1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে সরকারের যোগাযোগ আরো বাড়বে'

হারুন উর রশীদ স্বপন ঢাকা
৩০ জুন ২০২৩

সেপ্টেম্বরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তার আগেই জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি রাজনৈতিক প্রতিনিধি দলের ভারত সফরের কথা রয়েছে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ফাইল ফটো)
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ফাইল ফটো)ছবি: Naveen Sharma/ZUMA/IMAGO

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে জি-২০ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন। বাংলাদেশসহ সদস্য নয় এমন ৯টি দেশ এই সম্মেলনে পর্যবেক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছে।

শেখ হাসিনা ওই সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ওই সময়ে তার বৈঠক হবে বলে ঢাকায় কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। এই বৈঠকটি সাইড লাইনে হলেও দুই দেশই বৈঠকটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

তবে  জুলাইয়ের মাঝামাঝি বিজেপির আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের যে দলটি ভারত যাচ্ছে সেই দলে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ আরো সিনিয়র নেতারা থাকছেন। আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ বলেন," তারা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সেখানে যাচ্ছেন। এই সফরকে আমরা রাজনৈতিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছি। তার সফরের আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্ব আছে।”

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারের যোগাযোগ আরো বাড়বে। এটা সরকার এবং দলীয় দুই পর্যায়েই। যে রাজনৈতিক টিমটি জুলাইয়ে যাচ্ছে তারা ভারত সরকার ছাড়া বিজেপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন, বৈঠক করবে। মূল টার্গেট হলো আস্থার সম্পর্ক আরো বাড়ানো। দলের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানো।

‘জুলাইয়ে সিনিয়র নেতাদের সফরটাকে আমরা অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি’

This browser does not support the audio element.

জি-২০ মূলত  বিশ্বের প্রধান প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর কৌশলগত  বহুপাক্ষিক জোট । আগামী ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে ২০ দেশের এই সংগঠনের শীর্ষ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে এই সম্মেলনে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল(অব.) শহীদুল হক বলেন," নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর জন্য এই সফর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু মোদী নয়, তিনি হয়তো আরো অনেক উন্নত দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে এই  সম্মেলনে গিয়ে কথা বলবেন। এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোট। এটা নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রের কাছে তার অবস্থান পরিষ্কার করতে সহায়তা করবে। "আর মোদীর সঙ্গে তার বৈঠকের অবশ্যই আলাদা গুরুত্ব আছে। সেখানে নিশ্চয়ই এই অঞ্চলের রাজনীতি আসবে,” মনে করেন এই কূটনীতিক।

তিনি বলছেন," জুলাইয়ে  আওয়ামী লীগের যে রাজনৈতিক দলটি ভারতে যাচ্ছে সেটা আসলে দুই দেশ বা দুই দেশের রাজনৈতিক দলের বিষয়। এটার ভিতরে রাজনৈতিক হিসাব আছে। সামনে বাংলাদেশের নির্বাচন । সুতরাং অনেক হিসাব থাকবে। আওয়ামী লীগ ও বিজেপির মধ্যেও অনেক বিষয় থাকতে পারে।”

ড.সেলিম মাহমুদ বলেন," ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো। অনেক আগে থেকেই এই সম্পর্ক। এই সময়ে নানা দিক থেকে  ভারতের সঙ্গে আমাদের এনগেজমেন্ট বাড়ছে। নির্বাচনের আগে আরো বাড়বে। জুলাইয়ে মাঝমাঝি দুই দিনের সফরে যে সিনিয়র নেতারা ভারতে যাচ্ছেন তাদের আমন্ত্রণে এটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটাকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। এর রাজনৈতিক গুরুত্ব আছে।”

"আর প্রধানমন্ত্রী যে সেপ্টেম্বরের জি-২০ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে যাচ্ছেন এর আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক গুরুত্ব আছে। আমরা এই সফরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি,” বলেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, নির্বাচনের আগে ভারতের সঙ্গে দুই পর্যায়ে যোগাযোগ আরো বাড়ানো হবে।  ভারত সরকারকে এই সময়ে আরো আরো কাছে পেতে চায় তারা।

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ