1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনি ইশতাহার মেনে চলে জার্মান দলগুলো

২৭ নভেম্বর ২০১৮

জার্মানিতে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিনে দলগুলোর তেমন কোনো তোড়জোড় দেখা না গেলেও ভোটের আগে-পরে কোন দল জনগণকে কী দেবে কিংবা কীভাবে দেবে – তা নিয়ে লম্বা আলোচনা চলে৷ অনেক সময় জোটসরকার গড়তে লেগে যায় কয়েক সপ্তাহ৷

ছবি: picture-alliance/dpa/F. von Erichsen

জার্মানির বড় দুই দল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী সিডিইউ আর সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি৷ এই দুই দল জার্মান চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের প্রথম, তৃতীয় এবং চতুর্থ মেয়াদে জোট গড়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে৷ যদিও দল দু'টোর মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে নীতিগত ব্যবধান রয়েছে এবং কেউ কেউ মনে করেন, এই দুই দলের একসঙ্গে জোট গড়ার বদলে আলাদা অবস্থান করা উচিত, তা সত্ত্বেও দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে তাদের জোট গড়ার বিষয়টি চমৎকার এক ব্যাপার৷ 

দুই দল নির্বাচনের পর জোট গড়ার ক্ষেত্রে বেশ কয়েক সপ্তাহ সময় নেয়৷ আর এই সময়টা তারা মূলত ব্যয় করে নির্বাচন-পূর্ব ইশতাহার মানার ক্ষেত্র তৈরি করতে৷ উদাহরণস্বরুপ বলা যেতে পারে জার্মানির ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি৷ জার্মানির শ্রমিকবান্ধব দল হিসেবে পরিচিত এসপিডি দীর্ঘদিন ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণের বিষয়টি তাদের অগ্রাধিকার হিসেবে জানিয়েছে৷ সিডিইউ অবশ্য এই বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখায়নি৷ তা সত্ত্বেও ২০১৩ সালে এসপিডি-সিডিইউ জোট গড়ার পর ২০১৫ সালে জার্মানিতে ন্যূনতম মজুরি ঘন্টাপ্রতি সাড়ে আট ইউরো করা হয়৷ সেই মজুরি আবার আগামী বছর নাগাদ বাড়িয়ে নয় দশমিক ৩৫ ইউরো করা হবে৷

জার্মান দলগুলো ক্ষমতায় গেলে নির্বাচনি ইশতাহারের বিষয়টি কিভাবে মাথায় রাখে, সেটার এক উদাহরণ এই মজুরি নির্ধারণ৷ এভাবে আরো নানা ক্ষেত্রে দলগুলোর অবস্থানের বিষয়টির প্রকাশ পাওয়া যায়৷ সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের সময় কর এবং বেকারত্বের হার কমানোর দিকে নজর ছিল বড় দলগুলোর৷ দেখা যাচ্ছে, সেই দিকেও সাফল্য পেতে শুরু করছে বর্তমান জোটসরকার৷ জার্মানির বিভিন্ন শহরের পরিসংখ্যান বলছে, বেকারত্বের হার কমতির দিকে৷ এমনকি শরণার্থী হিসেবে যাঁরা গত কয়েক বছরে এদেশে এসেছেন, তাঁদের মধ্য থেকেও চাকুরির বাজারে প্রবেশকারীর সংখ্যা বাড়ছে৷ কর কমানোর ক্ষেত্রে নানা পদ্ধতি বের করছে ক্ষমতাসীনরা৷ 

তবে, নির্বাচন ইশতাহার পূরণই শেষ কথা নয়৷ বরং ক্রমাগত বড় দুই দল জোট গড়ায় একটা সমস্যাও হয়েছে৷ জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি মেটাতে পারলেও একক দল হিসেবে এসপিডি ক্রমশ গুরুত্ব হারাচ্ছে৷ বিভিন্ন রাজ্য নির্বাচনে এসপিডির ভোট শুধু পড়তির দিকে৷ অথচ জার্মানির প্রধান বিরোধী দল হিসেবে থাকলে দলটির পরিস্থিতি হয়ত সেরকম হতো না৷

আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলে

আর সিডিইউ জনগণের নানা প্রতিশ্রুতি মিটিয়ে চললেও শরণার্থী ইস্যুতে ম্যার্কেলের উদারপন্থি মনোভাব দলটির জনসমর্থন ক্রমশ কমিয়ে দিচ্ছে৷ বড় দুই দলের এই পরিস্থিতির কারণে সবুজ দল, বাম দলের মতো অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলোর প্রতি সমর্থন বাড়ছে৷ তবে রাতারাতি সমর্থন বাড়িয়ে চলেছে অভিবাসনবিরোধী, মুসলিমবিরোধী উগ্র-ডানপন্থি দল হিসেবে পরিচিত এএফডি৷ জার্মানির ভোটারদের এই পরিবর্তন আগামী জাতীয় নির্বাচনে বড় দলগুলোকে বেশ বিপাকেই ফেলবে৷ এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা কীভাবে নির্বাচনি ইশতাহার সাজায় সেটাই এখন দেখার বিষয়৷

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ