1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতে নির্বাচনের আগে

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩

ভারতে সংসদীয় নির্বাচনের আর খুব বেশি দেরি নেই৷ বড় জোর ৪-৫ মাস বাকি৷ তাই প্রাক-নির্বাচনি প্রচার শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে৷ দুটি প্রধান জাতীয় দল কংগ্রেস এবং ভারতীয় জনতা পার্টি কেউই কিন্তু খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই৷

India's President elect Pranab Mukherjee, right, and Indian Prime Minister Manmohan Singh, greet the media outside Mukherjee's residence in New Delhi, India, Sunday, July 22, 2012. The candidate from India’s governing Congress party, former Finance Minister Pranab Mukherjee, was declared winner Sunday in the election for the country’s next president, a largely ceremonial position. (AP Photo/ Manish Swarup)
ছবি: AP

কংগ্রেস নয় বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় এবার প্রাতিষ্ঠানিক-বিরোধী হাওয়া উঠেছে৷ পাশাপাশি, বিজেপির ভেতরে রয়েছে গুরুতর অভ্যন্তরীণ কোন্দল৷ তাহলে এই প্রেক্ষিতে, ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের সম্ভাবনা কতটা?

২০০৪ সালে মনে হয়েছিল কংগ্রেস জোট সরকার শরিক দলগুলির সঙ্গে পারস্পরিক সমঝোতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকার চালাবে৷ এই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই প্রথম ইউপিএ সরকার (কংগ্রেস-জোট ) বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি হাতে নিয়ে পথ চলা শুরু করেছিল৷ যেমন, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি প্রকল্প৷ কিন্তু দেখা গেল, প্রচুর অর্থ ব্যয় করেও তাতে সামাজিক সম্পদ তৈরি হয়নি৷ দ্বিতীয়, ইউপিএ সরকার ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং শিল্পায়নের জন্য জমি অধিগ্রহণের মতো জনমোহিনী আইন প্রণয়ন করছে৷

গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীছবি: AP

তাতে আমজনতা ধরে নিয়েছে, এটা শাসকদলের ভোট কেনার একটা কৌশলমাত্র৷ ক্ষমতাসীন দলকে নির্বাচনে জেতানো ছাড়া সরকারের আর কোনো দায়বদ্ধতাই নেই৷ তা নাহলে গত নয় বছরের শাসনকালে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি পালনে সরকার ব্যর্থ কেন? একের পর এক দুর্নীতিতে যখন দেশের নাভিশ্বাস, তখন অক্সিজেন দিয়ে তাকে বাঁচানো যায় না৷ তা-সে টু-জি মোবাইল স্পেকট্রাম বণ্টন হোক, কয়লাখনি বণ্টনে অনিয়ম হোক বা ভেঙে পড়া আর্থিক পরিস্থিতি হোক –সব কিছুর আড়ালে লুকিয়ে আছে সরকারের অপশাসন এবং অপদার্থতা৷

দেশের মানুষ তাই আবারো চাইছে নেতৃত্বের পরিবর্তন৷ কেন বিজেপি আরেক বার নয়? এই প্রেক্ষাপটে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম৷ সাম্প্রদায়িকতার তকমা ঝেড়ে ফেলে তিনি হিন্দু রাষ্ট্রের বদলে এখন চাইছেন সুশাসিত ভারত৷ মোদীর উত্থানকে ঘিরে বিজেপির পায়ের তলার মাটিও পিচ্ছিল হয়ে উঠেছে দলের ভেতরের অন্তর্কলহের কারণে৷ দলের ভেতরে তৈরি হয়েছে প্রবীণ নেতা এল.কে আডবানির নেতৃত্বে মোদী বিরোধী এক গোষ্ঠী৷ বিজেপি-জোট এনডিএ সরকারের সব থেকে পুরানো শরিক সংযুক্ত জনতা দল মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ করার প্রতিবাদে জোট ছেড়ে বেরিয়ে গেছে৷

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ছবি: Prabhakar Mani Tewari

একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কোনো দলই কেন্দ্রে সরকার গঠন করার মতো অবস্থায় নেই৷ তাই আঞ্চলিক দলগুলি নিয়ে ফেডারেল ফ্রন্ট গঠনের চিন্তা ভাবনা চলছে৷ অন্যভাবে বলতে গেলে সেটা হবে কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এক গোষ্ঠী, যার মধ্যে থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, বিহারের মুখ্যমন্ত্র নীতীশ কুমার, ওড়িষার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা৷ এর মূল লক্ষ্য হবে রাজ্য সরকারগুলিকে স্বশাসনের আরো বেশি ক্ষমতা দেয়া, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে৷ কেন্দ্রে যাদের কণ্ঠস্বর পৌঁছায় না, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক দিক থেকে যারা অবহেলিত৷ তবে ব্যক্তিত্বের সংঘাত এড়াতে এবং জোটধর্ম পালনে এহেন যুক্তরাষ্ট্রীয় ফ্রন্ট কতটা সফল হবে, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ