নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না বাইডেন
৪ জুলাই ২০২৪সম্প্রতি সিএনএন-এ ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বিতর্কসভায় অংশ নিয়েছিলেন জো বাইডেন। সেখানে সভার মধ্যেই কার্যত ঘুমিয়ে পড়ছিলেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, বার বার কথার খেই হারিয়ে ফেলেছেন। ট্রাম্পের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রসঙ্গান্তরে চলে গেছেন। সব মিলিয়ে তার বক্তব্য ছিল খুবই ছন্নছাড়া। এই পরিস্থিতিতে ডেমোক্র্য়াটদের মধ্য থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল যে, বাইডেনের নির্বাচনি লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানো উচিত। অনেকেই বলছিলেন, বয়সের কারণে কথায় খেই হারিয়ে ফেলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বাইডেনের লড়াইয়ের জমি ছাড়ার প্রশ্নই নেই।
সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ''প্রেসিডেন্ট ভবিষ্য়তের জন্য় প্রস্তুত হচ্ছেন। তিনি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য় তৈরি। তাকে নিয়ে যা যা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, তার পুরোটাই গুজব।''
নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং সিএনএন বুধবার জানিয়েছে, নিজের এক অতি ঘনিষ্ঠ ব্য়ক্তিকে বাইডেন একই কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, লড়াই থেকে কোনোভাবেই সরে দাঁড়ানোর আসঙ্কা নেই। বরং আগামী বিতর্কগুলির জন্য় তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আগামী শুক্রবার তার একটি সাক্ষাৎকার আছে। সেটি ভালো হলেই সমস্ত আলোচনা আবার ঘুরে যাবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার সকালে তার প্রচার দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন বাইডেন। বাইডেন সরে দাঁড়াচ্ছেন কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ওই দুই ব্য়ক্তি। তাদের আশ্বস্ত করে বাইডেন জানান, সরে দাঁড়ানোর প্রশ্নই নেই। এরপরেই আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউস বিবৃতি প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য তিনজন ডেমোক্র্য়াট গভর্নরকেও একই কথা জানিয়েছেন বাইডেন। তারাও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, বাইডেনের সরে দাঁড়ানোর কোনো প্রশ্নই নেই। বস্তুত, মঙ্গলবার বাইডেন নিজেই বলেছিলেন, অতিরিক্ত সফরের কারণে ওই দিনের বিতর্কসভায় তিনি ক্লান্ত ছিলেন। এতটাই ক্লান্ত ছিলেন যে তার ঘুম পেয়ে যাচ্ছিল। বাইডেন বলেছেন, ''শখানেক টাইম জোনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। তা-ই তার ঘুম পেয়ে যাচ্ছিল।''
ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার বাহিনী অবশ্য বাইডেনের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। ওই দিনের বিতর্কসভার উল্লেখ করে তারা বলছেন, এখন ডেমোক্র্য়াটরা বুঝতে পারছেন, বাইডেন অযোগ্য়। এটা তাদের অনেক আগে বোঝা উচিত ছিল। ট্রাম্পের বক্তব্য, বাইডেন ভোটে লড়ার জন্য় যথেষ্ট সুস্থ নন। প্রেসিডেন্টকে অসৎ, অসুস্থ বলে অভিহিত করছে ট্রাম্পের দল। এবং বাইডেনের আমলে দেশে কীভাবে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি হয়েছে, সীমান্তে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছএ, সেই খতিয়ান তুলে ধরছেন তারা।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)