1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিরীহ মানুষের রক্ত ঝরছে গোটা মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে

১০ এপ্রিল ২০১১

লিবিয়ায় গাদ্দাফি ও তার বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন৷ এদিকে মিশর, ইয়েমেন, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলন ও তাদের দমন এখনও অব্যাহত রয়েছে৷

আহত এক বিদ্রোহী সেনাছবি: AP

লিবিয়ায় প্রতিনিধি দল

ইতিমধ্যে লিবিয়ায় গিয়ে পৌঁছেছেন আফ্রিকান ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন মৌরিতানিয়ার প্রেসিডেন্ট মোহামেদ উলুদ আবদেল আজিজ৷ এছাড়া তাঁর সঙ্গে রয়েছেন মালি, উগান্ডা, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর নেতারা৷ প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধি দলকে লিবিয়ায় ঢোকার এবং লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ আজ কিংবা আগামীকাল বেনগাজিতে প্রতিনিধি দল বিদ্রোহীদের গঠিত অন্তর্বর্তী জাতীয় পরিষদের সঙ্গেও বৈঠক করবে৷ বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, গত মার্চ মাসে লিবিয়াতে সংস্কার আনার জন্য যে রোডম্যাপ গ্রহণ করা হয়েছে তার আলোকে আফ্রিকান ইউনিয়ন কাজ করবে৷ তারা একই সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধেরও আহ্বান জানিয়েছে গাদ্দাফি ও বিদ্রোহীদের প্রতি৷

মিশরে জনতার মিছিলছবি: picture alliance / dpa

এগিয়ে যাচ্ছে গাদ্দাফির সেনারা

বার্তা সংস্থাগুলোর খবর থেকে জানা গেছে, গাদ্দাফি সেনারা আজ আজদাবিয়াতে ব্যাপক গোলা বর্ষণ করেছে৷ এতে অন্তত চারজন বিদ্রোহী প্রাণ হারিয়েছে৷ রয়টার্স জানিয়েছে, গাদ্দাফি সেনাদের ব্যাপক গোলা বর্ষণের মুখে বিদ্রোহীদের অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ছে৷ বিদ্রোহীদের ঘাঁটি বেনগাজির পথে এই আজদাবিয়া শহর অন্তত গুরুত্বপূর্ণ একটি কৌশলগত অবস্থান বলে বিবেচিত৷ এদিকে বিদ্রোহীদের রক্ষা করতে গাদ্দাফি বাহিনীর ওপর রোববার বিমান হামলা চালিয়েছে ন্যাটো৷ তাদের দাবি, আজদাবিয়া এবং মিসরাতায় তাদের জঙ্গি বিমানগুলো অন্তত ২৫ টি ট্যাংক ধ্বংস করেছে৷

তাহরির চত্ত্বর জনতার দখলে

শনিবার ব্যাপক রক্তাক্ত বিক্ষোভের পরও রোববার কায়রোর তাহরির চত্বর ছিল উত্তপ্ত৷ গণতন্ত্রকামী সাধারণ জনতা এখনও দখলে রেখেছে তাহরির চত্বর৷ সেনা সদস্য ও পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের মুখেও তারা অবস্থান ছেড়ে যায়নি৷ এর আগে শুক্রবার ও শনিবার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষে দুই জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়৷ সেনাদের গুলিতে তারা প্রাণ হারায় বলে দাবি করেছে বিক্ষোভকারীরা৷ তবে সেনা বাহিনীর দাবি তারা কোন তাজা বুলেট ব্যবহার করেনি৷

ইয়েমেনে বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদছবি: picture alliance / dpa

ইয়েমেনে আজও বিক্ষোভ

আজও লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ হয়েছে ইয়েমেনের রাজধানী সানাতে৷ তারা সরকারের দমন পীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ এর আগে শনিবার রাতে হাজার হাজার নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ এর নিরাপত্তা বাহিনী৷ অন্তত ৪০০ মানুষ আহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে৷ টেলিভিশন ফুটেজগুলোতে দেখা গেছে, নিরাপত্তা বাহিনী সরাসরি মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ছে৷

সিরিয়াতে চলছে রক্তপাত

অন্যদিকে সিরিয়াতেও একই পরিস্থিতি৷ সেখানেও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছে গণতন্ত্রকামী মানুষ৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত শুক্রবার সিরিয়ার বিভিন্ন জায়গায় সেনা পুলিশের গুলিতে ২৮ জন মানুষ নিহত হয়েছে৷ সিরীয় সরকার সংবাদ মাধ্যমগুলোকে এখনও সেখানে কাজ করার কোন অনুমতি দেয়নি৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ