একজন শিক্ষিত তরুণ তার নিরাপত্তা দেখেন তার চাকরি বা কাজ পাওয়ার নিশ্চয়তার দিক থেকে৷ যেমন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করর যুবক অভীক ইসলাম মনে করেন,‘‘আসলে টিকে থাকার লড়াই করছি আমরা৷ এই সংগ্রামে অনিশ্চয়তা আছে নানা দিক থেকে৷ এটা আমাদের মধ্যে এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করে৷ এই নিরপত্তাহীনতা অবসান চাই৷''
সাংবাদিক দীপু সারোয়ারও নিরাপত্তার কথা ভাবেন৷ কিন্তু তার আঙ্গিক ভিন্ন৷ তিনি চান তার পেশাগত নিরাপত্তা৷ তার মতে,‘‘সাংবাদিকেরা বাংলাদেশে নানা দিক দিয়ে ঝুঁকির মুখে আছেন৷ তারা শারীরিক নিরাপত্তা ঝুঁকি যেমন রয়েছে৷ তেমনি আছে আর্থিক অনিশ্চয়তা৷ আর সবার ওপরে আমাদের প্রয়োজন বাকস্বাধীনতা৷ এই জায়গাটি ক্রমেই নিয়ন্ত্রিত হয়ে যাচ্ছে৷ এর অবসান না হলে সাংবাদিক সাংবাদিকতা করবেন কিভাবে?''
ইউরোপে নববর্ষ
ইতালির মত ইউরোপের অনেক দেশে নববর্ষে প্রিয়তমাকে লাল রঙের অন্তর্বাস উপহার দেওয়ার রীতি আছে৷ ছোট্ট এই মহাদেশের মানুষদের নববর্ষে এরকম আরো কিছু রীতি বা কুসংস্কার মানতে দেখা যায়৷
ছবি: Fotolia/thongsee
স্কটল্যান্ড
আতশবাজির ঝলকানি আর পুরুষরা ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে প্যারেড করে ৩১ ডিসেম্বর ‘হোগমানেই’ উৎসব পালন করে৷ মধ্যরাতে লোকজন দলবেঁধে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লোকসঙ্গীত গায়৷ বিশ্বাস করা হয়, তারা সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে এসেছে এবং সম্ভব হলে তাদের এক বোতল হুইস্কি দিতে হয়৷
ছবি: dapd
ডেনমার্ক
দীর্ঘ ঐতিহ্য অনুযায়ী ঠিক সন্ধ্যা ছয়টায় রানি দ্বিতীয় মার্গ্রেট নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান৷ তার ওই ভাষণ সব রেডিও ও টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷ অনেকে মধ্যরাতে চেয়ার থেকে লাফিয়ে পড়ে নতুন বছরে প্রবেশ করেন৷
ছবি: Imago/Dean Pictures
জার্মানি
জার্মানিতে নতুন বছরে লোকজন ছোট ছোট উপহার বিনিময় করেন৷ যেটিকে সৌভাগ্য বয়ে আনার প্রতীক হিসেবে ধরা হয়৷ এছাড়াও সীসার তৈরি কোনো ছোট মূর্তি গলিয়ে তা পানিতে ছুড়ে মারতে মারতে আসছে বছরের সৌভাগ্য কামনা করতেও দেখা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অস্ট্রিয়ায়
অস্ট্রিয়ায় নতুন বছরে ওয়াল্টজ্ নাচে অংশ নেওয়া ঐতিহ্যের অংশ৷ এছাড়াও সেখানে ‘সুইট ফিশ’ নামে মাছের আকৃতির একটি বিস্কুট খাওয়ার রেওয়াজ আছে, যেটিকে সৌভাগ্যের প্রতীক ভাবা হয়৷ কিন্তু মাছের পাখনা খাওয়া যাবে না৷ তাহলে সৌভাগ্য সাঁতরে পালিয়ে যাবে বল বিশ্বাস করা হয়৷
ছবি: DW/E.Numanovic
সুইজারল্যান্ড
সুইজারল্যান্ডে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় জোরে জোরে ড্রাম বাজিয়ে চিৎকার করতে করতে প্যারেড করা হয়৷ তাদের বিশ্বাস এভাবে শব্দ করে তারা প্রেতাত্মা ও দৈত্যদের তাড়াতে পারবে৷ তবে দেশটিতে আতশবাজি পোড়াতে খুব একটা দেখা যায় না৷ বরং ডিনারে ঐতিহ্যবাহী খাবার খান তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্পেন
স্পেনে শহর বা গ্রামে লোকজন আঙুর হাতে সেন্ট্রাল স্কয়ারে জড় হন এবং ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে মিলিয়ে একটি একটি করে সেগুলো খান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M.A. Molina
ফ্রান্স
ফরাসিরা ভালো খাবার, শ্যাম্পেইন ও ভালো মানের ওয়াইন খেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান৷ এখানেও আতশবাজি পোড়ানোর খুব একটা চল নেই৷
ছবি: Pierre Suu/Getty Images
ইতালি
ইতালিতে পুরুষরা নববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রিয়তমাকে লাল রঙের অন্তর্বাস উপহার দেন এবং সন্ধ্যায় ভালো কোথাও ডিনারে নিয়ে যান৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P.Seeger
চেক প্রজাতন্ত্র
চেক প্রজাতন্ত্রে শ্যাম্পেইন ঝাকিয়ে এবং স্যান্ডুইচ খেয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়৷ মধ্যরাতে প্রাগে আতশবাজি পোড়ানো হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Fluger
বুলগেরিয়া
প্রেতাত্মাদের তাড়াতে নতুন বছরে বুলগেরিয়ার লোকজন প্রচণ্ড শব্দ করে৷ প্যারেডে পুরুষরা সাধারণত দানবের মুখোশ ও গোল পোশাক পরেন৷ নতুন বছরে প্রচুর ফসল কামনায় এই নাচ করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Donev
গ্রিস
অনেক গ্রিকের কাছে ৩১ ডিসেম্বরের সন্ধ্যা মানে শুধুই জুয়া খেলা৷ বিশ্বাস করা হয়, এই রাতে যিনি খেলায় জিতবেন তিনি নতুন বছরে ধনী হবেন এবং যিনি হেরে যাবেন তার জীবনে ভালোবাসা আসবে৷ বেকারিগুলোতে পাউরুটির মধ্যে কয়েন লুকিয়ে রাখা হয়, যিনি ওই কয়েন পাবেন তিনি নতুন বছরে লাখপতি হবেন বলে বিশ্বাস করা হয়৷
ছবি: enry Schmitt/Fotolia.com
তুরস্ক
তুরস্কে নতুন বছরে ‘ফাদার নোয়েল’ শিশুদের জন্য উপহার নিয়ে আসেন৷ বড়রা বাড়ির সবগুলো কল খুলে রাখেন৷ বিশ্বাস করা হয়, নতুন বছরে সৌভাগ্য কলের পানির সঙ্গে ভেসে আসবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R.Fellens
12 ছবি1 | 12
বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ নতুন বছরে দুইটি বড় চ্যালঞ্জে দেখতে পাচ্ছেন৷ তার মতে,‘‘রাজস্ব আদায়ে দক্ষতা দেখাতে পারছেনা সরকার৷ আর এটা করতে না পারলে সরকারের উন্নয়মূলক কাজসহ আরো অনেক প্রয়োজনীয় কাজ বাধাগ্রস্ত হবে৷ আর ঋণখেলাপিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে আছে৷ তাদেরও আইনের আওতায় এনে খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে৷ এটা করা না হলে অর্থনীতি বড় ধরনের বিপদে পড়বে৷ নতুন বছরে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট হবে৷ এটা আশার কথা৷ বিনিয়োগ বাড়বে৷ কিন্তু অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হলে সুফল পাওয়া নাও যেতে পারে৷''
দেশের মালিকানা এখন কার হাতে তা নিয়ে সংশয় আছে রাজনীতিবিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর৷ তাই নতুন বছরে তার প্রত্যাশা,‘‘দেশের মালিকানা বাংলাদেশের মানুষের কাছে ফিরে আসুক৷ ভোট ডাকাতির মাধ্যমে মানুষের মালিকানা কেড়ে নেয়া হয়েছে৷ আর এই মালিকানা ফিরে পেতে আমি দেশের জনগণের পক্ষে থাকব৷''
আর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ দেশে স্থিতিশীলতা দেখতে চান৷ তার মতে,‘‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে৷ তিনি তিনি চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায়৷ কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি নানাভাবে এই উন্নয়ন ব্যাহত করতে চায়৷ তারা চায় বিশৃঙ্খলা এবং অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে৷ সেটা যেন না হয়৷ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেন আরো এগিয়ে যায় নতুন বছরে এটাই আমার চাওয়া৷''
তবে স্থিতিশীলতা আইনের শাসনের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করেন মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান৷ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হলে মানুষের অনেক চাওয়াই পুরণ হবে বলে মনে করেন তিনি৷ আর এরজন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা৷ তিনি বলেন,‘‘আইনের শাসন দুর্বল থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব রাষ্ট্র ও সমাজের সব স্তরে পড়ে৷ মানবাধিকার, সুশাসন , জনগণের নিরাপত্তা সবখানেই এর প্রভাব পড়ে৷ এটা যদি আমরা ঠিক করতে পারি তাহলে আমাদের রাষ্ট্র, সমাজ, জীবন সবখানেই স্থিতিশীলতা চলে আসবে৷''
বাংলাদেশের নাগরিক জীবনে এই নিরাপত্তাহীনতা এবং অনিশ্চয়তা বোধ তৈরির পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিইটউটের অধ্যাপক ডা. তাজুল ইসলাম৷ তিনি বলেন,‘‘আর্থিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামোতে অস্থিরতা চলছে৷ যা মানুষকে নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তার বোধে আক্রান্ত করছে৷ মানুষ এখন আরো কি খারাপ হতে পারে সেই চিন্তা করছে৷''
বিভিন্ন শহরের নিউ ইয়ার পার্টি
পৃথিবীতে সবার আগে ২০২০ সালে প্রবেশ করবে সামোয়া নামের দ্বীপরাষ্ট্র৷ ২৪ ঘণ্টা পর হাওয়াইতে গিয়ে শেষ হবে নতুন বছরের উদযাপন৷ এই ২৪ ঘণ্টা জুড়েই বিশ্বের বিভিন্ন শহর রঙিন হয়ে উঠবে আতশবাজির আলোয়৷
গরম কাপড় পরে ক্যানাডার মন্ট্রিল বন্দরে আতশবাজি দেখার আনন্দই আলাদা৷ শহরটিতে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ উপস্থিত হন৷ কুইবেক প্রদেশের সবচেয়ে বড় এ শহরটিতে বরফে স্কি করা এবং বরফে ঢাকা পাহাড়ে হাইকিং করাও এই উদযাপনের অংশ৷ আতশবাজি শেষ হলে বিভিন্ন ক্লাবে নেচে গেয়ে কাটানো যাবে রাত৷
ব্রাজিলের এই শহরটিতে নতুন বছরের মধ্যরাত বেশ রোমান্টিক৷ সাগরের ওপরে শোভা পায় আতশবাজি৷ মানুষ পানিতে ফুল ও মোমবাতি ভাসিয়ে নতুন বছরে স্বাগত জানায়৷ সৈকতের পার্টিগুলোতে সাম্বা হচ্ছে মূল আকর্ষণ৷ ব্রাজিলিয়রা মনে করেন, নতুন বছরের প্রথম মুহূর্তে সাদা পোশাক পরলে, তা সৌভাগ্য বয়ে আনে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP Photo/L. Correa
বার্লিন
বার্লিনের নতুন বছর উদযাপন ধীরে ধীরে ঐতিহ্যে পরিণত হচ্ছে৷ জার্মানির রাজধানীতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ ব্রান্ডেনবুর্গ গেট আর ভিক্টোরি কলামের মাঝখানে জড়ো হন৷ আতশবাজির খেলা শেষ হওয়ার পরও সারা রাত ধরে চলতে থাকে পার্টি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Carstensen
লন্ডন
বিগ বেন ঘোষণা দেয় নতুন বছরের আগমনের৷ এর পরপরই টেমস নদীর ওপর শুরু হয় আলোর খেলা৷ তবে সবচেয়ে ভালো দৃশ্য় দেখতে হলে চড়তে হবে লন্ডন আই-এ৷ ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই ফেরিস হুইলের নববর্ষের টিকেট পাওয়া অবশ্য দুঃসাধ্য৷
ছবি: picture-alliance/dpa/C. Mcnaughton
প্যারিস
ফ্রান্সের শঁ দ্য মার্স এবং পালে দু ত্র্য তে সবচেয়ে বড় নববর্ষের আয়োজন হয়৷ আইফেল টাওয়ারে আয়োজন হয় লাইট আর লেজার শো৷ শঁস এলিস থেকে দেখা যায় আর্ক দে ত্রিওম্ফ৷ সেখানে প্যারিসিয়ানরা জড়ো হন সবাইকে ‘বন অ্যান্নি’ বা ‘শুভ নববর্ষ’ জানাতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Kovarik
রোম
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রিস্টানরা জড়ো হন ভ্যাটিকানের সেইন্ট পিটারস স্কয়ারের পিয়াৎসা সান পিয়েত্রোতে৷ সেইন্ট পিটারস ব্যাসিলিকায় পোপ নিজে আসেন নববর্ষ উদযাপন করতে৷ এই উদযাপনের টিকেট পাওয়া যায় বিনামূল্যে৷ কিন্তু আসন সীমিত, কেবল ১০ হাজার৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V. Tersigni
প্রাগ
চেকিয়ার রাজধানী প্রাগে আশেপাশের পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করা হয় আতশ৷ আপেল কেটে প্রাগবাসী বরণ করেন নতুন বছর৷ যদি আপেলের মাঝখানে তারার আকৃতি পাওয়া যায়, সেটিকে সৌভাগ্যে প্রতীক বিবেচনা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Fluger
মাদ্রিদ
স্পেন রাজধানীর কেন্দ্র পুয়ের্তা দেল সোল স্কয়ারে সবচেয়ে বড় পার্টির আয়োজন হয়৷ স্পার্কলিং ওয়াইন এবং আঙুর নিয়ে সবাই সেখানো জড়ো হন৷ ঘড়ির কাঁটা যখন নতুন বছরের ঘোষণা দেয়, তখন ঘণ্টার প্রতিটি আওয়াজের সঙ্গে একটি করে আঙুর খাওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে স্পেনে৷ প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরকে আঙুর খাইয়ে দেন৷ একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলে মনে করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/G. Cuevas
জেনেভা
সম্ভবত নতুন বছর উদযাপনের সবচেয়ে খরুচে স্থান সুইজারল্যান্ডের এই শহর৷ লেক জেনেভায় আতশবাজি দেখার পাশাপাশি প্যাডেল হুইল স্টিমারে ছয় পদের ডিনার এবং শ্যাম্পেন পানের আয়োজন করা হয়৷ পুরো লেকের পাড় নানা রঙের আলোতে সাজিয়ে তোলা হয়৷