বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে শিশুরা রয়েছে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায়৷ ক্যাম্প তাদের মাথার উপর ছাদ দিলেও, এখানকার অনেক শিশু ভুগছে মারাত্মক পু্ষ্টিহীনতায়৷
বিজ্ঞাপন
এ বছরের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে থাকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা, যা আজও পুরোপুরি থামেনি৷ প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসতে থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকেই দিনের পর দিন না খেয়ে কাটাতে বাধ্য হন৷ যার মারাত্নক প্রভাব পড়ে গর্ভবতী নারী ও শিশুদের মধ্যে৷ হাসনা বেগম তাদেরই একজন৷ মিয়ানমারে স্বামী নিহত হবার পর দুই ছেলেকে নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন তিনি৷ যাত্রা পথে প্রায় সাতদিন তারা কিছুই খাননি৷ অস্থিচর্মসার দেড় বছরের শিশু সোহেলকে দেখিয়ে তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গরম, ঠান্ডা আর বৃষ্টির মধ্যে ছেলেদের জ্বর আর ডায়রিয়া হয়ে গেছে৷
বালুখালি ক্যাম্পের শিশু বিশেষজ্ঞ সুমি আখতার বলেন, ‘‘এ সব শিশুদের বেশিরভাগের অবস্থা খুব মারাত্নক৷ এমনকি তাদের বাবা-মায়েরাও সমস্যাটার গুরুত্ব বুঝতে পারছে না৷’’ যদিও রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে ‘বিশেষ পুষ্টিযুক্ত শিশুখাদ্য’ খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে, তবুও পরিস্থিতির ব্যাপকতায় তা খুব সামান্যই ভূমিকা রাখতে পারছে৷
ধর্ষণ আর অপহরণের শিকার রোহিঙ্গা এতিম শিশুরা
মিয়ানমার সেনাদের সীমাহীন নির্যাতনের কারণে গত আড়াই মাসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে৷ সবচেয়ে দুর্বিষহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে শিশুরা৷ জন ওয়েনস এর ছবিতে উঠে এসেছে সেইসব দুর্দশার কিছু কথা৷
ছবি: DW/J. Owens
গুলি আর ছুরিকাঘাত
গত আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়েছে৷ তাদেরই একজন মোহাম্মদ বেলাল৷ দৌড়ে পালাতে পেরেছিল ১০ বছর বয়সি এই কিশোর৷ সে জানায়, ‘‘সেদিন সেনাবাহিনী এসে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেয়৷ আমার মা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, সেসময় তাঁকে গুলি করা হয়৷ আমার বাবা হাঁটতে পারছিলেন না, তারা তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে৷ আমি নিজ চোখে এসব দেখেছি৷’’
ছবি: DW/J. Owens
আতঙ্কগ্রস্ত
মোহাম্মদ বেলালের বোন নূরও হত্যাযজ্ঞ দেখেছে৷ নিঃসঙ্গ হয়ে সে আর তার ভাই এখন বাংলাদেশে শিশুদের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আছে৷ এখানে সে নিয়মিত খাবার পাচ্ছে এবং খেলতে পারছে৷এ এক অদ্ভুত বৈপরীত্য৷ মিয়ানমারে থাকার সময় তাদের দুই ভাই-বোনকে বেশিরভাগ সময়ই না খেয়ে থাকতে হতো৷ তারপরও সাম্প্রতিক এই ট্রমা থেকে কিছুতেই বের হতে পারছে না সে৷ ‘‘আমি আমার বাবা-মা, বাড়ি আর দেশ, সবকিছুই ভীষণ মিস করছি,’’ জানায় নূর৷
ছবি: DW/J. Owens
গভীর সঙ্কট
৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে চলছে এই সঙ্কট৷ সংঘাতে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত দু’ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে৷ সাম্প্রতিক সেনা নিপীড়নের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ১২ বছর বয়সি রহমান বলে, ‘‘তারা আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়৷ অসুস্থ ছিল বলে আমার মা পালাতেও পারেনি৷’’
ছবি: DW/J. Owens
শিশুদের বাঁচাও
বাবা-মাকে হত্যার দৃশ্য নিজ চোখে দেখার পর দিলু আরা তার বোন রোজিনার সাথে পালায়৷ এখন ক্যাম্পে আছে ৫ বছর বয়সি এই শিশু৷ ‘‘আমি খুব কাঁদছিলাম আর পুরোটা সময়ই আমাদের মাথার উপর দিয়ে বুলেট উড়ে যাচ্ছিল৷ কোনো রকমে আমি পালিয়ে এসেছি,’’ বলে শিশুটি৷ বাবা-মা ছাড়া কুতুপালংয়ে আসা এই শিশুদের সাহয়তা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন৷ বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের শতকরা ৬০ ভাগই শিশু৷
ছবি: DW/J. Owens
পশুদের মতো শিকার
জাদেদ আলমও বাবা-মা ছাড়া কুতুপালংয়ে এসেছে৷তবে ভাগ্য ভালো বলে সে তার চাচীকে সাথে পায়৷চাচীই এখন তার দেখাশোনা করছেন৷ সে বলছিল ‘মান্দি পাড়া’ নামে এক গ্রামে বেড়ে উঠেছে সে৷ ফুটবল খেলতেও সে খুব পছন্দ করতো৷ তবে সেনা অভিযানের পর থেকে সবকিছুই বদলে যায়৷ সে জানায়, ‘‘তারা আমাদের বাড়ি ছেড়ে যেতে বলে৷ আমি আমার বাবা-মা’র সাথে দৌড়ে পালাচ্ছিলাম, এমন সময় তাঁদেরকে গুলি করে সেনারা৷ সাথে সাথে মারা যায় তারা৷’’
ছবি: DW/J. Owens
শিশু অপহরণ
এসব ঘটনার সময় সব পরিবারকেই যে আলাদা হতে হয়েছে, তা নয়৷ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রহমান আলী নামে এই ব্যক্তি এই ক্যাম্পে আছেন৷ তবে এখন তিনি তার ১০ বছর বয়সি ছেলে জিফাদকে খুঁজে পাচ্ছেন না৷ ক্যাম্প এলাকায় প্রায় সারা বছরই শিশু অপহরণের গুজব শোনা যায়৷ রহমানের আশংকা, তাঁর ছেলেও পাচারকারীদের হাতে পড়েছে৷ ‘‘আমি খেতে পারছি না, ঘুমাতে পারছি না৷ আমি মনে হয় পাগলই হয়ে গেছি,’’ বলে রহমান৷
ছবি: DW/J. Owens
‘আমি স্বাভাবিক নেই’
যখন গুলি শুরু হয়, তখন সকিনা খাতুন তাঁর বাচ্চাদের বাঁচাতে প্রাণপণে চেষ্টা করেছে৷ তারপরও ১৫ বছরের ইয়াসমিন আর ২০ বছরের জামালিকে বাঁচাতে পারেননি৷ ঘটনার সময় তারা পাশের গ্রামে ছিল৷ সকিনা বলছিল, ‘‘দাদা-দাদীর সামনে তাদের গলা কেটে হত্যা করা হয়৷ আমি এতটাই অনুভূতি শূণ্য হয়ে পড়েছি যে, এই কষ্টও অনুভব করতে পারছি না৷ তাই এই মুহূর্তে আমি স্বাভাবিক নেই৷’’ দুই সন্তানকে হারালেও বাকি নয় জনকে রক্ষা করতে পেরেছেন তিনি৷
ছবি: DW/J. Owens
হামলা, ধর্ষণ এবং লুটপাট
ইয়াসমিনের বয়স ১৫-র কাছাকাছি৷ তবে তাকে তার চেয়েও কম বয়সি বলে মনে হয়৷ গ্রামে থাকার সময় সে মার্বেল খেলতো আর বাড়ির কাছের মাঠে খেলতো৷ এখন অবশ্য ভিন্ন স্মৃতি তাড়িত করছে তাকে৷ মিয়ানমারের সেনারা তার বাবা ও ভাইদের প্রথমে মারধর ও পরে হত্যা করে৷ একদল সেনা তাকে ধর্ষণও করে৷ এখন ইয়াসমিন কেবল এটুকু বলতে পারে,‘‘আমার শরীরে ভীষণ ব্যথা৷’’
ছবি: DW/J. Owens
8 ছবি1 | 8
ইউনিসেফ-এর তথ্য মতে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত অন্তত ২৫ হাজার শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে, যা এ সমস্ত শিশুদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে৷ ইউনিসেফ-এর কান্ট্রি হেড এডওয়ার্ড বাইগবেডার বলেন, ‘‘পুরোপুরি প্রতিরোধ ও চিকিৎসাযোগ্য রোগেও অপুষ্টির শিকার এ সব শিশু মারা যেতে পারে৷ তাই এদের এখনই সাহায্যের প্রয়োজন৷’’
ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গারা বেঁচে আছে ত্রাণ সহায়তার উপর নির্ভর করে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে সংগ্রহ করতে হয় খাবার৷ এমনিতেই এ সব ত্রাণ পর্যাপ্ত নয়, তার ওপর পরিস্থিতি আরো খারাপ হয় যখন এই ত্রাণ তারা স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে দেয়৷ উখিয়ার কাছে এক দোকানি এএফপিকে জানায়, ‘‘আমরা প্রতিদিনই উদ্বাস্তুদের কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনি৷ চাল, ডাল, চিনি, লবন, তেল, গুড়া দুধ, শিশুখাদ্য – এ সমস্ত দিয়ে তারা আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যায়৷’’
রোহিঙ্গারাও এ কথা স্বীকার করেন৷ ক্যাম্পের বাসিন্দা করিম মাঝি বলেন, ‘‘খাবার বিক্রি করে দেয়া ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই৷’’ বাংলাদেশে তাদের কাজের অনুমতি না থাকায় প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে অনেক রোহিঙ্গায় বিক্রি করে দেয় খাদ্য সহায়তা৷
এদিকে, ম্যানিলায় আসিয়ান ও ভিয়েতনামে অ্যাপেক সম্মেলনের প্রাক্কালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের ঘিরে তৈরি হওয়া মানবিক সংকট নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে আলোচনার তাগিদ দেয়া হয়৷ প্রতিষ্ঠানটির এশিয়া অঞ্চলের প্রধান ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘‘রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করতে বিশ্বনেতাদের মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে একমত হওয়া এবং স্বাধীন পর্যবেক্ষক ও ত্রাণ সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারে, তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন৷ একমাত্র তবেই তাঁদের এ ধরনের সম্মেলন থেকে নিজ দেশে ফেরা উচিত, তার আগে নয়৷’’
এ প্রস্তাবে আসিয়ান ও অ্যাপেক-এর সদস্য দেশগুলো, বিশেষ করে মিয়ানমার নাখোশ হতে পারে৷ তবে পশ্চিমা নেতারা চাইলে সম্মেলনের বাইরেও এ বিষয় নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চালাতে পারেন, বলেন ব্র্যাড অ্যাডামস৷
আরএন/ডিজি (এপি, এএফপি)
রোহিঙ্গাদের মুখচ্ছবি
ভয়াবহ সব অভিজ্ঞতার মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়া, পেছনের টান আর ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা- এই সব নিয়ে একরাশ হতাশা আর বেদনা স্পষ্ট প্রতিটি রোহিঙ্গার চোখেমুখে৷ সম্প্রতি রয়টার্সের ক্যামেরায় ধরা পড়া এমন কিছু অবয়ব নিয়েই এই ছবিঘর৷
ছবি: Reuters/D. Sagoli
অশ্রু
মাত্র একদিন আগেই পরিবারের সবাইকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন ৩০ বছর বয়সি আমিনা খাতুন৷ বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর প্রথম রাত কেটেছে কক্সবাজারের শরণার্থী আশ্রয়কেন্দ্রের পাশের সড়কে৷ সাথে ছিল তারই মতো নতুন আসা আরও হাজার হাজার মানুষ৷ সামনের দিনগুলোর কথা ভেবেই হয়তো এই অশ্রুসজল চোখ!
ছবি: Reuters/D. Sagoli
শিশুদের চাহনি
ছবি তোলা হচ্ছে দেখলেই গ্রামের ছেলেমেয়েরা দৌড়ে আসে- এই দৃশ্য খুবই পরিচিত৷ কিন্তু শিশুদের চোখেও এত অবিশ্বাস আর হতাশা বোধহয় পরিচিত নয়৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
জীবন যুদ্ধ
সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ৭০ এর বেশি বয়সি এই নারী মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছেন কিছুক্ষণ আগেই৷ জীবনের এই শেষ দিনগুলোতেও জীবন বাঁচাতে এমন যুদ্ধ করতে হবে কখনও হয়ত ভাবেননি৷
ছবি: Reuters/J. Silva
অসহায়ত্ব
এই শরণার্থী শিশুর অপেক্ষা একটু ওষুধের জন্য৷ সারা মুখে নানা ক্ষত আর তার ওপর মাছির আনাগোনাতেই বোঝা যাচ্ছে, একটু ওষুধ কতখানি দরকার তার৷
ছবি: Reuters/D. Sagolij
নিরুপায়
বৃষ্টি মাথায় ত্রাণকেন্দ্রের সামনে অপেক্ষা৷ আর তো কোন উপায় নেই!
ছবি: Reuters/C. McNaughton
আশ্রয়ের অপেক্ষা
মাত্রই বাংলাদেশে এসেছেন৷ শুরুতে জায়গা হয়েছে এক স্কুল ঘরে৷কিন্তু সেখানে তো আর থাকা যাবে না৷থাকতে হবে আশ্রয়কেন্দ্রে৷নতুন সেই ঠিকানার অপেক্ষাতেই এখন তারা৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
ত্রাণের আশা
কক্সবাজারের বালুখালি শরণার্থী শিবিরে আর সবার মতোই একটু ত্রাণের আশায় কোলের সন্তানকে নিয়ে অপেক্ষায় এই নারী৷
ছবি: REUTERS
চৌদ্দ দিন পর
সালেহা বেগম নামের এই মা এতটুকুন শিশুকে নিয়ে ১৪ দিন ধরে জঙ্গল পথে হেঁটেছেন৷ তারপর পেরেছেন সীমান্ত পাড়ি দিতে৷ এখন অপেক্ষা একটু আশ্রয়ের৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
বিশ্রাম
টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপ পর্যন্ত নৌকায় গাদাগাদি করে এসে কোনমতে পৌঁছেছে সবাই৷ নতুন আশ্রয়ে যাবার আগে তাই একটু বিশ্রাম৷
ছবি: Reuters/D. Sagolij
দায়িত্বের ভার
টেকনাফে পৌঁছেই ছুটতে হচ্ছে ত্রাণের আশায়৷ নিজেই এক শিশু, তার ওপর কোলে, পাশে আরও ভাই-বোন থাকায় দায়িত্ব যেন বেড়ে গেছে৷
ছবি: Reuters/D. Sagolij
প্রতিক্রিয়া
এত মানুষের টানাহ্যাঁচড়ার মধ্যেই দাঁড়াতে হয় ত্রাণের লাইনে৷ ধাক্কাধাক্কি সহ্য করে আর কতক্ষণ৷ তাল সামলাতে না পেরে তাই চোখ ফেটে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু৷
ছবি: Reuters/C. McNaughton
অনিশ্চয়তা
আদরের ধন নাতিকে কোলে নিয়ে এই নারী বসে আছেন ত্রাণের আশায়৷ কিন্তু একটু ত্রাণই তো সব নয়৷ নাতির ভবিষ্যত কী, সেই ভাবনাতেই খানিকটা উদাস হয়ে পড়েছেন তিনি৷