1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজেপির ঐতিহাসিক জয়

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৭ মে ২০১৪

নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি একাই পেয়েছে ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৮৫টি আসন৷ আর জোটসঙ্গিদের নিয়ে ঐ সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৩৩৫-এ৷ কংগ্রেস সেখানে পেয়েছে মাত্র ৪৮টি আসন৷

Indien Wahlen 2014 BJP Narendra Modi
ছবি: Reuters

২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের ভোটের ফলাফল ঘোষণার প্রতীক্ষা শেষ৷ বিজেপির প্রতীক চিহ্ন পদ্মফুলের সৌরভে গোটা দেশ আ-মোদিত৷ শুরু হবে ভারতে উন্নয়নের নতুন যুগ, বলেছেন বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং৷ সংসদের মোট ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি একাই ২৮৫টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে৷ জোট শরিকদলগুলিকে নিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৩৩৫-এ৷

এরপর আর কী? ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদী সম্ভবত শপথ নেবেন আগামী মঙ্গলবার ২০শে মে৷ আর বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং শনিবার ১৭ই মে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে তাঁর মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র পেশ করবেন৷ উল্লেখ্য, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় পদে পদে সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বিজেপিকে শরিক দলগুলির মুখাপেক্ষি হয়ে আর থাকতে হবে না, যার জন্য প্রতি পদক্ষেপে বাধা পেয়ে মনমোহন সিং সরকারকে নীতি পঙ্গুত্বের অভিযোগ শুনতে হয়েছিল৷

এদিকে মোদীর সাফল্যে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ বলেছেন, ‘‘আপনার বিপুল জয় দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক মৈত্রী সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবে৷'' অনুরুপ বার্তা পাঠিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফও মোদীকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷

অন্যদিকে সাম্প্রতিককালে কংগ্রেসকে এত বড় নির্বাচনি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়নি৷ কংগ্রেস সাকুল্যে পেয়েছে মাত্র ৪৮টি আসন৷ তাই প্রধান বিরোধী দলও হতে পারবে না তারা৷ জোট সঙ্গীদের নিয়ে কংগ্রেস পেয়েছে ৬১টি আসন৷ কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং পুত্র রাহুল গান্ধী দলের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন নতমস্তকে৷ সোনিয়ার মতে, রাজনীতিতে জয়পরাজয় আছে৷ রাহুল দলের বিপর্যয়ের জন্য দায়ী করেছেন নিজেকে৷ তবে বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের মুখে অন্ধ্রপ্রদেশ বিভাজন রাজনৈতিক দিক থেকে কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি৷ তার খেসারত দিতে হয়েছে কংগ্রেসকে৷ সীমান্ধ্র এবং তেলেঙ্গানা দুই রাজ্যেই কংগ্রেসের ভরাডুবি৷ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির উত্থানও পড়েছে মুখ থুবড়ে৷ তারা পেয়েছে মাত্র চারটি আসন৷

গত ৩০ বছরে বিজেপি এত বড় সাফল্যের মুখ এর আগে আর দেখেনি৷ বিজেপির এই সাফল্যের প্রাণপুরুষ কী মোদী? বিশ্লেষকদের মতে, ‘‘হ্যাঁ, অনেকটাই তাই৷'' শুধু ভোটের কৌশলনীতি বা অঙ্গীকার নয়, মৌলিক ম্যানেজমেন্ট ও বিপণন নীতির ফলেই সফল হয়েছে তাঁর ‘‘মিশন ২৭৩-প্লাস''৷

কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর পুত্র রাহুল গান্ধী দলের পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেনছবি: picture-alliance/dpa

মোদী মূল মন্ত্র করেন দুর্নীতি দমন, সুশাসন আর উন্নয়নকে৷ আর সেই বার্তা তিনি পৌঁছে দিতে পেরেছেন দেশের গ্রামে-গঞ্জে৷ এই কর্মসূচির সফল রূপায়নে হিন্দুত্ববাদী সংঘ পরিবারকে পাশে নিয়ে চলা হবে মোদীর পক্ষে বড় চ্যালেঞ্জ৷ মোদীর চরিত্রে আছে বৈপরিত্যের মিশেল৷ সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে ঘৃণা আর উন্নয়ন ও সুশাসন নিয়ে ভালোবাসা৷

বিজেপির তৃণমূল স্তর থেকে উঠে ২০০১ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রথম গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন৷ ২০০২ সালের দাঙ্গার কাদা লাগে তাঁর গায়ে৷ কিন্তু তারপর গত ১২ বছরে অন্যান্য রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হলেও গুজরাটে আর হয়নি৷ ২০০৭ আর ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ‘হ্যাটট্রিক' করেন৷ এবার গুজরাটের ২৫টি আসনের সবকটিতেই জিতেছেন বিজেপি প্রার্থীরা৷ তবে দক্ষিণী রাজ্যগুলিতে বিজেপির গৈরিক রং লাগেনি৷ তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার দল পেয়েছে ৩৭টি আসন৷ তবে মোদী দুটি আসনেই জিতেছেন৷ গুজরাটের বদোদরায় ৫ লাখ ৭০ হাজার ভোটে আর বারাণসীতে জিতেছেন তিনি ৫৩ হাজার ভোটে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ