1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত ইটালি

৩ মার্চ ২০১৮

রোববার নির্বাচন৷ এদিন ইটালির ভোটাররা বাছাই করে নেবেন দেশের রাজনীতির আপাত ভবিষ্যত কর্ণধার৷ এরই মধ্যে শেষ প্রচারণা পর্ব৷ কিন্তু প্রচারণার শেষ দিনে যেন বোমা ফাটালেন দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী৷

Italien Wahlkampf Fünf-Sterne-Bewegung in Rom
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Medichini

প্রতিপক্ষদের ‘চরমপন্থি' বলে আখ্যায়িত করলেন মাটেও রেনজি৷
‘‘৪ মার্চ দেশের জন্য ইটালিয়ানদের যত আত্মত্যাগ সব বৃথা যাবে, যদি ‘চরমপন্থিদের' হাতে দেশের কর্তৃত্ব চলে যায়৷'' ফ্লোরেন্সে শেষদিনের প্রচারণায় বলছিলেন তিনি৷
‘‘আমি বিরোধী দলে থাকব, তবু কখনো চরমপন্থিদের মিত্র হবো না৷''
ইটালিতেও বাংলাদেশের মতো ভোটের আগের দিন কোনো ধরনের প্রচারণা চালানো যায় না৷ সে হিসেবে শুক্রবারই ছিল প্রার্থীদের প্রচারণা চালাবার শেষ দিন৷ শেষ দিনেই যেন শেষ মারণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করলেন ইটালির গণতন্ত্রী পার্টি পিডি-র সেক্রেটারি৷
এদিকে, নির্বাচনে অতি ডান ও অতি বামপন্থিদের উত্থান নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে ইটালিজুড়ে৷
সর্বশেষ জরিপ বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনির মধ্য ডানপন্থি দল ফোরসা ইটালিয়া নেতৃত্বাধীন জোট ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পাবার সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে আছে৷
তাঁর দল আরো তিনটি দলের সঙ্গে জোট গড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অতি ডানপন্থি নর্দার্ন লীগ৷ ডানপন্থিদের এবারের প্রচারণার মূল বিষয় ছিল, ৬ লাখ ‘অনিয়মিত' অভিবাসীকে দেশে ফেরত পাঠানো৷ এছাড়া কর কমানোর বিষয়েও প্রচারণা চালিয়েছে তারা৷
নর্দার্ন লীগের নেতারা অনবরত অভিবাসী ফেরত পাঠানোর নীতির প্রতি তাদের সমর্থন প্রচার করে গেছেন৷ তবে উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে যখন গত মাসে দেশটির পূর্বাঞ্চরের একটি শহরে দলটির এক স্থানীয় ২৮ বছর বয়সি নেতা আফ্রিকান অভিবাসীদের গুলি করা শুরু করে৷ প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে এই গোলাগুলি চলে৷ এতে বেশ কয়েকজন আহত হন৷
এদিকে, একক দল হিসেবে ইউরোপনীতির সমালোচনাকারী অতিবামপন্থি ফাইভ স্টার মুভমেন্ট বা এমফাইভএস এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷ কিন্তু গত বছর সংস্কার হওয়া নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী তারা চাইলেই সরকার গঠন করতে পারবে না৷
তবে সবকিছুর ওপরে রেনজির মন্তব্য ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে৷ ইটালিতে অতি ডান ও অতি বামপন্থিদের উত্থানের বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী৷
২০১৬ সালে সংবিধানে সংশোধন আনতে তিনি যে রেফারেন্ডামের ডাক দিয়েছিলেন তাতে হেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেন রেনজি৷

লুইস স্যান্ডার্স চতুর্থ/জেডএ

বক্তব্য রাখছেন মাটেও রেনজিছবি: picture-alliance/NurPhoto/G. Maricchiolo
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ