নির্দিষ্ট কিছু আসনে জয়ের নিশ্চয়তা নিয়ে ভোটে যেতে চায় জাতীয় পার্টি৷ নৌকার প্রার্থী থাকলে জয় নিয়ে সন্দিহান নেতারা৷ ফলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির এখন দরকষাকষি চলছে৷
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া আসনে নৌকার কোনো প্রার্থী থাকবে না, এমন নিশ্চয়তাও চেয়েছে দলটি৷ জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতারা মনে করছেন, নৌকার প্রার্থীদের সঙ্গে ভোট করে জিতে আসা তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না৷ প্রশাসনও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে না৷ ফলে নৌকার সঙ্গে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান না৷
বগুড়া-২ আসনে জাতীয় পার্টি সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমার আসনে জাতীয় পার্টি আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে৷ আবার আওয়ামী লীগও প্রার্থী দিয়েছে৷ ফলে এখানে নিরপেক্ষ ভোট হওয়া নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে৷ এই অবস্থা শুধু আমার আসনে না, সবগুলো আসনেই৷ এখন পর্যন্ত প্রশাসনকে আমরা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে দেখছি না৷ তবে সমঝোতার ভিত্তিতে যদি নৌকার প্রার্থী না থাকেন তাহলে পাস করা কঠিন হবে না৷ আমি মনে করি, সমঝোতা হলে নির্দিষ্ট আসনগুলোতে নৌকার প্রার্থী থাকবে না৷''
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিষ্কার করে বলেছেন, সবাইকে ভোট করে জিতে আসতে হবে৷ কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বসিয়ে দেওয়া হবে না৷ ফলে অধিকাংশ আসনে একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে৷
সমঝোতা হলে নৌকার প্রার্থী থাকবে না: শরিফুল
জাতীয় পার্টির তৃণমূলের একাধিক নেতা এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী না থাকলেও যদি আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকে, তাহলেও অধিকাংশ আসনে জাতীয় পার্টির পক্ষে নির্বাচন করা কঠিন হয়ে যাবে৷ শুধু জাতীয় পার্টি না, আওয়ামী লীগের সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটে থাকা শরিকদের পক্ষেও জেতা কঠিন হবে৷ আবার অনেক আসনে নৌকার প্রার্থী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যাবেন৷ সবাই জানে নির্বাচনের পর কে ক্ষমতায় আসছে৷ ফলে আওয়ামী লীগের লোকেরা সব জায়গাতেই পেশি শক্তি দেখাবে৷ ফলে শুধু জাতীয় পার্টি না, সমঝোতা না হলে ১৪ দলীয় জোটের অন্য প্রার্থীদেরও পাস করা কঠিন হবে৷
মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান৷ সেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ৷ ডয়চে ভেলেকে জনাব তিনি বলেন, ‘‘নৌকার প্রার্থী থাকলে প্রশাসনের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে কাজ করা কঠিন৷ ফলে দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন করছি৷ ফলাফল কী হবে আমরা জানি৷''
অন্যদিকে নড়াইল-২ আসনে নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফি৷ এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাড. খন্দকার ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘মানুষ আসলে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন৷ কিন্তু ভোটটা তো সুষ্ঠু হতে হবে৷ সেই নিশ্চয়তা তো আমরা পাচ্ছি না৷ ফলে রেজাল্ট যা হওয়ার তাই হবে৷ দল বলেছে তাই ভোট করছি৷''
জয়ের নিশ্চয়তার অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করতে চান৷ তবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বুধবার সকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেছেন, ‘‘জোট-মহাজোট নয়, লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করবে জাতীয় পার্টি৷ আর সমঝোতার মতো কিছু হলে তা মনে মনে হতে পারে৷''
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমান সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা লাঙ্গল প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করব৷ নৌকা নিয়ে ভোট করার বিষয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হয়নি৷ এগুলো ফালতু আলোচনা৷ তবে হ্যাঁ, সমঝোতা হলে কিছু আসনে আমরাও তাদের ছাড় দেবো, তারাও আমাদের কিছু আসনে ছাড় দেবে৷ এগুলো আলোচনার ভিত্তিতেই সমাধান হবে৷ কিন্তু নৌকা নিয়ে আমরা ভোট করব না৷''
গত দু'টি (২০১৪ ও ২০১৮ সাল) জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি৷ ২০১৮ সালের নির্বাচনে দলটি ২২টি আসনে, তার আগে ২০১৪ সালে ২৯টি আসনে জয়ী হয়৷ এবারও সমঝোতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট কিছু আসন চায় দলটি৷ এবার তাদের দাবি ৪০টি আসন৷ যদিও আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বর্তমান সংসদে থাকা ২২টি আসনের নিশ্চয়তা এখনও পায়নি দলটি৷
এদিকে মঙ্গলবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বৈঠক হয়েছে বলে আলোচনা হচ্ছে৷ সেখানে আসন ভাগাভাগি ও নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে৷
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের পার্থক্য কী?: বদিউল
যদিও বুধবার সকালের ব্রিফিংয়ে মুজিবুল হক চুন্নু এই বৈঠকের কথা অস্বীকার করেছেন৷ তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বুধবার রাতে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো ধরনের বৈঠক হয়নি৷
‘প্রহসনের নির্বাচন'
সরকারী দল এবং বিরোধী দল আসন ভাগাভাগি করলে সেটা কেমন নির্বাচন হবে? এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাই বা কতটুকু হবে? জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এটা তো একটা প্রহসনের নির্বাচন হচ্ছে৷ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের পার্থক্য কী? এখানে সরকারি দল আবারও ক্ষমতায় আসবে এটা নিশ্চিত, তাহলে ভোটের অর্থ কী থাকল৷ নির্বাচনটা হলো মানুষের প্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ থাকা৷ কিন্তু এখন যে নির্বাচনটা হচ্ছে সেখানে আপনাকে বলা হচ্ছে, আপনি মিনারেল ওয়াটার খাবেন, না ফুটানো পানি খাবেন? এর যে কোনো একটা আপনি বেছে নিতে পারেন কোনো সমস্যা নেই৷ দুটোই প্রায় এক৷ কিন্তু নির্বাচনটা হওয়ার কথা আপনি মিনারেল ওয়াটার খাবেন, নাকি ওয়াসার সরবরাহ করা ট্যাপের পানি খাবেন? তাহলে মানুষের পছন্দের বিষয় থাকতো৷ ফলে এখন যেটা হচ্ছে তার পুরোটাই প্রহসনের৷''
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এবার যেটা হচ্ছে, সেটা কিন্তু পরিষ্কার৷ কোনো রাখঢাক নেই৷ প্রধানমন্ত্রী তো পরিষ্কার বলেছেন, আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থী থাকবে৷ জাতীয় পার্টিও তো তাদের জোটসঙ্গী৷ ফলে তারা প্রকাশ্যেই আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করছে৷ ফলে নির্বাচনটা কী হতে যাচ্ছে সেটা আমরা সবাই দেখছি৷ এখানে তো গোপন কিছু নেই৷ আমি আগেও বলেছি, বাংলাদেশে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একটিও যদি না আসে সেটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না৷ ফলে এখানে যেটা হচ্ছে সেটা কী আমরা সবাই দেখছি৷''
বাংলাদেশের কিছু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ সরব৷ সব রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত৷ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে সক্রিয় ২৩টিকে নিয়ে আজকের এই ছবিঘর.....
ছবি: Rashed Mortuza/DW
এলডিপি
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি)-র নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর। দলটির প্রতীক ছাতা। এর নিবন্ধন নাম্বার ০০১। রাজনৈতিক এ দলটির প্রেসিডেন্ট ড. অলি আহমদ (বীর বিক্রম) এবং মহাসচিব ডঃ রেদোয়ান আহমেদ। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার তেজগাঁও-এ।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
জাতীয় পার্টি
জাতীয় পার্টির নিবন্ধন নাম্বার ০১২। দলটির প্রতীক হচ্ছে লাঙ্গল। এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। এর বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং মহাসচিব মোঃ মজিবুল হক। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার কাকরাইলে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নাম্বার ০০৬। দলটির প্রতীক নৌকা। এ দল নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। এর সভানেত্রী হলেন শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বিএনপি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র নিবন্ধন হয় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। দলটির প্রতীক হচ্ছে ধানের শীষ। এর নিবন্ধন নাম্বার ০০৭। রাজনৈতিক এ দলটির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার নয়াপল্টনে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতীক হাতুড়ি। এ দল নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০১০। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার তোপখানা রোডে। এর সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদের নিবন্ধন নাম্বার ০১৩। দলটির প্রতীক হচ্ছে মশাল। রাজনৈতিক এ দলটিও নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। এর সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
জাকের পার্টি
জাকের পার্টির নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ০৯ নভেম্বর। দলটির প্রতীক হচ্ছে গোলাপ ফুল। এর নিবন্ধন নাম্বার ০১৬। রাজনৈতিক এ দলটির চেয়ারপার্সন মোস্তফা আমীর ফয়সল ও মহাসচিব এজাজুর রসুল। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার বনানীতে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাসদ
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বা বাসদের প্রতীক মই। বাংলাদেশে এ দলও নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৯ নভেম্বর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০১৭। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার তোপখানা রোডে। এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বিজেপি (বাংলাদেশ)
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি বা বিজেপির নিবন্ধন নাম্বার ০১৮। দলটির প্রতীক হচ্ছে গরুর গাড়ি। রাজনৈতিক এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৯ নভেম্বর। এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার নয়াপল্টনে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নিবন্ধন হয় ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর। দলটির প্রতীক হচ্ছে বটগাছ। এর নিবন্ধন নাম্বার ০২০। রাজনৈতিক এ দলটির আমীর হযরত মাওলানা হাফেজ আতাউল্লাহ হাফেজ্জি ও মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুরান ঢাকার লালবাগে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন
বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের প্রতীক ফুলের মালা। বাংলাদেশে এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৯ নভেম্বর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০১৯। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার ধানমন্ডিতে। এর চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি ও মহাসচিব আলহাজ্ব ড. সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নিবন্ধন নাম্বার ০২৩। দলটির প্রতীক হচ্ছে খেজুর গাছ। রাজনৈতিক এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর। এর সভাপতি মাওলানা শাইখ জিয়াউদ্দিন ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার পুরানা পল্টনে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রতীক হাতপাখা। বাংলাদেশে এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৩৪। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার পুরানা পল্টনে। এর আমীর হচ্ছেন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম পীরসাহেব চরমোনাই এবং মহাসচিব ইউনুস আহম্মেদ শেখ।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ২২ নভেম্বর। দলটির প্রতীক হচ্ছে দেয়াল ঘড়ি। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৩৮। রাজনৈতিক এ দলের আমীর মাওলানা যোবায়ের আহমদ চৌধুরী ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার বিজয়নগরে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
এনডিএম
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন বা এনডিএম-এর নিবন্ধন নাম্বার ০৪৩। দলটির প্রতীক হচ্ছে সিংহ। রাজনৈতিক এ দল নিবন্ধন পায় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ ও মহাসচিব হুমায়ূন পারভেজ খান। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার মালিবাগে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশ কংগ্রেস
বাংলাদেশ কংগ্রেস নামের রাজনৈতিক দলটির নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ০৯ মে। দলটির প্রতীক হচ্ছে ডাব। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৪৪। রাজনৈতিক এ দলটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী রেজাউল হোসেন ও মহাসচিব মো. ইয়ারুল ইসলাম। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশের প্রতীক আপেল। বাংলাদেশে এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০২৩ সালের ০৮ মে। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৪৬। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার গুলশানে। এর চেয়ারম্যান ইমাম আবু হায়াত এবং মহাসচিব মোঃ রেহান আফজাল।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বাংলাদেশ জাসদ
বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ নিবন্ধন নাম্বার ০৪৭। দলটির প্রতীক হচ্ছে মোটরগাড়ি (কার)। রাজনৈতিক এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০২৩ সালের ১৮ জুন। এর চেয়ারম্যান শরীফ নুরুল আম্বিয়া এবং মহাসচিব নাজমুল হক প্রধান। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার তোপখানা রোডে।
ছবি: Bangladesh Jasod
বিএনএম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন বা বিএনএম নামের রাজনৈতিক দলটির নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট। দলটির প্রতীক হচ্ছে নোঙ্গর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৪৮। রাজনৈতিক এ দলটির চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রহমান এবং মহাসচিব মেজর মুহাঃ হানিফ (অবঃ)। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার বনানীতে।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
বিএসপি
বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)-র প্রতীক একতারা। বাংলাদেশে এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০২৩ সালের ১০ আগস্ট। এর নিবন্ধন নাম্বার ০৪৯। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার মিরপুরে। এর চেয়ারম্যান শাহাজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন এবং মহাসচিব মোঃ আব্দুল আজিজ সরকার।
ছবি: Rashed Mortuza/DW
গণফোরাম
গণফোরামের নিবন্ধন নাম্বার ০২৪। দলটির প্রতীক হচ্ছে উদীয়মান সূর্য। রাজনৈতিক এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর। এর সভাপতি ডঃ কামাল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মো মিজানুর রহমান। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার পুরানা পল্টনে।
ছবি: Gonoforum
গণতন্ত্রী পার্টি
গনতন্ত্রী পার্টি নামের রাজনৈতিক দলটির নিবন্ধন দেওয়া হয় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। দলটির প্রতীক কবুতর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০০৮। এ দলের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী এবং সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার পুরানা পল্টনে।
ছবি: Gonotontri Party
সিপিবি
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)-র প্রতীক কাস্তে। বাংলাদেশে এ দলটি নিবন্ধন পায় ২০০৮ সালের ০৩ নভেম্বর। এর নিবন্ধন নাম্বার ০০৫। দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার পুরানা পল্টনে। এর সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।