1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনি সহিংসতা রোধে চাই নির্বাচনি সংস্কার: ইউএনডিপি

৩০ জুন ২০১১

জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি সংস্থার সর্বাধুনিক সমীক্ষা বলছে, এশিয়ার দেশগুলিতে নির্বাচনি সহিংসতার ঝুঁকি এখনও পুরোপুরি বর্তমান৷

ঢাকা, ২০০৭ছবি: AP

ভোটে জালিয়াতি, দুর্নীতি কিংবা স্বজনপোষণের বাস্তব কিংবা কাল্পনিক সন্দেহ থেকেই সহিংসতার আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ যে সব গণতন্ত্রে নাগরিকদের কর্তৃপক্ষের উপর আস্থা নেই, সেখানে সামান্যতম সন্দেহ কিংবা অভিযোগ থাকলেই মানুষজন মারমুখী হয়ে উঠতে পারে৷ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে এই বিশ পাতার রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম৷

সমীক্ষাটির নাম ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইলেক্টোরাল ভায়োলেন্স ইন এশিয়া' বা এশিয়ায় নির্বাচনি সহিংসতাকে বোঝার প্রচেষ্টা৷ সমীক্ষা চালানো হয় বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপিন, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায়৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, কোনো রাজনৈতিক দল অথবা তাদের সমর্থকরাই মূলত সহিংসতার সৃষ্টি করছে৷ কিন্তু যেমন সহিংসতার শিকড়, তেমনই তার সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে সমাজ জীবনের বিভিন্ন অঙ্গে৷ যেমন দেশের রাজনৈতিক প্রণালীতেই গলদ থাকতে পারে৷ অপরদিকে নির্বাচনি আইনের কড়াকড়ি এবং নির্বাচনে মনিটরিং'এর ব্যবস্থা রেখে সহিংসতা কমানো যেতে পারে৷ সমাজশিক্ষা, গণমাধ্যম এবং সুধীসমাজ ভোটারদের আরো বেশি সচেতন করে তুলে নির্বাচনি সহিংসতা কমাতে সাহায্য করতে পারে৷

কাটমান্ডু, ২০০৪ছবি: AP

অপরদিকে দেশের সরকারি, প্রশাসনিক কাঠামোই নির্বাচনে অনুকূল কি বিরূপ উপাদান হয়ে উঠতে পারে৷ যেমন দেশের নিরাপত্তা বাহিনীকে যদি কোনো দল কি গোষ্ঠীর প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট অথবা সাধারণভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে গণ্য করা হয়, তা'হলে শান্তি রক্ষা যাদের কাজ, তারাই সহিংসতার উৎস হয়ে উঠতে পারে৷ একই ভাবে গণমাধ্যম যদি কোন বিশেষ দল কি ব্যক্তিবর্গের নিয়ন্ত্রণে থাকে, তা'হলে তারা ঐ দল কি ব্যক্তিবর্গের সংকীর্ণ স্বার্থ সাধনের চেষ্টা করতে পারে, অগ্নিগর্ভ রাজনৈতিক বক্তব্য প্রকাশ করতে পারে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে৷

রিপোর্টের সিদ্ধান্ত: নির্বাচনি সহিংসতা রোধের মূল পন্থা হল নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা বৃদ্ধি করা৷ ‘‘যে সব দেশে নির্বাচনে কারচুপি এবং সহিংসতা প্রক্রিয়ার অঙ্গ হয়ে উঠেছে, সেখানে রাজনৈতিক দলগুলির একটি বিশেষ ভূমিকা আছে৷'' এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে বিশেষভাবে ক্ষমতাশালী করা প্রয়োজন৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ