1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনকে ঘিরে নানামুখী আশঙ্কা

ডয়চে ভেলের অতিথি লেখক মাসুদ কামাল৷
মাসুদ কামাল
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অবধারিতভাবে প্রতিদিন যে দুটি প্রশ্ন আমাকে কয়েকবার করে শুনতে হয় সেটা হচ্ছে—‘ভাই, নির্বাচন কী হবে? ফেব্রুয়ারিতেই হবে?' এই সন্দেহগুলো যে একেবারে ভিত্তিহীন তাও কিন্তু নয়।

এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে ড. ইউনূসের দেওয়া আগামী নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ কি সম্ভব হবে? আওয়ামী লীগকে হিসেবের বাইরে রাখলে, বড় দলের মধ্যে আর যারা থাকল, তারা সবাই কি এই মুহূর্তে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে? সেটাও বোধ করি বলা যাবে না। ঠিক এই জায়গাতেই নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তার।ছবি: Mohammad Ponir Hossain/REUTERS

অথচ এ প্রশ্নটা ওঠারই কথা ছিল না। হাসিনা সরকার পতনের ঠিক একবছর পর, গত ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনের একটা সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারিতে, রমজানের আগে, হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তিনি কেবল একথা বলেই চুপ থাকেননি। এর পরপরই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টার অফিস থেকে চিঠি পাঠানো হয় নির্বাচন কমিশনে। তার কিছুদিন পরই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচনের একটা রোডম্যাপও ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে দেখা যায়, সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা নির্ধারণ নিয়ে যে বিতর্ক, তা নিয়েও শুনানি করছে নির্বাচন কমিশন। কবে নাগাদ নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হবে, সেটাও জানিয়ে দেয় কমিশন। যে আইনের অধীনে নির্বাচন হয়, সেই আরপিও তে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার, তাই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কিছু সংশোধনী প্রস্তাবও পাঠানো হয় সরকারের কাছে।

এই যে কর্মকাণ্ডের কথা বললাম, এর সবই তো একটা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কাজ। সবকিছুই ঠিকঠাক মতো চলছে। তারপরও সন্দেহ কেন? এমন সন্দেহ বা দ্বিধা থাকা স্বাভাবিক ছিল না। কিন্তু আছে যে, এটাই বাস্তবতা। আবার অন্যভাবে বললে, এই সন্দেহগুলো যে একেবারে ভিত্তিহীন তাও কিন্তু নয়। নির্বাচনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে আমরা দেখেছি, বড় একটি দল না এলে সেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। দেড় শতাধিক আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে। বলা যায়, কোন ভোট ছাড়াই তারা এত বেশি আসনে বিজয়ী হয়েছে যে, তা দিয়েই সরকার গঠন করা সম্ভব। ২০২৪ সালেও একই ঘটনা একটু অন্যভাবে হয়েছে। এবার আর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ নির্বাচিত হয়নি। বরং সব আসনেই ডামি প্রার্থীকে দাঁড় করানো হয়েছে। ফলে সেই নির্বাচন হয়ে গেছে ‘আমি আর ডামি'র নির্বাচন।

এসব অভিজ্ঞতার পর এখন প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে ড. ইউনূসের দেওয়া আগামী নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ কি সম্ভব হবে? আওয়ামী লীগ যে থাকছে না, এটা একরকম ধরেই নেওয়া যায়। সরকারই এরকম একটা ব্যবস্থা করে রেখেছে। দলটির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, সেই মামলা যতদিন নিষ্পত্তি না হবে তারা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে পারবে না। যে কোন রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচন অতি অবশ্যই একটা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। সে বিবেচনায় বর্তমানের ধারা অব্যাহত থাকলে ধরেই নেওয়া যায়, আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে হিসেবের বাইরে রাখলে, বড় দলের মধ্যে আর যারা থাকল, তারা সবাই কি এই মুহূর্তে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে? সেটাও বোধ করি বলা যাবে না। ঠিক এই জায়গাতেই নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তার।

ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের বিষয়ে ড. ইউনূসের ঘোষণা, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি—এসব নিয়ে যতটা সন্তুষ্টি বিএনপির মধ্যে দেখা যাচ্ছে ততটা কি আছে জামায়াতে ইসলামী বা এনসিপির মধ্যে? মনে হয় না। জামায়াতে ইসলামী বা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এরই মধ্যে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। জামায়াত বলছে পিআর পদ্ধতির কথা, আর এনসিপি বলছে সংস্কার কর্মসূচিগুলোর একটা সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার কথা, সেগুলো বাস্তবায়নের কথা। এর পাশাপাশি আবার দুই দলেরই দাবি আছে—আগে শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে, তারপর নির্বাচন। এসব দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হতে পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে জরুরি প্রশ্ন হচ্ছে, ফেব্রুয়ারির আগেই এসব করা অথবা শেষ করা সম্ভব কী-না। পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করা নিয়ে বড় দল হিসেবে বিএনপির আপত্তি আছে। বিএনপির আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে নতুন এই পদ্ধতির বাস্তবায়ন প্রায় অসম্ভব বলেই মনে হয়। সরকার এখনও জামায়াতের এমন দাবির বিষয়ে তেমন কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না। জামায়াত তাদের দাবি পূরণের সঙ্গে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়াকে শর্ত হিসাবে উপস্থাপন করেনি। এ থেকে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে, পিআর পদ্ধতি আসলে তাদের রাজনৈতিক দাবি। এ দাবিতে তারা রাজপথে থাকবে। হয়তো আগামী নির্বাচনে এই দাবিকে তারা রাজনৈতিক ইস্যু হিসাবে জনগণের সামনে নিয়ে আসবে। বিপরীত দিকে এনসিপি কিন্তু তাদের দাবি নিয়ে বেশ সিরিয়াস। তারা সাংবিধানিক ও প্রশাসনিক কিছু সংস্কার বাস্তবায়নের লক্ষে গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি তুলেছে। এসবকে তারা নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসাবেও উল্লেখও করেছে।

কিছুদিন আগে এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী একটা কথা জনসমক্ষে বলেছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘যদিও বলা হচ্ছে যে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে, কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।' মি. পাটোয়ারী এমন কথা কেন বললেন? কেবলই মনে হলো আর বলে দিলেন? তা কী করে হয়? উনি তো এলেবেলে কোনো লোক নন। এনসিপির মূখ্য সমন্বয়ক। আর এনসিপি নতুন দল এবং এখনো এর নিবন্ধন না হলেও, এ দলটি সরকারের কাছে খুবই গুরুত্ব পায়। এই আওয়ামী লীগের মতো দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের মাধ্যমে নির্বাচনের বাইরে রাখা, এ পেছনে দৃশ্যত এনসিপির দাবিই ছিল সবচেয়ে জোরালো। সে সময় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে যে বিক্ষোভ হয়েছিল তার নেতৃত্বে ছিলেন এনসিপির আর এক নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ। মাঝে একবার নানা রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সম্ভবত খুব বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। সেই সময় তিনি পদত্যাগের কথাও ভাবছিলেন বলে আমরা জানতে পারলাম। কীভাবে জানলাম? এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম জানালেন। তিনি গিয়েছিলেন ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে। ইউনূস সাহেব এ বিষয়টি নাহিদ ইসলামের সঙ্গে শেয়ার করেছিলেন। সেখান থেকে বের হয়ে এসে নাহিদ ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন প্রধান উপদেষ্টার আবেগ মিশ্রিত মানসিক অবস্থার কথা। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় এনসিপির সঙ্গে সরকার প্রধানের সম্পর্কের গভীরতাটি।

তাই এহেন এনসিপি যখন আবদার করল ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের জন্য, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জন্য, দেখা গেল দ্রুততার সঙ্গেই সেসব দাবি পূরণ করা হলো। সেই এনসিপিই এখন আবার দাবি করছে গণপরিষদ নির্বাচন ও শেখ হাসিনার বিচারের। শেখ হাসিনার বিচার এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা তো অনেক কটি, প্রায় সবগুলোই হত্যা মামলা। এসব মামলার নিষ্পত্তি কি এত দ্রুত করা সম্ভব? এটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কিন্তু মনে করুন, মাস কয়েক আগের কথা, এনসিপির আর এক নেতা সারজিস আলম কিন্তু বলেছিলেন—হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন নির্বাচনের কথা না বলে! তাহলে?

মতৈক্যে পৌঁছালেই নির্বাচন: ড. ইউনূস

01:39

This browser does not support the video element.

এনসিপি যে গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছে, সেটা মূলত নতুন সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্যে। যদিও এরই মধ্যে সংবিধানের মৌলিক বিষয়গুলোর পরিবর্তনের বিষয়ে বাম দলগুলো ও বিএনপি আপত্তি জানিয়েছে। তাই একেবারে নতুন সংবিধান হয়তো আর হবে না। তারপরও সংবিধানে যে সকল জায়গায় পরিবর্তন আনার বিষয়ে প্রায় সকল রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছে, সেগুলোও বাস্তবায়নের জন্য আগামীর রাজনৈতিক সরকারের উপর নির্ভর করতে চায় না এনসিপি। সে কারণেই তাদের দাবি একটা গণপরিষদ নির্বাচনের। তারা বলছে, গণপরিষদ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে হবে, একই লোক নির্বাচিত হবে। প্রথমে তারা গণপরিষদে বসবে, সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তন করবে, তারপর এরাই পরবর্তী ৫ বছরের জন্য সংসদ সদস্য হিসাবে কাজ করবে।

যতদূর যা দেখা যাচ্ছে, তাদের এই দাবি শেষ পর্যন্ত কতটুকু বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু দাবি আদায় না হলে তারা যদি নির্বাচন বর্জন করে? একই আশঙ্কা রয়েছেজামায়াতের ক্ষেত্রেও। তারাও যদি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়? একবার ভাবুন বিষয়টা, ভিজ্যুয়ালাইজ করার চেষ্টা করুন। নির্বাচন একটা হচ্ছে, সেখানে আওয়ামী লীগ নেই, জামায়াতে ইসলামী নেই, এনসিপিও নেই! সেটাকে নির্বাচন বলা যাবে? সেটা তো ২০১৪ এর চেয়েও খারাপ হবে।

আমার কেন যেন মনে, সম্ভবত এই সমীকরণকে মাথায় রেখেই এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদরা দাবি করছে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার। অনেকে বলছেন, এই দুই দলের দাবির পিছনেই জামায়াতের শক্ত সমর্থন রয়েছে। তারা বুঝতে পারছে, জাতীয় পার্টিকেও যদি আওয়ামী লীগের মতো মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়, তখন নির্বাচনের নাটাই পুরোপুরোই জামায়াত ও এনসিপির হাতে থাকবে। বিষয়টা বোধকরি বিএনপিও উপলব্ধি করতে পেরেছে। সে কারণে তারা এরই মধ্যে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে—বিএনপি কোন রাজনৈতিক দলের নিষিদ্ধের পক্ষে থাকবে না। এখন এটাই যদি বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান হয়, তাহলে কিন্তু অনেকে এমন প্রশ্নও করতে পারেন—তাদের এই নীতি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের সময় কোথায় ছিল? বাধা দেওয়া দূরে থাক, তারা ন্যূনতম একটা বিবৃতি দিতে পারত! তাও তো তারা করেনি। এখন যখন নিজের গায়ে লাগছে, তখন শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে আমাদের দেশের রাজনীতির এটাই চরিত্র। সকলে কেবল নিজের স্বার্থটাই দেখছে। যারা বড় দল তারা নিজেদের শেয়ার কমবে মনে করে পিআর-এর বিরোধিতা করছে। আর ছোট দলগুলো ৫-১০ আসনের আশায় পিআর-এর পক্ষে মাঠ গরম করছে। দুজায়গাতেই তারা উচ্চারণ করছে জনস্বার্থের কথা, কিন্তু ভাবছে নিজের দল আর নেতার স্বার্থের কথা।

কিন্তু যে কথা বলছিলাম, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা। এই যে এতক্ষণ জামায়াত বা এনসিপির দাবিগুলোর কথা বললাম—এসবই আসলে ইদানীং এত বেশি বেশি আলোচিত হচ্ছে যে, মানুষের মনে সন্দেহ জেগেছে নির্বাচন হওয়া না হওয়া নিয়ে। এই অনিশ্চয়তার পাশাপাশি রয়েছে আরও একটা বড় আশঙ্কা। ড. ইউনূস এরই মধ্যে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন—তিনি নাকি জাতিকে ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেবেন! তিনি ঠিক কোন বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করছেন, আমি বুঝি না। আওয়ামী লীগ একটা বড় দল, দেশজুড়ে তার বিপুল কর্মী সমর্থক। আওয়ামী লীগ একটা বংশানুক্রমিক দল। দেশে এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে দুই তিন প্রজন্ম ধরে আওয়ামী লীগ করে, নৌকায় ভোট দেয়। তাদেরকে আপনি একটা নির্বাহী আদেশ দিয়ে অনন্তকালের জন্য একেবারে ঘরে বসিয়ে দেবেন, এটা বাস্তবসম্মত চিন্তা নয়। আসন্ন নির্বাচনে তাদের ভূমিকা কী থাকবে? ঠিক এই জায়গাটিতেই অনেকে নানামুখী আশঙ্কা দেখেন। ২০১৪ সালে আমরা দেখেছি, নির্বাচন বানচাল করার জন্য নানা ধরনের সহিংসতা। ২০২৬ কী হবে কে জানে!

আর একটা কথা বলে লেখাটা শেষ করব। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ড. ইউনূসকে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলের নিরঙ্কুশ সমর্থন ছিল তার প্রতি। ধীরে ধীরে তা কিছুটা কমলেও এখনো মাঠে থাকা সকল রাজনৈতিক দলই রয়েছেন তার সঙ্গে। এত বিপুল সমর্থন নিয়ে এর আগে এই দেশে আর কোন ব্যক্তি সরকারের দায়িত্ব নেননি। এত সমর্থনের পরও, উনি যখন নির্বাচনের ঘোষণা দেন, সে অনুযায়ী যথাসময়ে সকল কাজকর্ম করতে থাকেন, তখনও তার সেই ঘোষণার প্রতি সাধারণ মানুষের প্রত্যয় জন্মায় না কেন? মানুষ কেন তাঁর কথায় আর আস্থা রাখতে পারেন না?    

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ