1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাসের সিঁদুরে মেঘ

শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা
৫ এপ্রিল ২০১৮

পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন মে মাসের শুরুতে৷ কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় থেকেই যে ব্যাপক রাজনৈতিক সন্ত্রাস শুরু হয়েছে, তাতে ভোটের সময় বড় হাঙ্গামার আশঙ্কা বাড়ছে৷

Symbolbild Mord Ehrenmord Messer
ছবি: bilderbox

মন্তব্যটা নিয়ে এখন লোকে হাসাহাসিই করছে, কিন্তু বিষয়টা আদৌ হেসে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়৷ বীরভূমের বিতর্কিত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মন্ডল পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের উদ্দেশে রসিকতার ছলে হুমকি দিয়েছেন — আপনারা মনোনয়ন জমা দিয়ে বাইরে এলেই দেখবেন রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে!‌

অনুব্রত-কথিত এই উন্নয়ন আদৌ নিরীহ নয়, বরং রীতিমতো যুদ্ধসাজে৷ তার হাতে লাঠি, তলোয়ার, বোমা, বন্দুক৷ এই উন্নয়নের হাতেই বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীরা বেধড়ক মার খেয়েছে, খাচ্ছে গোটা রাজ্য জুড়ে৷ উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ, কুচবিহার, মুর্শিদাবাদ থেকে এই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের খবর আসছে৷ অনুব্রতর জেলা বীরভূমে এক বিজেপি নেতা ছুরি খেয়েছেন৷ তিনি জেলাশাসকের দপ্তরে দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তার অভাব নিয়ে অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন৷ এবং পশ্চিমবঙ্গে বামপন্থিরা যেহেতু এখন নেহাতই শক্তিহীন এবং জনজীবন থেকে বিচ্ছিন্ন, লড়াইটা এখন তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে সরাসরি হচ্ছে৷ অভিযোগ বেশি শাসকদল তৃণমূলেরই দিকে৷ বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সভাপতি দিলীপ ঘোষ ডয়চে ভেলেকে জানালেন, পুলিশের সামনেই তাঁদের কর্মীরা তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের হাতে বেধড়ক মার খাচ্ছেন৷ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আসলে পঞ্চায়েতকে বিরোধীশূন্য করতে চায়৷ কারণ আর্থিক অনুদান বেশি আসে পঞ্চায়েতেই৷ সেটা যাতে নিজেরা লুটে খেতে পারে, তাই নির্বাচনের আগেই এই সন্ত্রাস৷ যে কারণে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে এসেছে বিজেপি এবং দলের প্রার্থীদের নিরাপত্তার দাবিতে এবার তারা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে৷ সেখানে বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় ভোট করার আর্জিও জানাবে৷

Dilip Ghosh - MP3-Stereo

This browser does not support the audio element.

যদিও রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ঘোরতর বিরোধী শুরু থেকেই৷ এ ব্যাপারে রাজ্যের নির্বাচন কমিশন রীতিমত সন্ত্রস্ত, যে রাজ্য পুলিশের ভরসায় থাকলে কিছুতেই শান্তিপূর্ণ ভোট হবে না৷ খোদ রাজ্যপাল এ ব্যাপারে নিজের উদ্বেগের কথা রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে ডেকে জানিয়েছেন৷ কিন্তু সমস্যা হলো, রাজ্য সরকার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সন্ত্রাস, সংঘর্ষের কথা মানতেই চাইছে না৷ বরং এই দাবি সরকার সমর্থন করছে তথ্য দিয়ে৷ বলছে, বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না বলে যে অভিযোগ, তা ভিত্তিহীন৷ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রথম দু'দিনে গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৬১৪টি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা৷ আর বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা পড়েছে ১৬৯২টি৷ রাজ্য সচিবালয়ে বুধবার এই হিসেব দিয়ে রাজ্য পুলিশের এডিজি (‌আইন-শৃঙ্খলা)‌ অনুজ শর্মা জানিয়েছেন, বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলায় জেলায় বাড়তি পুলিশ পাঠানো হয়েছে৷ গত চারদিনে হাঙ্গামায় জড়িত ১০৪১ জনের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, মামলা হয়েছে ৮১৪ জনের বিরুদ্ধে৷ লাগোয়া বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে দুষ্কৃতিরা যাতে রাজ্যে ঢুকতে না পারে, তার জন্যও ব্যাপক তল্লাসি চলছে৷ কাজেই রাজ্য পুলিশই পশ্চিমবঙ্গে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারে৷

সমস্যা হলো, বিরোধীরা তো বটেই, নির্বাচন কমিশনও অতটা ভরসা রাখতে পারছে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ